
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়
ভোলারামের গাড়ির কথা আগেও বলেছি, আবারও বলছি। ভোলারাম একজন সাফাইকর্মী। সকাল হতে না হতেই সে তার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে কাজে। মুখে থাকা হুইসেল বাজিয়ে বাড়ির লোকজনকে তার উপস্থিতির জানান দেয়। আমরা সবাই চোখ থেকে রাতঘুম সরিয়ে তড়িঘড়ি গতদিনের বর্জ্যপদার্থে পরিপূর্ণ দু-দুটো বালতি তার হাতে তুলে দিই। কখনও কখনও দু-চার কথায় প্রভাতী কথালাপ সেরে নিই। বেশি কথা কওয়ার সুযোগ থাকে না, কেননা এখন ভোলারামের ব্যস্ত কাজের সময়।
ভোলারামের ময়লার গাড়ি আমার মতো অকেজো প্রবীণ মানুষের কাছে সমাজবীক্ষণের এক আশ্চর্য সুযোগ করে দেয়। খুব হামলে পড়ে খুঁটিয়ে নজর করতে হয় না, গাড়িতে রাখা সবুজ ও নীল রঙের বালতিগুলোর ভেতরে থাকা উপাদানগুলোর দিকে এক ঝলক নজর দিতেই চারপাশে ছড়িয়ে থাকা মানুষজনের যাপনচিত্রের একটা আভাস পাই। আমার আকর্ষণ সেখানেই।
বর্ষশেষের দুদিন আগের কথা বলি। এমনিতেই এই সময়টাতে হালকা শীতের ছোঁয়া পেয়ে সবাই বেশ ‘ফেস্টিভ মুডে’ থাকে, স্ফূর্তির ফোয়ারা ছোটে চারিদিকে। ভোলারাম এমন দিনগুলোর জন্য যাকে বলে ওঁৎ পেতে থাকে। জঞ্জাল সাফাইয়ের পাশাপাশি এই দিনগুলোতে অনেকটাই বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকে। ডিসেম্বরের শেষ দিন। সকালবেলা অপেক্ষা করে আছি কখন ভোলারামের শিঙ্গা বেজে ওঠে। আমি তখনও বিছানায় শুয়ে নিদ্রাপরবর্তী বিশ্রাম নিচ্ছি কানদুটোকে একেবারে সটান রেখে। ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা। হুইসেল বাজতেই ‘আসছি’ বলে লম্বা হাঁক পাড়ি। রান্নাঘর থেকে পচনশীল গার্হস্থ্য বর্জ্য বোঝাই বালতিটাকে হাতে নিয়ে বাইরে যেতেই ব্যস্তকন্ঠে ভোলারাম বলে— ‘কাকু, এই গেটটা একটু খোলেন। এই বস্তাটা নামিয়ে রেখে যাব। বড্ড ভার হয়ে গেছে। গাড়িটা আর টানতে পারছি না। ফেরার সময় নিয়ে যাব।’
কথা শেষ হতে না হতেই একটা ভারী চটের বস্তা এনে নামিয়ে রাখে আমার বাড়ির উঠোনের এক পাশে।
ভোলারাম ফিরে আসে ঘন্টা খানেক পর। তখন বেলা অনেকটাই গড়িয়ে গেছে। সকালের মতো এবারও হাঁক দেয় কাকু বলে। ভোলারাম এসেছে টের পেয়েই বাইরে গিয়ে হাজির হই। দেখি সিঁড়ির ওপর ছড়িয়ে বসে ভোলারাম টাকা গুনছে একমনে। তাকে প্রশ্ন করি— কী রে? সাতসকালেই এত টাকা গুনছিস্! বলি খাজানার খোঁজ পেলি নাকি? একটু খুশি মনে হাসতে হাসতে ভোলারাম উত্তর দেয়— “এখন এই আবর্জনাই হল খাজানা। ওই যে সকালে বস্তা রেখে গেছি, তাতে কী আছে জানো? কাচের বোতল। বাবুরা মস্তি করেছে, দেদার মাল টেনেছে। এখন এই বোতলের মালিক আমি। এগুলো আমাদের পাড়ার কাবাড়িওয়ালাকে বেচে দেব পনেরো টাকা কেজি দরে। তিরিশ কিলো মুফতে পাওয়া বোতল থেকে আমার নিট আয় কমবেশি সাড়ে চারশো টাকা।” আমি অবাক হয়ে বলি— “তাহলে তো তুই রীতিমতো মহাজন মানুষ।’’ ভোলারাম এমন কথায় বিগলিত হয়ে গদগদ স্বরে উত্তর দেয়— “সবই তোমাদের আশীর্বাদ। সকালে কার্টন বেচেছি পঞ্চাশ কিলো, প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট ছিল প্রায় পনেরো কিলো। জমানা বদল গয়া কাকু, দাও বস্তাটা দাও। এই দুদিন বাবুরা আরও মাল খাবে, আরও বোতল, আরও….”
উত্তেজনায় কথা শেষ না করেই বস্তাভর্তি বোতল নিয়ে ভোলারাম চলে যায়। আমি আর কী করি! ভাবতে বসি।
এ-কথা ঠিক যে দেশের তথাকথিত মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের হাতে কিছু বাড়তি পয়সা কড়ি এসে পৌঁছেছে। ঘরেতে লক্ষ্মী এলে জীবনযাপনে তার অনিবার্য ছাপ পড়ে। আম মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে ঠিক তেমনই ঘটেছে। তাই বার্ষিক পরীক্ষার পাট চুকতেই বাড়ির ছেলেপিলেরা আগের মতো পুরনো বই খুঁজেপেতে জোগাড় করে নতুন বছরের পড়াশোনা শুরু করে না, যেমন-তেমন করে ব্যাগে বইপত্র নিয়ে পাড়ার সরস্বতী বিদ্যামন্দির বা শশীভূষণ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ক্লাসগুলোতে ভিড় জমায় না, মা বা বাবার কাছে আবৃত্তি শেখা বা সন্ধ্যায় হারমোনিয়াম বাজিয়ে গলা সাধতে বা তবলায় হাতুড়ি ঠুকে কাহারবা কিংবা দাদরার বোল তুলতে ব্যস্ত থাকে না, পাড়ার এক চিলতে ফাঁকা জমিতে বন্ধুরা মিলে দল বেঁধে সকাল-বিকেল বল পিটিয়ে গা ঘামিয়ে সন্ধে লাগতেই বাড়ি ফেরে না, হলদে আলোর ডুমলাইটের কালো, সুতোয় কাটা আধখানা হাঁসের ডিম দিয়ে হই হই করে দুই-তিন ভাইবোনের হাপুস হুপুস করে ভাত মেখে খাবার দিন সেই কবেই বিদায় নিয়েছে আম মধ্যবিত্ত সংসারগুলো থেকে। এগুলো হারিয়ে গেছে বলে শুধু আমার কেন পাঠকদের মধ্যেও অনেকেরই খুব একটা হাহুতাশ আছে বলে মনে হয় না। আসলে সমাজ চলে সময়ের হাত ধরে। নদীর স্রোতের মতো সময়ও তার দর্পণে প্রতিভাসিত সব কিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় দূরে, অনেক দূরে। যা গেছে তা যাক্— এই দর্শনে বিশ্বাসী এখন প্রায় সকলেই।
ভোলারামও অবশ্য এসব নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চায় না, ভাববার সময় নেই তার কাছে। সে খুশি হয় অনেক নতুন নতুন উপকরণের সম্ভারে তার ঝোলা প্রতিদিন ভরে ওঠে বলে। টানাটানির সংসারে এই বাড়তি পয়সাটুকু অনেক কাজে লাগে। আগে এই বাড়তি আয়ের সুযোগ সেভাবে ছিল না, কিন্তু যেদিন থেকে পুরনো বসত বাড়িগুলোকে লোপাট করে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াল বড় বড় “ফ্যালেট” সেদিন থেকেই নাকি ভোলারামের পালে হাওয়া লেগেছে। আমি তার এই কথার সমীকরণের ইঙ্গিত বুঝতে না পেরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম একদিন— পাড়ায় ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরির সঙ্গে তার আয় বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক কী? একগাল হেসে ভোলারাম আমাকে যা বোঝাল তাতে করে আমার শ্রীকৃষ্ণ-অর্জুনের সেই কথোপকথনের কথা মনে পড়ে গেল।
আগে একটা বাড়ি, একটা পরিবার। আর এখন একটা বাড়ি দশ কি বারোটা বা তার চেয়ে বেশি পরিবার। আগে এক বাড়ি একটা টিভি, একটা ফিরিজ। আর এখন ওই একই পরিবার ভেঙেচুরে দশটা হয়েছে, দশটা টিভি, দশটা ফিরিজ— খরচাপাতি কত বেড়ে গেল বলো তো?
ভাবতে চাই, ভাবতে ভালবাসি বলে মনে মনে যে শ্লাঘা বোধ করতাম ভোলারামের কথা শুনে তা নিমেষেই উবে গেল। ভোলারাম আমার নজর খুলে দিল কয়েক মুহূর্তের কথোপকথনের সূত্রে। বাজারি অর্থনীতির একটাই মাত্র দাবি— উপভোক্তার সংখ্যা আরও বাড়ুক, তাহলেই বিস্তৃত হবে বাজার। বাজার বাড়লে বাড়বে বিক্রি, বাড়বে মুনাফা। ভোলারামের কথায় এভাবেই দেশি কোম্পানি আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠে স্রেফ বাড়তি বাজারের ওপর ভর করে। এত সহজ করে অর্থনীতির পাঠ কেউ দিতে পারতেন বলে আমার মনে হয় না।
একদিন সকালের গল্প বলি। ভোরের হালকা ঠান্ডায় সবে চোখ দুটো নতুন করে জুড়ে গেছে হঠাৎ ভোলারামের হাঁকডাক শুনে উঠে আসি। কী ব্যাপার? এত হাঁকডাক কেন? দরজা খুলে বাইরে আসতেই দেখি কোলে করে এক টিভিসেট নিয়ে বাবু দাঁড়িয়ে আছেন। “কাকু, তাড়াতাড়ি দরজা খোলো। এই জিনিসটা একটু রেখে যাব।” ভোলারামকে বেশ উত্তেজিত মনে হলো। বললাম— “এটাকে জোগাড় করলি কোথা থেকে?” “সে অনেক কথা। পরে শুনবে।” ভোলারাম ব্যস্ত হয়ে চলে যায়। সন্ধেবেলা ভোলারাম এসে হাজির। সঙ্গে এক ছিপছিপে গড়নের স্যাঙাৎ, নাম বলল পিন্টু। পিন্টু টিভি মেকানিক। সকালে ভোলারামের রেখে যাওয়া টিভির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করবে সে। ভোলারামের বাড়িতে কেবল্ সংযোগ নেই, তাই এখানেই পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর পিন্টু রায় দিল— “টিভিটা এমনিতে নতুন, ভাল কোম্পানির জিনিস। নিতে পারিস।” এও ভোলারামের এক ‘ফ্যালাট’ বাড়ি থেকে জোগাড় করা। পারিবারিক টানাপোড়েনের কারণে তিন শরিকের এক শরিক তাঁর টিভি বিক্রি করে দেবেন আরও বড় টিভি কিনবেন বলে। মাঝখানে ভোলারামের ভাঙা ঘরে নতুন একটা জিনিস এল। ভোলারামের কথায়— “এখন কেউ কাউকে সহ্যই করতে পারে না। একই মায়ের পেটের তিন ভাই, অথচ দেখে মনে হয় ভারত পাকিস্তান লড়াই করছে।”
আমি এ-প্রসঙ্গে কোনও কথা বলিনি। রুচিতে বাধল। ভোলারাম আর পিন্টু তাদের সদ্য কেনা উপহার নিয়ে বিজয়ীর মতো ফিরে গেল রেললাইনের ধারে ওদের ফ্যালাটে। আমি সব দেখেশুনে খানিকক্ষণ থম মেরে বসে রইলাম। ঘরে ঘরে এখন ভাঙনের জয়গান গাইছে একই পরিবারের সদস্যরা। এভাবেই হয়তো অর্থনীতির ভাষ্যমতে বাড়ছে উপভোক্তার সংখ্যা, বাড়ছে পণ্যের বাজার। ফুলেফেঁপে উঠছে প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি। আমার চিন্তার দৌড় এ পর্যন্তই। আমি চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিই।
ভোলারামের গাড়ি আমার থমকে থাকা অবসরজীবনের একটা আয়নার মতো। সারাদিন বাড়ির সামনে থাকা রাস্তা দাপিয়ে চলা অসংখ্য মানুষের চলমান জীবনের খণ্ড খণ্ড যাপনচিত্র প্রত্যক্ষ করি। সেই ছবির কোলাজের প্রথম চরিত্র ভোলারাম। পথে থাকা এই সমস্ত মানুষেরা জীবনটাকে দেখে অন্য নজরে। সেই নজরের সঙ্গে আমাদের হিসেবি নজর সবসময় মেলে না। হয়তো এই কারণেই চলমান জীবনের এক অন্যতর ভাষ্য প্রকাশ পায় ভোলারাম, সুকুর আলি, আলম, কানাইলালের কথকতায়। এদের প্রতিদিনের কাহিনি আমাকে ভাবনার রসদ জোগায়।
ভোলারামের আরেক দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলে আজকের রোজনামচা শেষ করব। শীতের সময় হরেক রকমের সবজি মেলে বাজারে। তাদের সতেজতা আর সুঠাম গড়নের কারণে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কেনা হয়ে যায় প্রতিদিন। কাটাকাটির পর সবজির তুলনায় খোসার বোঝা যেন অনেক বেশি হয়ে যায়। প্রতিদিনের সবজির খোসার একটা বড় অংশ আমার কম্পোস্ট পিটে জমা হয়, আর বাকিটা যায় ভোলারামের ভাণ্ডারে। সেদিনও ভোলারামের বাঁশির আওয়াজ শুনে সবজির খোসা ভর্তি বালতি হাতে বাইরে আসতেই ভোলারাম একরকম হৈ হৈ করে বলে— “বাজারে আর সবজি ছিল না? আমি তো এত বাড়ি ঘুরে এলাম কই তোমাদের মতো সবজিখেকো বাড়ি তো আর দুটো পেলাম না।” আমি অবাক হয়ে বলি— “সবজি খায় না? এই শীতের সময়! আমাদের তো বাপু প্রতিদিন টাটকা সবজি না হলে চলে না।” “ধুস্ আজকাল বাড়িতে কেউ রান্না করে নাকি? সব হোম ডেলিভারি থেকে খাবার আনায়, আর খাবার নষ্ট করে। রাস্তায় দেখো না? সারাদিন বাইকে করে বাড়ি বাড়ি খাবার দিয়ে ফেরে সব ডেলিভারি বয়রা। গাদাগুচ্ছের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল আর প্লাস্টিকের কৌটো— রোজ রোজ এত হ্যাপা পোহাতে হয় আমাকে। এখন গুচ্ছের কাগজের প্যাকেট, প্লাস্টিক, কার্ডবোর্ড, কাঁচের বোতল… যত্তসব!” ভোলারামের গলায় একরাশ বিরক্তি ঝরে পড়ে।
ভোলারাম আমাকে অনেক অনেক শিক্ষা দিয়ে যায়। এভাবে আমরা আজকাল বোধহয় ভাবি না; আর তাই আবর্জনার পাহাড় জমতে থাকে পাল্লা দিয়ে। একটা মোটা খাটো বাঁশ দিয়ে ঠুসে ঠুসে কাঁচা আবর্জনাগুলোকে গাড়ির ভেতরে রাখা বালতিতে ময়লাগুলো ঢোকাতে ঢোকাতে ভোলারাম যখন খানিকটা আত্মগত স্বরে বলে ওঠে— “গোটা সমাজটাই আবর্জনা হয়ে গেছে, আমি ভোলারাম একা আর কত পরিষ্কার করব?”— তখন তার মধ্যে এক দার্শনিককে দেখতে পাই। একজন সাধারণ, অতি সাধারণ প্রান্তিক জীবিকার সঙ্গে যুক্ত মানুষ নিজের চেনা অবয়বকে ছাপিয়ে বড়, অনেক বড় হয়ে ওঠে। প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে আমাদের ফেলে দেওয়া বর্জ্য, আবর্জনা সংগ্রহ করে ফেরা ভোলারামের মধ্যে হঠাৎ যেন নীলকণ্ঠকে খুঁজে পাই। ভোলারামের সঙ্গে আলাপচারিতার এটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
অনবদ্য। সহজ কথার লালিত্যময় চলনে লেখক একটি সমাজ দর্পণ তুলে ধরেছেন। আবার কিছু খন্ডচিত্র যোগে নস্টালজিক করে তুলেছেন। হ্যাটস অফ টু দ্য ফিলোসফার ভোলারাম – সমাজটাই আবর্জনা হয়ে গেছে।চারিপাশে ঘটে চলা ‘ সামান্য ‘ ঘটনাক্রম থেকেও অসামান্য উপলব্ধিতে পৌঁছানো যায়!🙏
চমৎকৃত হলাম। ভোলারাম তার চোখ দিয়ে এই সময়ের সমাজের পোস্টমর্টেম করলো। এও এক প্রতিবাদ যা অনেক অনেক শ্লোগানের থেকেও অনেক বেশি বাঙ্ময়, অনেক বেশি শক্তিশালী। এমন লেখা আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়।
ভোলারামের আত্মদর্শন এই সময়ের সমাজকে ধিক্কার দিয়ে গেল। যতদিন যাচ্ছে ততই আমাদের যাপন অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়ছে। একেবারে শেষে ভোলারামের মধ্যে নীলকন্ঠের উদ্ভাস গোটা ভাবনাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। খুব ভালো লাগলো।
ভোলারাম এক সচেতন ভাবনার প্রতীক। তাঁকে সামনে রেখে লেখক পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন এই সময়ের কিছু অভিজ্ঞতার কথা যা আমাদের সত্যিই নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দেয়। এটাতো গল্প নয়, গল্পের মতো। টুকরো টুকরো কথোপকথনের সূত্র ধরে লেখক পাঠকদের বোধহয় একটা ঝাঁকুনি দিতে চেয়েছেন। সেই কাজে তিনি নিঃসন্দেহে সফল।