আমি নিজের চোখে দেখেছি কীভাবে কারাগারের নিষ্ঠুর কর্মকর্তারা এবং তাঁদের গাফিলতি স্ট্যান স্বামীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল

অরুণ ফেরেইরা

 

স্ক্রল সম্পাদকের মন্তব্য: ফাদার স্ট্যান স্বামী ও অরুণ ফেরেইরা ছিলেন নাগরিক সমাজের সেই ১৬ জন আইনজীবী, অধ্যাপক, কবিদের অন্যতম, যাঁদের ২০১৮ সালে পুনের বাইরে ভীমা কোরেগাঁও গ্রামে জাতপাতভিত্তিক সহিংসতার মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই মামলাটি ‘এলগার পরিষদ মামলা’ নামেও পরিচিত— ১৮১৮ সালের যুদ্ধে দলিত সৈন্যরা কীভাবে পেশওয়ার কুখ্যাত বর্ণবাদী সেনাকে পরাজিত করেছিল, সেই ভূমিকার স্মরণে আয়োজিত এক সভার নামানুসারে।

সরকারের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া এই ১৬ জন দেশজুড়ে হিংসা উসকে দেওয়া ও অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী কাজে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়িত। কিন্তু তার পর থেকে স্বাধীন গবেষকেরা প্রচুর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যেখানে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তাঁদের বিরুদ্ধে যে-সব প্রমাণ হাজির করা হচ্ছে, তা আসলে হ্যাকারদের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক যন্ত্রে গোপনে বসানো হয়েছিল।

ফেরেইরা জেল হাসপাতালে স্ট্যান স্বামীর সঙ্গে ছিলেন। তিনি এখন জামিনে মুক্ত হলেও, জামিনের শর্তগুলির একটিতে তাঁকে গণমাধ্যমে এই মামলার বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

 

২০২১ সালের ৫ জুলাই ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর পরপরই এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছিল—

এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং এক মহান আত্মার প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকাণ্ড।

স্ট্যানের বয়স (তাঁর বয়স ছিল ৮৪) ও শারীরিক অবস্থা (তিনি পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন) বিবেচনা করে কেউ কেউ হয়তো কথাগুলোকে কিছুটা কঠোর মনে করতে পারেন। তবে তালোজা কারাগারে স্ট্যানের প্রতি যে নিষ্ঠুর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ আমি নিজে প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে আমিও তাঁদের মতের সঙ্গে একমত হতে বাধ্য।

২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর, স্ট্যানের অনুরোধে কর্তৃপক্ষ আমাকে জেল-হাসপাতালে তাঁর সেলে থাকার অনুমতি দিয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন তাঁকে সহ-অভিযুক্ত কারও সঙ্গে রাখা হোক, যাতে অন্তত কিছু অর্থবহ কথোপকথন করা যায়। তখন কোভিডকাল চলছিল: কোনও অভিযুক্তকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে শারীরিক দেখাসাক্ষাৎ নিষিদ্ধ ছিল, সংবাদপত্র আনার অনুমতি ছিল না এবং কারাগারে সব বন্দির চলাফেরার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপিত ছিল। স্ট্যানের কাছে, যেমনটা আমাদের কাছেও, সহ-অভিযুক্তদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারাটাই তখন সবকিছু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

মুম্বইয়ের বাইরে তালোজা জেলে যখন স্ট্যানকে আনা হয়, তখন জেল-হাসপাতালের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন বিএএমএস (ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) ডিগ্রিধারী তিনজন এবং একজন ফার্মাসিস্ট। কোভিডের আগে ও কোভিডকালের সময় জুড়েই এ-ই ছিল পরিস্থিতি।

এই অল্প কয়েকজন কর্মীর বাইরে বাকি সব কাজ— যেমন ওষুধ দেওয়া, শিরায় ইনজেকশন দেওয়া, প্যারামেডিক্যাল সহায়তা কিংবা ওয়ার্ডে সাহায্য— সবই করতেন বন্দিরা, যাঁদের শ্রমের কোনও পারিশ্রমিক দেওয়া হত না, এবং যাঁদের সহায়তার উল্লেখ কোনও নথিপত্রে করা অনুচিত মনে করে এড়িয়ে যাওয়া হত।

মনোরোগবিদ্যায় দক্ষ এক চিকিৎসক সপ্তাহে একবার জেলে আসতেন। তিনি স্ট্যানের চিকিৎসার তদারকি করতেন, কিন্তু তাঁর গ্রেপ্তারের আগে যে ওষুধগুলি তিনি নিতেন, সেগুলোই চালিয়ে যেতেন মাত্র।

স্ট্যানের স্পষ্ট পারকিনসন-জনিত কাঁপুনি ও দুর্বল হাড় থাকা সত্ত্বেও কারাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে সিটি সিভিল হাসপাতালে পাঠানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এ-ধরনের শারীরিক সমস্যাকে কর্তৃপক্ষের গুরুত্বহীন ভেবে উপেক্ষা করা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।

২০২০-র অক্টোবরে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে লক্ষণীয়ভাবে স্ট্যানের শরীরের অবনতি হতে থাকে। প্রথমদিকে তিনি কোনও সহায়তা ছাড়াই চলাফেরা সামলে নিতে পারতেন, কিন্তু পরে ধীরে ধীরে অন্যদের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে হুইলচেয়ারে যেতে বাধ্য হতে হল।

বিক্ষোভে এক ছাত্রের হাতে ধরা পোস্টার, নয়াদিল্লি, ৬ জুলাই ২০২১। ফটো: এএফপি

 

স্ট্যানের বন্দিত্বের শুরুর দিককার একদিনের কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। তখনও তাঁর বিশেষ সহায়তার প্রয়োজন হত না। কিন্তু কারাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট জোর করে তাঁকে সাত-আটটা প্লাস্টিক সিপার, একটা লাঠি, একটা ওয়াকার, একটা খাট, একটা হুইলচেয়ার আর একটা ওয়েস্টার্ন কমোড চেয়ার নিয়ে ছবি তোলার জন্য দাঁড় করালেন। অথচ স্ট্যানকে একটি সিপার দেওয়ার অনুমতি পেতে আদালতের নির্দেশ লেগেছিল, কারণ তাঁর হাত কাঁপার জন্য সেটি ছাড়া তিনি নিজের হাতে জল খেতেই পারতেন না।

স্ট্যান দৃঢ়ভাবে আপত্তি করেছিলেন, কিন্তু সুপারিন্টেন্ডেন্ট চাইছিলেন প্রমাণ রাখতে যে তিনি বর্তমান বা ভবিষ্যতের যে-কোনও জরুরি চিকিৎসা অবস্থার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছেন। পরে ভেবে দেখলে মনে হয়, জেলারের সম্ভবত জানা ছিল যে কারাগারের পরিবেশ শেষ পর্যন্ত স্ট্যানকে হুইলচেয়ারে যেতে বাধ্য করবে।

২০২১ সালের মে মাসে তাঁর অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। দ্বিতীয় দফা কোভিড আসছে অনুমান করে কারা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় কারাগারের হাসপাতালের নিচতলার সব কক্ষ খালি করে দেওয়া হবে, যাতে কোভিড রোগী ও কোয়ারান্টিনের জায়গা তৈরি করা যায়। এর ফলে স্ট্যান, আমি এবং আমাদের সহবন্দি চাচ্চাকে দোতলায় সরিয়ে নেওয়ার কথা হল।

এ-বিষয়ে আমাদের মিশ্র অনুভূতি হয়েছিল। দোতলায় গেলে আমাদের সহঅভিযুক্ত আনন্দ তেলতুম্বড়ে, যিনি সেই তলাতেই ছিলেন, তাঁর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা হবে। কিন্তু হাসপাতালের করিডরে তাঁর প্রতিদিনের সন্ধ্যার হাঁটাটা স্ট্যানের আর হবে না।

তবে, কারাবন্দিদের প্রশাসনিক স্থানান্তরের মতো বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত তো কখনও আমাদের হাতে থাকে না। ফলে ১০ মে আমরা হাসপাতালের দোতলার একটি সেলে স্থানান্তরিত হলাম।

এখন আনন্দ প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। আরেক সহঅভিযুক্ত হানি বাবুর সঙ্গেও আমাদের সামান্য দেখা হয়েছিল, যদিও পরে চোখের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু স্ট্যানের জন্য পরিস্থিতি একেবারেই খারাপের দিকে মোড় নিল। তিনি খুব দ্রুতই তীব্র কাশিতে ভুগতে শুরু করলেন।

ডিউটিতে থাকা আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নিলেন যে স্ট্যানের কাশি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত, এবং তিন দিনের জন্য আজিথ্রোমাইসিন লিখে দিলেন। কাশি কিছুটা কমল, কিন্তু তারপর স্ট্যানের ডায়রিয়া হল। কারাগারের প্রচলিত চিকিৎসা-পদ্ধতি অনুযায়ী এটিকেও আবার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েই সামলাতে হবে বলে ধরে নেওয়া হল। ফলে স্ট্যানকে অতিরিক্ত মেট্রোনিডাজল ও সিপ্রোফ্লক্সাসিনও খাওয়ানো হল। এই সব মিলিয়ে স্ট্যান অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়লেন। এখন করিডরে হাঁটার সময় তাঁর ওয়াকার ব্যবহার করতে হচ্ছিল।

কারা সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও বরিষ্ঠতম আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরের সাপ্তাহিক পরিদর্শনের সময় স্ট্যানের দুর্বলতা এতটাই স্পষ্ট ছিল যে তা আর উপেক্ষা করার উপায় ছিল না। তিনি দাঁড়াতেও পারছিলেন না। যিনি আগে স্ট্যানের জন্য সেদ্ধ ডিম ও দুধের ডায়েট বরাদ্দ করেছিলেন, সেই চিকিৎসক এবার ডায়রিয়ার কারণে সেগুলো বন্ধ করতে বললেন। নথিপত্রে দাবি করা হচ্ছিল যে স্ট্যানকে “হাই-প্রোটিন ডায়েট” দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে তা মোটেই সত্য ছিল না। ডায়রিয়া সামলাতে স্ট্যানের আর কোনও উপায়ও ছিল না খাওয়া কমানো ছাড়া।

তিনি এমনকি মনে করতেন বেশি জল ব্যবহার করাও ঠিক হবে না, কারণ হাসপাতালের কমবয়সি বন্দিদের আমাদের সেলের জলাধার ভরতে প্রায় আধ কিলোমিটার দূর থেকে বালতিভরা জল বয়ে আনতে হত।

মুম্বাইয়ের এক গির্জার সামনে স্ট্যান-স্মরণ, ৬ জুলাই ২০২১। ফটো: এএফপি

 

এই ভয়াবহ অবনতির কথা দেখে আনন্দ আর আমি চিকিৎসককে জোর দিয়ে বললাম যে স্ট্যানকে হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার। আসলে অক্সিমিটার প্রতিদিনই তাঁর অক্সিজেন (SpO2) মাত্রা প্রায় ৭৫ শতাংশ দেখাচ্ছিল। কিন্তু আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দাবি করলেন, হয় অক্সিমিটার খারাপ, নয়তো মাপ ঠিক আসছে না, কারণ স্ট্যানের আঙুল কুঁচকে গিয়েছিল।

কিন্তু তিনি অক্সিমিটার বদলালেও বা একাধিক আঙুলে চেষ্টা করলেও ফলাফল বদলাল না। শেষ পর্যন্ত স্ট্যানকে অক্সিজেন দেওয়া হলে চিকিৎসকেরা বুঝলেন যে হাসপাতালের একমাত্র অক্সিজেন সিলিন্ডারটি প্রায় খালি। তিনি যথেষ্টই দুর্বল ও দৃশ্যতই অসুস্থ থাকলেও, ১৮ মে ২০২১-এ তাঁকে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হল।

ঠিক সেই দিনই তাঁকে দক্ষিণ মুম্বইয়ের সিটি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। একই দিনে তাড়াহুড়ো করে এই দুটি কাজ একসঙ্গে করার কারণ আমরা তখন বুঝতে পারিনি, তবে পরে বুঝেছিলাম যে তার পরদিন হাইকোর্টে স্ট্যানের শারীরিক কারণে জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। তাই কারা কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হত যে তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।

সেই দিন সন্ধ্যায় যখন স্ট্যানকে আমাদের সেলে ফিরিয়ে আনা হল, তিনি শুধু দৃশ্যতই ক্লান্ত ছিলেন না, বরং ভীষণ ক্ষুব্ধও ছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালে ভুল বিভাগে পাঠিয়েছিল। স্নায়ুরোগ বিভাগের বদলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মনোরোগ বিভাগে, যেখানে ইন্টার্ন ডাক্তাররা বারবার তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে থাকেন।

পরদিন, ১৯ মে, হাইকোর্টে জামিন শুনানির সময় কারা কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট নথিভুক্ত করা হল। তাতে অন্য কিছুর পাশাপাশি লেখা ছিল যে স্ট্যানকে “প্রতিদিন হাই-প্রোটিন ডায়েট দেওয়া হচ্ছে; প্রতিদিন গরম জল দিয়ে স্নানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে; তাঁকে সাহায্য ও প্রয়োজনীয় যত্নের জন্য স্বেচ্ছাসেবী দুই বন্দিকে নিযুক্ত করা হয়েছে যাতে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো যায়; তাঁকে ম্যাট্রেস, বিছানার চাদর, বালিশ, হুইলচেয়ার, ওয়াকার, লাঠি, স্ট্র, সিপার মগ, সিপার বোতল, কমোড চেয়ার এবং হিয়ারিং-এড চালানোর জন্য ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে”; এবং তাঁকে “নিয়মিত বিরতিতে আগত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হচ্ছে।”

বেঞ্চ কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল যে পরের দিন স্ট্যানকে মুম্বইয়ের সিটি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হোক, যেখানে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ, ইএনটি বিশেষজ্ঞ, হাড়ের চিকিৎসক ও সাধারণ শল্যবিদদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। স্ট্যান হাসপাতালে গিয়েছিলেন এই আশায় যে তাঁকে ভর্তি করা হবে এবং বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু এবারও বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে একগুচ্ছ পরীক্ষা করাতে গিয়ে তাঁর শরীর ভীষণভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। সন্ধ্যায় সেলে ফিরে আসেন সম্পূর্ণ অবসন্ন ও ভগ্নমনে।

এই প্রেক্ষিতেই স্ট্যান মনে করেছিলেন, বাইরে হাসপাতালে যাওয়া অর্থহীন। যদি তাঁর আবেদন— সহযাত্রীদের সঙ্গে থাকার— খারিজ হয়ে যায়, তবে তিনি বরং কারাগারেই মারা যেতে চান। তাঁর জামিন আবেদনের শুনানি চলাকালীন তিনি অনলাইনে হাইকোর্টের বেঞ্চকে এ কথাই জানিয়েছিলেন। তবুও, পরবর্তী তারিখে, ২৮ মে, বেঞ্চ স্ট্যানকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি দিল। আর সেখানেই গিয়ে কারা বিভাগের ব্যর্থতা ফাঁস হয়ে গেল। স্ট্যানকে কোভিড-পজিটিভ পাওয়া গেল।

ব্যাখ্যা তৎক্ষণাৎ দেওয়া হল। কারা সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও চিকিৎসক আমাকে জানালেন যে স্ট্যান ঠিক জেল থেকে বের হওয়ার পর এবং বেসরকারি হাসপাতালে ঢোকার আগে ভাইরাসটিতে সংক্রামিত হয়েছিলেন।

ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর মূল দায় কারা বিভাগ ও তার তদারকি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিষ্ঠুরতা ও গাফিলতি। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এই ঘটনায় সমানভাবে দায়ী এবং তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় একইভাবে কাঠগড়ায় তোলার যোগ্য।


*লেখাটি স্ক্রল.ইন-এ গত ৫ জুলাই ইংরেজিতে প্রকাশিত

 

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5217 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...