সায়ন্তী দাস

এলোমেলো খড়কুটো -- সায়ন্তী দাস

এলোমেলো খড়কুটো

 

একটা দারুচিনি-রংদুপুর
কিছু ফিকে নীল আলস্য
ছিল আমাদের…

আর ক্যালাইডোস্কোপ দিন

ভিনিগারে ভাসা
লঙ্কার মতোই কি ভেসে গেল

হারিয়ে ফেললাম অমন…।

সব
টুপ
করে
পড়ে গেল…
সময়ের নিজস্ব খাতায়।

 

বহু বছর যাবৎ তোমার কাছে
এসে দাঁড়াতে ভয় পাই।
সেই ভয় তুমি শীতলতা ভাবো।

তোমার ঠোঁটের ঈষৎ খাঁজ আজও
আমার ঘুম কাড়ার ক্ষমতা রাখে,
আর সেই ক্ষমতা আজও ভাসিয়ে দিতে পারে
আমার বর্তমান, ভবিষ্যৎ
শীত, গ্রীষ্ম, বসন্ত সব… সব সব সব।

সব জেনেই সীমান্ত পার করেছ
সেও আমি জানি।

বহুকাল এমন ভাসিয়ে দেওয়ার মতো ঝড় আসেনি
দশ বছর কেটে গেল

আজও ঝড় হয়েই এলে……

 

মাঝে মাঝে রাত জাগতে ভালো লাগে
এমন এক রাতজাগা ভোরে পেয়েছিলাম তোমাকে,
শব্দের আঁকিবুকি খেলায়
নিভৃত জ্যোৎস্নায়…।

সমুদ্র ভালোবাসি খুব
যা ভাসিয়ে দেয় সর্বস্ব, সেসবের প্রতিই
আমার একনিষ্ঠ গমন
তাই তোমাকে চিনেছিলাম।

আকাশ নয় সকলে
উদাসীন উদারতা নেই তাদের, নয় তারা হাওয়ার দমক
এত ছুটতে, এত উড়তে দিলে আমায়

আর তাই ছেড়ে যাওয়া হল না, তোমায়।

 

সহস্রধারা ছিল তোরই বুকে
আর আমার যে মেঘের রাশি রাশি…

অভিমানে আজও আমি
তোর জন্যই হাসি…।

সকাল বিকেল পেরিয়ে যেত
সময় জুড়ে জুড়ে…

চৌরাশিয়া না আমনকর,
কী শুনব আগে?

কেটে যেত ঝগড়া-দুপুর
আসত না কেউ বাগে…

সে ছিল এক মোহন-যাপন
গৌর সারং আলাপ

শেষ বিকেলের আবছা আলোয়
গলানো সোনার তাপ…।

আয়না-কাজল সব মুছে দেয়
নির্লেপ সেই হাসি…

জীবন জুড়ে ছলাত ছলাত
বাজছে শুধু মোহনিয়া বাঁশি।

 

আমার খাতার ভাঁজে আটকে আছে
তোমার দু চোখ
আসলে খাতায় তো লেখা হয় না আজকাল
আঁকতে বসেছিলাম।…

অক্ষর পেরিয়ে, অভিমান পেরিয়ে
মন কেমন এল,
আমি দু চোখ অব্দি পৌঁছলাম শুধু
আর নয়…

দু চোখ ভেসে গেল
কতদিন দেখিনি তোমায়…

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4667 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...