তিনটি কবিতা
হে গম্ভীর
আপেল ফুলের পাঁপড়ি
কুচো গুঁড়ো বরফ যেমন
পায়ে এসে পড়ছে, এখানে
যেন, হাওয়া তার প্রণাম জানাল
পাদ্য অর্ঘ্য দিয়ে গেল এই
তবে আমি কেউকেটা
ঈশ্বরের বরপুত্র কোনো!
বেঁকা পথ ঢাল বেয়ে
গড়িয়ে পড়ছে নিচে
সহজ জলের মতো
ডাকছে কে যেন
এসো, ঘরে ফেরো
ফিরে এসো নিজ বাসভূমে
ধারাপাত বেজে ওঠে তার
মেঘের প্রলেপ লেগে
আবছা হয় চোখ
আবছা হয় দূরের পাহাড়
ছায়াপথ
ওপথে যাইনি বহুকাল
পথ উঠে এসেছিল ঘরে
একদিন,
পথশ্রম করিনি কখনও
আজ বেলা হওয়ার আগেই
ফিরে গেছে চলনের টানে
পায়ে পায়ে নিয়ে গেছে
মন্ত্রময় চটির আপদ
ধুলোবালিরেণু
দু’দিকে ছড়ানো শুখা পাতা,
রুক্ষু পদছাপ
সে-সব উজিয়ে যদি
ঢেউ আসে
তরঙ্গ গড়িয়ে আসে ফের
এই স্থানু, শ্রমবিমুখতা
যদি যায় ভেসে খোলা পথের জোয়ারে
কী জানি ঘরের মধ্যে
কোন চোরাটান
কোন সর্বনাশ আজ
ধীরে ধীরে বাড়ে
অপার
নির্বিবাদ চলে যায়
পথ চলা, দুই একজন
অবিশ্রাম
অন্দরে কোটরে চলে
ক্ষতির ক্ষরণ
কোথাও যাইনি আমি, যাই না
যাওয়ার কথাও নেই কোনও
যে ভাবে গাছের গায়ে
সূর্যাস্তের দিনলিপি
আটকে থাকে রোজ
সে ভাবেই, অজ্ঞাতস্বভাব
রয়েছি, এখনও