সোমেন বসু
বেটি আমার,
সেদিনের কথা তোর মনে আছে? ওই যে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলটা দিপান্দা ডিকা সাইডভলি করে জড়িয়ে দিল জালে। আমি খেতে খেতে উঠে দৌড়ে গেলাম টিভিটার সামনে, গোওওল বলে। আমার দেখাদেখি তুইও গোওওল বলে চেঁচাতে যাবি, আর ঠিক সেই সময় মা চোখ পাকাল, “অ্যাই… না… আমরা ইস্টবেঙ্গল…”
মনে নেই নিশ্চয়ই! না থাকারই কথা। ওইটুকু ছোট্ট মাথা…
তবে আয়, আজ তোকে জীবন দেখাই। দেখিয়ে রাখি। বড় হলে বুঝিস না-হয়…
তোর দাদু, মানে ঠাকুরদা, ইস্টবেঙ্গলের লাইফ মেম্বার ছিল। তুই দেখিসনি তাকে। আমাদের দেশ বরিশাল। আমি দেখিনি তাকে। আমার ছোটবেলায়, ঠিক তোর মতো ছোট নয়, আর একটু বড়, সাত-আট, সেই সময়। ফেডারেশন কাপ ফাইনাল, মনে আছে, সালটা বোধহয় ‘৮৫।এক্সট্রা টাইমে ওদের জামশিদ নাসিরির ভলিটা আমাদের জগদীশ ঘোষের নাগাল এড়িয়ে জড়িয়ে গেল জালে। তোর সেই ইস্টবেঙ্গল দাদু মোহনবাগান বাবার থুতনিটা নেড়ে “রুব-অ-অ-ন…. আজ রাতে ইলিশ খাব…” বলে উঠল। আমার তখন চোখে জল…
সেটাই বোধহয় টিভিতে আমার প্রথম গোটা ফুটবল ম্যাচ বোধ-সহকারে দেখা!
এই দ্বন্দ্ব, এই সহাবস্থান, এই হল জীবন, বুঝলি? যেমন ঢিল আর টাকা। ঢিলে মাথা ফাটে, আর সেই মাথাসমেত জীবনটাকে বাঁচানোর জন্য টাকা নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়া যায় অবলীলায়। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ। সহজ কথায় একের মধ্যে দুই। বিপরীতের মধ্যে ঐক্য। মানব-ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ দর্শন। বুঝবি’খন। বড় হলে…
আর ঠিক এটাই হল ফুটবল…
চ, একটু চা খেয়ে নিই। ওই… ওই দোকানটায়। দোকানি নেই কোনও। চা করা আছে। উনুনে ঢিমে আঁচ, তার ওপর বসানো ঐ পেল্লায় কেটলিতে। নিজে ঢেলে নিতে হবে গ্লাসে। সবাই নিচ্ছে তাই, দেখ। তারপর বেঞ্চে বসে খাও। তারপর… ওই দ্যাখ ক্যাশবাক্স রাখা। ছোট তালা ঝুলছে। ওপরে ফাঁক। কয়েন, ভাঁজ করা নোট ঢুকে যাবে। দিদুনের কাছে রাখা তোর লক্ষ্মীর ঝাঁপিটার মতো। লক্ষ্মীর ঝাঁপি, না পিগি ব্যাঙ্ক? যাই হোক…
কী জানতে চাইলি? চা-কাকু নেই কেন দোকানে?
আসবে। এই ধর, সাড়ে দশটা-এগারোটার সময়। বাচ্চাগুলো তখন স্কুলে যায়, অনেকে কাজেও…। এসে দোকানের কাজকর্ম গুছিয়ে দুপুরে বাড়ি। আবার দুটো-আড়াইটেয় দোকান খুলে চা বানাবে, বানিয়ে এমন রেখে দেবে উনুনের ঢিমে আঁচে, দিয়ে তিনটে-সাড়ে তিনটেয় আবার ফুট। ফিরবে সন্ধের পর। ততক্ষণ দোকান চলবে এমনভাবেই…
কেউ কোনওদিনও চা খেয়ে পয়সা না-দিয়ে চলে গেছে এমন হয়নি, হয় না! সবাই জানে, তোর এই চা-কাকু ফুটবল-পাগল। সকালে আর বিকেলে মাঠে চলে যায় বাচ্চাদের ফুটবল শেখাতে। পয়সাকড়ি নিয়ে নয়। এমনি এমনিই…
রাতে খাওয়াদাওয়ার পর আবার হয়তো মাঠে এসে বসে ওই লোকটা। একা। সবুজ ঘাস। অন্ধকারে কালো তখন। হয়তো শিশিরের ফোঁটা ডগায় ডগায়। তখন তার পাশে এসে থুপ করে বসে পড়ে আরেকটা ক্লান্ত মানুষ। কাঁধ থেকে নামিয়ে রাখে প্রোজেক্টর, গোটানো পর্দা। ক্লান্ত। সারাদিন অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখিয়ে বেড়িয়েছে তো আধুনিক ফুটবলের কলাকৌশল সব, বিদেশি ফুটবলের ক্লিপিং…। না না, ভুরু কোঁচকাস না… বুঝেছি! তখনও টিভিতে এসব দেখাত না রে মা। ধরে নে, অন্য একটা যুগের কথা। লোকটার শরীরেই ক্লান্তি কেবল, মনে মাথায় নয়। লোকটা তখন স্বপ্ন দেখবে ফুটবল মাঠে ফুল ফোটাচ্ছে ভারতীয়রাও। আধুনিক… আরও আধুনিক… বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে…। পুরনো ২-৩-৫-এর বদলে ৪-২-৪। ওভারল্যাপিং উইংব্যাক। ভবানী রায়। কে চিনত বল? ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসে নাম থেকে গেল! তারপর ডায়মন্ড। অন্ধকার মাঠ, যার পাশে হয়তো মফস্বলি ঝিল, কচুরিপানা, ঝিঁঝির ডাক… সেখানে তখন স্বপ্নের গ্যালাক্সি। অতিজাগতিক আলো! দুই বুড়োর স্বপ্নের সুতো ধরে গ্যালাক্সির অন্য প্রান্ত ধরে উঠে আসছে ছোট-বড় বাঁকা পা নিয়ে পোলিও-আক্রান্ত একটা কিশোর। পায়ে ফুটবল। সেই বাঁকা পায়ের তলাতেই একদিন নতজানু হবে বিশ্ব। উঠে আসছে ঔপনিবেশিক রগড়ানিতে থেঁতলে যাওয়া কালো রেলশ্রমিকের ছেলেটা। একটা গোটা মহাদেশের প্রতিনিধি হয়ে। আর… ওই দ্যাখ… একমাথা চুল আর স্বপ্নমাখা দুটো চোখ নিয়ে গাঁট্টাগোট্টা ছেলেটা। চৌকোনা মুখের নীচে দ্যাখ কেমন শক্ত চোয়াল। একটা বাতাবিলেবু নিয়েই স্কিল দেখাচ্ছে। বল জোটে না তো মা সবসময়! দেশে একনায়কের শাসন। ক’দিনের মধ্যেই আবার আছড়ে পড়বে ব্রিটিশ হানা। সেই সব কষ্ট, ঘাম, রক্তের শোধ নেওয়া হবে এই ফুটবল দিয়েই…
জানিস বেটি, একটা মজার কথা? সেই কোন যুগ থেকে সারা পৃথিবী জুড়ে লাখো লাখো অপরাধ করে চলা এই ব্রিটিশরা ছিয়াশিতে পৌঁছে খুব কাঁদবে। ওদের সাথে নাকি অন্যায় করা হল! বলবে, বাইরে যা হচ্ছে হোক! খেলার মাঠে কেন হবে এসব!!
ফুটবল কবেই বা আর নিছক খেলা ছিল, বল? থাকলে, এই আজও, মেসুট ওজিল এভাবে অবসর নেয়?
জার্মানি। এদের ফুটবল বড় যান্ত্রিক। ভালো লাগে না। কিন্তু জার্মানদের অস্বীকার করবে কে? সে অন্য কথা। আসল কথা যেটা, ফুটবল তো স্রেফ মাঠে খেলা হয় না। হিটলারের ভূত জার্মানরা এখনও ঘাড় থেকে নামাতে পারেনি, বোধহয় জানিস! হিটলার কে? শুনবি, শুনবি… বড় হ’…
একটা বিপজ্জনক সময়ে বেড়ে উঠছিস মা! গোটা পৃথিবীতেই অশুভ শক্তিরা তাদের দাঁতনখ মেলে দিচ্ছে। হিটলারের আত্মার পোয়া-বারো এখন!
সে কথাও থাক। তুই ওই ২-৩-৫, ৪-২-৪ যখন বলছিলাম, বড় করছিলি না ছোট ছোট চোখগুলো? ভাবছিলি অঙ্ক কেন? আচ্ছা শোন… একটা অঙ্কের কথাই শোনাই…
অঙ্ক মানে একজন অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের কথা। ডেভিড হিলবার্ট। এই জার্মানির। বিশ্ববিখ্যাত গটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই সময়ে গটিংগেনে তিনজনকে একসঙ্গে ত্রিরত্ন বলে ডাকা হত। ডেভিড হিলবার্ট, ম্যাক্স বর্ন আর জেম্স ফ্রাঙ্ক। শেষ দু’জনই ইহুদি। নোবেল লরিয়েট। তো তখন হিটলার এসেছে ক্ষমতায়। আর শোনা যেতে শুরু করেছে, জার্মানির যাবতীয় সমস্যার জন্য দায়ী নাকি ইহুদিরাই! এখন যেমন আমাদের দেশে শোনা যায় মুসলিমদের কথা! শুধু শোনাই গেল না, পত্রপাঠ বিদেয় করে দেওয়া হল এই গটিংগেন থেকে সাত-সাতজন দিকপাল বিজ্ঞানীকে। তাঁদের মধ্যে বর্নও ছিলেন। ফ্রাঙ্ককে তাড়ানো হয়নি, কিন্তু আত্মসম্মানী মানুষটা নিজেই পদত্যাগ করেছিলেন। যাই হোক, এসবের বছরখানেক পর হিলবার্টের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে দেখা হল নাৎসি শিক্ষামন্ত্রীর। হিলবার্ট রয়েছেন। তিনি তো বিশুদ্ধ নর্ডিক! তাঁদের মধ্যে যে কথাবার্তা, শোনাই তোকে…
–আচ্ছা প্রফেসর, এ কথা কি সত্যি এই ইহুদি বিতাড়নে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অঙ্গহানি হয়েছে?
–না তো! কারা বলে এসব কথা?
–তাই বলুন! লোকে এসব রটিয়ে বেড়াচ্ছে!
–ওসব কথায় কান দেবেন না একদম। অতীতের গটিংগেন এখন আর জীবিত নেই। মৃতলোকের আবার অঙ্গহানি কীসের!
খোঁচাটা গায়ে লাগল মন্ত্রীর। জিজ্ঞেস করলেন,
–আচ্ছা ওই সাতজনের বদলে আমরা যদি আপনাকে সাতজন পাওয়ারফুল নর্ডিক বিজ্ঞানী এনে দিই?
–হের মিনিস্টার, আপনাদের এই পাওয়ার-পলিটিক্সটা আমি ঠিক বুঝি না। আমি অঙ্কের লোক, আমি খালি বুঝি জিরো টু দি পাওয়ার সেভেন ইজিকুয়ালটু জিরো!
এই নাৎসিদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পেই পোলিশ বন্দিরা যন্ত্রণা ভুলতে নিজেদের মধ্যে ফুটবল খেলত… কিন্তু সেটা অন্য গল্প। সেই জিরো টু দি পাওয়ার সামথিং ইজিকুয়ালটু জিরোর অভিশাপ জার্মানরা আবার দেখল এতদিন পর, এবারের বিশ্বকাপে..
আমাদের দেশেও এখন হিটলারের বেশ কিছু ছানাপোনা। বাড়ছেও টুকটুক করে। তাদেরই একজন জার্মানি-সুইডেন ম্যাচের পর ফেসবুকে লিখেছে দেখলাম, গোলদাতা দু’জনই — রয়েস আর ক্রুজ — পিওর জার্মান। ওজিল আজই বাদ পড়েছে, বোয়াতেং লাল কার্ড, তাই পরের ম্যাচে নেই। বিশুদ্ধ জার্মান রক্তেই নাকি জার্মানির পুনরুজ্জীবন ঘটবে!
ওজিল তুর্কি, আর বোয়াতেং ঘানার।
কোরিয়া আবার দেখিয়ে দিল, এই জার্মান ডিফেন্সে বোয়াতেং-এর পরিবর্ত আসলে সেই জিরোর মাথায় পাওয়ার বসা!
ওদিকে সুইডেনে আবার জিমি ডারমাজ আক্রান্ত। সেই জাত তুলে। সেও তুর্কি বংশোদ্ভূত কিনা! শেষ সময়ে ক্রুজ যে ফ্রি-কিকে গোলটা করেছিল, সেই ফাউলটা ডারমাজেরই করা!
তাও তো ওজিল-ডারমাজরা তুর্কি। মানে ফর্সাই, আমাদের নিরিখে। কালোদের কী অবস্থা বুঝতে পারছিস!
হাউহাউ করে কাঁদছে মারিও বালোতেলি। গ্যালারিতে বল মারছে কেভিন বোয়াতেং। মাঠ থেকে উঠে যেতে চাইছে স্যামুয়েল এটো। লুকাকু বলছে, গোল করলে শুনি আমি বেলজিয়ান, মিস করলে ঘানা-বংশোদ্ভূত বেলজিয়ান।
বাঁদরের ডাক আর কলা দেখানো। কখনও ছুড়েও মারা। কালো চামড়া মানেই বাঁদর! মনুষ্যত্বে নাকি সাদাদেরই অধিকার!
বাঁদরই হোস বাবা! এ মনুষ্যত্বকে ঘৃণা করতে শিখিস মনেপ্রাণে…
ভালো করেছিল দানি আলভেজ। কর্নার করতে যাওয়ার সময় ওর দিকে ছুড়ে মারা কলাটা মাটি থেকে কুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিয়ে কর্নার কিক নিয়েছিল!
অভিবাসীদের জন্য ইউরোপের এখন বড় জ্বালা, জানিস। কিন্তু তা বললে কি হয়? একসময় সারা পৃথিবী জুড়ে সাম্রাজ্য গড়ার নামে লুঠতরাজ, অত্যাচার তো কম চালাওনি তোমরা হে গর্বিত সাদা চামড়ারা! এই যে আজ, রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, ২০১৭-র শেষ পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় সোয়া সাত কোটি মানুষ ঘরছাড়া, উদ্বাস্তু, রিফিউজি! সোমালি কবি ওয়ারশান শায়ার বলেছিলেন, “ঘর হাঙরের মুখে পড়ার আগে পর্যন্ত কেউ ঘর ছাড়ে না!” তা, এই হাঙরগুলো কারা ইউরোপ? সিরিয়ার ঘরছাড়া মানুষ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি। সেখানে তোমাদের ব্রিটিশরা মার্কিনদের সঙ্গে একদিকে, আর অন্যদিকে তোমাদেরই রাশিয়া ইরানকে সঙ্গে নিয়ে দেশটায় গৃহযুদ্ধ তৈরি করে দিয়েছে। নেবে না দায় তোমরা? সিরিয়ার আগে এই তালিকার শীর্ষে ছিল আফগানিস্তান। সেখানেও হামলা চালিয়েছিল কারা? ইঙ্গ-মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট। জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি, ক্রোয়েশিয়া – কে নেই সে ন্যাটোতে! নেবে না দায়? কাঠ খেলে ফার্নিচার হাগু তো করতেই হবে, বল! সে কি ছাড়বে?
ছাড়ে না… জীবনকেও না… ফুটবলকেও না…
চল্লিশ লক্ষ মানুষ আবার যুক্ত হয়েছে সেদিনই এই সোয়া সাত কোটির লিস্টে, জানিস! করেছে আমাদের মহান রাষ্ট্র। তুই তোর একটা ওপরের বাড়ির গল্প শোনাস না? কোত্থেকে পেলি এ কল্পনা, কে জানে! তবে এটা বুঝি, একটা মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের স্বপ্নও মানুষের ইনস্টিংক্ট। এদের মধ্যে কিছু মানুষকে এনে রাখিস মা তোর ওপরের বাড়িতে। তবে বুঝবি তোর বাঁদরত্ব সার্থক।
আর ফুটবল মাঠে যাস বড় হয়ে। বাবার মোহনবাগান, বা মায়ের ইস্টবেঙ্গলে। সে তোর পছন্দ। সমস্যা আছে সেখানেও। তোদের, মেয়েদের। খিস্তিখাস্তা হয় প্রবল। আর সে সবই জীবন, সমাজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মিসোজিনিস্ট প্রবলভাবে। আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই। মেয়েরাও ঠিক মানুষ নয় তো। কালো চামড়ার মতোই। তবু সেখানেও আশার আলো আছে, জানিস! লকার রুম টক এখন একটা আন্দোলনের নাম। ড্রেসিংরুমে প্লেয়ারদের মধ্যে সেক্সিস্ট, মিসোজিনিস্ট কথাবার্তা গালাগাল বন্ধ করার আন্দোলন। সেই আন্দোলনের একটা বড় নাম, সুইডেনের জিমি ডারমাজ। যার কথা বললাম একটু আগে…
সেই… সবটাই… একের মধ্যে দুই। দ্বন্দ্ব এবং সহাবস্থান। জীবনেও। ফুটবলেও।
তবে যদি মোহনবাগান হোস, জিন্দেগিতে কখনও কোনও ইস্টবেঙ্গলিকে কাঁটাতার বা রিফিউজি বলে গাল দিস না যেন…
ইতি, তোর বাবা
বহুদিন এত ভাল লেখা পড়িনি….
তুমি বলছ!! বাবা…. 🙁
শুধু অসাধারন বললে লেখাটিকে ছোট করা হয়।খেলাকে উপলক্ষ করে এত ভাল লেখা বাংলা ভাষায় আগে কোনও দিন কি পড়েছি?
অনেক ধন্যবাদ দাদা… কী আর বলি!!
বড্ড ভালো লেখা। এইসব বোধ, উদ্বাস্তু জীবন, বেঁচে থাকা যুদ্ধ এই সব প্রশ্নে নাড়া দিয়ে গেছে প্রবল।
ধন্যবাদ ভাই… 🙂
এমন লেখা পড়লে মন কেমন এক সুখে ভরে ওঠে, কেঁদে ওঠে। চমৎকার লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সোমেন’দা।
থ্যাঙ্কু… 🙂
নারায়ণ সান্যালের লেখা থেকে কিছুটা অংশ হুবহু নেওয়া হয়েছে। সেখানে ওনার নামোল্লেখ না করাটা উচিত হয় নি। প্লিজ ঠিক করে দেবেন।
হ্যাঁ, অনির্বাণ… ওটা বিশ্বাসঘাতক থেকে নেওয়া। আসলে এটা একান্তই একটা নিজের মেয়েকে লেখা চিঠি তো… তাই আর তথ্যসূত্র ইত্যাদি দিয়ে ভারাক্রান্ত করতে চাইনি….
পড়ার জন্য ধন্যবাদ…
জীবন ও সমাজের ভাঙ্গা না-ভাঙ্গা আয়নাগুলোর ওপর দিয়ে ড্রিবল করতে করতে বেরিয়ে গেল একটা অলৌকিক ফুটবল। অনবদ্য।