সাড়
সকল গোপন পথ এই ক’রে
চোখে দেয় ধুলো,
সকল আতুর ক্ষতে এই ক’রে
কী শোভন দু’হাতের ক্ষেম!
বিরতির ফাঁকে ফাঁকে এই ক’রে এক হওয়া,
এই ক’রে বিভিন্ন আসনে এল
চন্দনের উপচারে সুব্যাকুল প্রেম…
সহসা দারুণ দুখতাপে, সকল ভুবন যবে –
আন্তরিক অর্থেই প্রতিটি ভোরের কাছে ঋণী
চূড়ান্ত পেতে পেতে যা পেলাম,
কষ্ট ব’লে কখনও বুঝিনি তাকে, নিতান্ত বুঝিনি।
স্পর্শে নাছোড়
জগজ্জীবন কুয়োর জলে
চাঁদের চেয়েও প্রস্ফুটতর্,
অনন্তে তার রঙ ধরেছে,
স্পর্শে নাছোড় স্পর্শ নাছোড়!
রগচটা কোন্ পদ্য ছিল,
খানিক উতল হাস্নুহানায় –
কে দিল তার ভাত বেড়ে আর
জাদুর ছিটে দানায় দানায়!
আর সে জাদু ওষ্ঠাগত
কার গোপনে রাখল মাথা,
হুলুস্থুলু ঝড় ওঠাল
ভালোবাসার ফের দু’পাতা
কে বাঁধে! কে ফাঁদেও আড়াল,
আর কে সকল পার হয়ে যায়,
এবং কাহার আজানুস্নান
অতল উতল সেই মোহানায় –
এসব জ্বালে চৈত্র আকাশ,
লক্ষ্মী ঝরেন চন্দ্রতারায়
কে অভ্যাসে দোর ঠেলে না,
কে পাহারায় কে পাহারায়…
শাপেনস্তং
মরব কোথায় মরব কোথায়!
জলের এমন আহ্লাদে কার সঙ্কেতও খুব সুর ধুয়ে খায়
রাত্রিশেষের হাওয়ায় হাওয়ায়…
শরীর জুড়ে মর্ম এমন মর্মঘাতন দূর ছুঁয়ে যায়!
চতুর্দিকে ঘোর লেগেছে,
বৃষ্টি কেমন কৃষক নারীর মন্ত্রবলে
গাঢ়ত্বময় মাটির নরম ভাসায় জলে-
দুর্গ্রহ কার, কার গুরুভার বর্ষভোগের হেতুই আবার ভুল ঘটালো ;
ছাইরঙে খুব ডুবিয়ে নিল সাদার সাদা কালোর আলো…
আষাঢ় শুরুর দিন চিরকাল ভ্রান্তিপ্রবণ, কী নির্মাণে!
সখার সখা, শেষ বলে যান সেসব ভুলের,
দু-চার কলি বর্ষাগানে!
স্পর্শে নাছোড় স্পর্শ নাছোড়….