![Image 1](https://i2.wp.com/www.4numberplatform.com/wp-content/uploads/2017/06/Image-1.jpg?resize=678%2C381&ssl=1)
অভীক ভট্টাচার্য
আজহুঁ না আয়ে শ্যাম
পাশাপাশি দুই শুদ্ধ স্বর – নিষাদ আর ধৈবতের মধ্যে দুলতে থাকা সেদিনের মায়াঝরা সন্ধ্যাখানির একপ্রান্তে আপনি দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকক্ষণ। সেখান থেকে ছোট্ট, প্রায় দেখা যায় না, অথচ বুকে চমক দিয়ে ডাকার মতো হালকা এক মিড়ে ভর দিয়ে সা-তে এসে যেমন দাঁড়ালেন, অমনি খোলা জানালা দিয়ে অনেকখানি চাঁদের আলো যেন নেমে এল ঘরে। সেখান থেকে গান্ধার, গান্ধার থেকে মধ্যম, মধ্যম থেকে গান্ধার ছুঁয়ে আবার মধ্যম – কেন যেন কিছুতেই গা আর মা-এর মায়া কাটাতে পারছিলেন না আপনি। যেন নিয়তিতাড়িত আপনার সেই গান্ধার আর মধ্যমের কাছে ফিরে-ফিরে যাওয়া – যেন পুরনো ভোপাল শহরের তস্য গলি, গোল চওক আর শ্যাওলা-ধরা কার্নিসের সঙ্গে আপনার শৈশব-কৈশোরের সব প্রেম, সব সোহাগ, সব বিস্ময়বোধের কথা কেবল ওই গান্ধার আর মধ্যমটুকুর মধ্যে বিকেলের শেষ রৌদ্ররেখাটির মতো আটকা পড়ে আছে। তার অনেকক্ষণ পরে আপনি যখন মধ্যমের রেশ ধরে পঞ্চমে পৌঁছন… জানালার বাইরে গান্ধার-মধ্যম-পঞ্চমের হাওয়ায় সরসর দুলতে থাকা নারকেলগাছের পাতায় ততক্ষণে লুটোপুটি খাচ্ছে চাঁদ – পরিরা তাদের রুপোলি জরির জামা ঘাটের পৈঠেয় খুলে রেখে জ্যোৎস্নার জলে নাইতে নেমেছে…
সখি কী পুছসি অনুভব মোয়
তারপর পঞ্চমের ঘাট থেকে একধাপ নেমে আপনি অল্প হেসে ফের মধ্যমে দাঁড়ান। আপনার গোড়ালি-অবধি গতজন্মের শান্ত জল, যেন স্মৃতির ঘুঙুরের মতো বেজে ওঠে। আমরা দেখি, বাইরের সেই আকাশ ভাসানো জ্যোৎস্নার কয়েক কুচি যেমন জলে, তেমনই অলক্ষ্যে এসে বসেছে আপনার পাতলা চুলে, চওড়া কপালে, খাড়া নাকে, কানের একটুকরো ঝকমকে দুলেও। সে কি শুধু চোখের ভুল, নাকি জ্যোৎস্নায় আলগোছে একটু ঝিকিয়ে ওঠে আপনার আধবোজা দুই চোখও? নাকি, তা জ্যোৎস্নায় যতটা না, তার চেয়ে বেশি নাদান আমাদের প্রতি নিছক কৌতুকে? … কৌতুকেই হবে, কেননা গান্ধার-মধ্যম-পঞ্চমের তিন ভুবন জুড়ে জ্যোৎস্নার সঙ্গে গোল্লাছুট খেলতে-খেলতে আপনি তখন আমাদের ক্রমে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন ঘনিয়ে আসতে থাকা তুঙ্গ মুহূর্তটির জন্য – যখন গান্ধার থেকে মর্মছেঁড়া চকিত এক মিড়ে মধ্যম হয়ে ধৈবত ছুঁয়ে আপনি পঞ্চমে এসে দাঁড়াবেন… তারপর, স্বর্গ থেকে মাটিতে নেমে আসার পথে দুই মধ্যম লাগবে কি লাগবে না… আকাশ থেকে নেমে আসা দেবতাদের আশীর্বাদের মধ্যে গোটা সন্ধ্যাটি রেখাব হয়ে সা-এর উঠোনে অনির্বচনীয় পেখম মেলে দাঁড়াবে…
গণ্ডুষজলমাত্রেণ সফরী…
নাদান ঠিকই, কিন্তু তাতে নিজেকে একঘটি জলে লাফাতে থাকা পণ্ডিতম্মন্য পুঁটিমাছটি বলে ভাবতে বাধা কোথায়? নাদান মানে তো এই নয় যে, জীবনে কখনও আনন্দী কল্যাণ শুনিনি এর আগে! মদন মোহনের সুরে লতা মঙ্গেশকরের গলায় “তু যাহাঁ চলেগা মেরা সায়া পাস হোগা” দিয়ে যে মুগ্ধতার শুরু স্কুলবয়েসে, তা কালেজ পেরোতে না-পেরোতে অনেক পথ পেরিয়ে আগ্রা, জয়পুর-আত্রাউলি ও ইন্দোরের অনেক বুজুর্গের গলায় আনন্দী, ওরফে নন্দ কল্যাণের স্বর্গীয় স্বাদ পেয়ে গিয়েছে। আগ্রাওয়ালে মেহবুব খাঁ দরসপিয়ার বিলম্বিত ঝুমরার বন্দিশ “এ বারে সইয়াঁ সকল বন ঢুঁঢুঁ” এবং ওই একই ঘরের বিলায়েত হুসেন খাঁ প্রাণপিয়ার দ্রুত তিনতালে বাঁধা “আজহুঁ না আয়ে শ্যাম, বহুত দিন বিতে”-র রেকর্ডিং শোনা হয়ে গিয়েছে আগ্রার রতনজনকর ও দিনকর কৈকিণীর গলায়, আকাশবাণীর অখিল ভারতীয় সঙ্গীত কার্যক্রমের রেকর্ডিং-এ শুনেছি জয়পুর-আত্রাউলির মল্লিকার্জুন মনসুর সাহেব ও বিদূষী কেশরবাঈজিকে, রামপুর-সহস্বানের নিসার হুসেন খাঁ-কে, গোয়ালিয়রের বিনায়করাও পটবর্ধন ও দত্তাত্রেয় বিষ্ণু পালুসকরকে, কিরানার রোশেনারা বেগমকে; এবং সর্বোপরি কিরানা-ভাঙা ইন্দোরের ঈশ্বরপ্রতিম উস্তাদ আমির খাঁ সাহেবকে। জেনে ফেলেছি যে, দুই মধ্যমের প্রয়োগঋদ্ধ, হামির ও বেহাগের আভাস-লাগা, কল্যাণ ঠাটের আশ্চর্য সুন্দর এই রাগটি জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ নয়, বড়জোর কুলীন কায়স্থ। ভাতখণ্ডের ‘হিন্দুস্তানি সঙ্গীতপদ্ধতি’-তে আনন্দীর নামোল্লেখও নেই। মাত্রই গত শতকের গোড়ার দিকে এর জন্ম, যদিও এর ঠিকুজি-কুলুজির সঙ্গে আগ্রার বাঘা-বাঘা রথী-মহারথীরা নিজগুণে জড়িয়ে। তানরস খাঁ সাহেবের সুযোগ্য শাগির্দ দরসপিয়াকে (যিনি সম্পর্কে আফতাব-এ-মৌসিকি ফৈয়াজ খাঁ সাহেব প্রেমপিয়ার শ্বশুরমশাই) আনন্দীর জনক মানা হয়, পরে এর মিঠাসে মোহিত হয়ে দরসপিয়ার কাছ থেকে রাগটি চেয়ে নেন আল্লাদিয়া খাঁ সাহেব, এবং কালক্রমে সেটি আগ্রা এবং আত্রাউলি দুই ঘরেরই ‘আপনি চিজ’ হয়ে ওঠে। কিন্তু এ রাগ সাবেক আমলে কখনও এটাওয়া বা মেওয়াটি বা মাইহারের বীণকারেরা বাজিয়েছেন বলে শুনিনি। তাই আপনার বাজনায় নন্দ কল্যাণের কী রূপটি ফুটে ওঠে, জানতে খুব সাধ ছিল।
তারপর, বেড়াল যেমন ইঁদুরদের নিয়ে খেলে, তেমনই, সারা রাত্রি ধরে আমাদের নিয়ে খেললেন আপনি…
তুম কাহে গয়ো পরদেস
পাপমুখে এ-কথা উচ্চারণের অপরাধ মার্জনা করবেন, কালেজে পড়ার কালে আপনাকে ‘বড় ঘরের ঈষৎ বয়ে যাওয়া বজাইয়া’ বলে শুনেছিলাম – এ-দিক সে-দিক থেকে নানা আকথা-কুকথা কানে আসার ফলে বাজনা না-শুনেই আপনার প্রতি (আবার বলি, নাদানের বুড়বকি মাফ করবেন) খুব খানিক ভ্রু-কুঞ্চন ও অশ্রদ্ধাবোধ উপার্জিত হয়েছিল। কাঁচা বয়েস যা শোনে তা-ই মানে – অনেক বড়-বড় মানুষের মুখে শুনে-শুনে খানিক বিশ্বাসও করতে শুরু করেছিলাম যে, “দেবী সরস্বতী নাকি কেবল আপনার হাতেই আসন পেতেছেন, হৃদয়ের সিংহাসনে বসতে সাহস করেননি”। আপনার দেশত্যাগ ও পাকিস্তানপ্রবাস, দীর্ঘ অদর্শন ও অশ্রবণজনিত অপরিচয়… তারপর প্রকাশ্য জলসায় আপনি আপনার বাজ ও তালিমের যে উত্তরাধিকার দাখিল করেছিলেন, তা নিয়ে আপনারই মাতুল পরিবারের তরফে প্রকাশ্যতর প্রতিবাদ… এটাওয়া-মেওয়াটির অন্তহীন কাজিয়া তথা পরিবারের নোংরা কাপড় পাড়ার মোড়ের কলতলায় এনে কাচতে বসার ক্লিন্নতা… এই সবকিছুই নিতান্ত অসংলগ্ন ও বিচ্ছিন্নভাবে, প্রাসঙ্গিকতার পূর্বাপরতা-ব্যতিরেকে কানে এসেছিল – বেজেছিলও বইকী। সেসব বিভ্রান্তিকর বিরক্তিজনিত কারণে, অনেককাল আপনাকে সেভাবে শুনিনি।
ইয়াদ পিয়া কি আয়ে
শুনিনি, কিন্তু ভুলেও যাইনি তাই বলে। সেসব ভোলা কি সম্ভব? হিন্দুস্তানি সঙ্গীতের অন্যতম পুরনো মেওয়াটি-ইন্দোর ঘরের সুযোগ্য উত্তরাধিকারী আপনি। কী সব বড়-বড় বুজুর্গের নাম জড়িয়ে আপনার খানদানের সঙ্গে। শাহি সদারঙ্গ পরম্পরার বড়ে মহম্মদ খান, হদ্দু হসসু খান ও নাত্থন পির বখশের রক্ত বইছে আপনার নীল শিরায়। আপনাদের ঘরে সকলেই নামজাদা গওয়াইয়া-বজাইয়া, জিন্দেগিতে কেউ কখনও সারেঙ্গিতে হাত ছোঁওয়াননি – এসব তো আপনারই মুখে শুনেছি বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। ছেলেবেলা থেকে তালিম ওয়ালিদ বীণকার মহম্মদ খাঁ সাহেবের কাছে। জীবনে যা কিছু তালিম হাসিল করেছেন, যে বাজ হাতে বসিয়েছেন – সব ওঁর কাছ থেকেই। সঙ্গে ছিল মায়ের নজরদারি। মিড়-ঘসিট অনুশীলন করতে গিয়ে বাঁ হাতের তর্জনী-মধ্যমা চিরে যখন রক্ত ঝরতে শুরু করেছে, মা তখন বরফের বাটি এনে সামনে ধরেছেন, কিন্তু রেওয়াজ থামানোর অনুমতি মেলেনি। সাপাটের গতি বাড়াতে চকোলেটের লোভ দেখিয়েছেন, কিন্তু সে চকোলেট হাতে পেয়েছেন দুরূহ তানকর্তব যথাযথ হাসিল করার পরেই। এমনকী ১১ বছর বয়েসে জলসায় বাজানোর সময়েও মা দর্শকাসনের প্রথম সারিতে বসে কীভাবে হাতে চকোলেটের ‘গাজর’ ঝুলিয়ে রাখতেন, সে গল্পও তো আপনিই শুনিয়েছেন। অবাক হয়ে ভেবেছি, মেওয়াটি-ইন্দোরের শাহি সদারঙ্গির সঙ্গে যদি মিশত এটাওয়া-ইমদাদখানির নিজস্ব গায়কি-অঙ্গ্, কী রোমাঞ্চকর একটা গঙ্গা-যমুনা সম্মিলন হত আমাদের বীণকার পরম্পরায়! মামাবাড়ির দিক থেকে ইমদাদখানি ঘরের আশীর্বাদও তো ছিল আপনার মাথায়। বাবা এনায়েতের এন্তেকালের পর বিলায়েত খাঁ সাহেব যখন আপনাদের বাড়িতে এসে চার বছর থাকছেন, সেটা তো হয়ে উঠতে পারত মাইহারের রবিশঙ্কর-আলি আকবর জুটিকে মেওয়াটি-এটাওয়ার জবরদস্ত জবাব। ভাবুন তো একবার, কী কাণ্ডটা হত! কিন্তু সে-কথা থাক। দেবী সরস্বতী হয়তো তা চাননি…
কিন্তু রক্তে যে সঙ্গীত মিশে আছে, তা যাবে কোথায়। তামাম হিন্দুস্তান তখন আপনাকে চিনছে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে… ওয়র্শ’-তে বিশ্ব যুব উৎসবে সেরার শিরোপা নিয়ে ফিরছেন… কেনেডি সেন্টারে আপনার গান্ধার-পঞ্চমে বাঁধা সেতারের ওপর বাঁ হাতের ঝরনার মতো বহলওয়া শুনে মাত হয়ে যাচ্ছে গোটা মার্কিন মুলুক…ইউসুফ খাঁ ওরফে দিলীপকুমারের বৈঠকখানায় বসে সুর করছেন “ঘুংরু টুট গয়ে”-তে – লিঙ্ক, মদন মোহনের সুরে মহম্মদ রফির ‘তুমহারি জুলফ কে সায়ে মে শাম কর লুঙ্গা’ – লিঙ্ক বা লতা মঙ্গেশকরের ‘রসমে উলফৎ কো নিভায়ে তো নিভায়ে ক্যায়সে’-র – লিঙ্ক প্রিল্যুড-ইন্টারল্যুডে সেতারকে নিয়ে যাচ্ছেন স্বর্গীয় উচ্চতায়… ক্যালিফোর্নিয়ায় আপনাকে বাজাতে ডাকছেন আলি আকবর খাঁ সাহেব… সে আসরে আপনার সঙ্গে তবলায় বসছেন জাকিরভাই… নন্দ কল্যাণ বাজাতে-বাজাতে – লিঙ্ক আশ্চর্য সুরেলা গলায় গেয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন সুরের আন্দাজ… সব মিলিয়ে সে কী স্বর্গীয় এক সাতমহলা সুরের সুলতানাৎ…এরই পাশাপাশি, সানাই-সেতারের যুগলবন্দিতে উস্তাদ বিসমিল্লাহ খাঁ সাহেবের সঙ্গে বাজাচ্ছেন ইমন – লিঙ্ক কিংবা সুলতান খাঁ সাহেবের সঙ্গে ইমন কল্যাণ – লিঙ্কক্যালিফোর্নিয়ার এক ঘরোয়া আসরে জাকিরভাইকে নিয়ে বসছেন ঝিঞ্ঝোটি বাজাতে – লিঙ্ক তিন-চার-পাঁচ পরদার মিড়ে মুহূর্মুহূ সৃষ্টি হচ্ছে সুরের ইন্দ্রজাল… আগাগোড়া গমকের ওপর দুনি চৌদুনি সাপাটে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল জুড়ে ঝড় তুলে দিচ্ছেন…
আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
তারপর, আবারও যখন সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতো সন্ধ্যা আসে – রচিত হয় জ্যোৎস্নাখচিত এক অনন্ত রাত্রির নিমেষহীন মায়া!
বাকি সবাই যখন আনন্দীর বন্দিশের শেষে শম দেখান গান্ধারে, আপনি অবধারিত গান্ধারে যেতে-যেতে আচমকা খরজে দাঁড়িয়ে পড়ে ঘাড় হেলিয়ে ডানপাশে বসা সঙ্গৎকারের চোখে চেয়ে মুচকি হাসেন। যেন, এটাই স্বাভাবিক। যেন বা, এর চেয়ে স্বাভাবিক কিছু কখনও ঘটেইনি কোনওদিন। প্রথমবার শুনে অনভ্যাসে কান চনচন করে ওঠে… দ্বিতীয়বার… তৃতীয়বারও… কিন্তু তিনমিনিট যেতে না-যেতে মনে হয়, শম মানে যদি হয় সব পাখির ঘরে ফেরা – সব নদীর – শম মানে যদি হয় পেরিয়ে আসা অন্তবিহীন পথ আসিতে তোমার দ্বারে – তা হলে এই যেন অন্ধকারে আঁকা সেই দ্বারপ্রান্তটি, যেখানে ব্যথার মাঝে আধেকলীন ঘুমিয়ে পড়ার সুনিশ্চিত অবকাশ… এর চেয়ে স্বাভাবিক শম আর কোথায়ই বা হতে পারে!
এই যে আপনি গা-মা-পা-ধা-নি-(ধা)পা; পা-ধা-(পা)হ্ম-হ্ম-পা; গা-মা-ধা-পা-রে-সা-র দৈবনির্দিষ্ট স্বরসঙ্গতির মধ্যে কখনও ঝলসে তোলেন হামিরের আভাস, কখনও দুই মধ্যমের ডানায় উড়িয়ে আনেন বেহাগের চকিত ইশারা, অবরোহে মাথায় রাখেন কল্যাণের শান্ত সুখস্পর্শ… অনুপম ছাড়া এর আর কী উপমা হতে পারে? এ তো বাজনা নয় শুধু – জীবন ও মৃত্যুর দুই পার জুড়ে জেগে থাকা রাত্রির অন্তর্লীন অপেরার এক আশ্চর্য, অনাহত উদ্যাপন।
বাজনা থেমে যাওয়ার পরেও, আহা, সেই জ্যোৎস্নাকীর্ণ রাত্রির অপার্থিব মায়া জেগে থাকে… যে মায়া আমাদের নিয়ে যায় অনন্তের যাত্রায় যোগ দিতে…