
সুমন কল্যাণ মৌলিক
দীর্ঘ সময় ধরে মানব উন্নয়ন সূচকের পরিবর্তে জিডিপির হারকে একমাত্র বিবেচ্য বলে ঘোষণা করেছিল উপর্যুপরি সরকার। বর্তমানে জিডিপির গল্প দিয়েও আর ছেলে ভোলানো যাচ্ছে না। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়েও টান পড়ছে। পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার রণহুঙ্কার অনেক স্তিমিত হয়ে আসছে। মোদ্দা কথায় একদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা হ্রাস, ক্রমবর্ধমান বেকারি, উৎপাদনক্ষেত্রের মন্দা, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের হ্রাস, ডলারের তুলনায় টাকার মূল্যহ্রাস— ভারতের অর্থনীতির এক সংকটময় চিত্রকে উপস্থিত করছে। পরিস্থিতি দাবি করছে অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়গুলোর অনুসন্ধান। বর্তমান নিবন্ধটি সেই অনুসন্ধানের সূচনা পর্ব
প্রতি বছর কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে দেশের বণিকসভাগুলো অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবিদাওয়ার কথা বলেন। তাই এ-বছর যখন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের স্মারকলিপি পেশ করতে যায়, সাংবাদিকদের কাছে সেটা ছিল নেহাৎই রুটিন বিষয়। কিন্তু চমক লাগল যখন বণিকসভা সাংবাদিকদের কাছে তাদের দাবিপত্রের কপিটা দিল। এই দাবিগুলো একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে:
- কুড়ি লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের মানুষের উপর কোনও আয়কর বসানো যাবে না।
- মহাত্মা গান্ধি গ্রামীণ একশো দিনের রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্পের দৈনিক মজুরি ২৬৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭৫ টাকা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ২০১৭ সালে তৈরি ফিক্সিং ন্যাশানাল মিনিমাম ওয়েজেস এক্সপার্ট কমিটির সুপারিশকে কার্যকর করতে হবে।
- প্রধানমন্ত্রী-কিসান স্কিমের বার্ষিক অনুদান ৬,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮,০০০ টাকা করতে হবে।
- আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের বিনামূল্যে ভোগ্যপণ্য কেনার জন্য ভাউচার দিতে হবে। সেটার সময়সীমা হবে ৬-৮ মাস।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তু দেখে কনফেডারেশনের কর্তাদের সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন— অধিকারকর্মীদের দাবিগুলো কীভাবে কর্পোরেট কর্তাদের স্মারকলিপিতে স্থান পায়! জনান্তিকে এক কর্পোরেটকর্তা মন্তব্য করেন, পণ্য বিক্রি না হলে তাদের আর ব্যবসা করে খেতে হবে না! এই কথাবার্তা আমাদের এক বৃহৎ সংকটের দিকে লক্ষ করতে বাধ্য করে। ১৪০ কোটির এই দেশের[1] মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমাগত নিম্নমুখী। এই সমস্যা স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা তৈরি করতে পারছে না, ফলে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
নব্বই দশক থেকে বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক প্রভৃতি আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নি সংস্থার অভিভাবকত্বে, উদারীকরণ-বেসরকারিকরণ-বিশ্বায়নের পতাকা ঝুলিয়ে ভারতে যে আর্থিক সংস্কার নীতি চালু হয়, গণনা অনুযায়ী তা পঁচিশ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সেই অর্থনৈতিক মতাদর্শ আমাদের শিখিয়েছিল, যা কিছু ব্যক্তিগত, তা-ই পবিত্র। বাজার অর্থনীতির প্রবক্তারা আজ রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ-প্রার্থী। এই পরিস্থিতি কেন হয়েছে, তা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন হয় না। আচ্ছে দিনের এই জমানায় অর্থনীতি সম্পর্কে সাধারণ তথ্যগুলোও আজকাল নিয়মিত জানা যায় না। তবুও যে সামান্য তথ্যগুলো বাইরে আসছে, তা এই মুহূর্তে ভারতীয় অর্থনীতির কঙ্কালসার অবস্থার ছবি আমাদের সামনে স্পষ্ট করে তোলে। মানুষ কেন পণ্য কিনতে পারছে না? কারণ তাদের হাতে টাকা নেই। এই টাকা না থাকার প্রথম কারণ, মানুষের মাইনে মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় বাড়ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের পিরিওডিক লেবার সার্ভের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে প্রকৃত আয় গ্রামীণ ক্ষেত্রে ০.৯ শতাংশ এবং শহরে ০.৭ শতাংশ হ্রাস পেতে দেখা গেছে।[2] আমরা যদি শুধু সাম্প্রতিক সময়ের দিকে চোখ ফেরাই তাহলে দেখব সর্বভারতীয় মূল্য সূচক (CPI) ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছিল ৬.২১ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে সামান্য কমে হয় ৫.৪৮ শতাংশ। এখানে আমরা যদি খাবারের দামটা আলাদা করে ধরি, তবে আমরা দেখব খাবারের দাম ২০২৪ সালের অক্টোবরে পৌঁছে যায় ১০.৮৭ শতাংশে, যা নভেম্বর মাসে সামান্য কমে হয় ৯.০৪ শতাংশ।[3] আজকের সবচেয়ে বড় কথা হল, বাজার অর্থনীতির রজত জয়ন্তী বর্ষে ভারতের গ্রামাঞ্চলে মানুষের মাসিক টাকা খরচের ক্ষমতা (average monthly per capita expenditure) ৩,৭৭৩ টাকা এবং শহরাঞ্চলে ৬,৪৫৯ টাকা।[4] এই সামান্য টাকার অধিকাংশই বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করতে খরচ হয়ে যায়। ২০২৩-২৪ সালের গৃহস্থালির খরচ সংক্রান্ত তথ্য (NSSO sample survey on household consumption expenditure) অনুযায়ী, এই সামান্য টাকার মধ্যে খাবারের জন্য গ্রামের মানুষ ৪৬.৪ শতাংশ এবং শহরের মানুষ ৩৯.২ শতাংশ টাকা খরচ করে। এছাড়া বাড়িভাড়া, জ্বালানি, শিক্ষা, চিকিৎসাক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ ২৫.৫ শতাংশ এবং শহরের মানুষ ৩৩.১ শতাংশ টাকা খরচ করে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ গবেষক ইশান আহমেদ দেখিয়েছেন ভারতের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দৈনিক ১০০ টাকার মধ্যে এবং জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ দৈনিক ২০০ টাকার মধ্যে জীবন ধারণ করেন।
এই হিসাব আরও মর্মান্তিক হয়ে ওঠে সাম্প্রতিক কালে প্রকাশিত হওয়া ‘ব্লুম ভেনচারস’-এর রিপোর্টে। যদিও নরেন্দ্র মোদির জমানায় জনগণনার কাজ বন্ধ করা রয়েছে, তবে সাধারণভাবে মনে করা হয় এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৬০ কোটি। আলোচিত রিপোর্টটিতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে ভারতের ১০০ কোটি মানুষের হাতে খরচ করার মতো কোনও টাকা নেই।[5] মোটা দাগে ১৩-১৪ কোটি মানুষ এই দেশে সেই অর্থে ‘কনজিউমার ক্লাস’, যাদের জন্য বাজারে এত পণ্যের আয়োজন। আর ৩০ কোটি মানুষ হল সম্ভাব্য ক্রেতা। এই চরম আর্থিক দুর্গতির তালিকায় একটা ছোট্ট তথ্য আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় না। সেটি হল আজ ভারতের মোট আয়ের ৫৭.৭ শতাংশের দখলদারি রয়েছে উপরের দিকের মাত্র দশ শতাংশ মানুষের হাতে, নব্বইয়ের দশকে এই উপরের দিকের দশ শতাংশের হাতে ছিল মোট আয়ের ৩৪ শতাংশ।[6] এই যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, তার একটা বড় কারণ অবশ্যই কর্মসংস্থানের অভাব। গত ৬ বছরে স্থায়ী চাকরির সংখ্যা কমেছে ৯০ লক্ষ। এমনকি গত দু-বছরে সবচেয়ে উদীয়মান ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত আইটি সেক্টরে নিয়মিত একতরফা ছাঁটাই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে।
নব্বইয়ের দশকে সংস্কার পর্ব চালু হওয়ার পর থেকে দেশের অর্থনীতির যাবতীয় আগল খোলার সময় সমস্ত নীতিপ্রণেতারা বারবার আমাদের স্মরণ করিয়ে দিতেন যে দেশের আর্থিক উন্নতির যাবতীয় চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের উপর। পরিকল্পিত অর্থনীতির সময় দেশীয় শিল্পের স্বার্থরক্ষার জন্য যে সমস্ত রক্ষাকবচ ছিল, গত তিন দশকে একে একে তুলে দেওয়া হয়েছে যাতে গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতের বাজার আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। অর্থনীতির ভাষায় এর গালভরা নাম হল ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’। এমনকি গোটা দেশ যখন অতিমারির কারণে বিপর্যস্ত, তখন সেই অতিমারিকে ব্যবহার করে মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি, শ্রমকোড ও নয়া কৃষি আইন চালু করে। ভারতের কৃষক জনতার বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের ফলে কৃষি আইন প্রত্যাহৃত হলেও বাকি দুটো থেকে যায়।
এই ভাবনা কিন্তু একটা কথা দেশবাসীকে বলে না যে, হাওয়া খারাপ বুঝলে একদিকে নতুন লগ্নির আসা বন্ধ হয়ে যায়, অন্যদিকে ঋণপত্র, শেয়ার ও অন্যান্য আর্থিক স্কিমে লগ্নিকৃত টাকা উড়ান দেয় অন্য জায়গায়। বিশ্বজুড়ে আর্থিক অবস্থা বেসামাল হওয়া, নবনির্বাচিত আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের ঘোষণা, অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা হ্রাস— এ সব ভারতীয় অর্থনীতিতে তার ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এই বছরের (২০২৫) জানুয়ারিতে ৭৮,০২৭ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৩৪,৫৭৪ কোটি টাকা এবং ১৫ মার্চ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী ৩৬,০০০ কোটি টাকা ভারতের বাজার থেকে উড়ান দিয়েছে। এর একটা বড় অংশ ডলার ও সোনায় বিনিয়োগ হয়েছে এবং একটা অংশ তাদের নতুন গন্তব্য হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনকে বেছে নিয়েছে।[7] এর প্রভাব পড়ছে ডলারের তুলনায় ভারতের টাকার মূল্যহ্রাসে। ১ মার্কিন ডলারের মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ টাকা, এই দিন দেখতে হবে তা কেউ ভাবেনি। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে ১ মার্কিন ডলারের মূল্য ৯০ টাকা ছুঁতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে মানব উন্নয়ন সূচকের পরিবর্তে, আম আদমির ভালো থাকার প্রশ্নটিকে বিবেচনার বাইরে রেখে জিডিপির হারকে একমাত্র বিবেচ্য বলে ঘোষণা করেছিল উপর্যুপরি সরকার। বর্তমানে জিডিপির গল্প দিয়েও আর ছেলে ভোলানো যাচ্ছে না। ৮-৮.৫-৯ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির গল্প এখন অতীত। আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলো আগামী দিনের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬-৬.৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে চাইছেন। এই অবস্থায় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়েও টান পড়ছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টাকার পতন আটকাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচা করেছে। এই অবস্থায় পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার রণহুঙ্কার অনেক স্তিমিত হয়ে আসছে। মোদ্দা কথায় একদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা হ্রাস, ক্রমবর্ধমান বেকারি, উৎপাদনক্ষেত্রের মন্দা, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের হ্রাস, ডলারের তুলনায় টাকার মূল্যহ্রাস— ভারতের অর্থনীতির এক সংকটময় চিত্রকে উপস্থিত করছে। পরিস্থিতি দাবি করছে অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়গুলোর অনুসন্ধান। বর্তমান নিবন্ধটি সেই অনুসন্ধানের সূচনা পর্ব। আমরা পরবর্তী পর্বগুলিতে এই বিষয়গুলোর বিস্তৃত অনুসন্ধান করব।
[আবার আগামী সংখ্যায়]
[1] যদিও এ-দেশে দীর্ঘ সময় জনগণনা হয়নি, তবে অনেকের ধারণা, বর্তমানে এই সংখ্যা প্রায় ১৬০ কোটির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
[2] Annual Report. PLFS. July 2022-June 2023. Government of India.
[3] মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রেস রিলিজ, অক্টোবর ২০২৪ এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রেস রিলিজ, নভেম্বর ২০২৪। পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক, ভারত সরকার।
[4] পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক গত ১০ মার্চ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যে সমীক্ষা প্রকাশ করেছে তা অনুযায়ী, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে সামান্য বেড়ে গ্রামাঞ্চলে এই অঙ্কটি দাঁড়িয়েছে ৪,১২২ টাকা এবং শহরাঞ্চলে ৬,৯৯৬ টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে, গ্রাম ও শহরের মধ্যে মাসিক মাথাপিছু খরচের ব্যবধান প্রায় ৭০ শতাংশ।
[5] 100 crore Indians have no extra money to spend: Report. India Today. Feb 26, 2025.
[6] Billion Indians Lack Disposable Income. Global Village Space. Feb 26, 2025.
[7] এই তিন মাসে মোট প্রত্যাহারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ₹১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা। এই মূলধন প্রত্যাহারের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে:
- উচ্চ মূল্যায়ন: ভারতীয় শেয়ারবাজারের উচ্চ মূল্যায়ন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উত্তেজনা: বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ সুদের হার বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি এড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
- মার্কিন ডলারের শক্তিশালীকরণ: মার্কিন ডলারের শক্তিশালীকরণ এবং উন্নত বাজারে উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের ভারত থেকে মূলধন সরিয়ে নিতে প্রভাবিত করেছে।
এছাড়া, কিছু বিনিয়োগকারী তাদের মূলধন সোনা এবং অন্যান্য নিরাপদ সম্পদে স্থানান্তর করেছেন, এবং কিছু অংশ চিনের বাজারে পুনঃবিনিয়োগ করেছেন। এই তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পাঠক Fortune India-র এই প্রতিবেদনটি দেখতে পারেন।