দু’টি কবিতা
১
বৃদ্ধ ভিক্ষুক কিংবা বয়সী ছায়া
❐
কাঁধে এক জীর্ণ ঝোলা
দুপুরের সূর্যটাকে
মাথায় করে একা
হেঁটে যাচ্ছে…
এক পা, দুই পা করে
এক পা, দুই পা করে
…আবার এক পা… আবার দুই পা… ঘুরেফিরে এর বেশি পা ফেলার থাকে না কারো…
কাঁধে এক জীর্ণ ঝোলা
একা
রবীন্দ্রনাথের মত হেঁটে যাচ্ছে
হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে… পৃথিবীর সব পথ তার জন্য… সারাটা জীবন ধরে হেঁটে যাচ্ছে…
প্রতিটি পায়ের ছাপ
কাটাছেঁড়া করে লেখা
ধুলোর কবিতা : এক পা, দুই পা করে… এক পা, আধ পা করে… দুপুরের সূর্যটাকে
মাথায় করে কোনো
বিকেলের দিকে সে নিয়ে যাচ্ছে… কাঁধে এক জীর্ণ ঝোলা…
যেন
আমার শৈশব
যাবতীয় সব
…ঐ ঝোলার ভেতরে
২
ফিরে তাকাই নিজের দিকে
❐
সম্মুখে অনন্ত অর্থহীনতা
তাই পেছনে তাকাই
পেছনে আমার, আরো অনেক অনেক সেই
অতীতে দাঁড়িয়ে থাকা
বানরমুখো সব
পূর্বপুরুষ।
আমাদের পূর্বপুরুষ।
তাদের চোখগুলো আয়নার মত মসৃণ,
আমাদের প্রতিবিম্ব নিয়ে তাকিয়ে আছে,
আর ভাবছে…
আহ, তাদের সন্তান
অবিকল শিখে গেছে মানুষের অভিনয়, ভঙ্গি…
আর কিছু বলছে না তারা,
নীরব ও ভাষাহীন।
এই নীরবতা
ব্যাকরণ-সমৃদ্ধ,
নতুন এক ভাষার মতন।