নেমন্টে নেনকুইমো: এক প্রতিবাদী কন্ঠস্বর

সোমনাথ মুখোপাধ্যায়

 

আজ এক প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের সঙ্গে আপনাদের আলাপ করিয়ে দে‌‌ব। খুব সম্প্রতি তিনি তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের জন্য বিখ্যাত টাইমস্ ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন আরও চারজন কৃতবিদ্য মানুষের সঙ্গে। তবে তাঁকে আমাদের মাঝে ডেকে আনার আগে গুটিকয়েক জরুরি কথা বরং সেরে নিই।

প্রথমেই আসা যাক্ ‘টাইম আর্থ অ্যাওয়ার্ডের’ কথায়। ইউনাইটেড নেশনস-এর তরফেও প্রতিবছর পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। এই বছরেরও করা হয়েছে। তবে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে এমন প্রয়াস তুলনায় সাম্প্রতিককালের বিষয়। এই পুরস্কারটি সম্পর্কে পত্রিকার বক্তব্য হল— “আমাদের পৃথিবী ক্রমশ এক ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় এসে পড়েছে মানুষের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্পের দাপাদাপিতে। অথচ আমাদের হাতেই রয়েছে তাকে নতুন করে বাঁচিয়ে তোলার জিয়নকাঠি। পৃথিবীকে একটু সুন্দর প্রাণদায়ী করে পুনঃনির্মাণের লক্ষ্যে যাঁরা নিজেদের নিরলস রেখেছেন তেমন কিছু উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বকে তাঁদের কাজের স্বীকৃতি জানানোর জন্য‌ই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে যে পাঁচজন এই পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন আমাজন ফ্রন্ট লাইন্সের সহ প্রতিষ্ঠাতা নেমন্টে নেনকুইমো। আমাদের আজকের অতিথি। আমরা তাঁর কাছেই শুনব, আমাজন অববাহিকার বর্ষাবনকে রক্ষা করার সেই অদম্য লড়াইয়ের কথা। নেমন্টে নেনকুইমো…

নমস্কার। আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমার নাম নেমন্টে নেনকুইমো। আমার পোশাক-আশাক দেখে আর নাম শুনে নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পেরেছেন যে আমি এই দেশের মানুষ ন‌ই। আমি এসেছি সুদূর দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ইকুয়েডর থেকে। তবে আপনারাই একদিন পৃথিবীকে শুনিয়েছেন এক মহামন্ত্র— ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। সমস্ত পৃথিবী হল প্রকৃতপক্ষে একটি পরিবার আর আমরা হলাম আপনাদের কুটুম্ব, আত্মার পরম আত্মীয়। সত্যি বলতে কি সেই ভরসাতেই আমার এখানে আসা। আমার দেশের ওপর দিয়ে ইকুয়েটর বা নিরক্ষরেখা প্রসারিত হয়েছে। আর এর থেকেই আমার প্রিয় স্বদেশের নাম হয়েছে ইকুয়েডর। আপনারা মানে ভারতীয়রা যেমন সুপ্রাচীন দ্রাবিড়সভ্যতা বা আর্যসভ্যতার গৌরবময় উত্তরাধিকারী বলে মনে মনে গর্ব বোধ করেন, আমরাও তেমন নিজেদের প্রাচীন ইনকা সভ্যতার উত্তরসূরি হিসেবে ভেবে গর্বিত হই। এ এক আশ্চর্য পরম্পরা!

আমার জন্ম ১৯৮৫ সালে, আমাজন অববাহিকার গহন জঙ্গলে ঢাকা ইয়াসুনি অঞ্চলের এক ওয়াওরানি গোষ্ঠীর উপজাতীয় পরিবারে। জন্মের পর আমার ঠাকুমা নাম রেখেছিলেন নেমন্টে, যার অর্থ হচ্ছে সূর্যের মুখোমুখি অনেক তারা। কী আশ্চর্য নামকরণ! আমরা মানে ওয়াওরানিরা আজ এক ক্ষয়িষ্ণু জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছি, মেরেকেটে আমাদের মোট জনসংখ্যা এখন ২৫০০ জন। আসলে আমরা এক উৎপীড়িত জনজাতি। ১৯৫৮ সালে খ্রিস্টান মিশনারিরা আমাদের এলাকায় ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে এসে হাজির হল। আমার পূর্বজরা ধর্মের মোড়কে মোড়া বিজাতীয় সংস্কৃতিকে গ্রহণের বিষয়ে অত্যন্ত সন্দিহান ছিলেন। আসলে তাঁরা এই ধর্মীয় আগ্রাসন মেনে নিতে মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। তাই তাঁরা কোনওরকম সংঘাত এড়াতে অরণ্যের আরও আরও গভীরে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। ভাবছেন আমাদের ঘরবাড়ির কী হল? কী আর হবে? ওয়াওরানিরা হল wanderers মানে যাযাবর, টুকটাক জঙ্গুলে প্রাণীদের শিকার, আর এ-বন সে-বন ঘুরে ঘুরে ফল মূল শাক পাতা সংগ্রহ করেই আমাদের দিব্যি চলে যায়। স্থায়ীভাবে কোথাও নাগাড়ে বসবাস করা আমাদের ধাতে নেই। খুব অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন কী সব আবোলতাবোল বকে চলেছে মেয়েটি! আসলে আমাকে চিনতে হলে, বুঝতে হলে যে আমার এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অবশ্যই পারিবারিক প্রেক্ষাপটটাকে জানতে হবে। ঠিক কিনা?

আসলে যখন‌ই কোনও জমায়েত বা সভায় যাই, ঠিক আজ যেমন আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, তখন আমাকে একটা অস্বস্তিকর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, যদিও এখনও পর্যন্ত আপনাদের এখানে কেউ সেই বিষয়ে আমাকে কোনও প্রশ্ন করেননি। প্রশ্নটা হল কেন আমি আমাজনের বর্ষাবনের গভীর থেকে পেট্রোলিয়াম উত্তোলনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি, যেখানে সারা দুনিয়া জুড়ে তেলের বিপুল চাহিদা রয়েছে? প্রথম প্রথম, বয়স খানিকটা কম ছিল বলেই হয়তো, খুব রেগে গিয়ে স্পেনীয় ভাষায় চিৎকার করে বলে উঠতাম— Por que’ haces preguntas tan sin sentido? আপনি আমাকে এমন অর্থহীন প্রশ্ন করছেন কেন? আজকাল আর রেগে যাই না। বরং খানিকটা অভিমানের সুরেই তাঁদের জিজ্ঞাসা করি— মহোদয়! আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে আপনার বাড়িতে আগুন লেগেছে আর আপনাকে প্রশ্ন করা হয়েছে আপনি বাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন কেন? অথবা আপনার, আপনার পারিবারিক স্বজনদের কিংবা আপনার দীর্ঘদিনের সহবাসী প্রতিবেশীদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে আপনি কেন ক্রুদ্ধকণ্ঠে প্রতিবাদ করছেন? আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে আপনার দেশে নিউক্লিয়ার বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে এমন কোনও কিছুর বিরুদ্ধে আপনার গর্জে ওঠা কেন জরুরি? কথায় বলে না, প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ শানানোই হল আত্মরক্ষাই সর্বোত্তম উপায়। ঠিক তাই।

আসলে যখন তুমি তোমার বাসভূমি এবং তোমার আত্মজনদের অস্তিত্বের সঙ্কটের কথা মাথায় নিয়ে তাঁদের সুরক্ষিত রাখার চিন্তায় ডুবে রয়েছ তখন এমন প্রশ্নগুলোকে কেমন অর্থহীন ন্যাকা ন্যাকা বলে মনে হয়। তাই হয়তো রেগে যাই। পশ্চিমের তথাকথিত উন্নত জীবনের রীতি নিয়ম ভাবনাকে যখনই জোর করে অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে তখনই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দিকে দিকে। আজ যখন আমার প্রিয় বাসভূমি, আমার একান্ত প্রিয়জনদের নির্লজ্জ আগ্রাসনের শিকার হতে হয় তখন আমার চুপ করে বসে থাকাটাকে ঘোরতর অন্যায় বলে মনে হয়, আর তাই আমার সাধ্যমতো প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠি। এতে অন্যায় কোথায়?

আদিম ওয়াওরানি উপজাতীয় গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র হিসেবে, নিজেদের লড়াইয়ের কথা বিশ্বের বৃহত্তর নাগরিক সমাজের কাছে তুলে ধরার জন্য যখন‌ই আমার পরিচিত গণ্ডির বাইরের মানুষের কাছে গিয়েছি, তখনই আমাকে এমন অবান্তর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে আমি কখনওই এমন প্রশ্নগুলোকে পাশ কাটিয়ে যাইনি, বরং স্পষ্ট ভাষায় আমার বক্তব্য পেশ করেছি। এটা আমাদের ফরিয়াদ, যদিও নিজেদের অধিকার নিয়ে এই কথা বলার কাজটিও মোটেই সহজ নয়। আজ যখন ইকুয়েডর সরকার সম্পদ আহরণের নামে আমাদের কষ্টার্জিত অধিকারকে কেড়ে নিতে চায়, আমাজনের সবুজ বনাঞ্চলকে নিঃশেষ করে ধরিত্রীর সবুজ আঁচলটিকে সরিয়ে তাকে বে-আব্রু করার চক্রান্ত করে, তখন আপসহীন সংগ্রামের আহ্বান জানাতে বাধ্য হ‌ই আমরা‌।

আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন আমরা আমাজন অববাহিকার গহন বর্ষাবনকে রক্ষা করতে এভাবে উঠেপড়ে ময়দানে নেমেছি? কেন‌ই বা আমাদের লড়াইকে ছড়িয়ে দিতে চাইছি সকলের মাঝে? কেন আমরা খনিজ তেল আর বনজ সম্পদ সংগ্রহের অজুহাতে বহুজাতিক কোম্পানির অনুপ্রবেশকে রুখতে চাইছি?

আমরা মানে ওয়াওরানিরা হলাম যাযাবর প্রজাতির মানুষ। বনের ভেতর ঘুরে বেড়াতে আমাদের খুব ভাল লাগে। তাই যখন‌ই কোনও সমস্যার সামনে পড়ি তখনই আমরা বনের গভীরে চলে যাই। আমাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হর্ষ-উল্লাস সবকিছুই ওই অরণ্যকে ঘিরে। অরণ্যের নিবিড় প্রশান্তিকে ঘিরে। ইয়াসুনি অঞ্চলের অরণ্যের সমস্ত গাছগাছালি লতাগুল্মের নাম-ধাম-পরিচয় আমাদের নখদর্পণে, এখানে বসবাসকারী বিচিত্র প্রাণীদের সঙ্গে আমাদের আত্মার সংযোগ জন্মের পর থেকেই। ওরাই আমাদের খেলার সাথী, সহচর। আপনারা, মানে এই শহুরে মানুষেরা যেমন আপনাদের এলাকার রাস্তাঘাট, দোকানবাজার, শপিং মল এসবের খবর রাখেন আমরাও তেমন বনের সমস্ত কিছুর খোঁজ রাখি‌। এটাই তো স্বাভাবিক। তাই নয় কি?

ওই বন‌ই যে আমাদের মুদিখানা, আমাদের ওষুধের দোকান, হার্ডওয়ার শপ, পার্ক, জিমনেশিয়াম, থিয়েটার হল সবকিছু। আমরা আমাদের ছোট্ট বাগানে নানারকম ফল ফলাই, খুব প্রয়োজন মনে করলে ছোটখাটো প্রাণী শিকার করি খাদ্যের জন্য। সহজ সরল জীবনযাপনের জন্য যা কিছু দরকার প্রকৃতি আমাদের তা হাত উজাড় করে দিয়েছে। আরও অতিরিক্ত কিছুর জন্য আমরা বিন্দুমাত্র লালায়িত ন‌ই। সরকারের লোকজন আমাদের বলে অজ্ঞ, অশিক্ষিত। হয়তো আপনারাও তেমনই ভাবছেন। ওরা বলে, আমরা ধরিত্রীর গভীরে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদের কথা নাকি জানি না। আমরা জানি মাটির গভীরে থাকা পেট্রোলিয়াম হল আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ত। ওই সম্পদে আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই। আর তাছাড়া ইয়াসুনির এমন প্রশান্ত প্রাণময় জীবন ছেড়ে তোমাদের উন্নয়নের জন্য আমরা কেন আমাদের গোরস্থান খুঁড়ব?

আমরা জানি কোন গাছ আমাদের যন্ত্রণার উপশম করে, আমরা জানি অরণ্যের কোন গাছ কাটার আগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কোন গান গাইতে হয় অরণ্যদেবীকে উদ্দেশ্য করে, আমরা জানি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে Petome Palm গাছ কেমন ফলে ফলে ভরে ওঠে, আর তার তেল কীভাবে চুল আর ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করতে হয়, আমরা জানি অরণ্যে বসবাসরত বাঁদর আর টেপিরেরা কীভাবে অরণ্যের ভরন্ত সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের প্রজননকাল বেছে নেয়, আমরা জানি Peach Palm-এর ডাল থেকেই তৈরি করা যায় হালকা অথচ সুতীক্ষ্ণ বর্শা। আমরা জানি পৃথিবীতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভোগের বস্তু চাওয়াটা অন্যায়, পাপ।

আচ্ছা, আপনারা কি আমার এই কথাগুলো বিশ্বাস করেন? আপনারা কি সুদূর ইকুয়েডর থেকে আসা এই সামান্য মহিলার জীবনের প্রতি, তার জীবনদর্শনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল? আপনাদের এই মৌনতা দেখে বুঝতে পারছি যে আপনারা একটু দোটানায় পড়েছেন। এটাই স্বাভাবিক। ইউরোপীয়রা যখন আমাদের দেশে প্রথমবারের জন্য পা রাখল তখন ওদের লক্ষ্য ছিল সোনা। পরে যখন টের পেল যে রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা দখল করলে আরও আরও সম্পদের ওপর নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় তখনই ওদের দাঁত আর নখ বেরিয়ে পড়ল। আপনারা ইউরোপীয় পর্যটকদের অভিযানের কাহিনিগুলো পড়লে দেখবেন সেখানে অরণ্যকে দেখানো হয়েছে এক বিপজ্জনক স্থান হিসেবে, আর সেখানে বসবাসকারী মানুষজন হল বর্বর অসভ্য। এ কেমন মূল্যায়ন? আমরা কি মানুষ হিসেবে ন্যূনতম সম্মান দাবি করতে পারি না? আমরা আমাদের মতোই থাকতে চাই— এই চাওয়াটা কি অন্যায়? ওরা ধর্মের ঝোলা নিয়ে এসেছিল। ধর্মের কথার আড়ালে নিয়ে এল রোগব্যাধি, অবিশ্বাস, লোভ আর হিংসা। আমি জানতাম যে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। উন্নয়নের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা মানুষদের অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়নের ফলে আমাদের বাতাবরণ আজ দূষিত, যেভাবে আমাজন অববাহিকার বর্ষাবনকে কেটে উজাড় করে ফেলা হচ্ছে তাতে পৃথিবীর জলবায়ুর ভারসাম্যের এতটাই পরিবর্তন হবে যে আগামীদিনে আর কোনও উপায় থাকবে না তাকে পরিশুদ্ধ করার। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে কোথায় চলেছি আমরা? এই প্রশ্ন কেউ করব না? করলেই দেশদ্রোহী তকমা জুটবে? আমাদের বুঝতে হবে যে আমাজনের সবুজ অরণ্য ধ্বংস হয়ে গেলে এই মহান বনভূমিতে বসবাসরত মুষ্টিমেয় আদিবাসী মানুষের জীবন‌ই শুধু বিপন্ন হবে না, গোটা বিশ্বের মানুষ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিপন্ন হবে ধরিত্রীর সমস্ত প্রাণীকুল। এটাই কি চাই আমরা?

অনেকক্ষণ ধরে আপনাদের সামনে এসেছি। এবার বিদায় নিতে হবে। শেষ করব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে এক সাধারণ রেড ইন্ডিয়ান দলপতির পাঠানো চিঠির কয়েকটি কথা দিয়ে।

The Earth doesn’t belong to us. We belong to the Earth. Humankind has not woven the web of life. We are but a thread within it. Whatever we do to the web, we do to ourselves. All things are bound together. All things connect.

সকলকে নমস্কার।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4953 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

3 Comments

  1. এই মানুষটির কথা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। নিবন্ধটির উপস্থাপন অনবদ্য।

আপনার মতামত...