বিশ্বভারতীতে শান্তিনিকেতন বিসর্জনের বাজনা

কুন্তল রুদ্র

 


কবি, প্রাবন্ধিক, আবৃত্তিকার; প্রাক্তন অধ্যাপক

 

 

 

রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রাজা প্রজা’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০৮ সালে। ছাপা নামটিতে চোখ পড়তেই যেটি ভেসে ওঠে তা হল, ‘রাজা’ এবং ‘প্রজা’র মধ্যে যোগাযোগসূচক কোনও শব্দ বা চিহ্ন নেই, স্পষ্টই বিচ্ছিন্ন দুটি সত্তা যেন। সে দিন ছিল পরাধীনতার, ব্রিটিশরাজ যে প্রজার রাজা নয় সেটা ততদিনে ধরা দিচ্ছিল ওইরকমই দুই ভিন্ন সত্তা— পরিচয়ের দূরত্ব ও স্বাতন্ত্র্যে। আশ্চর্যের হলেও সত্যি, শতাব্দীপ্রাচীন সেই গ্রন্থটি আজকের শান্তিনিকেতনে হঠাৎ যেন বিশেষরকমের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। শান্তিনিকেতনে ফিরছে রাজা প্রজার গল্প, বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রে রেখে।

উল্লিখিত বইটিতে একটি প্রবন্ধের নাম ‘ইংরাজ ও ভারতবাসী’। সেই প্রবন্ধ প্রসঙ্গে ১৯২১ সালের ২৫ অক্টোবর প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লেখেন—

এতে খুলিয়া বলিলাম যে, যাহারা ঘরে আসিতে নিষেধ করে তাহাদের দ্বারস্থ হইতে আর প্রবৃত্তি হয় না— তা নিজের জন্যই হোক আর দেশের জন্যই হোক।

এখন শান্তিনিকেতনে কান পাতলে ওই কথারই প্রতিধ্বনি যেন চারিদিকে। যেখানে সারা বিশ্বকে একদিন রবীন্দ্রনাথ আবাহন করেছিলেন বিশ্বভারতীর নীড়ের মধ্যে, সেখানে এখন দিকে দিকে কেবল নিষেধের বিজ্ঞপ্তি, পাহারাদার, প্রাকার, গেট, তালা, সিসিটিভি। ‘আশ্রমিক’ শব্দটার মধ্যে যে যূথবোধের প্রকাশ ছিল একদিন, সে যেন আজ নিষ্ঠুর ব্যঙ্গ শুধু। এই বছরের পৌষমেলা করোনাজনিত পরিস্থিতির কারণে বাতিল করা হলেও পৌষ উৎসবের অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি সংক্রমণজনিত সাবধানতা বজায় রেখে যথাবিহিত অনুষ্ঠিত হবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। হলে কী হয়, বিশ্বভারতীর ‘রাজা’, যাঁর কথায়, লেখা্‌য়, আচরণে একশো নিষেধ ঝোলানো, তাঁর অভিপ্রায় ছিল ভিন্ন। সেটা বোঝা গেল যখন তিনি জানালেন যে শতাধিক বছর ধরে চলে আসা সাতই পৌষের ‘শান্তিনিকেতন আশ্রমিক সংঘে’র ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য ও স্মৃতিচারণ’ অনুষ্ঠান আর আগের মত বিনি খরচে হবে না, আশ্রমের মধ্যে সে অনুষ্ঠান করতে হলে সংঘকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। সংঘের পদাধিকারীরা বোঝাতে চেষ্টা করলেন, একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বভারতীই এই অনুষ্ঠানের সমস্ত আয়োজন করে এসেছে সানন্দে। রাজা অনড়। আশ্রমিকরা যখন চূড়ান্তভাবে বুঝলেন যে এখানে, এই রাজার বিশ্বভারতীতে তাঁরা অবাঞ্ছিত, তাঁদের জন্য আর সেখানে কোনও সম্মান মর্যাদা নেই, আবাহন নেই, বিশ্বভারতীতে শান্তিনিকেতন-বিসর্জনের বাজনা বাজাচ্ছেন রাজা এবং কতিপয় অনুগ্রহভিক্ষুক পারিষদ, তখন তাঁরা ক্যাম্পাস থেকে দূরে, আশ্রমের বাইরে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন এক প্রাক্তনীর গৃহপ্রাঙ্গনে। বেদনাহত সংঘ সম্পাদক সুব্রত সেনমজুমদার বিহ্বল হয়ে তাঁর বেদনা ব্যক্ত করলেন সম্প্রতি এক ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়। বললেন, “এমন কখনওই আশা করিনি।” সে যেন আশ্রমপিতার সেই কথারই প্রতিধ্বনি— “যাহারা ঘরে আসিতে নিষেধ করে তাহাদের দ্বারস্থ হইতে আর প্রবৃত্তি হয় না।”

রাজা জানেন না ‘আশ্রমিক সংঘ’ মানে কী, কী তার ইতিহাস। উনি তো নতুন ইতিহাস লিখতে এসেছেন সেখানে, বিশ্বভারতীর সঙ্গে শান্তিনিকেতনের বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ করার এক নয়া ইতিহাস, যে তাগিদে উপাচার্য হয়ে যান ‘কুলপতি’, প্রাতিষ্ঠানিক বোর্ডের গায়ে বাংলার উপরে উঠে যায় দেবনাগরী হরফের হিন্দি, যে শান্তিনিকেতনে এতদিন পথের নামে জড়িয়ে ছিল তার শালবীথি বকুলবীথির প্রাকৃতিক আবহ সেখানে এতটাই আচমকা বিবেকানন্দ এসে পড়েন যে দেখেশুনে তিনি নিজেই নিশ্চিত চমকে যেতেন এই ভেবে যে ‘এই রাস্তা কি সত্যিই আমার’! সেখানে নতুন তোরণের নাম হচ্ছে রবীন্দ্রকাব্যের নামে! আরও কত যে রাজার মাথার মধ্যে কিলবিল গিজগিজ হিজবিজ করছে কে জানে! শান্তিনিকেতনকে খাঁচাবন্দি করতে নেমে কখন যে নিজেকেই খাঁচাবন্দি করে ফেলেছেন রাজাও জানেন না, তাঁর পারিষদবর্গও সে কথাটি ঘুণাক্ষরে বলছে না! আশ্রমিক সংঘের মহার্ঘ ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের কথা পারিষদবর্গও সম্ভবত বিশেষ জানে না। কিছু কিছু নাম অবশ্য তারা জানে, সন্তোষচন্দ্র মজুমদার, নন্দলাল বসু, ক্ষিতিমোহন সেন, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, কালীপদ রায়, সুধীরঞ্জন দাস, অমিতা সেন, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়— এইরকম। কিন্তু কী করে জানবে তারা, রবীন্দ্রনাথ সেই ১৯১১-র প্রতিষ্ঠাবর্ষ থেকে আজীবন ওই আশ্রমিক সংঘের সভাপতি ছিলেন, নন্দলাল বসুর ছবির অ্যালবাম প্রকাশ করে পরিণত বয়সে শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল সংঘ, কেবল শান্তিনিকেতন নয়, কলকাতা, মুম্বাই, আমেদাবাদ, দিল্লি, ত্রিপুরা এবং দুর্গাপুরে সংঘের শাখা ছিল, আশ্রমিক সংঘের কলকাতা শাখার উদ্যোগে একটানা তিনদিন উৎসব হত হৈ হৈ করে— গান, নাচ, কবিতা, নাটক, নৃত্যনাট্য, এইসব। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সুচিত্রা মিত্র নীলিমা সেন সহ অন্যান্য শিল্পীরা যে নানা শহরে সংঘের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের শিক্ষাসংস্কৃতির প্রচার করে এসেছেন তাও অজানা তাদের।

আশ্রমিক সংঘের মতই শান্তিনিকেতনের আর এক ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্থা— আলাপিনী মহিলা সমিতি, রবীন্দ্রনাথের উৎসাহে ১৯১৬ সালে জন্ম তার। ক্ষিতিমোহন সেনের সহধর্মিনী কিরণবালা সেনকে এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন—

আমার একান্ত ইচ্ছে পাঠভবনকে নিতান্তই তোমাদের জিনিস মনে করে স্নেহ ও সার্থকতার সঙ্গে একে পালন করবে।… তোমরা সব মেয়েরা কোনও একটি সংঘ বেঁধে সম্মিলিতভাবে বিদ্যালয়ের সঙ্গে যদি যুক্ত হতে পার তাহলে ও যে বিশেষ শক্তি ও শ্রী লাভ করবে সন্দেহ নেই।

 

একশো চার বছর ধরে আশ্রমপিতার সেই ইচ্ছেপূরণের ইতিহাস যার আষ্টেপৃষ্ঠে সেই আলাপিনীকে নষ্ট করার মজায় বুঁদ বিশ্বভারতীর বর্তমান ‘রাজা’। আশ্রমের ‘নতুন বাড়ি’র একটি ঘরে ‘আলাপিনী মহিলা সমিতি’র দপ্তর গত ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছিল। কয়েকদিন আগে সে ঘর সিল হয়েছে রাজনির্দেশে। যে আলাপিনীর ঋতু উৎসবে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ সামিল হয়েছিলেন, যার পত্রিকাটির (‘শ্রেয়সী’) নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্র-অগ্রজ দ্বিজেন্দ্রনাথ এবং সেখানে রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ সহ কত বিশিষ্ট লেখক এবং শিল্পীদের লেখা সঙ্কলিত হয়েছিল, চারপাতার অধুনা রবীন্দ্রনাথ পড়া ‘রাজা’র কাছে তার কোনও মূল্য নেই। যে-বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন থেকে বিযুক্ত হতে মরিয়া, তার কাছে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত শতাধিক বছরের শিশুসেবা ও অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার কাজ আজ তাৎপর্যহীন। কারণ, ওদের সামনে কেবল একটি ছবি— সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি— সেখানে রবীন্দ্রনাথ নেই, তাঁর শিক্ষানিরীক্ষার ইতিহাসই নেই, তো আশ্রমিক সংঘ, বা আলাপিনী মহিলা সমিতির কী মূল্য? আলাপিনী অবশ্য তার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং কর্মধারাকে ছাড়তে গররাজি। তাই প্রায় প্রতিদিনই প্রতিবাদী কর্মসূচিতে সামিল তার সদস্যাবৃন্দ।

ওই যে শুরুতে ‘রাজা প্রজা’ নামক বইটির কথা বলছিলাম, তার একটি প্রবন্ধের নাম ‘কণ্ঠরোধ’— রাজার বেশ মনপসন্দ ব্যাপার! ইংরেজ নাই বা থাকল, সেই পুরনো সিডিশন বিলের নতুন ভার্সন বিশ্বভারতীর ভিতরে চালু হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন, তার নাম গ্যাগ অর্ডার। প্রেসের কাছে মুখটি যদি কেউ খুলেছ তবে গর্দান! হোক না মাসমাইনে লাখটাকা, মনেপ্রাণে তো আপ্রাণ ছাপোষা মধ্যবিত্ত শিক্ষক অধ্যাপক কর্মচারী। রাজাও খুব ভালো জানেন সেটা, তাই সকালে উঠেই ধমকে-চমকে শুরু করেন। মাঝেমধ্যে মাথা কাটার সাধ জাগে যখন, তখন কোতোয়ালের ডাক পড়ে, তারপর যথারীতি কিছু সাসপেনশন, টারমিনেশন। ফলে বিশ্বভারতীতে সবাই এখন স্পিকটি নট! অবশ্য দলছাড়া গোত্রছাড়া দু-একজনও যে আছে তার প্রমাণ দিতে দিতে গত ৭ জানুয়ারি গর্দান গেল একজনের— ইকনমিক্সের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করেছেন রাজা। অপরাধ? তিনি একটি নিয়োগসংক্রান্ত দুর্নীতি বিষয়ে প্রকাশ্য অভিযোগ করেছিলেন। বুঝুন রাজার মতিগতি! ‘দুর্নীতি দুর্নীতি’ বলে সাংবাদিক ডেকে যিনি হররোজ গাঁক গাঁক হাঁক পাড়েন সেই রাজাই কিনা দুর্নীতি দেখিয়ে দেওয়ায় সাজা দিয়েছেন সুদীপ্তবাবুকে। আসলে কিছুদিন আগে সেই যে ফ্যাকাল্টি ডেকে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের সম্পর্কে পাঁচঝুড়ি মিথ্যা বলেছিলেন রাজা, সুদীপ্তবাবুর সাহস কিনা সেকথা সরাসরি অমর্ত্য সেনকে জানাবেন! তাইতেই না হাতেনাতে প্রমাণ হয়ে গেল রাজার মিথ্যাভাষণ গুণের কথাটি। সেই থেকে একেবারে কাঁই হয়ে ‘মাথা চাই মাথা চাই’ করতে করতে সততার প্রতিমূর্তি রাজাটি পাগল হয়ে উঠেছিলেন! আর পাগল হলে যে কাণ্ডজ্ঞান বস্তুটি এলোমেলো হয়ে যায় তা আর কে বোঝায় তাঁকে!

এদিকে অমর্ত্য সেন তাঁর বিশ্বভারতী রাজ্যের প্রজা যেহেতু নন, তাই মিথ্যাবাদী রাজা যতই রাগুন, তাঁর গর্দান নেওয়ার কোনও চান্সই তাঁর নেই। সুতরাং তাঁর চরিত্রহননের আয়োজন, জমিজমার গল্প বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া। জমি যে বাতাসে থাকে না, মাটিতে থাকে রাজা কি জানেন না? তা হলেনই বা রাজা, চরিত্রে তো গোমস্তা! জমিজমাই তো দেখছেন এসে থেকে। দিল্লি থেকে মন্ত্র পড়ে পাঠিয়েছে রাজা করে, লেখাপড়া নিয়ে কিছু করার নেই, সাড়া দেশেই ছেলেপিলেগুলোকে ‘তোতাকাহিনী’র তোতা বানিয়ে দেব আমরা। তুমি ততক্ষণ ওই যে রবীন্দ্রনাথ নামক ঐতিহ্যটি ভেঙে সমান করতে থাকো, শান্তিনিকেতনের সমাজের সঙ্গে বিশ্বভারতীর নাড়ির যোগটি সম্পূর্ণ করে কেটে ফেলো।

এই তবে অ্যাজেন্ডা রাজার? হ্যাঁ, ঠিক তাই। ওই ছাত্রশাসনতন্ত্র, প্রতিষ্ঠানে ‘সবাই রাজা’র গণতন্ত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও। উপাসনাগৃহ, ছাতিমতলা এসব তামাশায় পরিণত করো! সমাবর্তন, পৌষ উৎসব, বসন্ত উৎসব এসবও ভাঙতে হবে একে একে। সেই চিন্তা থেকেই কি মন্দির সংস্কারের কথা? তোলাবাজের মত চাঁদা তোলা? নইলে মন্দিরে কী সংস্কার হবে কেউ জানে না, যাদের মন্দির সেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানে না, আরকিওলজিক্যাল সংস্থা এএসআই জানে না, অথচ টাকা উঠছে? সে টাকা যাচ্ছে কোথায়? কী তার অ্যাকাউন্ট নম্বর? কারা সে অ্যাকাউন্টের অপারেটর? ট্রাস্টের কোন্‌ মিটিং-এ এসব সিদ্ধান্ত হল রাজামশাই? রাজার হেফাজতে সে টাকা নিরাপদ তো?

এমন আরও বহু প্রশ্ন এখন শান্তিনিকেতনের বাতাসে। সে-সব জবাব দেবেন না, দিতে পারবেন না বলেই বোধ হয় পাঁচিল গেট নিরাপত্তা তালাচাবির আড়ালে থাকা ভিন্ন রাজার উপায় নেই। কিন্তু উত্তর? করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা নেই এখন, সেটা রাজার মস্ত সুবিধে। তবে ওরা তো ফিরবে এবং জবাবও চাইবে। জবাব চাইবে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাসংক্রান্ত সমস্যায় রাজা কেন এত উদাসীন? কেন তাঁর কৃতকর্মে বিশ্বভারতী সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সাঁইত্রিশ থেকে পঞ্চাশে নামল? সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই কেন তাদের শিক্ষকদের সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছে? কেন ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি চলছে আজকের বিশ্বভারতীতে? কেন রবীন্দ্রসংগ্রহশালার সম্পর্কে রাজার কোনও আগ্রহ নেই? কেন তাদের প্রিয় উৎসব-অনুষ্ঠানগুলি নিয়ে এমন স্বেচ্ছাচারী হেলাফেলা চলছে? এমন আরও বহু প্রশ্ন জমছে প্রতিদিন। উত্তর আছে তো রাজা? উত্তর কিন্তু তাঁকে দিতেই হবে? পাঁচিল-গেট-তালাচাবির আড়ালে লুকিয়ে সম্ভবত পার পাবেন না তিনি।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4659 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...