একবিংশ শতকের কৃষিবিপ্লব: ভারতীয় শ্রেণিসংগ্রামের পুনরুত্থান

রূপায়ণ ঘোষ 

 



কবি, গদ্যকার

 

 

 

 

ভারতবর্ষের আর্থ-সামাজিক জীবনে শ্রেণিচেতনার বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত। পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের সভ্যতার উত্তরাধিকারী দেশে অধ্যাত্মবাদ এসেছে, এসেছে রাজতন্ত্র, সামন্তপ্রথার আবির্ভাব ঘটেছে, সাম্রাজ্যবাদের আক্রমণ হয়েছে বিভিন্ন যুগে বিবিধ আঙ্গিকে। কিন্তু সাম্যবাদ পাঠের সঠিক সূচনাটুকু সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। অবশ্য এর দায় যতখানি ক্ষমতাশালী শাসনব্যবস্থার ততটাই সাধারণ মানুষের। কায়িক শ্রম ব্যতীত জীবনের বাকি গুরুত্বপূর্ণ সমর্পণগুলি এমন এক অদৃশ্য, কাল্পনিক ঈশ্বরবাদের হাতে তাঁরা ন্যস্ত করেছে যে সেখান থেকে মুক্তির কোনও উপায় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভয় এবং অন্ধবিশ্বাসের উর্বর জমিতে যুক্তিবাদী শ্রেণিচেতনার অঙ্কুরোদগম যে ভীষণ কষ্টদায়ক— একথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই।

তা সত্ত্বেও ভারতবর্ষের বুকে বারংবার শ্রেণিসংগ্রামের মশাল জ্বলে উঠতে দেখা গিয়েছে। আদি-মধ্যযুগের সামন্ততান্ত্রিক প্রথার বিরোধিতা থেকে নীল বিদ্রোহ, চম্পারন সত্যাগ্রহ থেকে তেভাগা, তেলেঙ্গানার কৃষি বিদ্রোহ, সত্তরের দশকে নকশাল আন্দোলনের পটভূমিতে গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার প্রবাদ হয়ে যাওয়া সেই দৃশ্যই যে আজ একবিংশ শতকে ফিরে আসছে— বর্তমান ভারতের কৃষি আন্দোলন তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

প্রায় এক বছরব্যাপী বিশ্বজনীন অতিমারি কৃষি, শিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসাসহ সমস্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মুনাফার প্রশ্নে বিপুল আঘাত হেনেছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির বেসরকারিকরণ— যা জনগণের আর্থিক সামর্থকে দাঁড়িপাল্লার মানদণ্ডে বিচার করার মতোই ক্রূরতম একটি নীতি। নতুন এই তিন কৃষি-আইন প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় কৃষি অর্থনীতিতে অতীতের ব্রিটিশ ভূমি-সংস্কারের নীল নকশাকে প্রাধান্য দিচ্ছে একথা জলের মতো পরিষ্কার। এই কৃষি আইনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) প্রস্তাব নাকচ করার পাশাপাশি কর্পোরেট সংস্থার দ্বারা কৃষিজ পণ্য গুদামজাত করার যে নৃশংস অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা ধীরে ধীরে সমগ্র ভারতীয় বাজারকে কালোবাজারির (Black Marketing) অন্ধকূপে ঠেলে দেবে সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরালে দেখা যাবে, ব্রিটিশ প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সপ্তম আইন (১৭৯৯ খ্রিঃ) তথা ১৮১২  খ্রিস্টাব্দের জমিস্বত্ব আইনে কৃষিজমি থেকে প্রজাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের কথা বলা রয়েছে। ইংরেজ অর্থনীতিবিদ স্যার ই কোলব্রুক এ প্রসঙ্গে লেখেন, জমির মালিকানাস্বত্বের উপর তৎকালীন পুঁজিপতিশ্রেণির অধিকার এবং তাদের হাতেই প্রজাদের উৎপাদিত ফসলের মূল্য নির্ধারণ তথা বন্দোবস্তের ক্ষমতা অর্পণ আদতে ভারতের কৃষকশ্রেণির ক্ষমতায়নের যাবতীয় সম্ভাবনাকে সমূলে উৎপাটিত করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হল প্রায় দুশো বছর পর বর্তমান সরকার একই রকম কৃষিনীতি প্রয়োগের মাধ্যমে ভারতীয় পুঁজিপতিশ্রেণির আর্থিক ক্ষমতায়নের দানবিক স্বরূপটিকে রাষ্ট্রীয় সিলমোহর দেওয়ার সবরকম ব্যবস্থা পাকা করে চলেছে। এই আর্থিক সাম্রাজ্যবাদের মূল বৈশিষ্ট্যই হল সমাজের সম্পদ শোষণ; কিন্তু তাতে অনিবার্য শ্রেণিসংঘাতের আবহ তৈরি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। ঠিক সে কারণেই একচেটিয়া অভিজাতরা রাষ্ট্রশক্তি সহায়তায় সরাসরি আক্রমণে না গিয়ে সংসদীয় আইন প্রণয়নের মধ্যে দিয়ে অনবরত আক্রমণ শানিয়ে চলেছে শ্রমজীবী মানুষের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ওপর। ভারতীয় কৃষকসমাজ একবিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রশক্তির এই দ্বৈত মুখোশকে নিঃসন্দেহে চিহ্নিত করতে পেরেছে বলেই সূত্রপাত ঘটেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কৃষি বিদ্রোহের। সরকারি সমীক্ষানুযায়ী ভারতবর্ষের প্রায় ৪০ লক্ষ চাষি যা গ্রামীণ পরিবার সংখ্যার ৫৬.৪ শতাংশ, তাঁরা প্রায় অধিকাংশই ভূমিহীন! মূলত ঝাড়খণ্ড, বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে এই সকল অভিবাসী কৃষিশ্রমিক (Agricultural Labour) উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা প্রভৃতি রাজ্যে কায়িক শ্রমের কাজ অর্থাৎ ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই বিপুলসংখ্যক ক্ষুদ্র চাষিদের পেটে টান পড়বে যখন কর্পোরেট সংস্থাগুলি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল ক্রয় করতে অস্বীকার করবে। চুক্তির শর্ত যাতে সংস্থাগুলি ইচ্ছেমতো লঙ্ঘন করতে পারে সে স্বার্থ এই কৃষি আইনে সর্বতোভাবে রক্ষিত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কার্গিল, ওয়ালমার্ট-এর মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলির সরাসরি বিনিয়োগ এবং তাতে যে তারা প্রথম বিশ্বের চাহিদা মতো ভারতীয় জমিতে ফসল উৎপাদনের পথকে প্রশস্ত করবে তা বলাই বাহুল্য।  সর্বাপেক্ষা ভয়ংকর হল, এর থেকে ভারতীয় আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় বৈদেশিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে; তাদের অর্থ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি নিয়ন্ত্রণ করবে ভারত তথা ভারতীয় জনগণের জীবনযাপনকে। ফলস্বরূপ অদূর ভবিষ্যতে আন্তঃরাষ্ট্র যে কোনওরকম শোষণমূলক নীতি ভারতকে মুখ বুজে মেনে নিতে হবে, ভারতের সামগ্রিক পররাষ্ট্রনীতি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে চিরতরে মাথা নত করতে বাধ্য থাকবে নয়তো খাদ্য ও অর্থ সরবরাহ স্থগিত রেখে ১৩০ কোটি জনসংখ্যা বিশিষ্ট একটি দেশকে দুর্ভিক্ষের কবলে ঠেলে দেওয়া যে নিতান্ত সহজ কাজ- একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ প্রসঙ্গে মার্কসীয় চিন্তাবিদ প্রভাত পটনায়েক তাঁর ‘A Theory Of Imperialism’ গ্রন্থে বলেছেন, “Denial of food is a very potent weapon in the Imperialist armoury, and they use it ruthlessly, it is no longer a case of normal International trade.”

ঠিক একইভাবে পশ্চিমী দেশগুলির চাপে নিজের দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন বন্ধ রেখে প্রথম বিশ্বে খাদ্য রপ্তানির জন্য কৃষি উৎপাদনের চক্রব্যূহে ঢুকে পড়েছে আফ্রিকার সাব-সাহারান অঞ্চলের অধিবাসীরা। ফলত লাগাতার দুর্ভিক্ষের কারণে তাঁদের অর্থনীতি থেকে সমাজব্যবস্থা সব কিছু আছে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মুখে। প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় কৃষকসমাজ এই সারসত্যটি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে বলেই সূত্রপাত ঘটেছে বিপুল গণ-আন্দোলনের। অবশ্য এই গণ-অভ্যুত্থানকে নানান অনৈতিক রঙে কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টাও শুরু হয়ে গেছে, রাষ্ট্রশক্তির তরফ থেকে ব্যবহৃত হয়েছে অশ্লীল ইঙ্গিত, চেষ্টা হয়েছে কৃষি সংগঠনগুলির মধ্যে ভাঙন ধরানোর। কিন্তু তৎসত্ত্বেও সারা দেশের পাঁচশোর বেশি সংগঠন একযোগে প্রতিষ্ঠা করেছে তাঁদের দাবিসমূহ। প্রতিবাদমঞ্চে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৬০ জন আন্দোলনরত কৃষকের! রাজধানীতে প্রবেশের রাস্তা কেটে দিয়েছে সরকার, ভারতীয় উপমহাদেশের শীতকালীন ঠান্ডায় কৃষকদের উপর প্রয়োগ হয়েছে হিমশীতল জলকামান। একটি স্বৈরাচারী ক্ষমতান্ধ সম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রশক্তির যা যা করণীয়, বর্তমান ভারত সরকার সে সমস্তই সম্পাদন করেছে এবং তারপরেও কৃষক আন্দোলনকে দমন করা সম্ভব হয়নি। অথচ এত কিছুর মধ্যেও কৃষকেরা মনে রেখেছে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দাবি আদায়ই শেষ কথা নয়, এই আন্দোলনের অভিমুখ বহুমাত্রিক— প্রথমত, অন্যান্য শ্রমজীবী স্তর তথা সংগঠনগুলির সঙ্গে জোটবন্ধন ও তার সংহতি স্থাপন। দ্বিতীয়ত, শ্রম অভ্যুত্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক-সাংগঠনিক তথা সাংস্কৃতিক চিন্তনের বিস্তার ঘটানো নয়তো পুনরায় পুঁজিবাদী শক্তির আস্ফালন হয়ে উঠবে গগনচুম্বী। আশার কথা,  আন্দোলনরত কৃষকদের হাতে যখন রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ কিংবা ‘ভগৎ সিং রচনাবলি’ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে; তাঁদের সেইসব নিমগ্ন পাঠ, বহুপ্রতীক্ষিত সাংস্কৃতিক তথা সাংগঠনিক চিন্তার বিস্তার যে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধেই ঘটাবে তেমন আকাঙ্ক্ষাকে আর অসম্ভব বলে মনে হয় না। তৃতীয়ত, শোষকশ্রেণির প্রতিরোধ ও দমন— একটি বৃহৎ গণ-আন্দোলন যখন তার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়, তখন শাসকের তরফ থেকে নানান উস্কানি, অনৈতিক ক্রিয়াকলাপের আমদানিও ঘটতে থাকে। কৃষকরা সেদিকটিতে সতর্ক দৃষ্টি রেখে সম্পূর্ণ অহিংসার পথে এই আন্দোলনকে পরিচালিত করেছে; প্রহাররত পুলিশকে কখনও জল, কখনও আহার জোগানোর মাধ্যমে রক্ষা করেছে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা— যা স্বৈরাচারী শাসকের কাছে খুব একটা স্বস্তিদায়ক ঘটনা নয়। চতুর্থত, শ্রমের পরিমাণ ও পরিভোগের উপর নিয়ন্ত্রণের দাবি— লক্ষ করলেই দেখা যাবে, কৃষকরা নির্দিষ্ট কিছু চাহিদার উপর নির্ভর করে এই আন্দোলন গড়ে তুলেছে। শ্রমের সমুচিত মূল্য তথা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ব্যতীত আকাশকুসুম কোনও দাবি তাঁরা শাসকের সামনে রাখেনি। ফলে ন্যূনতম সহায়তা এবং নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি অগ্রাহ্য করলে আদতে তা শাসকগোষ্ঠীর শিবিরেই বুমেরাং হয়ে ফিরে যাবে। এই সুনির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে গড়ে তোলা আন্দোলন একটি সুপরিকল্পিত শ্রেণিসংগ্রামের বার্তাকেই সামনে আনে যা ভারতীয় সমাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক। পঞ্চমত, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্ত কৃষকসমাজ কর্পোরেট সংস্থার প্রতিপত্তি ও ক্ষমতায়নকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। অর্থাৎ অর্থ-সম্পদের ভিত্তিতে যে বৈষম্যকরণের পথে ভারত এগিয়ে চলেছে, এই অভ্যুত্থান সেই ব্যবস্থার প্রতিস্পর্ধীরূপে সমগ্র দেশের শ্রমজীবী মানুষগুলিকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আন্দোলনের প্রতি শ্রমিক সংঠনগুলির সমর্থন সে বার্তাই বহন করে আনে। সম্পদভিত্তিক অভিজাতবর্গের প্রতিপত্তির বদলে শ্রমভিত্তিক সামাজিক মালিকানার এই নীতি আরও একবার ভারতে শ্রেণিসংগ্রামের কণ্ঠকে যে জোরদার করছে তা বলাই বাহুল্য।

আমাদের বুঝতে হবে, প্রায় ১২ লক্ষ কৃষক ঘরবাড়ি ত্যাগ করে, প্রবল উত্তুরে শীত এবং বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও ট্রাক্টরের লৌহবিছানায় যে দিনযাপন করছেন, সেটা এমনি এমনি নয়। এ ঘটনা যেন ১৯১৭-র বলশেভিক বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি! এ প্রসঙ্গে আইজাক ডয়েসচার তাঁর ‘The Unfinished Revolution’ নামক গ্রন্থে লিখেছেন, “Just before the Bolshevik Revolution, a fiery revolutionary situation was created among the peasants of Russia. The prestige of bourgeois power gradually shattered the agrarian economy, establishing a financial dictatorship.”

এই মুহূর্তে ভারতীয় কৃষকদের অবস্থা সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সঙ্গে পুরোপুরি একীভূত না হলেও অনেকখানি সামঞ্জস্যপূর্ণ। সরকার ও কর্পোরেট সংস্থার যৌথ আক্রমণ মেনে নিলে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া আর কোনও পথ কৃষকদের কাছে খোলা থাকে না এবং তার চরমতম প্রভাব যে ভারতীয় আর্থ-সামাজিক পটভূমির উপর পড়বে অবশিষ্ট সমাজ সেটা না বোঝার মতো মূঢ় নিশ্চয়ই নয়। ফলত এই মুহূর্তে সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের কৃষি আন্দোলনে সংযুক্ত হওয়া, অন্তত কৃষকদের পাশে মানসিক তথা বৌদ্ধিকভাবে দাঁড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র তখনই সুরক্ষিত যখন তাকে বাঁচানোর দায়ভার ক্ষমতালোভী রাষ্ট্রের হাত থেকে ছিনিয়ে জনগণ নিজ নিজ হাতে তুলে নেয়। সমাজবাদকে প্রত্যাখ্যান করে ভোগসর্বস্ব সাম্রাজ্যবাদের মোসাহেবিপনা আদতে ক্রীতদাস হয়ে ওঠারই নামান্তর। এই কৃষিবিপ্লবের ভবিষ্যৎ হয়তো অজানা কিন্তু ইতিমধ্যে তা সমাজের অভ্যন্তরে শ্রেণিসংগ্রামের বীজ বপন করে ফেলেছে যা আগামী দিনে হয়তো ভোগবাদী ভারতের মুখোমুখি সম্ভাব্য বিপ্লববাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে প্রতিস্পর্ধী হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হবে।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4651 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...