রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ কি বিরোধী রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট?

অর্ক ভাদুড়ি 

 



সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক

 

 

 

 

রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পরে বিরোধীদের মধ্যে অভূতপূর্ব ঐক্য গড়ে ওঠার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই ঐক্য যদি বিবৃতির আনুষ্ঠানিকতা ছেড়ে রাজপথে পৌঁছয়, তা হলে ভারতীয় রাজনীতিতে মৌলিক পটপরিবর্তন কেবল সময়ের অপেক্ষা

 

রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ এবং সম্ভাব্য গ্রেফতারির আশঙ্কা কি ভারতীয় রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট হতে চলেছে? এখনই এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দেওয়ার সময় আসেনি। তবে নিঃসন্দেহে এই ঘটনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।

গত কয়েকবছর ধরে ভারতীয় গণতন্ত্র যে অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে পথ হাঁটছে, জরুরি অবস্থার সময়টুকু বাদ দিলে এই দেশের ইতিহাসে তার নজির খুব বেশি নেই। ভারতীয় রাজনীতির গবেষক ক্রিস্তফ জাফ্রেলো নরেন্দ্র মোদির রাজত্বকালকে যথার্থভাবেই চিহ্নিত করেছেন ‘ন্যাশনাল পপুলিজম’ থেকে ‘ইলেক্টোরাল অথরিটেরিয়ানিজম’-এর দিকে যাত্রা হিসেবে। এই পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন-সহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির ওপরে শাসকের প্রায় নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলধারার মিডিয়া সম্পূর্ণভাবে শাসকের কবজায় চলে যায়। নির্বাচন হয় ঠিকই, কিন্তু ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকে না। গণপরিসর ক্রমশ সঙ্কুচিত হতে থাকে। ‘ইলেক্টোরাল বন্ড’-সহ বিভিন্ন উপায়ে বিরোধীদের বাধ্য করা হয় অনেকখানি পিছিয়ে থেকে দৌড় শুরু করতে।

এই সবকিছুর সঙ্গে জুড়ে নিতে হবে ‘অপর’ (other) নির্মাণে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের বিষয়টি৷ ভারতের ক্ষেত্রে এই ‘অপর’ মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এবং বামপন্থীরা। নির্বাচনী পাটিগণিতে লাভের জন্য কংগ্রেসকে এই দুই ‘দেশবিরোধী’ শক্তির প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। সেই প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া। তার সঙ্গে কোটি-কোটি টাকা ব্যয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার। বলা বাহুল্য, এসবে কাজও হচ্ছে রীতিমত।

উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি আমাদের পড়শি বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন দেশের চলমান স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও রয়েছে। বাংলাদেশে এই সমস্যা অনেক বেশি প্রকট। ভারতীয় গণতন্ত্র যেহেতু তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পরিণত এবং শক্তিশালী, সেই কারণে সঙ্কটের তীব্রতা কম, কিন্তু অথরিটেরিয়ানিজম-এর চরিত্র অনেকটাই এক।

গণতন্ত্রের এই অসুস্থতার লগ্নে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অবশ্যকর্তব্য হল নতুন রাস্তার খোঁজ। গত কয়েকমাসে কংগ্রেস, বিশেষত রাহুল গান্ধির নড়াচড়া দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা পরিস্থিতির গুরুত্ব খানিকটা হলেও অনুধাবন করতে পারছেন। প্রচলিত রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে গিয়ে নতুন পথ খোঁজার আন্তরিক চেষ্টা করছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচন যে কেবল সরকার পরিবর্তনের লড়াই নয়, সে কথা রাহুল বারবার করে বলছেন। তিনি বলছেন, এই লড়াই ভারতের সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষার যুদ্ধ। একমত না-হয়ে তো উপায় নেই। প্রকৃতপক্ষেই ২০২৪ সালের নির্বাচনী লড়াই যতটা না রাজনৈতিক, তার চেয়ে অনেক বেশি আদর্শগত।

সংঘপরিবার তার একশো বছর ইতিহাসের সবচেয়ে ‘সুসময়ের’ মধ্যে রয়েছে৷ বাবরি মসজিদের জমিতে রামমন্দিরের নির্মাণ কেবল আরএসএসের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগ্রামের সাফল্যই নয়, তা আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদলেরও সূচক। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার যে মতাদর্শগত লড়াই আরএসএস তার জন্মলগ্ন থেকে লড়ছে, তার সামনে অন্যতম প্রধান বাধা হিসেবে ছিল এ দেশের বিচারব্যবস্থা। অযোধ্যা প্রশ্নে সংঘপরিবার কেবল রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেনি, সে প্রমাণ করতে পেরেছে, ভারতীয় বিচারব্যবস্থাও তার সামনে আর আগের মতো বড়সড় প্রতিপক্ষ নয়। যুদ্ধের ওই ফ্রন্টেও জয়লাভ করা সম্ভব।

এই অবস্থায় ২০২৪ সালের নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আগামীদিনে ভারতীয় গণতন্ত্রের চরিত্র কী হবে, তা অনেকখানি ঠিক করে দেবে এই নির্বাচনের ফলাফল। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি যদি আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে, তা হলে বিপন্ন হবে ভারতের বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামো, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। আশার কথা হল, রাহুল গান্ধি সম্ভবত এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছেন।

রাহুল বুঝতে পারছেন, গত সাড়ে সাত দশকে প্রধান বিরোধী নেতা ভারতীয় মিডিয়ার কাছে যে আচরণ পেয়েছেন, তিনি তা পাবেন না। সংসদে তিনি যে বক্তব্য রাখবেন, তা পর্যাপ্ত গুরুত্ব-সহকারে গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে না। সাংসদ পদ খারিজের পর তাঁর এটাও বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়, ভারতের মতো উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রধান বিরোধী নেতার প্রতি বিচারব্যবস্থার যে আচরণ আমরা দেখে এসেছি, তারও পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। স্পষ্ট করেই বলা ভাল, আপাত নিরীহ যে মন্তব্যের জন্য রাহুলকে হিসেব কষে দু বছরের জেল দেওয়া হল— যাতে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়— তেমন মন্তব্য নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা হামেশাই করেছেন। অর্থাৎ, কোনওদিক থেকেই তিনি যে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ পাবেন না, এটা বুঝেই রাহুল মাঠে নেমেছেন। খানিকটা বাধ্য হয়েই হয়তো তাঁকে মানুষের কাছে পৌঁছনোর নতুন পথ খুঁজতে হয়েছে।

রাহুল প্রথমে সংসদের ভিতরে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তারপর ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন। এই যাত্রার রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাধীনতার আগে কংগ্রেস এই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে৷ কিন্তু স্বাধীন দেশে এর নজির নেই। যাত্রার শুরুতে মূলধারার মিডিয়া তুলনামূলকভাবে চুপচাপই ছিল। তেমন প্রচার পাননি রাহুল। কিন্তু যাত্রার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। অসংখ্য মানুষ যোগ দিতে থাকেন যাত্রায়৷ এর পর শুরু হয় রাহুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। তাঁর টি শার্টের ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে বসানো হয় সান্ধ্য আলোচনার আসর। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও ভারত জোড়ো যাত্রা সফল হয়েছে। একদিকে তা যেমন কংগ্রেসের সর্বস্তরে আলোড়ন তৈরি করতে পেরেছে, অন্যদিকে ব্যক্তি রাহুলের নতুন করে উত্থান হয়েছে ভারতীয় রাজনীতিতে।

রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রার কর্মসূচি নিয়েছেন, কারণ এর বাইরে তাঁর আর কিছু করার ছিল না। যখন একটি দেশে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পরিসর ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসে, তখন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে সরাসরি মানুষের কাছে যেতে হয়। রাহুল তা-ই করেছেন। এই অবস্থায় তাঁকে যে কোনও মূল্যে প্রতিহত করা বিজেপির জন্য অবশ্যকর্তব্য হয়ে উঠেছিল। আদানির বিপর্যয়ের পর পরিস্থিতি তাদের জন্য আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে৷ রাহুল তাঁর পাখির চোখ চিনে নিতে ভুল করেননি। আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্পর্ক নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। মূলধারার মিডিয়ার পক্ষেও রাহুলের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। ফলে রাহুলের সাংসদ পদ না-কেড়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের উপায় ছিল না।

সমস্যা হল, এই ধরনের র‍্যাডিক্যাল পদক্ষেপ একদিকে যেমন শাসকের উদ্বেগকে সামনে নিয়ে আসে, অন্যদিকে একাধিক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়৷ তুরস্ক, হাঙ্গেরি, ইজরায়েল, পোল্যান্ডের মতো দেশে শাসকের এই ধরনের পদক্ষেপ বিরোধী ঐক্যের পথ প্রশস্ত করেছে। ভারতেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাহুল গান্ধির তীব্র বিরোধী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ইস্যুতে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ যথার্থই বলেছেন, রাহুলের গ্রেফতারির সম্ভাবনা এবং সাংসদ পদ বাতিল প্রথমবারের জন্য ১৯টি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে আসতে সক্ষম হল। ভারতীয় গণতন্ত্রের ওপর শাসকের আক্রমণের বিরুদ্ধে একযোগে প্রস্তাব গ্রহণ করলেন বিরোধীরা।

রাহুলের সাংসদ পদ বাতিল আর্ন্তজাতিক মঞ্চেও ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য খুব ভাল বিজ্ঞাপন নয়। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা বিষয়টির ওপর নজর রাখছে। জি-২০ সামিট চলাকালীন ভারত নিজেকে ‘বিশ্বগুরু’ বা ‘গণতন্ত্রের জননী’ হিসেবে তুলে ধরার যে প্রচেষ্টা করেছিল, তা বেশ খানিকটা ধাক্কা খাবে। নিঃসন্দেহে ভারতীয় শাসকদের জন্য এটি অস্বস্তিকর।

এই প্রসঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বিচারব্যবস্থার ভূমিকা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সম্প্রতি বলেছেন, সংবিধানই হল ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রকৃত দিকনির্দেশনা। শীর্ষ আদালত যদি মনে করে, ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধকে কোনওভাবেই আক্রান্ত হতে দেওয়া যাবে না, তা হলে পরিস্থিতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদল আমরা দেখতে পারি। অযোধ্যা প্রশ্নে নিঃসন্দেহে সংঘপরিবার গুরুত্বপূর্ণ জয় অর্জন করেছে। কিন্তু লড়াই সেখানে শেষ হয়নি। রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ বাতিলের মামলায় শীর্ষ আদালত কী ভূমিকা নেয়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্যা হল, তারা নিজেদের জন্য এই বিশেষ ইস্যুতে তেমন কোনও ‘এগজিট রুট’ খোলা রাখেনি। রাহুল গান্ধিকে জেলে ভরলে তিনি বিপুল সংখ্যক মানুষের সহানুভূতি পাবেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সেই ২০০২ সাল থেকেই নিজের যে ‘ভিকটিম ইমেজ’ তৈরি করেছেন, তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গত দুই দশকে মোদি কখনও নিজের ‘ওবিসি’ বা ‘চা-ওয়ালা’ পরিচয় তুলে ধরেছেন, কখনও নিজেকে দিল্লির অভিজাত লুটিয়েন্স, খান মার্কেট গ্যাং বা সেকুলার সংবাদমাধ্যমের দ্বারা ‘আক্রান্ত, অপমানিত ও অসম্মানিত’ হিসেবে ‘প্রোজেক্ট’ করেছেন। কিন্তু রাহুল জেলে গেলে মোদি নিজেই অত্যাচারী শাসক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। রাহুল কার্যত শহিদের মর্যাদা পাবেন। ঠিক যেমনটা পেয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধি।

অন্যদিকে জেলের বাইরে থাকলে রাহুল আরও সক্রিয় হবেন। গুজরাত থেকে ভারতের পূর্ব সীমান্ত পর্যন্ত তিনি ভারত জোড়ো যাত্রা করবেন। উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপির শক্ত ঘাঁটিগুলির ওপর দিয়ে সেই যাত্রা চলবে। প্রথমে কর্নাটক এবং তার পরে অন্য রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনে সর্বাত্মক প্রচার করবেন রাহুল। দেশ দেখবে যে, সর্বাত্মক চেষ্টা করেও রাহুলকে জেলে পাঠাতে পারল না বিজেপি। ভোটের আগের বছরে জনমানসে বিজেপি-র সেই হারের প্রতিক্রিয়া হবে মারাত্মক। সব মিলিয়ে তাঁর উত্থান হবে আরও ব্যাপক।

তবে কংগ্রেসকেও বুঝতে হবে, ২০২৪ সালের নির্বাচন তার একার পক্ষে জেতা সম্ভব নয়। যে কোনও মূল্যে প্রয়োজন বিরোধী ঐক্য। এই ঐক্য কেবলমাত্র সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির ঐক্য নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত শক্তির মধ্যে ঐক্য। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত এআইসিসি অধিবেশনে এই ঐক্যের প্রয়োজনের কথা যতখানি জোরের সঙ্গে আলোচিত হওয়া প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। কংগ্রেসের এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগ আছে কি না, তা-ও ভেবে দেখা জরুরি। সম্প্রতি মনীশ সিসৌদিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর আটটি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবাদ জানান। এই আট দলের মধ্যে কংগ্রেস ছিল না। যদিও কংগ্রেস দলীয়ভাবে সিসৌদিয়ার গ্রেফতারির বিরোধিতা করেছে। কংগ্রেস বড় দল। তার দায়িত্বও বেশি। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পরে বিরোধীদের অভূতপূর্ব ঐক্য গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। অন্তত বিবৃতির ক্ষেত্রে। এই ঐক্য যদি রাজপথে পৌঁছয়, তা হলে হয়তো ভারতীয় রাজনীতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পটপরিবর্তন হতে পারে।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4662 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...