দশটি হাইকু

দশটি হাইকু: মাতসুও বাশো | তর্জমা: সোহম দাস

মাতসুও বাশো

 

তর্জমা: সোহম দাস

মাতসুও বাশো (১৬৪৪-১৬৯৪) জাপানের এদো যুগের শ্রেষ্ঠ কবি। খুব কম বয়সেই কবিতায় হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। রেনকু ও হোক্কু (পরে যা ‘হাইকু’ নামে পরিচিত হয়েছে) কবিতায় তাঁর অবদান তাঁকে বিশ্বসাহিত্যে এক বিশেষ স্থান দিয়েছে। তবে, তাঁর জগৎজোড়া খ্যাতি জাপানি হাইকু কবিতার প্রবক্তা হিসেবে। কিন্তু বাশো নিজে বিশ্বাস করতেন, তাঁর সর্বাধিক দক্ষতা লুকিয়ে রয়েছে রেনকু কবিতাগুলোর মধ্যেই। তাঁর কবিতার বিষয় বরাবরই খুব সহজ। চারপাশের পৃথিবীতে তিনি যা দেখতেন, সেগুলোই ফুটে উঠেছে তাঁর কবিতায়। শহরের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ছেড়ে একসময়ে তিনি গ্রামে গিয়ে বসবাস শুরু করেন, তাই বুঝি তাঁর হাইকু কবিতায় গ্রামের সরলপ্রাণা মানুষ, পরিবেশ-প্রকৃতির ছোঁয়াচ এত স্বাভাবিক।

পাতায় ছাওয়া কুঁড়ে
মালিক বদলে যায়,
আসে পুতুলের দল।

বিদায়ী বসন্ত,
পাখিদের কান্না, মাছেদের
চোখে জল।

গ্রীষ্মের ঘাসে
যেটুকু পড়ে থাকে,
যোদ্ধার অপূর্ণ সাধ।

গ্রীষ্মের প্রথম বৃষ্টি
অবিরাম, ছোঁয়নি
হিকারি-দো হলকে।

কী প্রশান্তি!
প্রস্তর ভেদ করে আসে,
কেবল ঘূণপোকার ডাক।

বৃষ্টিরা মিলিত হয়।
দুর্বার গতি সে,
মোগামি নাম তার।

প্রাচীন দীঘি এক
লাফিয়ে পড়ে ব্যাং
কেবল জলের শব্দ

হেমন্তের চাঁদ—
নিঃশব্দে গর্ত খোঁড়ে কীট
কাঠবাদামে

গোধূলির বৃষ্টি,
জবাদের উজ্জ্বল রঙে
সূর্যাস্ত হয়

১০

এক হাতে মেখেছে ভাত,
অন্য হাত ছুঁয়েছে
চুড়িজোড়া।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5117 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

Leave a Reply to Subhankar Banerjee Cancel reply