
বিশ্বনাথ উদিত
তাহলে মনমোহন সিংকে আমরা কীভাবে মনে রাখব? দেশে এবং বিদেশে তিনি পরিচিত চরম দুর্দিনে অর্থমন্ত্রী হিসাবে আর্থিক সংস্কারের প্রণেতা এবং পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের রূপকার হিসাবে। তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবুও মনে রাখতে হবে তাঁর সাফল্য এসেছে বস্তুত এক অভাবিত হাতের— পরে তথ্যপ্রযুক্তি হিসাবে পরিচিত— সহায়তায় যা ১৯৯১ সাল-পরবর্তী আর্থিক সংস্কারের সঙ্গে সমন্বিত হলেও তার অনেক আগেই সক্রিয় হয়ে দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করেছে। এই অভাবিত আশীর্বাদ না পেলে দেশের আর্থিক সংস্কার কতটা নির্বিঘ্ন হত সে প্রশ্ন থেকেই যায়
সর্বকালের একজন সেরা অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস যখন স্কুল-পরবর্তী পড়াশোনার দিশা খুঁজছেন তখন ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জন ট্রেভেলিয়ন নিজের ভাবনা তাঁকে জানিয়েছিলেন যে সিভিল সার্ভিস তথা বিভিন্ন সরকারি উচ্চপদে মেধাবী মানুষের দরকার আছে, ঠিক যেমন রাজনীতিতেও। মনমোহন সিং-কে এমন কথা কেউ বলেছিলেন শোনা যায় না। মেধাবী মনমোহন কেমব্রিজ ও অক্সফোর্ড থেকে ফিরে কিছুদিন শিক্ষকতা করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সর্বোচ্চ পদে যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করেছেন, রাজনীতিতে বিশেষ আগ্রহ দেখাননি।
তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না একেবারেই। যদিও কংগ্রেস দলের প্রতি অনুগত ছিলেন, বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা বা ক্যারিশমা তাঁর ছিল না। তিনি বাকপটু ছিলেন না, সংগঠকও ছিলেন না, কিছুটা একান্তেই স্বচ্ছন্দে থাকতেন। দীর্ঘ দুই দশক তিনি সরকারের বিভিন্ন দফতরে পরামর্শদাতা থেকে শুরু করে যোজনা কমিশনের সহসভাপতি পর্যন্ত বিভিন্ন দায়িত্ব যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে সম্পাদন করেছেন। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধির মৃত্যুর পর উদ্ভূত অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে একদিকে যখন কংগ্রেস দলের নিজের নেতৃত্বে অনিশ্চয়তা, তখনই দলের উপর দায়িত্ব পড়ে জোট-সরকার গঠন করার। ঘটনাচক্রে নরসিংহ রাও নানা বিরোধিতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। তিনি বিচক্ষণ নর ছিলেন বটে, তবে সিংহ ছিলেন না মোটেই। কথিত আছে তাঁর ক্ষমতায় আসার দেড় বছরের মাথায় বাবরি মসজিদ ভাঙার খবর পেয়ে তিনি নিজের শোওয়ার ঘরে আত্মগোপন করেছিলেন কেউ যাতে তাঁর নাগাল না পায়। সে যাই হোক তাঁর বিচক্ষণতার পরিচয় ছিল নিজের অর্থমন্ত্রী নির্বাচনে। আইজি প্যাটেলকে না পেয়ে তিনি মনমোহন সিংকে ডাকেন; সাংবাদিক মার্ক টুলির তথ্য অনুযায়ী আচম্বিত ডাকে বিশেষ তৎপরতা না দেখানোয় প্রায় নির্দেশ পাঠিয়ে শপথ গ্রহণের জন্য তাঁকে প্রস্তুত হতে বলা হয়। এইভাবে তিনি রাজনীতির কেন্দ্রীয় বৃত্তে প্রবেশ করেন।
দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য-ঘাটতি ও বিদেশি মুদ্রার ব্যবস্থাপনা তখন সঙ্কটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। দেশের সোনার ভাণ্ডার খালি করে প্লেনে চাপিয়ে ব্রিটেন ও সুইজারল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে বন্ধক হিসেবে বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজনে। এটা ছিল জাতির মননে বিরাট আঘাত। তার উপর একদিকে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের চাপ, অন্যদিকে সোভিয়েত দেশের বিপর্যয়ে বামপন্থী মননে ঘনীভূত হতাশা অর্থনীতির উদারীকরণের বিরুদ্ধে বাধাকে দুর্বল করে দিয়েছে, যদিও সম্পূর্ণ দূর করতে পারেনি। মেধাবী মনমোহন দেখেছেন অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করে দিয়ে বিগত দশকে পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলো এবং চিন দ্রুত এগিয়ে গেছে। সময়টা ছিল পুঁজিবাদী সংস্কারের পক্ষে অতি প্রশস্ত। কোনও সময় নষ্ট না করে নরসিংহ রাওয়ের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় মনমোহন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই এই কাজে নেমে পড়লেন।
তিনি নীতিগতভাবে বহির্মুখী উন্নয়নের প্রবক্তাই ছিলেন। তাঁর বাবার ছিল আফগানিস্তান থেকে শুকনো ফল আমদানির ব্যবসা। পকেটভরে বাদাম, কিসমিস নিয়ে স্কুলে যেতেন। পরে গবেষণাতেও ভারতের রফতানি বাণিজ্যের সম্ভাবনা তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। কিন্তু যা তিনি বা বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ বা রাজনীতির নেতারা দেখতেই পারেননি, তাই তখনকার আর্থিক নীতিতে কোনও উল্লেখই নেই, তা হল ফল্গুনদীর মতো তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উদ্ভব, ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় ও বিস্তার। ১৯৮৪ সালে যখন আমেরিকায় ব্যক্তিগত ব্যবহারের কম্পিউটার সবে বেরিয়েছে তখনই শিল্পের আইন সংশোধন করে রাজীব গান্ধি তথ্যপ্রযুক্তিকে শিল্পের স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং পাশপাশি গুরুত্ব দিয়েছেন টেলিকম প্রকৌশলের বিকাশে। যখন সফটওয়ার ব্যাপারটা শিক্ষিত লোকেও বুঝত না, সফটওয়ার লিখতে ইংরেজি কাগজ কখনও softwear লিখে ফেলত, তখন এই শিল্পের স্বীকৃতিটা ছিল একটা মাস্টারস্ট্রোক। যার ফলে ভারত সফটওয়ার রফতানির বাণিজ্যে প্রবেশ করে। বিদেশ থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করে একজন-দুজন থেকে বেড়ে ডজন ডজন স্বপ্নালু তরুণ দেশে ফিরে স্টার্টআপ গঠন করে সফটওয়ার রফতানি শুরু করে। দেশে তখন এই প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না, তাই রফতানি করাটাই ছিল ব্যবসায় সাফল্যের একমাত্র উপায়। তার ফলে এই শিল্প প্রথম থেকেই আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে এবং সেই মান ধীরে ধীরে সামগ্রিকভাবে দেশি শিল্পকেও উন্নত করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির উদ্যোগীরা অচিরেই (১৯৮৮ সালে) নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা ও সরকারি আধিকারিকদের শিক্ষিত করে পথ মসৃণ করার উদ্দেশ্যে নিজেদের সংগঠন NASSCOM গঠন করে। তাদের কাজটা ছিল আর্থিক সংস্কারের একটা অন্য দিক, যা নীতিনির্ধারকদের অগোচরে শুরু হয়েছে। ১৯৯১ সালেই এই শিল্পের রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৫ কোটি ডলার, যা কিনা সোনা বন্ধক রেখে পাওয়া অর্থের এক-তৃতীয়াংশের বেশি। তার ওপরে পরবর্তী এক দশকে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে প্রায় বার্ষিক ৫০ শতাংশ হারে, যার অর্থ চার বছরে পাঁচ গুণ হওয়া। একেই বলে SERENDIPITY.
সরকার ক্ষমতায় এসে সামগ্রিক আর্থিক সংস্কারে যখন মগ্ন তারই মধ্যে বছরের শেষে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয় আর তার এক বছরের মাথায় বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়। দুটি ঘটনাই মানুষকে গভীরভাবে নাড়া দেয়, যা হয়তো আর্থিক সংস্কার প্রক্রিয়াকে কিছুটা নির্বিঘ্ন করেছিল বিরোধীদের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরে যাওয়ায়। আজকে দলমতনির্বিশেষে যে-নীতিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এমনকি ঐতিহাসিক বলে প্রশংসা করা হয় তা শুরুতে সাধারণ মানুষের জন্য মোটেই সুখকর হয়নি। শিল্পে কর্মসঙ্কোচন হয়, তথ্যপ্রযুক্তি তখনও শৈশবে যদিও দ্রুতধাবমান। বিজেপি উজ্জীবিত, কংগ্রেস ম্রিয়মান, তবু নরসিংহ রাওয়ের বিচক্ষণতায় জোট সরকার পুরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পর নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হয়। তারপর তিন বছর চলে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অবশেষে ১৯৯৯ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বে আবার স্থায়ী জোট সরকার গঠিত হয়। এই ক্ষমতাবদল সত্ত্বেও আর্থিক সংস্কারের পথ থেকে দেশ সরে যায়নি বরং ইতিমধ্যে ভারতীয় অর্থনীতি তার পায়ের তলায় শক্ত মাটি পেয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে প্রশাসনের লাল ফিতের ফাঁস অনেক আলগা হয়েছে। সফটওয়ারের বিদেশি বাণিজ্য পণ্য-বাণিজ্যে বিরাট ঘাটতির প্রায় অর্ধেকটাই মিটিয়ে দিচ্ছে। ভারতে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশকে সারা বিশ্ব বিপ্লব বলে অভিবাদন জানাচ্ছে।
২০০৪ সালে বিজেপির থেকে সামান্য কিছু বেশি আসন পেয়ে কংগ্রেস আবার জোট সরকার গঠনের সুযোগ পায়, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কে হবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে ওঠে। সনিয়া গান্ধির নাম উঠে আসে কিন্তু বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়ে ওঠে। তখন এমন একজন ব্যক্তির দরকার হয় যে গান্ধি পরিবারের সার্বিক কর্তৃত্বকে কখনও প্রশ্ন করবে না অথচ নিজেও চারিত্রিক গুণে গ্রহণযোগ্য হবে। মনমোহন সিং আগেই অর্থমন্ত্রী হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। সে-সময়ে হর্ষদ মেহতা নামের সঙ্গে যুক্ত শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির পর তিনি পদত্যাগপত্র দিলেও তা অগ্রাহ্য হয়; ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সততা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তাঁর নিজের কোনও রাজনৈতিক জোর নেই, কখনও কোনও সাধারণ নির্বাচনে জেতেননি, পণ্ডিত অথচ রাজনীতির বৃত্তে যথেষ্ট পরিচিত, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা। নীরব আনুগত্যের জন্য দলের সম্পদ। সেই সময় দলের চাহিদার সঙ্গে জোগান যেন খাপে খাপে মিলে যায়। তাই সব পোড়খাওয়া কংগ্রেস নেতাদের সরিয়ে তাঁকেই টেনে নেওয়া হল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য।
২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ অলঙ্কৃত করেছেন। তবু দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রতি তাঁর ছিল প্রশ্নাতীত আনুগত্য। বহুলাংশেই তিনি নিয়ন্ত্রিত হয়েছেন, জাতীয় উপদেষ্টা পর্ষদ গঠন করে সনিয়া গান্ধি তার সভাপতি থেকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করেছেন। জৈমিনি ভগবতী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করেও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতেন এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেও জাতীয় উপদেষ্টা পর্ষদ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিত। তবুও মানতে হবে তাঁর সামগ্রিক সহযোগিতা এবং সম্মতি ছাড়া নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো হয়নি, যেমন তথ্যের অধিকার আইন, জাতীয় গ্রামীণ রোজগার যোজনা, প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার আইন ও বায়োমেট্রিক্স-ভিত্তিক আধার সংখ্যা চালু করা। এই প্রত্যেকটা কাজই দেশকে বিভিন্নভাবে ক্রমশ এগিয়ে দিয়েছে তাঁরই প্রধানমন্ত্রিত্বে। তাঁকে মনে রাখা হয় আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য যেখানে তিনি নিজের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত জোরের সঙ্গে উপস্থাপন করে দীর্ঘদিনের সহযোগী বামপন্থীদের ত্যাগ করতেও পিছপা হননি, তা হল আমেরিকার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি সাক্ষর করা।
তাহলে মনমোহন সিংকে আমরা কীভাবে মনে রাখব? দেশে এবং বিদেশে তিনি পরিচিত চরম দুর্দিনে অর্থমন্ত্রী হিসাবে আর্থিক সংস্কারের প্রণেতা এবং পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের রূপকার হিসাবে। তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবুও মনে রাখতে হবে তাঁর সাফল্য এসেছে বস্তুত এক অভাবিত হাতের— পরে তথ্যপ্রযুক্তি হিসাবে পরিচিত— সহায়তায় যা ১৯৯১ সাল-পরবর্তী আর্থিক সংস্কারের সঙ্গে সমন্বিত হলেও তার অনেক আগেই সক্রিয় হয়ে দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করেছে। এই অভাবিত আশীর্বাদ না পেলে দেশের আর্থিক সংস্কার কতটা নির্বিঘ্ন হত সে প্রশ্ন থেকেই যায়। নন্দন নিলেকানির ভাষায় তথ্যপ্রযুক্তি ছিল ট্রোজান ঘোড়া যা সবার আলক্ষ্যে দেশে প্রবেশ করেছে, আর তার পায়ে ভর করেই ভারতের আর্থিক সংস্কার এগিয়ে গেছে, পিছনে ফিরে তাকায়নি।
সমস্ত সাফল্যের মধ্যে মনমোহন সিং-এর প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় পর্বে সরকার একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ ও নাকাল হয়। তিনি দৃঢ়ভাবে অভিযোগ খণ্ডন বা প্রতিকারের অঙ্গীকার করতে পারেননি। বিরোধীদের সমালোচনায় সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা, এমনকি নৈতিক কর্তৃত্ব, খর্বিত হয়; কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর ব্যক্তিগত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি অটুট থাকে। মন্ত্রিসভার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেই তাঁর নির্ণায়ক ভূমিকা থাকত না, তাই ২০১৪-র নির্বাচনে কংগ্রেস শক্তি খুইয়ে একটি আঞ্চলিক দলের সমতুল ক্ষীণকায় হয়ে পড়লেও সেই পতনের জন্য তাঁকে কেউ বিশেষভাবে দায়ী করেনি।
কবির ভাষা সামান্য পরিবর্তন করে সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিত্বের একটা ছবি আঁকা যায়:
মুখে নাহি নিঃসরে ভাষ, দহে অন্তরে নির্বাক বহ্নি
ওষ্ঠেতে অস্ফুট হাস, তবু মর্মে সে নিরলস কর্মী।