বাংলাদেশে ‘ভুল নজরুল’ চর্চা?— জন্মজয়ন্তীতে প্রকৃত নজরুলকে স্মরণ

মোজাফফর হোসেন

 


যে-হৃদয় বিষাক্ত, সে-হৃদয় ফুলের মধুকেও বিষ হিসেবে গ্রহণ করে; তাই তার দ্বারা মধুর গুণ বিচার করা যায় না। কাজী নজরুল ইসলামকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হলে তাঁকে তাঁর সামগ্রিক অবস্থান থেকে গ্রহণ করতে হবে। নজরুলের গজলও সত্য, শ্যামাসঙ্গীতও সত্য— সত্য ধর্মীয় ভণ্ডামি ও কূপমণ্ডুকতা-বিরোধী উচ্চারণ। আর এই কারণেই ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিরোধ হিসেবে নজরুল-চর্চা অনস্বীকার্য

 

শিল্প-সাহিত্যে জনপ্রিয়তার মাপকাঠি ভিন্ন হতে পারে, তবে আমার ধারণা, গ্রহণযোগ্যতার বিচারে বাংলাদেশে কাজী নজরুল ইসলাম অন্য সব লেখকের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সাহিত্যের ‘অপাঠক’দের। অর্থাৎ, বাংলাদেশে যাঁরা সাধারণত গল্প-উপন্যাস-কবিতা পড়েন না, তাঁদের কাছেও ‘লেখক’ হিসেবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নাম হচ্ছে কাজী নজরুল ইসলাম। বিষয়টি এক অর্থে আনন্দের হলেও, ব্যথিত হই যখন বুঝি— এই গ্রহণযোগ্যতার প্রধান কারণ সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে: বাংলাদেশে নজরুলের যথার্থ পাঠ ও গভীর চর্চা আদৌ হয়েছে কি? খণ্ডিত নজরুলকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তাঁর বিশালতা ও বহুত্ববাদ থেকে নিজেদের যেমন বঞ্চিত করেছে বাঙালি মুসলমান সমাজ, তেমনি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে নজরুলচর্চা করতে গিয়ে তাঁকে অনেকাংশে খর্বও করেছে।

প্রথম ভুলটি হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের বিপরীতে নজরুলকে দাঁড় করানোর চেষ্টায়। নব্বইয়ের দশকে আমরা মফস্বলের মানুষরা শুনে শুনে বড় হয়েছি— প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে কাজী নজরুল ইসলামকে ধুতুরা ফল খাইয়ে পাগল করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! এটা করতে গিয়ে তিনি তাঁর মেয়ের সঙ্গে নজরুলের বিয়ে দেন। এইসব কাহিনির উপসংহার ছিল— নোবেল পুরস্কারটা নজরুলেরই পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তাঁকে পাগল করে দিয়েই সেটা বাগিয়ে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।

লজ্জা লাগে ভাবতে, এই অপপ্রচার এতটাই চতুর্মুখী ছিল যে আমি নিজেও কিছুদিনের জন্য তা বিশ্বাস করেছিলাম। অথচ, তখন কেউ আমাদের বলেনি— কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯১৯ সালে, আর রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পান ১৯১৩ সালে। এই দুই কবি পরস্পরের নৈকট্যেই ছিলেন। অনুজ হিসেবে নজরুল ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। তাঁর রচনায় বহু জায়গায় রবীন্দ্রনাথের গান, উদ্ধৃতি, বাক্য, বাক্যাংশ পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথকে নিবেদন করে নজরুল লিখেছেন একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ কবিতা। তাঁর আশিতম জন্মদিন উপলক্ষে লেখা ‘অশ্রু-পুষ্পাঞ্জলি’ কবিতায় নজরুল লিখেছিলেন—

একা তুমি জানিতে হে কবি, মহাঋষি, তোমারি বিচ্যুত-ছটা আমি ধূমকেতু।

অন্যদিকে, নজরুলের বয়স যখন মাত্র কুড়ি, তখনই তাঁকে ‘কবি’ সম্বোধন করে রবীন্দ্রনাথ তাঁর বসন্ত নাটকটি উৎসর্গ করেন। রবীন্দ্রনাথ এই প্রথম অত্যন্ত আপনজনদের বাইরে কোনও অপরিচিত নবীন কবিকে বই উৎসর্গ করলেন। এটি কম কথা নয়।

আরও একটি ঘটনার কথা বলা যায়— রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন ৬০, নজরুলের ২২। কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরিতে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত এক সভায় নজরুল সভাকক্ষে ঢুকেই মঞ্চে উঠে রবীন্দ্রনাথের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে চলে যেতে উদ্যত হন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন স্নেহভরে তাঁর হাত ধরে নিজের পাশে বসিয়ে নেন।

নজরুল সম্পাদিত ধূমকেতু পত্রিকার প্রথম সংখ্যার প্রথম পাতায় মুদ্রিত হয় রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাণী। তিনি লেখেন—

কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু,

আয় চলে আয়, রে ধূমকেতু,
আধারে বাঁধ অগ্নিসেতু,
দুর্দিনের এই দুর্গ শিরে
উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।
অলক্ষণের তিলক রেখা
রাতের ভালে হোক না লেখা,
জাগিয়ে দেরে চমক মেরে
আছে যারা অর্ধচেতন।

নজরুল-রবীন্দ্রনাথের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের এমন বহু উদাহরণ দেওয়া যায়। তবে এই গদ্যের বিষয় তা নয়। বিষয়টি এই কারণে উল্লেখ করা যে, যখন নজরুল নিজে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেছেন, আর রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে নিঃসীম স্নেহে বরণ করেছেন, তখন আমরা নিজেদের সাম্প্রদায়িক জিঘাংসা চরিতার্থ করতে এই দুই মহৎ মানুষকে পরস্পরের প্রতিপক্ষ করে তুলেছি। সচেতনভাবে নজরুল যে পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাননি, সেই পরিচয়টাই তাঁর উপর আরোপ করেছি, বা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ লেখালেখির শুরু থেকেই নজরুল সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বজনীন মানবিক চেতনার কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে চেয়েছেন।

লেখক হিসেবে তাঁর অবস্থান ছিল স্পষ্ট। তিনি কেবল নিজের রোম্যান্টিক ভাব প্রকাশের জন্য কলম ধরেননি; সাহিত্য তাঁর কাছে নিছক বিনোদনের মাধ্যম ছিল না।

নজরুল তাঁর ‘বর্তমান বিশ্বসাহিত্য’ প্রবন্ধে সাহিত্যকে দুটি ধারায় ভাগ করেছেন। তাঁর মতে, একটি ধারা শেলির Skylark বা মিল্টনের Bird of Paradise-এর মতো— এই ধূলিমলিন পৃথিবীর ঊর্ধ্বে উঠে স্বর্গের সন্ধান করে, স্বপ্নলোকের সঙ্গীত শোনায়। অন্য ধারা মাটির পৃথিবীকে আঁকড়ে ধরে থাকে; দুঃখময় পৃথিবীকে বাদ দিয়ে সে স্বর্গ চায় না। দ্বিতীয় ধারার লেখকেরা স্বর্গকে মাটিতে নামিয়ে আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নজরুল বলছেন,

দুই দিকেই বড় বড় রথী-মহারথী। একদিকে নোগুচি, ইয়েটস, রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি স্বপ্নচারী (dreamers); আর অন্যদিকে গোর্কি, যোহান, বোয়ার, বার্নার্ড শ, বেনাভাঁতে প্রভৃতি।

দৃশ্যত, দ্বিতীয় ধারার লেখকদের প্রতি নজরুলের পক্ষপাত স্পষ্ট। মানবতার পূজারি ও সাম্যবাদের প্রচারক হিসেবে নজরুল শুধু ভারতবর্ষেই নয়, বিশ্বসাহিত্যেও বিরল। অথচ আমরা তাঁকেই কিনা আমরা একক সম্প্রদায়ের কবি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছি। এই চেষ্টা একবার করেছিলেন ইব্রাহীম খাঁ— উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ-সংস্কারক। তিনি নজরুলকে মুসলিম সমাজের কবি হয়ে ওঠার জন্য এবং ইসলামি ধারার কবিতা রচনার আহ্বান জানিয়ে একটি পত্র লেখেন।

পত্রে ইব্রাহীম খাঁ লেখেন:

বাংলায় মৌলানা রুমীর আসন খালি পড়ে রয়েছে, তুমি তাই দখল করে ধন্য হও, বাংলার মুসলিমকে, বাংলার সাহিত্যকে ধন্য করো। তাই আজ বড়ো আশায়, বড়ো ভরসায়, বড়ো সাহসে, বড়ো মিনতির স্বরে তোমায় বলছি, ভাই, কাঙাল মুসলিমের বড়ো আদরের ধন তুমি। তুমি এই দিকে, পতিত মুসলিম সমাজের দিকে, এই অবহেলিত ইসলামের দিকে একবার চাও; তাদের ব্যথিত চিত্তের করুণ রাগিণী তোমার কণ্ঠে ভাষা লাভ করে আকাশ-বাতাস কাঁদিয়ে তুলুক। তাদের সুপ্ত প্রাণের জড়তা তোমার আকুল আহ্বানের উন্মাদনায় চেতনাময়ী হউক। ইসলামের মহান উদার উচ্চ আদর্শ তোমার কবিতায় মূর্তি লাভ করুক। তোমার কাব্য-সাধনা ইসলামের মহাগীতিতে চরম সার্থকতায় ধন্য হোক। আমীন।

এই পত্রের উত্তরে নজরুল লেখেন:

…আমায় মুসলমান সমাজ ‘কাফের’ খেতাবের যে শিরোপা দিয়েছে, তা আমি মাথা পেতে গ্রহণ করেছি। একে আমি অবিচার বলে কোনো দিন অভিযোগ করেছি বলে তো মনে পড়ে না। তবে আমার লজ্জা হয়েছে এই ভেবে যে, কাফের আখ্যায় বিভূষিত হবার মতো বড়ো তো আমি হইনি। অথচ হাফেজ-খৈয়াম-মনসুর প্রভৃতি মহাপুরুষদের সঙ্গে কাফেরের পংক্তিতে উঠে গেলাম।… হিন্দুরা লেখক-অলেখক জনসাধারণ মিলে যে স্নেহে, যে নিবিড় প্রীতি-ভালোবাসা দিয়ে আমায় এত বড়ো করে তুলেছেন, তাঁদের সে ঋণকে যদি আজ অস্বীকার করি, তা হলে আমার শরীরে মানুষের রক্ত আছে বলে কেউ বিশ্বাস করবে না। অবশ্য, কয়েকজন নোংরা হিন্দু ও ব্রাহ্ম লেখক ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে আমায় কিছু দিন ধরে ইতর ভাষায় গালাগালি করছেন, এবং কয়েকজন গোঁড়া ‘হিন্দুসভাওয়ালা’ আমার নামে মিথ্যা কুৎসা রটনাও করে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু এঁদের আঙুল দিয়ে গোনা যায়। এঁদের অবিচারের জন্য সমস্ত হিন্দুসমাজকে দোষ দিই নাই এবং দেবও না।

এই চিঠির শেষটা আমাদের নজরুলকে আরও স্পষ্টভাবে চিনিয়ে দেয়। তিনি শেষ করেছেন এই বলে:

আপনার ‘মুসলিম-সাহিত্য’ কথাটার মানে নিয়ে অনেক মুসলমান সাহিত্যিকই কথা তুলবেন হয়তো। ওর মানে কি মুসলমানের সৃষ্ট সাহিত্য, না মুসলিমভাবাপন্ন সাহিত্য? সাহিত্য যদি সত্যিকার সাহিত্য হয়, তবে তা সকল জাতিরই হবে। তবে তার বাইরের একটা ফর্ম থাকবে নিশ্চয়। ইসলাম ধর্মের সত্য নিয়ে কাব্যরচনা চলতে পারে, কিন্তু তার শাস্ত্র নিয়ে চলবে না— ইসলাম কেন, কোনো ধর্মেরই শাস্ত্র নিয়েই কাব্য লেখা চলে বলে বিশ্বাস করি না।… বাংলা সাহিত্য হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই সাহিত্য।… আমি হিন্দু-মুসলমানের মিলনে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী।

নজরুলের এই স্পষ্ট অবস্থানের কারণে সমকালে কেউ তাঁকে ‘যবন’, কেউ ‘কাফের’ বলে গালি দিয়েছেন। নজরুল তাঁদের জবাব দিয়েছেন এই বলে:

আমি বলি, ও দুটোর কোনোটাই না। আমি শুধু হিন্দু-মুসলিমকে এক জায়গায় ধরে নিয়ে হ্যান্ডশেক করানোর চেষ্টা করেছি, গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি।

এখানে আরও স্মর্তব্য, নজরুল শুধুমাত্র তাঁর রচনা বা বচনে নয়, কর্মে-মর্মে, এমনকি যাপনেও এই মহৎ চেষ্টাটি করে গেছেন। এর একটি উজ্জ্বল নমুনা পাওয়া যায় তাঁর পারিবারিক জীবনে: প্রথম স্ত্রী সৈয়দা খাতুন ওরফে নার্গিসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি বিয়ে করেন হিন্দুধর্মালম্বী আশালতা সেনগুপ্তাকে, যাকে তিনি নাম দেন প্রমীলা দেবী। চার সন্তানের নাম রাখেন পর্যায়ক্রমে— কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (ডাকনাম বুলবুল), কাজী সব্যসাচী (যাকে কবি চিনের বিপ্লবী নেতা সান-ইয়াৎ সেনের নাম থেকে ‘সানি’ নামে ডাকতেন) ও কাজী অনিরুদ্ধ (যাকে লেনিনের নাম অনুসরণে ‘নিনি’ বলে ডাকতেন)। তাঁর এক পুত্রবধূ উমা (মুখোপাধ্যায়) কাজী, অন্যজন কল্যাণী কাজী। নির্বাক ও প্রায় স্মৃতিশক্তিহীন নজরুল ইসলামকে আমৃত্যু সেবিকার যত্নে, কন্যার ভালোবাসায় এবং মায়ের স্নেহে আগলে রেখেছিলেন যিনি, তিনিই উমা কাজী, ব্রাহ্মণ পরিবারের এই নারী।

কাজেই, যদি সত্যিই নজরুলকে গ্রহণ করতে হয়, তাহলে তাঁকে সম্পূর্ণতা ও সামগ্রিকতায় গ্রহণ করতে হবে। নজরুলকে চর্চা করতে চাইলে তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনার চর্চা করতে হবে। ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষচর্চা আর নজরুলচর্চা এক হৃদয়ের কাজ নয়।

লক্ষ্য করুন, যে কবিকে বাঙালি মুসলমানের একটা বড় অংশ নিজেদের একক সম্পত্তি করে তুলতে চান, সেই কবি যদি আজকের এই সময়ে লিখতেন—

কাটায়ে উঠেছি ধর্ম-আফিম-নেশা,
ধ্বংস করেছি ধর্ম-যাজকী পেশা,
ভাঙি মন্দির, ভাঙি মসজিদ,
ভাঙিয়া গির্জা গাহি সঙ্গীত,
এক মানবের একই রক্ত মেশা,
কে শুনিবে আর ভজনালয়ের হ্রেষা।

কিংবা নিজের সন্তানের নাম রাখতেন ‘কৃষ্ণ মুহাম্মদ’, তাহলে ওরাই হয়তো আজ তাঁকে ধর্মানুভূতিকে আঘাত হানার অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিত কোনও মামলায়!

যে-হৃদয় বিষাক্ত, সে-হৃদয় ফুলের মধুকেও বিষ হিসেবে গ্রহণ করে; তাই তার দ্বারা মধুর গুণ বিচার করা যায় না। কাজী নজরুল ইসলামকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হলে তাঁকে তাঁর সামগ্রিক অবস্থান থেকে গ্রহণ করতে হবে। নজরুলের গজলও সত্য, শ্যামাসঙ্গীতও সত্য— সত্য ধর্মীয় ভণ্ডামি ও কূপমণ্ডুকতা-বিরোধী উচ্চারণ। আর এই কারণেই ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিরোধ হিসেবে নজরুল-চর্চা অনস্বীকার্য। তিনি আমাদের ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সেই সম্পদকে আমাদের নিজেদের স্বার্থেই যথার্থরূপে চিনে নিতে হবে।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5088 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...