নাম লেখা নেই আগুন কিংবা জলে

নাহার তৃণা

 

ক্রমাগত ভুলে ভরা, পিছিয়ে পড়া মানুষটার জন্য বুকের একটা কোণ খুব সন্তর্পণে শীতলপাটি বিছিয়ে রেখেছিল। বাইরের ছুটন্ত পৃথিবী কিংবা গৃহের নিরন্তর উত্তপ্ত বাতাবরণ এড়িয়ে মুখোমুখি বসবার খানিক অবসর পেলে হয়তো মানুষটা দু-দণ্ড শান্তির ছোঁয়া পেলেও পেতে পারত। সর্বদা মাটির দিকে চোখ রেখে চলা মানুষ ভুলে যায় কিছু আয়োজনের খোঁজ চোখে চোখ রেখে খুঁজে নিতে হয়। মানুষটা অনেক কিছুই জানত না আসলে! তবে ভারি চমৎকার বাঁশি বাজাতে জানত। হাভাতে সংসারে নাকাল হতে হতে, সেটাও একদিন ভুলে যেতে হয় তাকে।

সেদিনটা খুব মনে আছে। ইলেকট্রিসিটি চলে যাওয়ায় একটা মাত্র হারিকেনের আলোতে প্রাণপণ এইচএসসি পরীক্ষার পড়া তৈরিতে ব্যস্ত ছিল বড় আপা। কিন্তু বারবার পড়ায় বাধ সাধছিল ভেসে আসা বাঁশির সুর। সংসারের সর্বময় কর্ত্রীর বিষয়টা বুঝে নিতে সময় লাগেনি। মা উঠে গিয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। ফিরে এল যখন মায়ের হাতে একটা বাঁশির দুটো টুকরো দেখেছিলাম হারিকেনের টিমটিমে আলোয়। আমেরিকাপ্রবাসী বড়মামার দেওয়া প্রিয় শেফার্ড কলমটা হারিয়ে কতটা নিঃস্ব লেগেছিল, সেই স্মৃতি মনে হওয়ায় বুকে একটা মোচড় পড়েছিল। সেদিন আলো-অন্ধকারে আরও একবার হেরে যাওয়া অপাঙক্তেয় মানুষটার অবয়ব জুড়ে মগ্ন বিষাদের চুঁইয়ে পড়া চোখ মেলে দেখিনি কেউ। সেটা তেমন জরুরিও ছিল না হয়তো।

যেদিন তার ঘুমন্ত মুখটা খুব নিবিড় আয়ত্তে দেখবার সুযোগ করে দিল প্রকৃতি, সমস্ত কাঠিন্য সরে গিয়ে তার প্রতি মন স্নেহার্দ্র শিশিরে ভিজে উঠেছিল অকপটে। অথচ সে খবরটাও জানা হল না সংসারের সবচে’ মূল্যহীন মানুষটার।

পৃথিবী কিংবা সংসারের সঙ্গে সব লেনদেন চুকিয়ে চিরদিনের জন্য চলে যাওয়াতেও কোনও ঘটা ছিল না তার। আর দশটা আটপৌড়ে নগন্য মানুষের মতোই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে চুপচাপ। সেই প্রথম আর শেষবার জন্মদাতার মুখের দিকে তাকানোর ফুরসত হয়েছিল। সমাজ-সংসার সবখানে আজীবন দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্তির তকমা আঁটা পাংশুটে কাঁচুমাচু ভাব উবে গিয়ে অপার্থিব এক প্রশান্তি লেপ্টে ছিল সে মুখ জুড়ে। মরে গিয়ে কেউ কেউ বেঁচে যায়। জীবন্ত যে মানুষকে পরিবারের কেউই বুদ্ধিপরামর্শ দেওয়ার যোগ্য ভাবেনি— জীবনের শ্রেষ্ঠ পাঠটা সেই মানুষটা থেকেই অর্জন করেছি।

জীবনের দৌড়ে পিছিয়ে পড়া, সংসারে অপাঙক্তেয়, আমার কেরানি বাবার মৃত শরীরে জেগে থাকা জীবন্ত মুখটা বুকপাঁজরে বসে গিয়ে আমাকে জীবনের দৌড়ে সামনে এগিয়ে থাকবার ফুসমন্তর দিয়ে গেছে নিরন্তর। আমার সফলতার পেছনে একজন পরাজিত মানুষের ছায়া নিরন্তর খেলা করে।

সফল মানুষের বুকপকেটে খুচরো পয়সার মতো চুপকথারা মুখ গুঁজে থাকে। বসন্তের প্লাবিত মগ্নতা ছুঁয়ে গুটিগুটি পায়ে নেমে আসা কোনও কোনও সন্ধ্যায় কথারা নীরবতা ভাঙতে ব্যাকুল হয়। কর্মময় জীবনের ব্যস্ততায় নিজের সবটা ছেড়ে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা পেরিয়েছি বহুদিন। নিজেকে সময় দেওয়ার আয়োজনে সৌখিন মানুষ হিসেবে বাজারে একটা পরিচিতি আছে। সেরকম এক আয়োজনেই পরিচয় হয়েছিল ফিলিস্তিনি ইয়াসিরের সঙ্গে। হাসিখুশি, অকপট ইয়াসির কাজেকর্মে চৌকস এবং অবশ্যই সফল একজন মানুষ। দিগন্তের শেষবিন্দুতে তাপক্লান্ত সূর্যটা টুপ করে যখন ডুবে যায়, গোটা খানেক গেলাসের ভরন্ত শরীর খালি করে ফেলে ইয়াসির ততক্ষণে। পেটে অ্যালকোহল পড়লেই খুচরো পয়সার মতো তার ভেতর থেকে কথাদের ছড়িয়ে পড়বার ভয়ে বেচারা প্রায়শই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলে। যেদিন ব্যর্থ হয় সেদিন ওর ভার হোস্ট হিসেবে আমাকেই নিতে হয়। নিজের জন্য নির্দিষ্ট রাখা গেলাসের সীমারেখা তুলে দিয়ে সে-সব রাতে দুজন মানুষ ছিপিখোলা সোডা বোতলের ফিজির মতো উপচে পড়ে ভাসিয়ে নেই রাতের অন্ধকার।

প্রথমদিকে আমাদের গল্পেরা জলমগ্ন ব্যাঙেদের একটানা গানের মতো সুর ধরে এগোলেও রাত যত বাড়ে গল্পের সুর তাল উবে গিয়ে কেমন তালগোল পাকানো বেসুরো হয়ে ওঠে। সেসব গল্পে উঠে আসে আমার পরাজিত কেরানি বাবার পাঁচালি। বুকের খাঁচায় বন্দি থাকা তার বাঁশির সুরটুকু ইয়াসিরকে শোনানোর ব্যর্থ চেষ্টায় আকুপাকু করি। ইয়াসির সান্ত্বনা দিতে দিতে হাতের তালুতে তুলে আনে রক্তাক্ত প্যালেস্তাইন। আমরা তখন কার কষ্টের তুল্যমূল্য কতটা ভারবাহী, সেটা বুঝে নেওয়ার চেষ্টায় থম ধরে থাকি। ইয়াসিরের বয়ানের সামনে বাবার ভাঙা বাঁশির কষ্ট ফিকে হয়ে যায়। একটা পর্যায়ে নিজেদের কী এক আবিষ্কারে দুজনেই হেসে গড়িয়ে পড়ি। সেটা কি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে নিজেদের সমতার কারণে, নাকি অ্যালকোহলের সুড়সুড়ি, বুঝতে পারি না। সিলিকন ভ্যালির বিলাসবহুল বাতানুকূল ঘরে বসে দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্তির বাস্তবতা আমাদের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটে।

শৈশবেই জীবনের নগ্ন চেহারাটা দেখে ফেলায় একটা বিষয় বুঝে নিতে দেরি হয়নি, যেমন করেই হোক, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। জীবনের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের দৌড়ে একদম প্রথম সারিতে থাকতে হবে। নইলে জীবন বড় করুণ। বড় বেশি নির্মম। জীবনে যখনই ক্লান্তি এসেছে, পিছিয়ে পড়বার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছে, তখনই যেন বুকের খাঁজে লেপ্টে থাকা কেরানি বাবার মুখটা চিবুক নেড়েছে, ‘পিছিয়ে গেলেই আমার মতো গো-হারা হবি, গো অ্যান্ড ফাইট।’ যদিও জানি সংলাপটা আমারই অবচেতন সত্তার সৃষ্টি, কিন্তু দারুণ কাজের। জীবনে যেন অপাঙক্তেয় হাভাতের তকমা না এঁটে বসে তার জন্য প্রাণপণ যুঝে গেছি সবটা উজাড় করে। ‘দ্বিতীয়’ শব্দে বরাবরই আমার অভক্তি।

পুষ্পিতার সঙ্গে দীর্ঘ বারোটা বছর একই ছাদের নিচে থাকবার পর যখন আবিষ্কার করলাম প্রথম সারিতে আমার স্থানটা টলতে শুরু করেছে, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করিনি। পুষ্পিতার জীবনে প্রথম হওয়ার অহঙ্কার টলে যাওয়ার বিষাদমগ্ন যন্ত্রণা হজম করেও ওর সঙ্গে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমরা একে অন্যের জীবন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলাম। পুষ্পিতা দেশ ছাড়ল, আমি শহর।

আমাদের সন্তান মাটিল্ডাকে নিয়ে টানাহেঁচড়ায় যাব না আগেই ঠিক ছিল। অস্ট্রেলিয়ায় মায়ের কাছে থাকে মাটিল্ডা। বছরে দুবার আমাদের দেখা হয়। আমাদের পরস্পরের শিক্ষা, রুচি মেয়েটার মন বিষানোর পথে হাঁটেনি। মেয়ের চোখে বাবা হিসেবে ওয়ার্ল্ড বেস্ট ড্যাড যেমন আমি, পুস্পিতাও ওয়ার্ল্ড বেস্ট মম।

দুজন মানুষের মাঝে তৃতীয় আরেকজনের ছায়া যখন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে বাস্তবতাকে ঘিরে ধরে, আপসে যে-কোনও একজনকে সরে যেতে হয়। এক্ষেত্রে পুষ্পিতার জীবনে দ্বিতীয় পুরুষ হয়ে পড়ার ভীতি যতটা কাজ করেছিল, সম্পর্কের উদাসীনতার উপর ভর করে নেমে আসা শীতলতা ততটা জমাট বেঁধেছিল কিনা সন্দেহ হয় মাঝে মাঝে। গড়ে ওঠা নতুন সম্পর্কের সাময়িক আবেশে পুষ্পিতারও তখন অতটা খতিয়ে দেখবার অবকাশ হয়নি। এখন যেন মনে হয় আমাকে দ্বিতীয় হওয়া থেকে রক্ষা করতে গিয়ে বেচারি নিজেই দ্বিতীয় নারীর ভূমিকার ফাঁপরে পড়ে হাঁসফাঁস করছে। সফল মানুষ মাটির দিকে তাকিয়ে আশ্রয় খোঁজে না বলেই হয়তো এ সত্যিটা আমি পুষ্পিতার দু-চোখের ভাঁজে দেখতে পেয়েছি। যদিও সন্তানের কারণে আমরা মোটামুটি একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক ধরে রেখেছি, তবে পুষ্পিতা না চাইলে কাঁচুমাচু ভঙ্গি নিয়ে কখনও সে সম্পর্কের দোহাই দেবার মানসিকতা আমার হবে না। একজন পরাজিত, কাঁচুমাচু, অপাঙক্তেয় মানুষের রক্ত বহন করলেও স্বভাব আর অবস্থানগত বৈপরীত্য নিউরনের ভাঁজ খুলে জানান দেয় আস্ফালনের যাবতীয় ভঙ্গিমা। বৃষ্টিহীন মানুষ হিসেবে অমৃত মেঘের বারির প্রার্থনায় জীবনের কাছে কাঁচুমাচু আমার বাবা কতটা চাতকপ্রাণ ছিল মাটিল্ডার মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে এই এতটা বছর পরে খুব জানতে ইচ্ছে করে। মানুষ পরাজয়কে বার বার মনে করে নিজেকে বুঝি এ কথাটাই মনে করিয়ে দিতে চায় জীবনে গো-হারা হওয়া যাবে না, কখনও না। সেরকম সময় ভুল করে এ জীবনের বাঁকে চলে এলে আই র‍্যাদার ডাই অন দ্যাট সিচুয়েশন দ্যান বুচারিং মাই কনশান্স।

অপমান সয়েও বেঁচে থাকার কথায় অনন্যার রানুমাসির কথা মনে পড়ে যায়। আসলে চাইলেও মৃত্যুকে কাছে টানার মন্ত্র জানা না থাকায় জীবনের পায়েই ধর্না দিয়ে দিন যাপনের যাতনা বয়ে বেড়াতে হয় অনেককে। অকালে বিধবা রানুমাসি ভাইয়ের সংসারে লাথি ঝাঁটা খেয়েও দিব্বি হাসি মুখে থাকতেন। যেন জীবন কিংবা কারও প্রতিই তার কোনও ক্ষোভ কিংবা বিরাগ নেই। বেঁচে থাকার নিয়মরক্ষা তার কাছে ভারি মজার কোনও খেলার মতো ছিল। তখন আমাদের শৈশবকাল। আমরা কোনওমতে ঠেলাধাক্কা দিয়ে, আর অনন্যা অবস্থাপন্ন ঘরের মেয়ে হওয়ায় প্রজাপতির পাখায় ভর করে যে যার মতো শৈশব পেরোচ্ছি। রানুমাসি তখন পান খাওয়া টুকটুকে লাল ঠোঁটের বাহান্নর গল্প মাসি। খেলতে খেলতে জল খাওয়ার ছুতোয় রানুমাসির কাছে যেতে চাইতাম সেসব বিকেলে। জানাই ছিল শুধু জল রানুমাসি কক্ষনও দেবেন না। বেশিরভাগ দিনেই ডিমের বরফি কাটা হালুয়ার টুকরো হাতে গুঁজে দিতেন মাসি। অনন্যা বলত তিনি নাকি ওগুলো চুরি করে আমাদের জন্য জমিয়ে রাখতেন। জল খাওয়ার অবসরে কত কী গল্প জুড়ে দিতেন। মাঝে মাঝে রানুমাসির গল্পেরা আর খেলার মাঠে ফিরতে দিত না। আটকে রেখে দিত। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওদের উঠোনে পরীদের নেমে আসবার গল্প শুনতাম।

কোনও এক পরী নাকি মাসিকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল পরীরাজ্যে। পরীদের সঙ্গে চলে না যাওয়ার বোকামির গল্প শুনে আমরা সবাই লাফিয়ে উঠতাম। আমাদের সম্মিলিত আফসোস ধ্বনিতে শেষ বিকেলের ছিপছিপে অন্ধকার দোল খেত। রানুমাসি মুখ টিপে হাসতেন। অনন্যা তার মাসির আরও আজব গল্প আমাদের শোনানোর উৎসাহে তার কাছে বায়না ধরত— মাসি, তোমার আঁচলে বাঁধা বিষের গল্পটা বলো।

আমার মা প্রায় প্রায় সংসারের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে ‘খোদা বিষ কেন জোটে না’ বলে বলে কান পচিয়ে দিয়েছে। বিষের ভয়াবহতা জানা থাকলেও শব্দটার ধার অতিব্যবহারে আমার কাছে বুঝি ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল। তবুও অনন্যার মাসি কেন ওরকম অদ্ভুতুড়ে কাজ করতেন সেটা জানার কৌতূহলে লাফ দিয়ে উঠেছিলাম।

রানুমাসি স্বভাবসুলভ হাসি হেসে বলতেন, জীবনকে জব্দ করতেই নাকি তিনি অনেকটা সময় আঁচলে বিষের বড়ি বেঁধে ঘুরে বেড়াতেন। এখন আর জব্দ করতে ইচ্ছে করে না? আলটপকা প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিতেই অনন্যার কিল উড়ে আসত প্রশ্নকর্তার পিঠ লক্ষ করে। রানুমাসি ব্যথা পান এমন যে-কোনও কাজে অনন্যার কাছ থেকে কিল চড় আমাদের ভাগে বাড়তি পাওনা হিসেবে জুটে যেত প্রায়।

মাসি বলতেন, মেয়েরা নাকি বিড়ালের জাত। সাতটা জীবন নিয়ে আসে। আদর সোহাগ পেলে বেঁচেবর্তে থাকে, প্রিয়জনদের পায়ে পায়ে ঘুরে, আর আদুরে গলায় মিঁউ মিঁউ করে। কিন্তু বাস্তবের জটিলতা যখন মুখে ঝামা ঘষে দেয়, তখন একটা করে জীবন খসে পড়ে।

—কটা জীবন খসে গেছে তোমার, মাসি?

বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাসি বলতেন, হেলায় ফেলায় ছয়টা জীবন হাত গলে পড়ে গেছে, এখন শেষ জীবনটা আঁকড়ে আছি কেমন দেখ!

মুখভর্তি হাসি নিয়ে রানুমাসি কথাগুলো বললেও হঠাৎ ঝুপ করে নেমে আসা সন্ধ্যার অন্ধকার ছাপিয়ে তার দু-চোখের চিকচিক করে ওঠা আমাদের নজর এড়াত না। ভেতরবাড়ি থেকে অনন্যার মায়ের বাজখাই গলা শোনা যেত, রানু কোথায় বসে বসে গালগপ্পো হচ্ছে? ডেকে ডেকে হয়রান…। তড়িঘড়ি উঠে যেতে যেতে রানুমাসি আমাদের কারও কারও মাথায় হাত রেখে গুনগুন করে উঠতেন— ও জীবন রে ছাড়িয়া যাস না মোরে…

জীবনের হাতে মার খেয়েও বেঁচে থাকবার আকুতি বুকে নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ দিনরাত জীবনের কাছে ধর্না দেয়। বৃষ্টিহীন বুভুক্ষু জীবন কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে, আবার কেউ কেউ পরম আদরে বুকে জড়িয়ে রাখে। জীবনের প্যাপিরাসে হাভাতে মানুষগুলোর নাম কোত্থাও লেখা থাকে না।


*গল্পের শিরোনামটি সৈকত কুণ্ডুর কবিতা থেকে নেওয়া

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4662 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...