বসন্তের দুই কবি

ইন্দ্রনীল মজুমদার

ইন্দ্রনীল মজুমদার

 





লেখক গদ্যকার, প্রাবন্ধিক। প্রিয় বিষয় কবিতা,পুরাতত্ত্ব ও মার্গ সঙ্গীত।

 

 

 

রাজপুরুষ দুজনেই। একজন কবি ও সন্ত, অন্যজন কবি ও প্রেমিক। দুজনের বয়সের ফারাক ছশো বছর। জন্মসূত্রে কেউ হিন্দু নন। তবু দুজনেই এই দেশের গান করেছেন। বসন্তের যে বিরহ, প্রিয়মিলনের গান এদেশে উত্তীর্ণ হতে চেয়েছে দেবযানে সেখানেই বুক পেতে দিব্যোন্মাদ দুজনেই। একজন আমীর খুসরৌ দেহলভি (১২৫৩-১৩২৫), অন্যজন লখনৌ-এর ওয়াজিদ আলি শাহ (১৮২২ -১৮৮৭)। তাঁদের দুজনেরই জীবন ও কর্মের কথা আলোকিত হয়েই আছে। আমরা এখানে একটু ফিরে দেখতে চাই তাঁদের বসন্তবন্দনা আর মরমিয়া প্রিয়মিলনের আর্তি। ভুলে যেতে পারি না ভারতের সঙ্গীতের ইতিহাসে সোনার হরফে লেখা আছে প্রথমজনের পরে দ্বিতীয়জনের নামও।

সুফি সন্ত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার ঘনিষ্ঠতম শিষ্য হিসাবে আমীর খুসরৌ আজও সুফি সন্ত হিসাবে সর্বপ্রণম্য। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও তাঁর সুগভীর অবদান। তিনি কাওয়ালির (খেয়ালের আদিরূপ বলে কথিত) জনক। গজল তাঁর সৃষ্টি। শায়েরিতে উর্দু কবিতার বর্ণচ্ছটা তাঁর দেওয়া। ‘তারানা’র ছন্দবদ্ধ রূপায়ণ তাঁর। আমাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে আজও জনপ্রিয় অনেক রাগের জন্মদাতা তিনি। জংলা, জিলফ, সরফরদা, ইমন, সাহানা, সাঁজগিরি, কাফি, বাহার, গারা যেমন। নৌশাদ সাহেব বলেছিলেন রাগ জিলা (যার থেকে জিলা কাফি) খুসরৌ-এর সৃষ্টি। সুপরিচিত তিনতাল, ঝুমরার মতো এক ডজন তাল তাঁরই কাছ থেকে পেয়েছি আমরা। পারস্যে প্রচলিত সব কাব্যশৈলীতে তিনি কবিতা লিখেছেন। ব্রজবুলি, আওধি, কথ্য হিন্দি, দেশোয়ালি একাধিক ভাষা বলতেন ও লিখতেন দরবারি ফারসির সমান কুশলতায়। শাস্ত্রীয় গানে সুরের সঙ্গে কথার সমান মাহাত্ম্য দিয়েছেন যেমন, তেমনই তিনি তখনকার প্রচলিত লৌকিক ভাষাতেই অসাধারণ সব কাব্যগীতি রচনা করে গেছেন। তুরস্কের রাজপুরুষ বাবা ও হিন্দু রাজপুতনন্দিনী মা বিবি দৌলতনাজের ছেলে খুসরৌ আট বছরে বাবাকে হারিয়ে দাদুর কাছে মানুষ হয়েছিলেন। তঁর দাদু হিন্দু রাজপুত, আবার দিল্লির নবম সুলতান গিয়াসুদ্দিন বলবনের মন্ত্রীও ছিলেন। এক আশ্চর্য মিশ্র আবহাওয়ায় তাঁর বেড়ে ওঠা। কবিতা লিখছেন ফার্সিতে, ছড়া কাটছেন চলতি হিন্দিতে, রাগের স্বরলিপি করছেন, রবাব পাল্টে বাঁধার চেষ্টা করছেন। পারস্যের তিন তারের যন্ত্র সেহ (তিন)— তার থেকে তিনি ভারতীয় সেতার (সাত তার) তৈরি করেছিলেন, এই মত ঠিক নয়। কিন্তু রবাব থেকে সরোদে উত্তরণে তাঁর প্রাথমিক দান ছিল অনুমান কর যেতে পারে। তাঁর পরিচালনায় ‘সমা’ গান খুব উঁচুতে পৌঁছেছিল। আজকাল যে সুফি গান গাওয়া হয় তার পিছনে এর অনেক প্রভাব। তাঁর সঙ্গীতগ্রন্থ ‘এজাজে খুসরবী’-তে খুসরৌ ১৬টা বাজনার তালিকা দিয়েছেন। তার মধ্যে আছে রুববে, তম্বুর, শাহনাই, ডফ, চং, তাবিরাই হিন্দ (তবলা?), সারুদ। নিজে শাস্ত্রীয় গান গাইতেন, শিক্ষাও দিতেন। নিজেকে বলতেন তাঁর সময়ের তিনজন শ্রেষ্ঠ শিল্পীর একজন। পারস্যের বিখ্যাত কবি শিরাজুল হাফিজ ২০ বছরের আমীরকে বলেছিলেন হিন্দুস্থানের কোকিল। এহেন আমীর যে ভারতের মরমিয়া সাধনার সুলুক সন্ধান করবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু ছিল না।

অনেক বাদশাহী দায়দায়িত্ব, যুদ্ধবিগ্রহ, আলাউদ্দীন খলজী পর্যন্ত সুলতান বংশের সবার কাছেই অবিসংবাদিত সম্মান ও খ্যাতি পাবার পরে ৬৩ বছর বয়সে ১৩১৬ সালে তিনি মান্য সুফি সাধক চিস্তিপথের নিজামুদ্দিন আউলিয়ার সাগির্দ হন। তারপর থেকেই তিনি সন্ত খুসরৌ— মরমিয়া পথের যাত্রী। নিজামুদ্দিন তাঁকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। বসন্তের আগমনে ঋতুকে আবাহন করে, নিজামউদ্দিনকে আরাধ্য মেনে অনেক গান তিনি লিখেছিলেন। বসন্ত পঞ্চমীর দিনে নিজামুদ্দিন আওলিয়ার দরগায় হোলি খেলা হয় গত ৭০০ বছর ধরেই। তখন গান গেয়ে গেয়ে ভক্তেরা সমাধিমন্দিরের সামনে নেচে নেচে ঘোরেন অনেকটা রাসের মতো। তাকে বলে রং ও বসনৎ। সেই গানের বন্দিশ রচয়িতার নাম আমীর খুসরৌ। সেই গান কয়েকটি এখনও শোনা যায় বসন্ত পঞ্চমীতে নিজামুদ্দিনের দরগায়, অনেক বহুশ্রুত বন্দিশের মতো।

না ম্যায় কো গুণ ঢং ন ম্যায় কো জোবনা
ঘুঁঘটা উঠায় জব মুখ দেখিয়ো সজনা
কা উনসে করিয়ো বহনবা হায় রাম
এক কুঠুরিয়া মে আনারে জানা
দুজে কুঠুরিয়া মে রেহনা রে রাম
পিয়াসে কর দে মিলনবা হায় রাম।

খুব খুব চেনা লাগছে না? কোথা থেকে তিনি পেলেন এ কথা? ‘এক কুটীরে আসা যাওয়া, আর এক কুটীরে থাকা। হে রাম প্রিয়তমের সঙ্গে আমায় মিলন করিয়ে দাও।’ সহজিয়া দেহতত্ত্ব, জয়দেব, পদাবলির আর্তি কেন মনে আসে? মনে রাখবেন এই আদি পদগুলির, গানের বন্দিশগুলির সংগ্রহ, অনুবাদ পরম শ্রদ্ধেয় সঙ্গীতশাস্ত্রবিদ ও গুরুঠাকুর জয়দেব সিং-এর। গানের জগতের লোকেরা জানেন তিনি কে।

নিজামুদ্দিনের দরগায় আমীর খুসরৌ-এর সমাধি। দিল্লি। ছবি– লেখক।

সন্ত নিজামুদ্দিন মারা যাবার ঠিক ছ মাসের মাথায় চলে গেলেন তাঁর অনুগামী আমীর। সম্ত নিজামুদ্দিনের সমাধিমন্দিরের ঠিক পাশেই তাঁর শেষ শয্যা, দিল্লির নিজামুদ্দিনের দরগায়। সেখানে হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনার সময়ে দেখেছি কি নিঃশব্দে ভক্তেরা এসে চাদর চড়িয়ে, ফুল দিয়ে হাত জোড় করে তাঁর আশ্রয় চাইছে। খুসরৌ-এর আর কিছু বসন্ত আর হোলির গানের (হোরি আমাদের সঙ্গীতের বিশিষ্ট শৈলী, রাধাকৃষ্ণের হোলি উদযাপন নিয়ে ধ্রুপদের পরে হোরি গাওয়া হয়। সেটির অনুষঙ্গ আলাদা) বাংলা রূপান্তর শোনা যাক।

সময় আসেনি তবু সরষে ফুলে চারদিক আলোয় আলো হয়ে আছে। আমের মুকুল দেখা দিয়েছে, ফুটছে পলাশ ফুল, ডালে ডালে কোকিল গেয়ে চলেছে পঞ্চম স্বরে। হাতে গাঁদা ফুল নিয়ে, চুল ফুলের মালায় ঢেকে মেয়েরা নিজামুদ্দিনের দরগায় এসে দাঁড়িয়েছে। বছর কেটে গেল আজও তাঁর আসার সময় হল না।[1]

মনপাখি পাগল হয়ে গেছে সাঁইয়ার বাঁশি শুনে। বিভিন্ন পর্দায় বাঁধা তান শুনে মনের ডালপালা দুলে উঠছে। গুরু নীজামুদ্দিন বীণা বাজাচ্ছেন। সে সুরের কি যাদু! তাই শুনে পানিহারী স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। খুসরৌও জল ভরতে ভুলে গেল।[2]

আমি সুন্দরী নব যুবতী। আমার ঝুলিভরা আবির। তুই আনাড়ির মতো এমনভাবে রং দিলি যে আমার গোটা ওড়নাটা ভিজে গেল। নিজামুদ্দিনকে কে বোঝাবে?[3]

আমার নবীন যৌবন আবিরের মতো রঙিন হয়ে উঠেছে। কি বুঝে যে তিনি ভালবেসে আমার গলায় মালা পড়িয়ে দিলেন! শূন্য বিছানা দেখে আমার ভয় হয়। বিরহ অগ্নি সাপের মতো দংশন করে চলেছে।[4]

কি কাণ্ড, এ তো সব মিলে মিশে যাচ্ছে। এই যে রং দে চুনারিয়া, জল আনতে গিয়ে জলে কলসি ডুবিয়ে বাঁশি শুনে সব ভুলে যাওয়া, শূন্য বিছানা! কে কাকে স্ক্রিপ্ট দিচ্ছে? জয়দেব একশো বছর আগে, বিদ্যাপতি একশো বছর পরে মোটামুটি। পূর্ণাঙ্গ বৈষ্ণব পদমহিমা তারও পরে। কিছু কি একটা মিশে ছিল অনেকদিন ধরেই ওই আবিরে গুলালে, পলাশে শিমুলে? আমরা জানতাম না, এখনও জানি কি? একবার নিজামুদ্দিনের দরগায় বসন্তের উৎসবে গেলে কেমন হয়?

এছাড়াও আছে খুসরৌ-এর বাবুল গান। মেয়েকে বিয়ের পরে বিদায় দেওয়ার অশ্রুসজল গান। আজও গ্রামের মেয়ে চলে যাওয়ার পথে বাবার দিকে চেয়ে গায় খুসরৌ রচিত সোহাগ বাবুল। যেমন, “কাহে কো বিয়াহে বিদেশ লখি বাবুল মোরে/ভেইয়া কো দীহে মহলা দুমহলা হামকে দীহে পরদেস/লখি বাবুল মোরে”[5]। উমরাও জান ছবিটিতে এ গানের অসাধারণ ব্যবহার করেছিলেন পরিচালক মুজফফর আলি। এখানে বিদায় শুধু ছোটবেলার ঘর ছেড়ে নয়, বিদায় জীবন থেকেও। যাত্রা প্রিয়তমের দিকে।

কলকাতার সিবতেনাবাদ ইমামবাড়ায় ওয়াজিদ আলীর সমাধি। ছবি: লেখক

বলতে বলতে মনে আসে আর এক বসন্তের কবি ও নবাব। লখনৌতে বসেই লিখেছিলেন ‘রাধা কানহাইয়া— এক কিসসা’। হোলির দিন রাজপথে চলমান কত্থক ও ঠুমরির গানে রাধাকৃষ্ণের বিরহমিলন গাথার নবাব রচিত ঐ নাটক, তাঁরই নির্দেশনায়। কৃষ্ণের মতো যিনি তাঁর পরীখানার সুন্দরীদের নাচের তাল মিলিয়ে মিলিয়ে নিচ্ছেন তিনি নবাব ওয়াজিদ আলী শাহ। কত্থক, ঠুমরি, অভিনয় মিলে এই নাট্যপ্রক্রিয়ার নাম ‘রহস’ যা তাঁরই সৃষ্টি। কত্থক গুরু ঠাকুর প্রসাদজী তাঁরও গুরু। কালকা–বিন্দা তাঁর সভাশিল্পী ছিলেন। কত্থকের লখনৌ ঘরানাই আজ প্রধান। তিনি ঠুমরির জনপ্রিয়তম রূপকার। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখেছিলেন তানসেন বংশের বসিত খান, পিয়ার খানের কাছে। গজলেও তাঁর হাত। আখতার পিয়া নামে প্রায় ৪০টি বইতে তাঁর রচনাসম্ভার– ঠুমরি, গজল, কবিতা, দিনলিপি। কত্থকের ওপর তাঁর বই ‘মুসম্মা বা বাণী’ লিথোগ্রাফ হয়েছিল মেটিয়াবুরুজ থেকে, সেটি ভিকটোরিয়ার পোর্ট্রেট গ্যালারিতে আছে। কত্থকের রহস (রাধাকৃষ্ণ কথা)-এর ৩৬টি রূপের কথা তিনি লিখেছেন একদম স্টেজ, কস্টিউম, গহনা, আলোর নির্দেশসহ। তাঁকে বলা হয় একালের প্রথম নাট্যকার ঐ রহস লেখার জন্য। কাইজারবাগের ‘রহস মঞ্জিল’-এ বারবার লক্ষাধিক টাকা খরচ করে মঞ্চস্থ হয়েছে তাঁর ‘রাধা কানহাইয়া– এক কিসসা’। আমাদের নাট্যশালার ইতিহাসে তা আসেনি। দিল্লিতে অসহায় মির্জা গালিবকে পেনশান দিলেন ৫০০ টাকা করে যখন তাঁর নিজেরই কিছু নেই। সাল ১৮৫৪। হোলির জন্য রাজ্য জুড়ে ছুটি দিয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিবছর হোলিতে শুধুই উৎসব আর রাধাকৃষ্ণের রহস। রাধাকিষানের কথা বলতে বলতে গান গেয়ে উঠতেন। নাচের অভিনয়প্রধান আঙ্গিক ‘অঙ্গিকা’ তাঁর প্রিয় ছিল। নিজেও ভাল নাচতেন। আখতার পিয়া নামে লিখেছিলেন ঠুমরি, দাদরা,গজলও। কয়েকটি হিন্দুস্থানি রাগ তাঁর সৃষ্টি বলে পরিচিত। যোগী, কান্নাড় শ্যাম, জুহি, শাহপসন্দ– এই কটি নাম আছে, রূপ খুব পরিচিত নয়। ‘রাধা কানহাইয়া– এক কিসসা’ পরে কলকাতার মেটিয়াবুরুজের উর্দু প্রেস থেকে ছাপা হয়েছিল শোনা যায় নবাবের আরও কয়েকটি বইয়ের মতো। তাঁর পঠিত কোরান আর একটি উর্দু কবিতার খাতার পাতা এখানে সিবতেনাবাদ ইমামবাড়ায় তাঁর সমাধিস্থলে রাখা আছে। ফাগ মানে কাজরি বা চৈতির মতো ফাল্গুন মাসের গান। লৌকিক ছাড়া ঠুমরির চালেও বেনারসে ফাগ গাওয়া হয়। কয়েকট ফাগ ওয়াজিদ আলির রচনা বলে ঠুমরিতে গাইতে শুনেছি। বাবুল গানের কথা আমীর খুসরৌ প্রসঙ্গে বলেছি। অশ্রুসজল এই কন্যাবিদায়ের গান যখন সদ্যবিবাহিতা কিশোরী বাড়ি, উঠোন, গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে বাবার (বাবুল) দিকে চেয়ে গাইছে তখন সেই গান বিরহের চেয়ে বেশি, যেন জীবনশেষে অন্তিমযাত্রার গান হয়ে ওঠে। ওয়াজিদ আলীর বহুশ্রুত বাবুল “বাবুল মোরা নইহর ছুটো হি যায়” শুনে দেখুন। কথাগুলো পড়ুন। বাবার ঘর নয়, লখনৌ নয়, এ জীবন ছেড়ে চলে যাওয়ার মুহূর্তে আত্মসমর্পণ। শুনুন–

চার কাহার মিলে মোরি ডোলিয়া সাজায়ে
মোরা আপনা বেগানা ছুটো যায়
নৈহার ছুটো হি যায়।
আংগনা তো পর্বত ভায়ো অউর দেহারি বয়ি বিদেশ
এ বাবুল ঘর আপনো ম্যায় চলি পিয়া কি দেশ।

চার কাহারে ডোলি ওঠাচ্ছে বাবা। আমার উঠোন পর্বত হয়ে গেছে। চৌকাঠটা পেরোলেই বিদেশ। নিজের ঘর ছেড়ে আমি চলে যাচ্ছি সেই দেশে যেখানে আছে আমার প্রিয়। সে প্রিয়তম কে? সামনে দাঁড়িয়ে আছে যে নতুন স্বামী না ভগবান? ডোলি কি বিয়ের না শেষ যাত্রার? জেনেছিলেন আমীর খুসরৌ, জেনেছিলেন নির্বাসনের ঠিক আগে অযোধ্যার নবাব। বসন্তের কোকিল সবসময় মিলনের কথা বলে না।


[1] রাগ বাহার— তিনতাল
[2] রাগ গুজরী তোড়ী— তিনতাল
[3] রাগ ইমন— তিনতাল
[4] এই বন্দিশটা একটু অন্যভাবেও গাওয়া হয়। যেমন ‘নবেলী নার’ খান সাহেব বড়ে গোলাম আলীর বিখ্যাত বন্দিশ।
[5] রাগ তিলক কামোদ

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4650 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

Leave a Reply to Dilip Mirani Cancel reply