দেবাশিস মিথিয়া
এই জমি একত্রীকরণ নীতি নিয়ে কৃষক ও সরকার, যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে একে অপরের মুখোমুখি, যা পাঞ্জাবে এক তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের মূল উদ্বেগ; উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া তাঁদের পারিবারিক উর্বর কৃষিজমি চিরতরে হাতছাড়া হয়ে যাবে। পাঞ্জাবের অর্থনীতি যেহেতু কৃষিনির্ভর, তাই জমিই তাঁদের জীবন-জীবিকার মূল ভিত্তি। একবার কৃষিজমি আবাসিক বা বাণিজ্যিক হয়ে গেলে সেখানে কৃষিকাজের আর কোনও সুযোগ থাকবে না। চাষিরা মনে করছেন, তাঁদের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। প্রস্তাবিত প্লট, বুথ কিংবা একর প্রতি ১ লাখ টাকা ভাড়া— দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এগুলো যথেষ্ট নয়। অনেক কৃষকের বাণিজ্যিক বুথে ব্যবসা শুরুর মূলধনও নেই, আর ব্যবসা করার মতন দক্ষতাও নেই। এছাড়াও জমির সঙ্গে তাঁদের গভীর সামাজিক ও মানসিক সম্পর্ক রয়েছে; পূর্বপুরুষের জমি ছেড়ে দেওয়া তাঁদের কাছে এক বড় মানসিক আঘাত। ভূমি অধিগ্রহণ ও প্লট বণ্টনের স্বচ্ছতা নিয়েও কৃষকদের মনে সংশয় রয়েছে
ভারতের শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাব এখন এক নতুন সংকটের মুখে। এই সংকট শুধু কৃষকদের জীবিকাকেই প্রভাবিত করবে না, দেশের খাদ্যসুরক্ষাকেও বিপন্ন করতে পারে। গত ৪ জুন, ২০২৫ তারিখে পাঞ্জাব সরকারের হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ‘ভূমি একত্রীকরণ’-এর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর থেকে এই সংকটের শুরু। এই বিতর্কিত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কৃষকদের উর্বর জমি অধিগ্রহণ করে সেগুলোকে আবাসিক বা বাণিজ্যিক জমিতে রূপান্তরিত করতে চাইছে। সরকারের লক্ষ্য হল শহুরে এলাকার প্রসার ঘটানো, খণ্ডিত জমি একত্রীকরণ, বাধ্যতামূলক জমি অধিগ্রহণের বিতর্ক এড়ানো এবং জমির মালিকদের উন্নয়নের অংশীদার করে তাদের লাভবান করা।
এই প্রকল্পের অধীনে, কৃষকরা কী কী সুবিধা পাবেন তার একটা প্রস্তাব রয়েছে। যদি কেউ বাসস্থানের জন্য জমি দেন, তাহলে প্রতি একর কৃষিজমির বিনিময়ে তিনি ১,০০০ বর্গগজ উন্নত বাসস্থানের জমি পাবেন। আর শিল্পখাতের জন্য জমি দিলে একর প্রতি ১,৬০০ বর্গগজ উন্নত শিল্প সাইট পাবেন। তবে প্লট বরাদ্দ হবে লটারির মাধ্যমে। এছাড়াও, কৃষকরা বছরে একর প্রতি ১ লাখ টাকা ভাড়া পাবেন, যা প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে বাড়বে। প্রকল্পের নাম নথিভুক্তির সময়ই ৫০,০০০ টাকা অগ্রিম দেওয়া হবে এবং ২১ দিনের মধ্যে কৃষকরা ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’[1] হাতে পাবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, জমি অধিগ্রহণের পর থেকে উন্নয়ন শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়টা কৃষকরা তাঁদের জমিতে চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারবেন এবং একই সঙ্গে তাঁরা জমির ভাড়াও পাবেন। এই প্রকল্পের আওতায় জমির বেচাকেনায় কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না।
বিতর্কের কারণ ও প্রতিবাদ
এই প্রকল্পের জন্য পাঞ্জাব সরকার ৬৫,০০০ একর উর্বর কৃষিজমি চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র লুধিয়ানা জেলাতেই রয়েছে প্রায় ২৪,৩১১ একর। এখানেই বিতর্ক এবং প্রতিবাদের শুরু। ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পুনর্বাসন আইন, ২০১৩ (LARR Act, 2013)-এর ধারা ১০ অনুযায়ী, বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া উর্বর কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা যায় না, কিন্তু পাঞ্জাব সরকার এই নিয়ম মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে, এই নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার পরবর্তী শুনানি ১৯ আগস্ট হওয়ার কথা। কৃষকদের পাশাপাশি বিরোধীরাও অভিযোগ করছেন যে, সরকার এই নতুন পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ‘শস্যভাণ্ডার’-এর উর্বরতম জমিগুলো অধিগ্রহণ করতে চাইছে। কৃষকরা মনে করছেন, এটি তাঁদের চিরকালের জীবিকা কেড়ে নেওয়ার একটি কৌশল। তাই এর বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ দিন দিন তীব্র হচ্ছে।
কৃষক বনাম সরকার
এই জমি একত্রীকরণ নীতি নিয়ে কৃষক ও সরকার, যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে একে অপরের মুখোমুখি, যা পাঞ্জাবে এক তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের মূল উদ্বেগ; উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া তাঁদের পারিবারিক উর্বর কৃষিজমি চিরতরে হাতছাড়া হয়ে যাবে। পাঞ্জাবের অর্থনীতি যেহেতু কৃষিনির্ভর, তাই জমিই তাঁদের জীবন-জীবিকার মূল ভিত্তি। একবার কৃষিজমি আবাসিক বা বাণিজ্যিক হয়ে গেলে সেখানে কৃষিকাজের আর কোনও সুযোগ থাকবে না। চাষিরা মনে করছেন, তাঁদের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। প্রস্তাবিত প্লট, বুথ কিংবা একর প্রতি ১ লাখ টাকা ভাড়া— দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এগুলো যথেষ্ট নয়। অনেক কৃষকের বাণিজ্যিক বুথে ব্যবসা শুরুর মূলধনও নেই, আর ব্যবসা করার মতন দক্ষতাও নেই। এছাড়াও জমির সঙ্গে তাঁদের গভীর সামাজিক ও মানসিক সম্পর্ক রয়েছে; পূর্বপুরুষের জমি ছেড়ে দেওয়া তাঁদের কাছে এক বড় মানসিক আঘাত। ভূমি অধিগ্রহণ ও প্লট বণ্টনের স্বচ্ছতা নিয়েও কৃষকদের মনে সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে, সরকারের যুক্তি হল, দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোর জন্য পরিকল্পিত আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার অভাব মেটাতে এই নীতি প্রয়োজন। এটি সুসংগঠিত উপায়ে নতুন শহরের উন্নয়ন ঘটাবে, দ্রুততর করবে উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে। পাশাপাশি, জমির বাজার— মূল্য বৃদ্ধি করবে এবং বিনিয়োগ টানবে, যা রাজ্যের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কেন সরকারে আস্থা নেই
তবে, সরকার যাই বলুক না কেন, সরকারের উপর চাষিদের কোনও আস্থা নেই। আর এই আস্থাহীনতা, অবিশ্বাস একদিনে তৈরি হয়নি। পাঞ্জাবে ভূমি একত্রীকরণ প্রক্রিয়াটি কেবল কৃষকদের অসন্তোষই নয়, বরং সরকারের প্রতি তাদের বহু বছরের পুঞ্জীভূত অবিশ্বাসকে প্রকট করে তুলেছে। ‘কমন ল্যান্ড’-এর অধিকারের নিষ্পত্তি না হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা এই আস্থাহীনতার একটি বড় কারণ। সাঙ্গরুরের ‘বীর এশওয়ান’ গ্রামে ভূমিহীন দলিতদের মধ্যে ‘জিন্দ’ রাজপরিবারের খাস জমি ভাগ করে দেওয়ার দাবিতে ‘জমিন প্রাপ্তি সংঘর্ষ কমিটি’র নেতৃত্বে চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার থাকলেও সরকার নীরব ছিল। এমনকি চলতি বছরের ২০ মে, চাষিরা জমি দখল কর্মসূচির ডাক দিলে পুলিশ প্রায় ৮৫০ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন জেলে পাঠায়। এর পাশাপাশি, শম্ভু এবং খানৌরি সীমান্তের কৃষক আন্দোলনকে নির্মমভাবে ভেঙে দেওয়া ছিল সরকারের দমনমূলক মনোভাবের আরও স্পষ্ট উদাহরণ। জোরপূর্বক আন্দোলন দমন, কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ এবং প্রতিবাদী কৃষকদের জেলে পাঠানোর মতো ঘটনাগুলো কেবল ঔদ্ধত্যের পরিচয়ই নয়, বরং কৃষকদের প্রতি সরকারের চরম অবজ্ঞারও ইঙ্গিত দেয়। এমন ধারাবাহিক দমন-পীড়নের ফলে কৃষকদের মনে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাঁরা মনে করেন, সরকার তাঁদের দাবিকে উপেক্ষা করে এবং তাঁদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে। এই দমন-পীড়নমূলক আচরণ কৃষকদের মধ্যে সরকারের প্রতি স্থায়ী অবিশ্বাস তৈরি করেছে, যার ফলে তাঁরা এখন সরকারের যে-কোনও নতুন নীতির বিরুদ্ধে সহজেই এক ছাতার তলায় জড়ো হতে পারছেন। তাই বিতর্কিত ভূমি একত্রীকরণ নীতির বিরুদ্ধে আবারও চাষিরা একত্রিত হয়েছেন।
কেন পাঞ্জাবে জমি একত্রীকরণ নিয়ে বিতর্ক
জমি একত্রীকরণ মডেল জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়াতে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এমনকি ভারতের গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লির মতো বহু স্থানে এই মডেল সফলতা পেয়েছে। কিন্তু পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে এর সাফল্য নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। যেমন:
- পাঞ্জাব ভারতের ‘শস্যভাণ্ডার’, এখানকার কৃষিজমির উর্বরতা তুলনাহীন। জমি একত্রীকরণের সফল মডেলগুলো কোনওটাই পাঞ্জাবের মতো এতটা উচ্চ-উৎপাদনশীল জমির ওপর গড়ে ওঠেনি।
- আন্তর্জাতিক ও ভারতের সফল একত্রীকরণ মডেলগুলোতে জমির মালিকদের স্বেচ্ছামূলক অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু পাঞ্জাবে সরকারের প্রতি কৃষকদের গভীর আস্থাহীনতার কারণে কৃষকরা মনে করছেন, এই নীতি তাঁদের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
- সরকার পাঞ্জাবের বহু-ফসলি সেচযুক্ত উর্বর কৃষিজমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অথচ অন্যান্য সফল মডেলে একফসলি বা পতিত জমিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।
- কৃষকদের জন্য প্রস্তাবিত পুনর্বাসন প্যাকেজ, চাষিদের দীর্ঘমেয়াদি কৃষি-আয় ও জীবনযাত্রার মানের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সফল মডেলগুলোতে পুনর্বাসন প্যাকেজ চাষিদের কাছে গ্রাহণযোগ্য ছিল।
- এমনিতেই ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, ঋণের বোঝা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাঞ্জাবের কৃষকরা জর্জরিত; এই নীতির মাধ্যমে কৃষিজমি কমে গেলে তা চলমান কৃষিসংকটকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
কেন খাদ্য-নিরাপত্তা বিঘ্নিত
ভারতের মতো জনবহুল কৃষিনির্ভর দেশে, পাঞ্জাব সরকারের এই জমি একত্রীকরণ নীতি খাদ্য-নিরাপত্তার উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ:
- গম, ধান ও অন্যান্য খাদ্যশস্য উৎপাদনে পাঞ্জাব দেশের অন্যতম প্রধান রাজ্য। যদি এখানকার উর্বর কৃষিজমি আবাসিক বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়, তাহলে দেশের মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যাবে। মনে রাখতে হবে, কৃষিজমি একটি সীমিত সম্পদ; একবার এটি বাণিজ্যিক বা আবাসিক কাজে রূপান্তরিত হলে, তা সহজে কৃষিকাজে ফিরিয়ে আনা যায় না।
- দেশের অভ্যন্তরে খাদ্য উৎপাদন কমে গেলে, অভ্যন্তরীণ খাদ্যচাহিদা মেটাতে খাদ্য-আমদানির উপর নির্ভরতা বাড়বে। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার উপর চাপ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা দেশের খাদ্যনিরাপত্তাকে প্রভাবিত করবে।
- উৎপাদন কমলে বাজারে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ কমে যাবে, যার ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সংগ্রহ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে এবং দেশে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বাড়াবে।
- কৃষিজমি শুধু ফসল ফলায় না, এটি মাটির স্বাস্থ্য, জলের উৎস এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কৃষিজমির বাণিজ্যিকীকরণ ঘটলে কৃষি-বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হবে যা দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ
এই জমি একত্রীকরণ মডেলের বিরুদ্ধে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) এবং কিষাণ মজদুর মোর্চা (কেএমএম )-র মতো বড় কৃষক সংগঠনগুলো একত্রিত হয়েছে। তাঁরা ৩০ জুলাই ট্র্যাক্টর মার্চ ও ৩১ জুলাই ডিসি অফিস ঘেরাও-এর মতো কর্মসূচি পালন করেছে। অনেক গ্রামে ইতিমধ্যেই এই নীতির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। গ্রামে গ্রামে, ‘আপ’ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। সব মিলিয়ে, কৃষকদের এই আন্দোলনের ফলে পাঞ্জাব সরকার এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ভবিষ্যতে কী হবে, তা নির্ভর করছে সরকার এবং কৃষকদের মধ্যে আলোচনার ফলাফলের উপর। কৃষকরা তাঁদের উর্বর জমি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর এবং তাঁরা যে কোনও মূল্যে এই জমি একত্রীকরণ প্রকল্পকে আটকাতে চাইছেন। অন্যদিকে, সরকার রাজ্যের উন্নয়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য এই নীতিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার কি কৃষকদের উদ্বেগ নিরসনে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে? এখন দেখার, কৃষকদের মন পেতে সরকার কোনও গ্রহণযোগ্য প্যাকেজ ঘোষণা করে কিনা— যা চাষিদের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যদি তা না হয়, তবে কৃষকদের আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে তা সহজেই অনুমেয়।
[1] এটি একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি, যা কোনও চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রথম ধাপ হিসেবে এক বা একাধিক পক্ষের আগ্রহকে বোঝায়।

