
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়
উন্নয়নের পথ: বিকল্পের সন্ধানে
এই মুহূর্তে বাজার চলতি সবথেকে জনপ্রিয় শব্দটি কী বলতে পারেন? না, না। আমি কেবল আমার রাজ্যের দিকে তাকিয়ে এ কথা বলছি না। গোটা দেশজুড়েই এখন এই চার অক্ষরের শব্দটির তুমুল জনপ্রিয়তা। ধরতে পারলেন, আমি ঠিক কোন শব্দের কথা বলছি? হুঁ, উন্নয়ন। তরক্কি। ডেভেলপমেন্ট। সবাই একই খুঁটে বাঁধা শব্দ, অক্ষরের কলেবরে ইতরবিশেষ পার্থক্য।
আপনি সুদূর হিমাচল প্রদেশে যান। টের পাবেন তরক্কি কাকে বলে! বড় বড় চেহারার ঢাউস মেশিন দিয়ে, পাহাড়ের বুকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে জমকালো উন্নয়নের আয়োজন চলছে বছরভর। একই হাল পাশের প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরাখণ্ডের। উত্তরপ্রদেশে যান। সেখানেও বুলডোজার চালিয়ে পুরনো স্মৃতিস্মারক, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক চলছে। বছর কয়েক আগে দক্ষিণের এক রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এ-সবই হল দৃশ্যমান উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। এইসব উন্নয়নমুখী কর্মপরিকল্পনার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায় না, এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। ধরুন পাহাড় ফুঁড়ে সুড়ঙ্গ্ হল। আপনাকে আর সাত পাহাড়ের বুকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ওঠা অজগর সাপের মতো পাকদণ্ডী পেরোতে হবে না। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ি নিয়ে সরাসরি আপনার গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন রাজকীয় আরামে। আসতে আসতে হয়তো জাতীয় সড়কের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ম্লান মুখের কোনও কিশোর বা কিশোরীর হাত থেকে দরাদরি করে মুঙ্গফলি বা খুবানি কিনেছেন। ব্যস! সুড়ঙ্গ কেটে রাস্তা তৈরির সুফল বা ফায়দা হাসিল হল ওদের কাছে। এই নিয়েই গালভরা প্রচার শুরু হয়ে যাবে তৎক্ষণাৎ– সুড়ঙ্গপথের সুবাদে স্থানীয় মানুষদের নতুনভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাহবা নন্দলাল, বাহবা!
অবশ্য এমন ঢাক পেটানো গালভরা ঝাঁ চকচকে উন্নয়নের আড়ালে আরও এক উন্নয়নের বা বিকাশের কহানি আছে। এই দ্বিতীয় ধারার উন্নয়নের জন্য গলাবাজি করতে হয় না, এই উন্নয়ন সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের একান্ত যাপনের উদ্দেশ্য আর বিধেয়কেই চমকপ্রদভাবে বদলের আভাস দেয়, ছুঁয়ে যায় মানুষের বেঁচে থাকার আনন্দকে। মানুষ নিজেদের বদলে যাওয়া নিজেরাই অনুভব করতে পারে। কিছু মানুষের নিরলস প্রচেষ্টায় এমন উন্নয়নের প্রসাদ পৌঁছে যায় প্রতিটি মানুষের কাছে। আমাদের আজকের কাহিনি এমনই এক দ্বিতীয় ধারার বিকাশের কথা বলে।
একটি মেয়ে ও অধুরা কিছু স্বপ্ন
একটি ছোট্ট মেয়ে। নাম তাঁর মীনাক্ষী। বাড়ি তার তেলেঙ্গানা রাজ্যের আদিলাবাদ জেলার মুখরা গ্রামে। রাজ্যের আর পাঁচটা গ্রামের থেকে এই গ্রামের তেমন কিছু ফারাক নজরে পড়ে না— সেই ধূলিধূসরিত পথঘাট, সন্ধে হলেই ম্লান পিদিম জ্বেলে কাজকম্মো করা, একটু বৃষ্টি হলেই অপরিসর নর্দমা উপচে নোংরা জলে যাতায়াতের পথ জল থৈ থৈ, তাতে বিনবিনিয়ে বেড়ে ওঠে মশা আর মাছির দল। মেয়েটির স্কুলে যেতে খুব ভাল লাগে। তাই গ্রামের স্কুলে পাঁচ ক্লাস অবধি পড়াশোনা শেষ করে সে যায় দূরের হাই ইস্কুলে। রোজ যাতায়াতে ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। তারমধ্যে ১৬ কিলোমিটার বাসে, আর বাকিটা হেঁটে। সেই মেয়েটি ভাবে, তাদের গ্রামে যদি একটা স্কুল থাকত, তাহলে রোজ এমন যাতায়াতের ধকল সইতে হত না। তার গ্রামের অনেক মেয়েই তো এই কারণে মাঝপথেই লেখাপড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। সে নেহাত জেদ করে ১২ ক্লাস অবধি পড়াশোনা শেষ করেছে। খুব ইচ্ছে ছিল আরও লেখাপড়া করার, কিন্তু কলেজে ভর্তি হতে হলে যে আরও দূরের শহরে যেতে হত। সেটা আর সম্ভব হল না।
শুধু কি স্কুল? তাদের এই পাহাড়ে ঘেরা সবুজ গাছগাছালিতে ঢাকা গ্রামে চিকিৎসার কোনও ভাল ব্যবস্থাই নেই। একটা ছোট্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে বটে, তবে সেখানে আধুনিক চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই নেই। নাম-কে-ওয়াস্তে একজন ডাক্তারবাবু আছেন বটে, তবে তেনার দেখা নাই। মুখরা গ্রামে কোনও শৌচাগার না থাকায় নারীপুরুষ-নির্বিশেষে সবাই মাঠে ময়দানেই যায় বা যেতে বাধ্য হয় প্রাকৃতিক প্রয়োজনে।
প্রতিনিয়ত এসব অসঙ্গতি দেখে দেখেই, দিনবদলের ইচ্ছেটা আরও জোরালো হয়ে ওঠে তার মনে।
মেয়েটি বড় হয়। সে কেবলই স্বপ্ন দেখে। ইস! আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে এইসব সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ নিতাম। গাঁয়ের সমস্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হয় পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে। মীনাক্ষি লক্ষ করেন গ্রামের উন্নয়নে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিচালনায় দক্ষতার অভাব রয়েছে। অথচ সরকারের তরফে অনুদানের ঘাটতি নেই, ঘাটতি যথাযথ উদ্যোগ ও পরিকল্পনায়।
চলো নিজের পথে, চলো নিয়মমতে
২০১৯ সালে সুযোগ পেলেন মীনাক্ষি। প্রতিপক্ষকে পিছনে ফেলে গ্রামের পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ বা প্রধান নির্বাচিত হলেন তিনি। এতদিনে যেন স্বপ্নপূরণ হল। সরপঞ্চ হিসেবে তাঁর এতদিনের চেনা সমস্যাগুলোর সমাধানের বিষয়ে উদ্যোগী হলেন তিনি। প্রচলিত সরকারি গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প সমূহ যাতে যথাযথভাবে রূপায়িত হয় সেই বিষয়ে বিশেষ তৎপর হলেন তিনি। গ্রামের মানুষদের মধ্যে সচেতনতা জাগরণের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রচার শুরু করলেন তিনি ও অন্যান্য আধিকারিকরা। ছোট ছোট কাজ কিন্তু গ্রামীণ অধিবাসীদের জীবনে তার সার্বিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী— পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, আধুনিক শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ছড়িয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রচলন— এইসবের মধ্যে দিয়ে এক নতুন চেতনার প্রসার ঘটে মুখরা গ্রামের মানুষজনের ভেতরে। এটাই হয়ে ওঠে সরপঞ্চ সাহেবা মীনাক্ষি গ্যাডগের সবচেয়ে বড় পুঁজি, সফল সরপঞ্চ সাহেবা তথা প্রশাসক হয়ে ওঠার ইউএসপি।
তাঁর নিজের গ্রামের সমস্যাগুলোর সঙ্গে মীনাক্ষির নতুন করে পরিচিত হওয়ার কিছু ছিল না। আগের সরপঞ্চ সাহেব ছিলেন ভিন্ গাঁয়ের মানুষ। তাই তাঁর কাছে গ্রামের সমস্যাগুলোর কথা বলতে গেলে প্রায়শই তিনি পাশ কাটিয়ে যেতেই পছন্দ করতেন। ফলে মুখরা গ্রামের সাধারণ মানুষেরা যে তিমিরে থাকার সেই তিমিরেই রয়ে যেতে বাধ্য হতেন বছরের পর বছর। ভূমিপুত্রী মীনাক্ষি সরপঞ্চ হওয়ায় গ্রামের লোকজন নিজেদের অভাব অভিযোগ, সুবিধা অসুবিধার কথা ঘরের মেয়ের কাছে সহজেই মুখ ফুটে বলতে পারার কারণে হাতেনাতেই সমাধান করা সম্ভব হয়ে উঠল। প্রশাসনিক কাজকর্মে নতুন গতি সঞ্চারিত হল। উন্নয়নের নামে প্রবল ঢক্কানিনাদের বদলে, মানুষের জীবনের অস্ত্যর্থক রূপান্তর ঘটল এক আশ্চর্য জিয়নকাঠির ছোঁয়ায়।
এমন সব নতুন ধারার কাজে সফলতার খবর পৌঁছে গেল রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক দফতরে। একের পর এক পুরস্কার আর স্বীকৃতির শিরোপার তাজ উঠল মুখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাথায়। গ্রামে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করায়, গ্রামের মানুষজনের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে সুলভ বিদ্যুৎ। এই ভাল কাজের জন্য ২০২৩ সালে মিলেছে জাতীয় স্তরের গ্রাম ঊরজা স্বরাজ বিশেষ অ্যাওয়ার্ড, গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে পরিস্রুত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য ২০২৩-এই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মিলেছে স্বচ্ছ্ সুজল শক্তি সম্মান, ২০২২ সালে প্রশাসনিক স্তরে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন ও বিকাশের ক্ষেত্রে উল্লেখনীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মুখরা পঞ্চায়েত আদায় করে নিয়েছিল দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ পুরস্কার।
এখানেই শেষ নয়। আদিলাবাদ জেলার মতো রুখা শুখা ক্রান্তীয় সাভানা জলবায়ু অঞ্চলে উজাড় হয়ে যেতে বসা মুখরা পঞ্চায়েত এলাকার বনাঞ্চল সংরক্ষণে ইতিবাচক প্রয়াস চালানোর জন্য জুটেছে আরও বিশেষ স্বীকৃতি। ২০২০ সালে বায়োডাইভার্সিটি অ্যাওয়ার্ড এবং স্বচ্ছ্ সর্বেক্ষণ অ্যাওয়ার্ড। ভারতের আর কোনও রাজ্যের গ্রামপঞ্চায়েতের ভাগ্যে সুপ্রশাসনের জন্য এতগুলো পুরস্কার আজ পর্যন্ত জোটেনি। এ-ব্যাপারে মীনাক্ষি গ্যাডগে পরিচালিত মুখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অবস্থান আজ সবার ওপরে। সবার মুখে মুখে তাই আজ উন্নয়নের মুখরা মডেলের প্রশংসা।
পথেই হল পথ চেনা
উন্নয়নের এক আশ্চর্য পথে হেঁটেছেন মীনাক্ষি। আসলে এভাবেই চলতে হয় প্রশাসনকে। খুব বড় বড় আকারের আকাশচুম্বী পরিকল্পনার পরিবর্তে সাদামাটা অথচ টেকসই উন্নয়নের পথে পাড়ি দিতে হবে আমাদের। মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হলে দেশের চেহারা বিলকুল বদলে যায়। এই কাজ যিনি বা যাঁরা পরিচালনা করবেন তাঁরা হবেন স্বপ্নের সওদাগর যাঁদের পা থাকবে মাটিতে আর মন মজে থাকবে মানুষের সর্বাত্মক কল্যাণের ভাবনায়।
মীনাক্ষি পেরেছেন তার মূল কারণ মুখরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সুখদুঃখের সঙ্গে তাঁর জীবনের সুর এক তারে বাঁধা হয়ে গিয়েছিল সেই শৈশবের সময় থেকে। তাই তিনি যখন বলেন— “আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়ে আগে যখনই পঞ্চায়েত সমিতির প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছি তখনই জুটেছে উপেক্ষা। আসলে সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা না করলে দেশ ও দশের উন্নতি কখনও সম্ভব হবে না। আমাকে ছোটবেলায় অনেক অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের অগ্রগতির কথা ভেবেই আমি কাজ করেছি। আগামী দিনে আরও ভাল কিছু করতে চাই আমাদের এলাকার মানুষ ও প্রকৃতি পরিবেশের জন্য।”
ইচ্ছে থাকলেই উপায়
আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েত সমিতিগুলো সরকারের অনুদানের মুখ চেয়ে বসে থাকে। ফলে অনুদানের টাকা না এলে উন্নয়নের কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে যায়। রাজনৈতিক টানাটানিতে অনেক সময় আর্থিক অনিশ্চয়তায় ভুগতে হয় পঞ্চায়েতগুলোকে। মীনাক্ষি এই বিষয়টি জানতেন, আর তাই প্রথম থেকেই মুখরা পঞ্চায়েতকে একটি স্থায়ী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে জৈব সার ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির উদ্যোগ নেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দুটি লিটার বিন বা ময়লা ফেলার জায়গা গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে সবুজ ও কঠিন বর্জ্যকে পৃথকভাবে সংগ্রহ করা হয়। সবুজ বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করা হয়। বিগত তিন-চার বছরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈব সার বিক্রি করে দশ লাখ টাকারও বেশি আয় হয়েছে পঞ্চায়েতের। কঠিন বর্জ্য বিশেষত প্লাস্টিকের তৈরি আবর্জনা বিক্রি করে আয় হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। এভাবে ফেলে দেওয়া আবর্জনা থেকে ধারাবাহিকভাবে আয় করছে পঞ্চায়েত। এর ফলে অনেকটাই স্বাবলম্বী হতে পেরেছে মুখরা পঞ্চায়েত। এই জৈব সার ব্যবহার করে স্থানীয় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন বিপুলভাবে। আয় বেড়েছে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের।
এই অর্থকে কাজে লাগিয়ে দুটো রুফ টপ সোলার প্যানেল বসিয়ে ৬ কিলো ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে গ্রামে। মুখরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ সৌরশক্তি গ্রামে পরিণত হয়েছে। পঞ্চায়েতের সাশ্রয় হচ্ছে মাসিক ১৫০০০ টাকা। এভাবেই দেশের বাকি অংশের থেকে দশ কদম এগিয়ে রয়েছে মীনাক্ষি গ্যাডগের নেতৃত্বাধীন মুখরা গ্রামপঞ্চায়েত। আজ গ্রামের স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, রাস্তায় শোভা পাচ্ছে সৌরবাতি। বদলে গেছে হতশ্রী গ্রামের চেহারা।
হর ঘর জল প্রকল্পের আওতায় গ্রামের বাড়িগুলোকে যুক্ত করে ১০০০টি ট্যাপ ওয়াটার কানেকশন দেওয়া হয়েছে। সমগ্র গ্রাম জুড়ে লাগানো হয়েছে এক লক্ষ ফলের গাছ। এর ফলেও বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েতের। পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মিশেছে পুষ্টিকর ফলের জোগান। পঞ্চায়েতের উদ্যোগেই স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল লাইব্রেরি। সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে পঠনপাঠনের মানোন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে বাস পরিষেবা। নিজের জীবনের না পাওয়ার জ্বালা অপরের জন্য সুযোগসুবিধা সৃষ্টি করে এভাবেই মিটিয়েছেন মীনাক্ষি। সাবাশ মীনাক্ষি সাবাশ। আপনাকে স্যালুট জানাই।
তথ্যসূত্র:
- দ্য বেটার ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন।
- টাইমস অব ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন।
- তেলেঙ্গানা বার্তা।
মীনাক্ষির স্বপ্ন অঞ্জন আমাদের সকলের চোখে লাগুক। একদল সব লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে,আর একদল নীরবে নিভৃতে নবনির্মাণে ব্যস্ত। কুর্ণিশ মীনাক্ষি আপনাকে। এমন এক মানুষকে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানাই।
মীনাক্ষির মতো নিভৃতচারী নিরলস মানুষেরা আছেন বলেই এখনও আমরা আছি। এমন মানুষদের কথা ছড়িয়ে পড়ুক দিকে দিকে। ধন্যবাদ লেখককে , আমাদের মতো পাঠকদের সামনে তাঁকে তুলে ধরার জন্য।
আলোক বৃত্তের বাইরে কাজ করে চলা মীনাক্ষী দেবীদের প্রণাম।লেখক এই সব খবরগুলো প্রতিনিয়ত সামনে নিয়ে আসছেন।ওনাকে নমস্কার।
প্রশাসন এই মডেল নেবেনা।কারণ এতে প্রচারের আলো পাওয়া যাবেনা।😢
মীণাক্ষির মতো মানুষদের লড়াইয়ের কথা কেন মূলস্রোতের প্রচার মাধ্যমে আসেনা ? ইচ্ছে শক্তির জাগরণ সবথেকে বড়ো কথা। মীণাক্ষিদের কথা তুলে ধরার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।