কুন্তল মুখোপাধ্যায়

তিনটি কবিতা

 

জাদুকরের প্রয়াণ উপলক্ষ্যে

 

মারা যাওয়ার একটু পরে শব্দ হোল ডাকপিয়নের
কিসের চিঠি ?
লেখা পড়ার আমন্ত্রণের ?
 
মারা যাওয়ার একটু পরে লতাবিতান , তেনার বাড়ি
ভর্তি হল চতুস্পার্শে, স্তোকবাক্যে বোঝাই গাড়ি
থামল ঘরে
 
একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো অক্ষরদল, পাখিসকল
এরা সবাই অনাথ হল
 
বয়স কত? জন্ম ছিল কত সালের?
যে সালই হোক ল্যাংটো সড়ক, আসল কথা
কেউ নেই আর বিষণ্ণতার
 
কেউ নেই আর শীত কুয়াশার রোদ্দুর আর ইন্দ্রজালের  

 

সন্ধি

 

জীবন তোমার সঙ্গে লড়াই করে
আমার গায়ে সময়মাখা ক্ষত
সতীর্থরা সুযোগ বুঝে দূরে
চলে যাওয়াই ভেবেছে সঙ্গত
 
মনন আমার অস্ত্র চালাই রোজই  
আয়ুধ ক্লান্ত, শ্রান্ত তাদের শরীর,
আমিও শেষে হেরে যাওয়ার ভয়ে
হৃদয়পুরে শান্তিচুক্তি করি
 
এবং সবার শেষে বন্দি হলাম
হেসে বললে সালাম চাও না সাজা ?
জীবন আমি সেদিন বলেছিলাম
রাজার কাছে যতটা পাওয়া রাজার

 

আত্মহত্যার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত

 

ইগরি জোলের তিন বিঘাতে নদীর হাতে হাত রাখলাম
                                 রুগ্ন , ভোঁতা
অতীত ছিল খরস্রোতা
এখন শ্রাবণ প্রায় নিয়ে যায় অতীত দিনে
 
রুগ্ন নদী হালকা স্বরে
বলল এবার ডিসেম্বরে জমবে কত্তা
 
বিলকুল ঘোর মৌলিক সব আত্মহত্যা
 
ইগরি জোলের তিন বিঘাতে তর্জনীটির এক আঘাতে বেড়িয়ে এলো
     জাদুর ঝাঁপি
বেরিয়ে এলো রুগ্ন নদী, বাতিল এবং ঋণখেলাপি
বেরিয়ে এলো সাদা পোশাক  
ডেমোক্রেসি, কান্নাঘেরা
 
রুগ্ন স্রোতে দেখতে পেলাম, ভারতবর্ষ
পার্লামেন্টে ঘুমিয়ে আছে এদেশমশাই, সাংসদেরা    

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4877 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...