![amartya 3](https://i2.wp.com/www.4numberplatform.com/wp-content/uploads/2023/05/amartya-3.jpg?resize=678%2C381&ssl=1)
অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর
যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত একজনের বিরুদ্ধে সামান্য এফআইআর মাত্র দায়ের করাতে গিয়ে দেশের একগুচ্ছ অলিম্পিক পদকজয়ী ক্রীড়াবিদকে রাতের পর রাত রাস্তায় কাটাতে হল, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হল, এবং এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যখন তাঁরা অভিযুক্তের গ্রেপ্তারি অবধি ধরনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন রাতের অন্ধকারে পুলিশের মার অবধি খেতে হল
একটা সময় অবধি আমরা অনেকেই মন্তব্য করতাম খেলা হোক বা মন্ত্রিত্ব, যে কোনও বিষয়ে যিনি পদাধিকারী হবেন তাঁর সেই বিষয়ে পূর্ব-অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। এই সূত্র ধরেই ভাবনা আসত খেলার দুনিয়াতে, অর্থাৎ কিনা বিভিন্ন ক্রীড়া-সংস্থাগুলির শীর্ষে যদি প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের একেকজনকে এনে বসানো যায়, তবে তার চেয়ে ভাল আর কিছুই নয়। সম্প্রতি আমাদের সেই ভুল ভেঙেছে। একথা আমরা বুঝে উঠতে পারিনি যে, আমাদের দেশে উচ্চপদে সমস্ত নিয়োগই কোনও না কোনও মালিকের মর্জি অনুযায়ী হয়ে থাকে। কাজেই পদাধিকারী হলে পরে প্রাক্তন ক্রীড়াবিদের চেয়েও মালিকের বেতনভুক কর্মচারী— এই পরিচয়টিই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। এই তালিকায় সর্বশেষ নাম পিটি ঊষা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভের অধিনায়কত্ব সম্পর্কে যে একটা চূড়ান্ত অন্ধভক্ত-সুলভ স্বপ্নমেদুরতা ছিল, আজ— ৫ মে, ২০২৩, দিল্লির যন্তরমন্তরে কুস্তিগিরদের ধরনার প্রসঙ্গে তাঁর যে মন্তব্য, তার পরবর্তীতে সেই স্বপ্নমেদুরতারও আর কতটুকুই বা অবশিষ্ট থাকল জানি না। ইতিপূর্বে বিসিসিআইয়ের সভাপতি থাকার সময়েও, সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কন্যা সানার একটি ট্যুইটের বিষয়ে তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। আজ কুস্তিগিরদের ধরনা প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এটি তাদের ব্যক্তিগত লড়াই। তারা তাদের মতো লড়ুক। আমি এই বিষয়ে খবরের কাগজ থেকেই যতটুকু জানা যায় জেনেছি। এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” তিনি আরও বলেন, ক্রীড়াবিদ হিসেবে তিনি শিখেছেন অজানা বিষয় নিয়ে মন্তব্য না করতে। যেখানে দেশের অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগিরেরা আজ প্রায় দু সপ্তাহ হতে চলল খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন যৌন হেনস্থার মতো অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এমন নিস্পৃহতা একজন নাগরিক হিসেবে লজ্জার। নাগরিক-আইকন হিসেবে তো বটেই।
একই প্রতিক্রিয়া এসেছিল পিটি ঊষার কাছ থেকেও। তিনি বরং আরও একধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, “কুস্তিগিরদের এমন আন্দোলনের ফলে দেশের সম্মানহানি হচ্ছে।” ঊষা ভুলে গিয়েছিলেন, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি, অভিযুক্ত যৌন-হেনস্থাকারী বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে যখন ভারত সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রক, কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে তাঁর নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করে সাময়িকভাবে পদ থেকে বরখাস্ত করে রেখেছে, তখন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার প্রধান হিসেবে ঊষারই দায়িত্ব কুস্তি ফেডারেশনের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা। ব্রিজভূষণের রত্নখচিত কেরিয়রের বিষয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। বাবরি ধ্বংস থেকে শুরু করে অ্যাথলিটকে প্রকাশ্যে চড়, ডাকাতি, খুনের চেষ্টা, প্রমাণ লোপ— ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে দেশের একাধিক ন্যায়ালয়ে এই মুহূর্তে মামলা বিচারাধীন। অথচ এই সময়ে দাঁড়িয়ে যখন পদকজয়ী কুস্তিগিরেরা সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিযোগ করছেন, কুস্তি ফেডারেশনের তরফে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা মহিলা ক্রীড়াবিদদের নাম সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে, যা কিনা সম্পূর্ণভাবে আইনবিরুদ্ধ কাজ, তারপরেও ঊষার মনে পড়েছিল দেশের “সম্মানে”র কথা। মনে পড়েছিল, কীভাবে আন্দোলনের ফলে দেশের সম্মানহানি ঘটে। অথচ যৌন হেনস্থাকে চাপা দেওয়ার অভিযোগ, অভিযোগকারিণীদের নাম জনসমক্ষে ফাঁস করে দেওয়ার মতো অভিযোগ— এমন সমস্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেও দেশের কিছুমাত্র সম্মানহানি হয় না বোধহয়। অবাক হয়ে ভাবতে ইচ্ছে করে, জানুয়ারি মাসে কুস্তিগিরদের প্রথম ধরনার ফলশ্রুতি হিসেবে ক্রীড়ামন্ত্রক ও কুস্তি ফেডারেশনের তরফে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তারও প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আরেক পদকজয়ী অলিম্পিয়ান, বক্সার ও সাংসদ মেরি কম। তিনিও কুস্তিগিরদের আবার নতুন করে এই ধরনার বিষয়ে নীরব। খোদ যে কমিটির তদন্ত-রিপোর্ট নিয়ে আজ এত কাণ্ড, এত আলোচনা, এত প্রতিবাদ, সেই কমিটির সামান্য রিপোর্টটুকুকে অন্তত (যদি অবশ্য বা আদৌ তা তৈরি হয়ে থাকে), সামনে আনতে মেরি কম বা সেই কমিটিতে তাঁর সঙ্গে কাজ করা সদস্যদের কিসের এত অনীহা, বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত একজনের বিরুদ্ধে সামান্য এফআইআর মাত্র দায়ের করাতে গিয়ে দেশের একগুচ্ছ অলিম্পিক পদকজয়ী ক্রীড়াবিদকে রাতের পর রাত রাস্তায় কাটাতে হল, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হল, এবং এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যখন তাঁরা অভিযুক্তের গ্রেপ্তারি অবধি ধরনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন রাতের অন্ধকারে পুলিশের মার অবধি খেতে হল— এই না হলে আর অচ্ছে দিন!
[মেরি কম অবশ্য তাঁর নিজের রাজ্য মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য দেশের মহামহিম প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও কর্নাটকের প্রচার শেষ না হওয়া অবধি মহামহিম এই দুইজনের পক্ষে সেই বিষয়ে সময় দেওয়াটা কতখানি সম্ভব হবে তা খোদায় মালুম।]
পনেরোজন কুস্তিগির জানুয়ারি মাসের ধরনার পরবর্তীতে সরকারি কমিটির কাছে নিজেদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তার মধ্যে এখন বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সাতজন। এই পনেরোজনের মধ্যে একজনের বক্তব্য, তাঁকে যখন ব্রিজভূষণ যৌন হেনস্থা করেন সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল আঠারোর কম। তিনিও আজ বাকি ছয়জনের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপ্রার্থী হয়েছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক নিয়মে নাবালিকাকে যৌনহেনস্থা বিষয়ক পকসো আইন মোতাবেক মামলা চালু হওয়া উচিত। কিন্তু বিগত আড়াই মাসে সরকারি তরফে কমিটির রিপোর্ট সামনে আসেনি। অভিযোগকারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। তাঁদের বক্তব্য বিস্তারিতভাবে শোনা বা তাঁদের থেকে প্রমাণ চাওয়ার বিষয়েও কোনওরকম ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিযোগকারী কুস্তিগিরেরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁদের অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ দাখিল করেছেন। এরও পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ, লাগাতার ধরনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরোনোর পর, অবশেষে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর মাত্র দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারি অথবা তদন্ত তো অনেক বড় ব্যাপার। এই সমস্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই কুস্তিগিরেরা ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারি না হওয়া অবধি ধরনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর আসে ৩ মে-র রাত।
সেদিন দিল্লিতে বৃষ্টির কারণে পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের ধরনা চলাকালীন ভেজা রাস্তার উপরেই শুয়ে রাত কাটাতে হত। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা কিছু ফোল্ডিং খাটের ব্যবস্থা করেন। সেই খাট ধরনা-চত্বরে পৌঁছনো মাত্র দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কুস্তিগিরদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর আগেও কুস্তিগিরদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাঁদের ধরনা-স্থলে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস পৌঁছতে দিল্লি পুলিশ বাধার সৃষ্টি করছে। এক কুস্তিগির এই ধস্তাধস্তির সময় মাথায় আঘাত পান। মহিলা কুস্তিগিরদের তরফে অভিযোগ করা হয় এই ধস্তাধস্তি চলাকালীন পুরুষ পুলিশকর্মীরা মহিলা কুস্তিগিরদের উপর চড়াও হন। মহিলা পুলিশ আসতে অনেক দেরি হয়। মহিলা পুলিশ এলেও, তাঁদের প্রথম ও প্রধান কাজ হয় দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালকে বলপূর্বক, অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে ধরনা-স্থল থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে বলে দেওয়া প্রয়োজন, দিল্লিতে এই মুহূর্তে আম আদমি পার্টির সরকার থাকলেও, দিল্লি পুলিশ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। কাজেই মহামহিম শাহের বশংবদ হিসেবে কাজ করা ছাড়া তাদেরও আর কোনও উপায়ন্তর থাকে না। অলিম্পিক পদকজয়ী ক্রীড়াবিদ ভিনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা ক্যামেরার সামনে ক্ষোভে দুঃখে ফেটে পড়েন। বজরং জানান কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে তিনি বা তাঁরা, তাঁদের পদক ও অন্যান্য যা কিছু সম্মান দেশের কাছ থেকে পেয়েছেন, সমস্ত তাঁরা ফিরিয়ে দেবেন। ন্যায়ের দাবিতে লড়াইয়ের জন্য, উত্তরসূরি কুস্তিগিরদের নিরাপত্তার জন্য তাঁদের এই আন্দোলন। এই সমস্ত খবরই কিন্তু ছোট বা বড় আকারে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে উঠে এসেছে। সৌরভ কিন্তু এরপরেও কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ানোর সাহস দেখাতে অক্ষম হলেন।
প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অলিম্পিক-মঞ্চে একক ইভেন্টে প্রথম সোনাজয়ী ভারতীয় ক্রীড়াবিদ অভিনব বিন্দ্রা, অলিম্পিক-মঞ্চে অ্যাথলেটিক্সে প্রথমবারের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আসা ভারতীয় ক্রীড়াবিদ নীরজ চোপড়া, ক্রিকেটের মঞ্চে ভারতকে প্রথমবারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করা ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য ও অধিনায়ক কপিল দেব, ফুটবলার ভাইচুং ভুটিয়া, ক্রিকেটার হরভজন সিংহ, ও বক্সার বিজেন্দ্র সিংহের মতো মানুষ। তালিকা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের তরফেও ইতিমধ্যেই কুস্তিগিরদের এই আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়েছে। ৩ মে-র রাত্রে, অন্ধকারে পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের উপর পুলিশের নোংরা হামলার বিরুদ্ধে কৃষকেরা প্রতিবাদ জানাতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকে ৪ মে সকাল না হতেই দিল্লি পুলিশের তরফে দিল্লি শহরে ঢোকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে ব্যারিকেড ও নাকাবন্দির কাজ শুরু হয়। কৃষক আন্দোলনের কর্মকর্তাদের তরফে ৫ মে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ৭ মে, রবিবার, হাজারে হাজারে কৃষক-মহিলারা মিছিল করে দিল্লির দিকে এগোবেন এবং যন্তরমন্তর চত্বরে পৌঁছিয়ে আন্দোলনরত মহিলা কুস্তিগিরদের প্রতি তাঁদের সহমর্মিতা জানাবেন।
আজ ভাবতে অবাক বোধ হয়, যে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, অথবা উত্তরপ্রদেশের যে সমস্ত জায়গাকার হিন্দিবলয়, জাঠবলয় ইত্যাদি ভূ-সামাজিক অঞ্চল থেকেই বিজেপির উত্থান আরম্ভ, সেই সমস্ত জায়গাগুলিতেই এবারে শুরু হয়েছে পালটা হাওয়ার আন্দোলন। শুরুর সেই কৃষক-বিদ্রোহ, তার পরবর্তীতে সেনা-নিয়োগ সম্পর্কিত অগ্নিবীর আন্দোলন, শেষ অবধি আজকের এই কুস্তিগিরদের ধরনা— নিজভূমেই কি বারংবার তবে পর্যুদস্ত হয়ে চলেছে বিজেপির জয়রথ? উত্থানের যেখানে আরম্ভ, তার পতনও কি তবে সেইখানেই? এরই উত্তর জানাবে ভবিষ্যৎ।
শেষমেশ প্রাক্তন প্রত্যেক ক্রীড়াবিদদেরই উদ্দেশ্যে আজ অনুরোধ থাকবে— অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে আসা সমস্ত পদকজয়ীদের অশ্রুর দোহাই, এবারে অন্তত মালিকের দরবারে নিজেদের শিরদাঁড়াগুলিকে বিক্রি করা থেকে বিরত থাকুন। ইজ্জতের প্রশ্নে আর অন্তত বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না!
সৌরভ শচীন ঊষা প্রমুখ স্পন্সর-খোকাখুকুদের নিয়ে মাঠের বাইরে মেগাপ্রতিমা নির্মাণ করেছে এদেশের মূর্খ মস্তিষ্ক হীন আমোদপিপাসু মধ্যবিত্ত, যাদের হাতে এখন ওড়াবার মতো কিছু টাকা এসেছে। মাঠের বাইরের সৌরভকে নিয়ে বাঙালিদের আদিখ্যেতায় x চিহ্ণ টানার সময় কি এখনো আসে নি? বন্যেরা বনে সুন্দর, খেলোয়াড়রা মাঠে।
সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে। স্পনসরের টাকার আলোয় উদ্ভাসিত এ সমস্ত আইকনেদের নিয়ে আজকের হঠাৎ বড়লোক হয়ে যাওয়া মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় উদ্বাহু হয়ে নৃত্য পরিবেশনে ব্যস্ত। মাঝখান থেকে নেশাগ্রস্ত সমাজের সুযোগ নিয়ে বড় কারবারিরা আখের গোছাচ্ছেন। কারবারিদের কাছে এই আইকনেদের আইকনত্ব আদতে সমাজের চোখে ঠুলি পরানোর অস্ত্র মাত্র।