এক আশ্চর্য কার্নিভাল ও তারা সকলে

সোমনাথ মুখোপাধ্যায়

 


এত সব প্রতিকূলতার মাঝেও এ-বছর বিপুলসংখ্যক অলিভ রিডলি টার্টেল এসে হাজির হয়েছে ভারতের অতিথি হিসেবে। এ যেন এক কার্নিভাল! তাদের স্বাগত জানাই। ওড়িশার পাশাপাশি উত্তর কর্নাটকের কার‌ওয়ার তালুকের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সৈকতেও ভিড় জমিয়েছে অলিভরা। পশ্চিম উপকূলের বেশ কিছু গাঠনিক সমস্যা আছে। তবে সেইসব অবস্থাকে মানিয়ে নিয়েই ভিড় করছে রিডলি টার্টেলরা। এটা নিশ্চয়ই আশার কথা। পূর্ব উপকূলের ভিড় দেখেই হয়তো-বা অলিভ রিডলিরা ভিড় করতে বাধ্য হয়েছে কর্নাটক রাজ্যের উদুপী, ম্যাঙ্গালুরু ও কুনাদপুরে অবস্থিত সৈকতাবাস যেমন ভাটকাল, হোন্নাভার, কুমটা, আঙ্কোলা এবং কার‌ওয়ার সৈকতে

 

যখন গোটা দেশ প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় বহুদূরের পথ পাড়ি দিয়ে আরও একদল দুরন্ত পর্যটক এসে হাজির হয়েছে আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার উপকূলের সুবিস্তৃত বেলাভূমিতে। এমন মহামান্য অতিথিদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের হিসাব অনুযায়ী, এবার তারা এসেছে বিপুলসংখ্যায়, প্রায় ৭০০০০০ সংখ্যক। শীতের আমেজ খানিকটা প্রশমিত হতেই নিজেদের সুদূরের আস্তানা ছেড়ে দলে দলে সাঁতরে পার হয়ে এসেছে অনেকটা বারিধিপথ। এদের এই মহামিছিলের জন্যই ওড়িশা উপকুল লাগোয়া বঙ্গোপসাগরের জলের রং এখন জলপাই। এমন রঙের খেলা চলছে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েক বছর ধরেই, তবে এবার রং অনেক অনেক গাঢ়, প্রাণময়।

ঠিক ধরেছেন। আমার আজকের কথকতা যাদের নিয়ে তাদের পোশাকি নাম হল Lepidochelys Olivacea. আমাদের অবশ্য এই খটমট লম্বাচওড়া নাম মনে রাখার হ্যাপা পোহাতে হবে না, কেননা আমরা তাদের ডাকব অলিভ রিডলি টার্টেল বা জলপাই রঙের কাছিম নামে। ভাবছেন তো কচ্ছপ না বলে কাছিম নামে ডাকছি কেন? খুঁটিনাটি পার্থক্য এড়িয়ে, আমরা এখনকার মতো শুধু বলি, কচ্ছপেরা হল একান্তই স্থলচর অর্থাৎ ডাঙাতেই এদের বিচরণ; অন্যদিকে কাছিম হল জলচর, তবে প্রজননের জন্য উপকূলের বিস্তীর্ণ বালুকারাশিকেই বেছে নেয় তারা, যেমন এবার তাদের মেলায় ঢল নেমেছে ওড়িশার ঋষিকুল্য নদীর তীরবর্তী আশপাশের অনেকটা এলাকায়।

আসুন, আমরা আমাদের অতিথিদের সঙ্গে একটু জমিয়ে আলাপ করে নিই। অলিভ রিডলি টার্টেল। সামুদ্রিক কাছিমদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট চেহারার সদস্য। শরীরের বাইরেটা জলপাই রঙের শক্তপোক্ত আবরণে ঢাকা। একান্তই ক্রান্তীয়মণ্ডলের জলচর আবাসিক, আর তাই প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানা পেরিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর হয়ে ভারত মহাসাগরের দরিয়ায় পৌঁছতে খুব বেশি বেগ পেতে হয় না এই কাছিমদের। পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় এই কাছিমের ওজন হয় সর্বাধিক ১০০ পাউন্ডের কাছাকাছি। এরা লম্বায় প্রায় ২.৫ ফিট। একসময় অনেক অনেক বেশি সংখ্যায় সমুদ্র দাপিয়ে নড়েচড়ে সাঁতরে বেড়ালেও, এখন এদের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে মাংস আর ডিমের লোভে মানুষের আগ্রাসনের কারণে।

মানুষের মতো, প্রাণীদের প্রব্রজন সংস্কৃতির বিষয়টিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের পছন্দের আবাসিক অঞ্চল ছেড়ে দুস্তর পারাবারপথ পাড়ি দিয়ে কেবলমাত্র প্রজননের তাগিদে এতখানি দূরদেশের উদ্দেশ্যে চলে আসার প্রবৃত্তিও কম আকর্ষণীয় নয়। সাম্প্রতিক সময়ে দূরসঞ্চার প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অলিভ রিডলি টার্টেলদের এই গণপরিযান বিষয়ে অনুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। কোন্ পথে তারা আসছে? কেন‌ই বা এত দূরের আস্তানাকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে তারা? কেবলই নিশ্চিত নিরাপত্তার টানে, নাকি অন্য কিছুর টানে এমন পরিযান? গবেষকদের কাছে এমন সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া এখন অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে একটি চমকপ্রদ তথ্য— নিজেদের আবাসিক অঞ্চলে দল বেঁধে যূথজীবনে অভ্যস্ত হলেও এই দীর্ঘ পরিযান পথ পাড়ি দেওয়ার সময় তারা প্রত্যেকে একা একা চলতেই পছন্দ করে। যাপনের এই অন্তর্লীন অভিব্যক্তির পেছনেই বা ঠিক কী কারণ? তা নিয়েও চলছে নিবিড় পরীক্ষানিরীক্ষা।

ভারতের গোটা পূর্ব উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ বেলাভূমির অংশ জুড়েই এই সময়টাতে রীতিমতো মেলা বসে যায়। তবে বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও ওড়িশার ঋষিকুল্য নদীর মোহনায়, দয়া নদীর মোহনায় এবং ভিতরকণিকার গহিরমাথাতে বিস্তৃত তট পটভূমি এখন এই সুদূরের অতিথিদের কলকাকলিতে মুখরিত। অবশ্য শুধু ভারতেই নয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা প্রজননক্ষেত্র বা আরিবাডাতেই (arribada) এখন এই ব্যস্ততার ছবি নজরে পড়বে। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস হল এদের মিলনের সময়। সুতরাং এই ব্যস্ততার পেছনে রয়েছে গভীর প্রেমের এক আখ্যান। এই দীর্ঘ সমুদ্র অভিযানে পুরুষ অলিভ রিডলি টার্টেলরা হবু স্ত্রীদের আগলে আগলে রাখে। আর পছন্দের সঙ্গিনীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর‌ই তারা ফিরে যায় তাদের একান্ত পছন্দের আবাসভূমি প্রশান্ত মহাসাগরে। 

স্ত্রী টার্টেলদের অবশ্য অমন তাড়া দেখানোর জো নেই। পরিপূর্ণ মিলনের পর গর্ভবতী হওয়ার কথা টের পেয়েই, ফ্লিপারকে কোদালের মতো ব্যবহার করে বালিতে গর্ত খুঁড়ে অস্থায়ী বাসা তৈরি করে নেয় হবু মায়েরা। আর তারপর পরম সন্তর্পণে ১০০-১২০টির মতো ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার কাজ শেষ করে আবার ফ্লিপার চালিয়ে ডিমগুলোকে বালি চাপা দিয়ে ঢেকে দেয় যাতে অপেক্ষায় থাকা শত্রুদের নজর এড়ানো যায়। এরপর অবশ্য মা টার্টেলরাও ফিরে যায় সেই সুদূরে ফেলে আসা আবাসনে। পেছনে পড়ে থাকে তাদের আগামী প্রজন্মের প্রতিনিধিরা ডিমের সাদা খোলসের আবরণে। পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বেরিয়ে আসে ছোট ছোট শাবকেরা। মা-বাবা কাছে না থাকলেও তারা জানে এবার কী করতে হবে। প্রকৃতির সহজাত প্রবৃত্তিতেই তারা হেলেদুলে সমুদ্রের পথ ধরে। আর তারপর দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে একসময় পৌঁছে যায় তাদের একান্ত পছন্দের আবাসভূমিতে, প্রশান্ত মহাসাগরে। মায়ের সঙ্গে আর কোনওভাবেই দেখা হয় না এই কাছিমদের।

নির্দিষ্ট দিনক্ষণ মিলিয়ে দীর্ঘ জলপথ পাড়ি দিয়ে কোন প্রকৌশলের সাহায্যে তারা ঠিক এসে হাজির হয় তাদের চেনা প্রজননক্ষেত্রটিতে, তা সত্যিই পরম বিস্ময়ের। তিথিনক্ষত্রের খোঁজখবর না রাখলেও বাতাসের ঠেলায় দুলে ওঠা সাগরের ঢেউ, চাঁদমামার নিরন্তর টহলদারি— বড় থালার মতো উজ্জ্বল দশা থেকে একসময় বিলকুল অ‌দৃশ্য হয়ে যাওয়া, মহিলাদের শরীর থেকে বেরিয়ে আসা ফেরোমনের সুবাস— যার আকর্ষণ যুগে যুগে পাগল করেছে বিপরীত লিঙ্গের পুরুষ সহযোগীকে। এই নিয়মের বাইরে থাকবে কী করে জলপাই রঙের কাছিমের দল? প্রজননের ব্যাপারে স্ত্রীদের ভূমিকা এখানে প্রাধান্য পায়। তাই তারাই এগিয়ে এসে আরিবাডার অস্থায়ী নয়াবসতের পত্তন করে। তবে সবাই যে এমন গণমিলনমেলায় ভিড় জমায় তেমনটাও যে নয়। বিজ্ঞানীরা লক্ষ করে দেখেছেন যে বেশ কিছু সংখ্যক দয়িতা ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে একটু সঙ্গোপনে নিভৃতে তার দয়িতর সঙ্গে মিলনে আগ্রহী। তাই এরা আরিবাডার ভিড় এড়িয়ে একটু আড়ালে পাতে তাদের স্বপ্নের বাসরঘর। আবার অন্য কিছু কিছু স্ত্রী অলিভ রিডলি দু-রকমের ব্যবস্থাপনাতেই দিব্যি মানিয়ে নেয় নিজেদের। এ সব‌ই এখন গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। শাবকের লিঙ্গ নির্ধারণ করে বালির উষ্ণতা। কী আশ্চর্যের বিষয়, তাই না! উষ্ণতার ফারাক তফাৎ তৈরি করে তাদের লিঙ্গানুপাতের জটিল হিসেবনিকেশ।

তবে অলিভ রিডলি টার্টেলদের এমন জৈবনিক প্রজনন শৃঙ্খলা আর কতদিন বজায় থাকবে তা স্পষ্ট করে বলাটা মোটেই সহজ নয়।

আসলে বিস্তীর্ণ সমুদ্রের নীলাম্বু জলরাশির বুকে ভেসে বেড়ানো অলিভ রিডলি টার্টেলরা আর কতদিন এভাবে চলতে পারবে তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে প্রবল সংশয়। নীল সমুদ্রের পসরার সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো মৎস্যজীবীদের জালে অনিচ্ছাকৃতভাবে ধরা পড়ে যায় অলিভ আর অলিভিয়ারা। এই সমস্যাটি মৎস্যজীবীমহলে bycatch নামে পরিচিত। এটি নিঃসন্দেহে একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে-জন্য আরও সতর্ক হতে হবে আমাদের, কেননা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের শৃঙ্খলা রক্ষায় এদের অনন্য ভূমিকা রয়েছে।

সর্বভুক মানুষেরা মাংস ও ডিমের জন্য আজ‌ও অলিভ রিডলি টার্টেলদের শিকার করে। সাম্প্রতিক সময়ে অলিভ রিডলিদের হ্রাসমান সংখ্যার পেছনে এই কর্মকাণ্ডের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন সকলেই। এ কথা তো সত্যিই যে, কাছিমের গতিবিধি জলের ভেতর যতটা স্বচ্ছন্দ, সাবলীল, ডাঙার ওপরে কখনওই ততটা নয়। ফলে ধীর চলনের জন্য সহজেই এরা স্থানীয় মানুষের শিকার হয়, বিশেষ করে মা কাছিমেরা। যেহেতু আরিবাডায় সহজেই বিপুল সংখ্যক কাছিম মায়ের দেখা মেলে, সেহেতু সেখানেই তাদের শিকার করা হয় নির্বিচারে। যদিও নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এই অবাধ হত্যালীলা একেবারে না হলেও অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে। এটা অবশ্যই স্বস্তির কথা।

তবে অলিভ রিডলি টার্টেলদের টিকে থাকার লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর বাতাবরণের পরিবর্তন। সমুদ্রের আগ্রাসন বৃদ্ধির ফলে উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ অংশের বেলাভূমির অস্তিত্বের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র, ভেসে যাচ্ছে তাদের আবাসস্থল। উষ্ণায়নের ফলে বেলাভূমির ওপর জমে থাকা বালির তাপমাত্রার ব্যাপক পার্থক্য ঘটায় ডিমের প্রস্ফূটন বিলম্বিত বা বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে কমছে নবজাতকের সংখ্যা। পুরুষ ও নারী কাছিমের সংখ্যানুপাতের পার্থক্য ঘটছে লক্ষণীয় মাত্রায়। উষ্ণায়নের ফলে ঋতু পর্যায়ের পরিবর্তন ঘটায় প্রব্রজনকাল ও প্রজননকালের সময় নির্ধারণ করতে ভুল হয়ে যাচ্ছে তাদের। এসব নিশ্চয়ই খুব সুখের কথা নয়।

পাশাপাশি উন্নয়নের দোহাই দিয়ে উপকূলভাগের ওপর চলছে অবাধে অবৈধ নির্মাণ। বাড়ছে অশালীন অবুঝ পর্যটকদের উপস্থিতি। পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের জন্য সৈকত বরাবর উজ্জ্বল আলোর ঝলকানিতে বিভ্রান্ত হচ্ছে কাছিমেরা, কমছে তাদের সংখ্যা। গোটা দুনিয়া জুড়েই এমন সমস্যায় জর্জরিত হতে হচ্ছে অলিভ রিডলি টার্টেলদের।

সমুদ্রদূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে সামুদ্রিক প্রাণী তথা অলিভ রিডলি টার্টেলদের টিকে থাকার লড়াই। দূষক পদার্থের অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির ফলে জলের গুণগত মানের পরিবর্তন ঘটেছে দ্রুতগতিতে। টান পড়ছে খাদ্যভাণ্ডারে। সমুদ্রে ভাসমান বর্জ্যকে খাবার হিসেবে ভুল করে গ্রহণ করে শেষে সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের।

এত সব প্রতিকূলতার মাঝেও এ-বছর বিপুলসংখ্যক অলিভ রিডলি টার্টেল এসে হাজির হয়েছে ভারতের অতিথি হিসেবে। এ যেন এক কার্নিভাল! তাদের স্বাগত জানাই। ওড়িশার পাশাপাশি উত্তর কর্নাটকের কার‌ওয়ার তালুকের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সৈকতেও ভিড় জমিয়েছে অলিভরা। পশ্চিম উপকূলের বেশ কিছু গাঠনিক সমস্যা আছে। তবে সেইসব অবস্থাকে মানিয়ে নিয়েই ভিড় করছে রিডলি টার্টেলরা। এটা নিশ্চয়ই আশার কথা। পূর্ব উপকূলের ভিড় দেখেই হয়তো-বা অলিভ রিডলিরা ভিড় করতে বাধ্য হয়েছে কর্নাটক রাজ্যের উদুপী, ম্যাঙ্গালুরু ও কুনাদপুরে অবস্থিত সৈকতাবাস যেমন ভাটকাল, হোন্নাভার, কুমটা, আঙ্কোলা এবং কার‌ওয়ার সৈকতে। স্থানীয় আধিকারিকদের হিসাব অনুযায়ী কর্নাটকেও মধুযামিনী অতিবাহনে আগ্রহী হয়ে উঠছে মাননীয় কাছিম দম্পতিরা। নিঃসন্দেহে এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতা। এই ধারা অব্যাহত থাকুক। আগামী পঞ্চাশ দিনে সম্ভাব্য হবু-জাতকেরা  সুরক্ষিত থাকবে অণ্ডপ্রকোষ্ঠে। আর তারপরেই শুরু হবে আরও এক আশ্চর্য মহাপ্রব্রজন। নবীন প্রাণের জীবন উল্লাস। ততদিন আমরা সবাই ধৈর্য ধরে প্রতীক্ষায় থাকি।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5117 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

6 Comments

  1. খুব ভালো লাগলো লেখাটা। বৈজ্ঞানিক নামের দ্বিতীয় অংশের শুরুটা ছোট অক্ষরে হবে। সংশোধন বাঞ্ছনীয়। মাত্র দুদিন আগে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস পালিত হলো। এই প্রেক্ষাপটে লেখাটি তাৎপর্যপূর্ণ।

  2. কচ্ছপ ,কাছিমের বিষয়টি জানা ছিল না। অলিভদের আসা, বাচ্চাগুলোর ফিরে যাওয়া, লিঙ্গ নির্ধারণ সবই আশ্চর্যের, মাই লেখার কলমটি পর্যন্ত! আসাটা আশার কথাও বটে।

  3. সেবার ভিতরকণিকায় গিয়ে এই পরিযায়ী অতিথিদের দেখা পাইনি। এবার পেলাম। এই লেখার সূত্রে। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখককে। এমন লেখা আরও চাই। বেশি বেশি করে চাই।

  4. এ শুধু এক পরিযায়ী প্রাণির পরিচিতি নয়, এ এক আশ্চর্য আঁখো দেখা বিবরণী যা বারংবার পড়তে ইচ্ছে করে। খুব ভালো লাগলো। প্লাটফর্মে এমন লেখা চাই যা হালকা মেজাজে গভীর ভাবনায় মনকে মজিয়ে দেয়।

  5. এতোদিন অপেক্ষায় থাকার পর ডিম ফুটে ছোট্ট অলিভরা পৃথিবীর আলো দেখতে শুরু করেছে প্রথম বারের মতো। এবার লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে সেই প্রশান্ত মহাসাগরের আস্তানায় ফিরে যাওয়া। পথে প্রতি পদে পদে অগণিত অজানা বিপদের মুখে পড়তে হবে ওদের। আবার আগামী বছরের অপেক্ষা। ওদের যাত্রা নিরাপদ হোক।

Leave a Reply to Soumen Roy Cancel reply