নিশীথিনী-সম

প্রতীক

 

 


লেখক পেশায় সাংবাদিক ও প্রবন্ধকার

 

 

 

 

বাঙালি আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে, আমরা শত বীণা বেণু রবে হইহই করব— এই অভিলাষেই উনবিংশ শতকের নবজাগরণের আলোকপ্রাপ্ত বাঙালির দিন এই একবিংশ শতাব্দীতেও কাটে। শ্রেষ্ঠ আসন কোনটা, তা চিহ্নিত করার ব্যাপারেও আমরা বেশ উদার, মোটেই গোঁড়া নই। আপাতত আমাদের মতে শ্রেষ্ঠ আসন হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের পদ। কদিন কী হয় কী হয় চলল, আভাস ছিল বাংলার গৌরব সৌরভ নতুন চেয়ারম্যান হবেন। কিন্তু হব হব করেও কিছুতেই হয়ে উঠছে না। ভারত, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের দাদাগিরির চোটে আইসিসি এমন এক কোমরভাঙা সংগঠনে পরিণত যে, নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের পদ্ধতি কী হবে তা নিয়ে পর্যন্ত বিবাদ বিসম্বাদ। খবরে প্রকাশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড চাইছে, আগের মতো দুই-তৃতীয়াংশ ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। দাদারা বিমুখ, তাঁরা চান সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিয়ম। এ বিবাদ না-মিটলে নতুন চেয়ারম্যানের নির্বাচন হবে না। ফলে, এক্ষুণি বাঙালির শ্রেষ্ঠ আসন লাভ সম্ভব হচ্ছে না।

না-ই বা হল পারে যাওয়া। আইসিসি চেয়ারম্যান না হলে কি সৌরভ গাঙ্গুলি বেহালার বাসিন্দা হয়েই থেকে যাবেন? ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজ থাকবেন না? তা তো নয়। ভারত অধিনায়ক হিসাবে ক্রিকেট ইতিহাসে তাঁর উজ্জ্বল অবদান মুছে দেওয়ার সাধ্য এমনকী অমিত শাহেরও নেই। টেস্ট ক্রিকেটে না-হলেও, একদিনের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা দশজন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁকে, স্রেফ পরিসংখ্যানের বিচারেও, না-রেখে উপায় নেই। অতএব উনি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব ক্রিকেটের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হবেন কিনা, সে আলোচনা এখন থাক। এই লকডাউনারামে (থুড়ি, আনলকারামে) ঠান্ডা মাথায় বরং সৌরভের ‘বিবর্তন’ নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করা যাক।

 

দাদা যা ছিলেন, যা হইয়াছেন

সে এক সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন। এই সহস্রাব্দের গোড়ায় যখন তাঁকে গড়াপেটা কলঙ্কিত ভারতীয় দলের অধিনায়ক করা হল, ক্রিকেট সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য লিখেছিলেন অধিনায়ক হলে হবে না, সংস্কারক চাই। দাবিটা তখন অনেকেরই বাড়াবাড়ি মনে হয়েছিল, এমনকী ভক্ত বাঙালিদেরও কারও কারও বুক কেঁপেছিল। কুড়ির ঘরে বয়স একটা ছেলের, এমনিতেই তার ঘাড়ে এমন একটা সময়ে অমন গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার ওপর আবার এতটা প্রত্যাশার ভার চাপিয়ে দেওয়া কি উচিত? অবাঙালিরা গৌতমবাবুর সে লেখা পড়তে পারেনি তাই, পারলে নির্ঘাত বলত ‘আদিখ্যেতা’। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২০০৫-এ দায়িত্ব চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অধিনায়ক সৌরভ যা যা করেছেন সেগুলো সংস্কারের চেয়েও বেশি। কেবল বিদেশের মাঠে ম্যাচ জেতানো নয়, কেবল লর্ডসের ব্যালকনিতে জামা খুলে মাথার উপর ঘুরিয়ে ইংরেজ আভিজাত্যের নাকে ঝামা ঘষে দেওয়া নয়, কেবল ভারতকে একগুচ্ছ ম্যাচ উইনার উপহার দেওয়া নয়। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের সংস্কৃতিই বদলে দিয়েছিলেন।

পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ বাহান্ন সেকেন্ডের বেশি একসঙ্গে মনে রাখার দরকার নেই— এ কথা ভারতীয় ক্রিকেটে সবাই জানত। কখনও মনসুর আলি খান পতৌদি, কখনও কপিলদেব কিছুটা অন্যরকম করার চেষ্টা করেছেন, দীর্ঘমেয়াদি ফল হয়নি। এ লবি বনাম সে লবির ঝগড়া রমরমিয়ে চলেছে, দলের হারজিতে কিছু এসে যায়নি। প্রত্যেক নির্বাচনী সভার আগে পরে ঢাকঢাক গুড়গুড় না-রেখেই আলোচনা হয়েছে— অমুকের তমুকের কোটায় দলে ঢুকেছে। ওই ছেলেটি অধিনায়কের রাজ্যের খেলোয়াড়, অতএব ওকে না-নিয়ে আর উপায় কী? এইসব দোষ থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রায় কোনও তারকা মুক্ত ছিলেন না। গাভাসকর অধিনায়ক থাকার সময় কপিল একটা টেস্টে ব্যর্থতার পর বাদ গিয়ে অধিনায়ককে দুষেছেন, কপিল অধিনায়ক থাকার সময় আজীবন ওপেনার গাভাসকর চার নম্বরে ব্যাট করার আবদার করেছেন। স্বয়ং শচীন তেন্ডুলকরের দিকেও আঙুল উঠেছে বাল্যবন্ধু বিনোদ কাম্বলিকে ফর্ম না-থাকলেও খেলিয়ে যাওয়ার জন্য। সৌরভের বেলায় হল উলটপুরাণ।

বাংলার সৌরভ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিতাড়িত পাঞ্জাবের ছেলে হরভজন সিংকে দলের স্ট্রাইক বোলার করে ফেললেন। ভাল করে দাড়িগোঁফ না-ওঠা বরোদার জাহির খান নতুন বল হাতে আগুন ঝরানোর টানা সুযোগ পেলেন। দিল্লির নড়বড়ে ফিটনেসের নওজওয়ান আশিস নেহরা বারবার ফিরে আসার সুযোগ পেলেন। কর্নাটকের জাভাগল শ্রীনাথ অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন, একদিনের ক্রিকেটে তাঁকে কেউ তখন ভরসা করে না। সৌরভ বললেন, ওঁকে ছাড়া বিশ্বকাপের দল হবে না। শ্রীনাথের রাজ্যেরই রাহুল দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মন্থর ব্যাটিং করেন, বাদ দিলে প্রাইম টাইম টিভিতে অর্ণব গোস্বামীর মতো চেঁচানোর কেউ ছিল না। সৌরভ তাঁকেও উইকেটরক্ষকের গ্লাভস ধরিয়ে দলে রেখে দিলেন। দিল্লির বীরেন্দ্র সহবাগ মিডল অর্ডারে হঠকারী ব্যাটিং করে, ওকে দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট হবে না— সিদ্ধান্ত হয়েই গিয়েছিল। সৌরভ তাঁকে বাদ তো দিলেনই না, ইনিংস শুরু করতে পাঠিয়ে দিলেন। কেবল কোনও মাঝারি মানের বাংলা ক্রিকেটার সৌরভের দলে ঠাঁই পেলেন না।

অর্থাৎ তিনি যোগ্যতা দেখতেন, প্রতিভা দেখতেন, রাজ্য দেখতেন না। এই কারণেই সৌরভ কেবল বাংলার সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হয়ে কেরিয়ার শেষ করেননি, সারা দেশের ক্রিকেটের জনগণমনঅধিনায়ক হয়ে অবসর নিয়েছিলেন। গড়াপেটা কাণ্ডে বীতশ্রদ্ধ বহু মানুষ সৌরভের দলের জন্য ক্রিকেটের কাছে ফিরে এসেছিলেন। সে কৃতিত্ব তাঁর একার নয় নিশ্চয়ই। তেন্ডুলকর, দ্রাবিড়, কুম্বলে, লক্ষ্মণদের মতো ভদ্রলোক সিনিয়র ক্রিকেটাররা না-থাকলে হয়তো সেই কেলেঙ্কারির প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হত না। কিন্তু সৌরভই যে তাঁদের মধ্যমণি, সে কথা অনস্বীকার্য।

আর এখন?

সৌরভ যখন বোর্ড সভাপতি হলেন, তখন আমরা আহ্লাদে আটখানা হয়ে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সমমর্যাদায় স্থাপন করেছি ঘটনাটাকে। এমন একজন দায়িত্ব নিলেন যিনি খেলোয়াড় জীবনে ভারতীয় ক্রিকেটকে অতল গহ্বর থেকে উদ্ধার করেছিলেন। ক্রিকেটের অচ্ছে দিন তাহলে এসেই পড়ল। কেবল আমাদের মতো অর্বাচীনরা নয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, তাঁদের দ্বারা নিযুক্ত অস্থায়ী কর্তা বিনোদ রাই পর্যন্ত এমনটাই ভেবেছিলেন। দেশের যেমন ‘স্ট্রং লিডার’ দরকার, দেশের ক্রিকেটেরও তো দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দিল্লির রেসকোর্স রোডের বাসিন্দা কিসে স্ট্রং তা যেমন দুর্বোধ্য, কলকাতার বীরেন রায় রোডের বাসিন্দা কিসে স্ট্রং, দুর্বোধ্য তাও।

বলিউড আর ক্রিকেটের উপাদেয় খিচুড়ি আইপিএল-এ গড়াপেটার ছায়া পড়ল, মহেন্দ্র সিং ধোনি পর্যন্ত বিচারপতির সামনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। ঘটনার জল গড়াতে গড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছল, মহামান্য আদালত দেশের ক্রিকেটের খোলনলচে বদলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। দেখা গিয়েছিল, বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা। স্বয়ং বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসনকে বাণপ্রস্থে যেতে হল। আমাদের সৌরভ, সুপ্রিম কোর্টের আস্থাভাজন সৌরভ, সিএবি সভাপতি থেকে এক লাফে বিসিসিআই সভাপতি হলেন কাদের সমর্থনে? শ্রীনিবাসনের সমর্থনে। বিতাড়িত শ্রীনিবাসন স্বয়ং ঘোষণা করলেন তাঁর নাম। স্ট্রং লিডার।

ক্রিকেট খেলায় বেনিফিট অফ ডাউট চালু আছে। সবসময় ব্যাটসম্যানকেই তা দেওয়া নিয়ম। বাংলার গৌরবকেও তাই দিতে মন চাইছে নিশ্চয়ই? বোর্ডের অচলাবস্থা কাটাতে তাঁর মতো একজন দিকপাল ক্রিকেটার যদি সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন তাতে ওটুকু দোষ না-ধরাই উচিত, তাই না? কিন্তু কাকে বেনিফিট দেবেন? যিনি নিজের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য একবার বদলানো সংবিধান আবার বদলানোর আবেদন করেছেন?

একজন সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন। তিনি দারুণ ফর্মে থাকতে থাকতে হঠাৎ একদিন বললেন, “এবার আসি।” আমরা সবাই হায় হায় করে উঠেছিলাম। তিনি কিন্তু চিরশত্রু গ্রেগ চ্যাপেলের দাদা ইয়ানের পরামর্শ শিরোধার্য করে চলেই গিয়েছিলেন। ইয়ানের বিখ্যাত মন্তব্য, এমন সময়ে যেতে হয় যখন সবাই জিজ্ঞেস করে “কেন?” “কেন নয়” জিজ্ঞেস করা অবধি অপেক্ষা করা উচিত নয়। আজকের সৌরভ গাঙ্গুলির বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কবিতা পড়ার অভ্যাস হয়েছে কিনা, জানা নেই। হয়তো শক্তি চাটুজ্জের ভক্ত হয়েছেন, ঘুমের মধ্যেও আওড়ান, “যেতে পারি, কিন্তু কেন যাব?” স্ট্রং লিডারের ভাবমূর্তিতে দাগ পড়া অতএব আটকানো যাচ্ছে না।

অবশ্য বয়স বাড়লে কে-ই বা যৌবনের মতো স্ট্রং থাকতে পারেন? রথযাত্রার আদবানি আর মার্গদর্শক আদবানি কি একই লোক? দোর্দণ্ডপ্রতাপ স্টিভ ওয়কে টসের জন্য অপেক্ষা করানো সৌরভ ছিলেন অরুণ খুনের তরুণ, মেয়েকে দিয়ে টুইট ডিলিট করানো সৌরভ নেহাতই মধ্যবয়স্ক পিতা। তিনি বিধির দর্পহারী হওয়ার স্বপ্নও দেখেন না। ও কথা থাক। খেলার মধ্যে রাজনীতি টেনে আনা বদভ্যাস বলে আমরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনেককাল হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যতই নিজে উদ্যোগ নিয়ে বোর্ড সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করুন, যতই তাঁর সুপুত্র বোর্ডের পদাধিকারী হোন, ক্রিকেট একটা খেলা বই তো নয়। সৌরভ গাঙ্গুলির সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার, অতএব তিনি ক্রিকেটের জন্য কী করছেন, ক্রিকেটারদের জন্য কী করছেন তা নিয়েই কথা হোক।

কোভিড-১৯ এর জ্বালায় পৃথিবীজুড়ে ক্রিকেট বন্ধ ছিল অনেকদিন, সম্প্রতি আবার শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনও ইংল্যান্ডের বাইরে শুরু হয়নি, ঘরোয়া ক্রিকেট শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডেও কাউন্টি ক্রিকেট চালু হয়েছে আবার। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনও ভোঁ ভাঁ। দেরি করে শুরু হবে বলা হয়েছে। তাও শুধু কুড়ি-বিশের প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুস্তাক আলি আর রঞ্জি ট্রফি। বিজয় হাজারে বাদ, দলীপ ট্রফি বাদ, ইরানিও বাদ। বোর্ড সভাপতির অনেক কাজ আছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট নিয়ে এর বেশি মাথা ঘামানোর সময় নেই। তিনি ইউএই প্রিমিয়ার লিগ, থুড়ি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আয়োজন করতে ব্যস্ত। একগাদা দল আর তাদের বিরাট দলবলকে অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যাচ্ছে, মহিলা ক্রিকেট দলকে ইংল্যান্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করা গেল না? এদিকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা তাঁদের প্রাপ্য টাকাপয়সা পাননি বলে অভিযোগ, বিরাট কোহলিদেরও নাকি মাইনে বাকি। সকলে স্ট্রং লিডারের দিকে তাকিয়ে আছে।

আমার-আপনার অবশ্য সে ভাবনা না-ভাবলেও চলবে। কপাল ভালো থাকলে টিভি খুললেই দেখতে পাবেন, সৌরভ বলছেন জমিয়ে খেলতে। তিনি সফল অধিনায়ক, তাঁর দলের সঙ্গে নিজের দল মেলাতে পারলেই একেবারে এক কোটি টাকা পাওয়া যাবে। সে কালে দাদা গড়াপেটার অন্ধকার থেকে ক্রিকেটকে বের করে এনেছিলেন, এ কালে আমাদের বাজি ধরতে বলছেন। সে কালের বাণী ছিল, “তমসো মা জ্যোতির্গময়”। অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে চলো। এ কাল ভরিল সৌরভে। নিশীথিনী-সম।

আসলে দোষ, সৌরভের নয়। হেরাক্লিটাসের নাম না-শুনে থাকলেও সৌরভ বিলক্ষণ বোঝেন, মানুষ এক নদীতে দুবার ডুব দিতে পারে না। তিনি নদীতে সাঁতরে সাগরের দিকে চলেছেন, আমরা বাঙালিরা নস্টালজিয়ার বদ্ধ জলায় বারবার ডুব দিচ্ছি।

 

তথ্যসূত্র:

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4650 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

আপনার মতামত...