চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

আমতলা জামতলা

 


ছায়া। পা-পিছলে-যাওয়া ছায়া।
গর্ভ-খসানো অন্ধকার।
ব্যথা। গায়ে চেপে-বসা গাছে
পাতা চুপ, নির্জনতার।
রৌদ্র পড়ে না, কেউ আসে কি আসে না!
আর, দোলনা টাঙানো।
দড়িতে গলা দিল মন, মাসি পিসি দৌড়ে এল,
ঘুম পাড়ানোর


আমি কিন্তু জানি। আমি ঘাটে-ভেসে-ওঠা
মৃত শিশুদেরও দেখে ফেলেছি।
মাথায় শকুন ওড়ে। অসুখের দিন।
গাছতলার ঘাসে, অদৃশ্যদের পাশে, শব্দজব্দ খেলে
বিশ্ব ভুলেছি।
দিনকাল! আমপল্লবে চোখ ঢেকে নিলাম


বীভৎসরস, ধর্ম আমার।
অসাড়তা, অভ্যাস আমার।
হত্যা না-করি যখন, হাত-পা চিবোই
বিষবিচি জড়ো করে বাচ্চার বালিশের খোলে তুলে দিই।
সেটাই যাপন।
ও আমার জামপাতাটির মতো চকচকে
ব্যর্থ মনোরথ,
গা থেকে করুণা ছাড়িয়ে, ঘষে দাও
পরশ্রীকাতর ধুলোবালি


আমতলা। জামতলা। মেয়েতলা।
চুড়িগলি। শাড়ি ও হিজাব।
রেলবাজারের মন্দ আলো। শপিংমলের কোল। দোলে দোলে…
আমতলা। জামতলা। মেয়েতলা।
বিক্রি ও পসরা ফুরোলে,
আগেই লিখেছি, এই ছায়াচ্ছন্ন শেষ আশ্রয়
মিথ্যে-মিথ্যে মায়েদের

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5217 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

  1. অনেক স্তরে নাড়া দেয় এই কবিতা, জাগিয়ে তোলে এমন যা নিজের ভেতরে আছে, আগে জানতাম না।

Leave a Reply to কল্পেশ দস্তিদার Cancel reply