শতানীক রায়

শতানীক রায় | কবির কল্পনা

কবির কল্পনা 

 

.

কবি ভাবে। দিনের শেষে। গায়ে গায়ে আর-একটা দিন মাংসের অনুভূতির মতো তাকিয়ে থাকে। যে-পথে মানুষের রক্ত ছড়িয়ে থাকে। ঘ্রাণ থাকে অন্য পৃথিবীর। অন্য সাধনা। জীবনের কাছাকাছি অন্য ফলাফল। যে-শিশু ভেসে যায় তাকে ধারণ করে কোন শৈশব। এভাবে শব্দের ভেতর থেকে এরকম আকুতি কবিকে শান্ত রাখে৷ কবি অধিকাংশ সময় পড়ে থাকে সময়েরই মতো। এখানে।

 

২.

যে ঘুম অতিক্রম করে দরজা ঠেলে এসেছিল। তারই স্বপ্নে মৃদু দেখা গেল অন্ধকার। শুধুই অন্ধকার নিজের অবয়ব বিস্তার করতে থাকে। মৃত মানুষের ছায়ার মতো সব। আকাশে নক্ষত্র উচ্ছল হলে ছবি বদলে যায়… মানুষ উভচর হয়। শব্দের ভেতরে প্রবেশ করে এক-একটা ভাঙা ডানা। কোনও একজন হঠাৎ ডাক ছাড়ে। পৃথিবীর ভেতর এই আমার গভীরতা থাক। এই আমার সযত্নে রাখা নদী বিস্তারিত হচ্ছে।

 

৩.

কোনও একজন আয়ু রেখে গেল। আর এই বাক্য প্রাচীন হলে পটপরিবর্তন হয়। গাছ নদী ছায়ার এই চরাচরে শুধু উড়ন্ত মানুষ। কবি কল্পনা করতে পারে। কবি কল্পনা করতে পারে না। তবুও… এইসব গতির কথা ভয়ের কথা এখানে গাছ হয়ে থাকে।

 

৪.

এরই মাঝে নিহিত তুমি আমি সমস্ত এই চরাচর। এই সব কোথায় ভাঙনে আলোতে নৈশভোজে। কোথায় ক্রমাগত বিষাদ। কোথায় ব্যাপ্ত এই শরীর। ছায়া রেখে যাওয়া একধরনের প্রক্রিয়া। কবিতা এখানে সমগ্রে নয় একটি দিনে। কিছু সময়ে স্থায়ী। খুব ভোরের স্মৃতিকে আবছা করতে করতে যাওয়ার ভেতর এই তো বিছানো থাকে। কবি নিজেই এখানে শুয়ে থাকেন। কবি ও কবিতা পরস্পর।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4869 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...