দুটি কবিতা
এলে না
দুয়ারে আমি দাঁড়িয়ে আছি, চোখে কিছুই দেখছি না
শুধু শুনছি নূপুরের করবী শব্দ, কারা যেন ফেলে গেল
কথা দিয়েছিলে আসবে, আয়োজন ছিল বীজ বপনের বর্ষার
এলে না। তার বদলে উপুড় করলে
ঈর্ষার খেলা খেলতে, অবিশ্বাসের ধুম জ্বর
চুলে অবিন্যস্ত বিলি কেটে বুঝি,
একাকিত্বের কোনো বিষুব রেখা নেই
অবহেলার কোনো মরচে রঙ নেই।
প্রহর জুড়ে তুমি দুরভিগ্রহ। আমি ক্রমাগত নীল হয়ে উঠি
এলে না। সাত ঘন্টা ফোন বন্ধে নির্বিচারে পুড়ে যায়
আত্মবিবৃতির পিরামিড….
আমি এই জলঙ্গী পাড় থেকে চলে যেতে চাই,
জয়চন্ডী পাহাড়ের দিকে
হয়তো বা পরমায়ুতে, হয়তো বা ত্বকের জ্বালায়
হয়তো বা ঝর্ণা পাথরের দূরত্বে….
মহুল বাগানের পাশ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে
প্রতিশ্রুতিময় ‘বিবাদ’ পেলাম,
ততখানি মনখারাপ বা টাটকা বিষাদ হল না
তোমার তো কোনও দায় নেই
বর্ষার পুরুল্যা যত প্রিয় ছিল, আজ তত প্রিয় নয়
তোমার স্বেচ্ছাচারিতায়, আমার হাতের আত্মায় সূচ ফোটে…
ট্রমা
তোমার যন্ত্রণায় আমি লীন হয়ে
বাল্মীকি কুটিরের দুয়ারে দাঁড়াই
তোমার কষ্ট অধ্যুষিত হৃদয়ে,
ওপরের ফেলে যাওয়া ঈর্ষা খুঁজি।
গত জন্মের কথা ভুলে যাও
দ্যাখো, শ্রাবণমেঘ ভাবুক সেজে উঠোনে
পুনর্জন্ম ভূতবিদ্যায়, এবার আগলাও হেঁসেল
কান্নার ব্যাধি যাদুপটে….
মানভূমি মাটি স্বচ্ছতায় কেঁপে ওঠে।
জীবনের স্থাপত্য ভাঙতে
আমরা আবার যাবো
শোধিত বামনি ঝর্ণায়, পৌরাণিক ময়ূর পাহাড়ে
আর নাচনী সিন্ধুবালা ড্যামে…..
তোমার অভিমানগুলি নিদ্রার পর
ওখানেই বনবিভাগ হয়ে আছে,
নিচু হয়ে তুলে অনি স্রোতের বিপদসীমা।
শ্যাওলাহীন রাস্তায়
তোমায় ভালোবাসতে গিয়ে
ঠিক পেয়ে যাবো, মুখোশ দেশে অলীক মানুষ