![k2](https://i1.wp.com/www.4numberplatform.com/wp-content/uploads/2018/06/k2.jpg?resize=678%2C381&ssl=1)
খুব চেনা ধুলোপথ
অলীক
খুব সুখী কলহ-সকাল আর ভেজা আলপথ
পেরিয়ে আসছে দু-চারটি কবিতা,
আলো হয়ে ফিরে যাচ্ছে মৃদুমন্দ ধুলো,
নিছক ভালোতে বাসা জড়ানো
সবটা তাকিয়ে থাকা চোখ যে কোন সময়
বলে ওঠে ‘মনে রেখে দেব‘
তবু ডায়েরির ঘিয়েটে পাতা আরও বর্ণীল হয়ে ওঠে,
ক্ষয়ী ম্লান ঠোঁট হয়ে ওঠে কাউন্টার,
অথবা পাতকুয়োর ধার ঘেঁষা মধ্যরাত।
দূরত্ব বাড়ছে বলেই খুব কাছাকাছি চলে আসছি জেনো।
স্থিতি
সরল নামের খুব হাওয়া গায়ে গায়ে বসে আছে। আচমকা পাহাড় আসে রেলপথ ধরে। অসম্ভব এক একটা ঘিরে থাকা পার করছি রাত একটার ঘুম জুড়ে।
ক্রমশ বাসা বদল হয়। স্থিতির মধ্যে তার উড়ে চলা টুপি, পাহাড় চিনতে শেখায়, জল ছুঁতে শেখায়।
ট্রেন-কামড়ার বাঁদিক জুড়ে ঘুম আসে। আংটি বদল হয়। গতিতত্ত্বে ভরসা রেখে আরও একটা লাইন লিখে ফেলি।
গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও তারা উড়ে উড়ে চলা পাখি। এমন সময় তাকে ‘শ‘ নামের শব্দে জড়াই।
জলরং
হস্তাক্ষর জুড়ে শুধু ছায়া। ভরাট হচ্ছে দু‘চোখ, স্ক্রিন। যেনবা প্রচ্ছদ লেগেছে গায়ে। মাউথ অর্গানে বেজে চলে ছেলেবেলা, হাতমুঠো ধুলো।
দু‘ টাকার পেপসিতে আবার হবে তো যাতায়াত? আবার টো টো-ময় ভ্রমণের টানে ফিরে ফিরে যাবে অকস্মাৎ ধুলো।
বালিশের উবু হয়ে শোয়া কখনও কথা বলবে না। সবটা বুঝে নিতে হবে। ঝোলাগুড়, ঝোলাব্যাগ এসব উপেক্ষা করে চল তবে ঘুরে আসি।
একেকটা প্যারাসিটামলের গায়ে জ্বর এলে আমরাই তখন ছক্কা ফুড়ুৎ।
তিষ্য
অকস্মাৎ ফিরে আসি-ফিরে আসি হাওয়া। যেন ডানা ঝাপটানো রেখে ফিরে আসি। চেনা রোদ্দুরে ভীষণ আলতো গা ভেজানো কিংবা পাখি পাখি চিৎকারের রঙে ফিরে আসি।
বারংবার প্রেম। এত চাওয়া নিয়ে হাবুডুবু শিখি ক্রমশ। ভিড় আমায় আড়াল করে তার নিজস্ব স্বভাবে। কখনও কখনও আমারও তো ভিড় হতে ইচ্ছা হয়! সবটা তখন আমার হাতে। অচেনা চোখ, অচেনা হাত।
হাতড়াই। ভাঙি। এগিয়ে আসি। লিখি। কাটি। আবার লিখি। তার বেঁধে রাখি শরীরে। ভুলে যাওয়া সুর বেজে উঠবেই টুংটাং। তারও নাহয় ডিসেম্বর আসুক! আরও একটু শীতে শোনা যাক পালক খসার শব্দ।