সুবীর সরকার
গাঙ
তোমার খোলা চুলে গাঙের ঢেউ
শীতের আগুনে মুখোমুখি আমরা
কাহিনীর ভেতর বসে থাকা
অভিমানের দুপাশে দেখি জলের
গান
আর শোকমিছিলের মতো আমাদের
পৃথিবী
খোঁপার কাঁটা
‘তোমাকে আঁকড়ে ধরি আর দৃশ্যবদল ঘটে
যায়‘
বহুগামী পুরুষ আমি
ফসলতোরণ দিয়ে হাঁটি
খড়ের গাদায় ফেলে এসেছ খোঁপার
কাঁটা
তোমাকে আঁকড়ে ধরি।
তোমার দিকে গড়িয়ে দিই গান-ভরতি
ফাল্গুন মাস
মায়া
‘মেঘের ছায়া আর শুন্যতার দিকে তাকিয়ে
বেশ কেটে যায়‘
ভাঙা চেয়ারে বসে চিঠি লিখছি
ছবিতে দেখেছিলাম ভেড়ারা টেনে নিয়ে
যাচ্ছে সাবমেরিন
ডানার শব্দ শুনে আড়ালে চলে চাওয়া
পাখি
অনেক কথা জমিয়ে রাখবো তোমার
জন্য
চেনা মানুষের কন্ঠ বরাবরই
চিরকালীন
বাঘ
প্রতিদিন নদীজলে মুখ দ্যাখো তুমি।
আর পশুখাদ্যে ভরে যাওয়া আমাদের
ট্রলিব্যাগ
ওত পেতে থাকা বাঘের আখ্যান
চলে যাওয়া আদতে কোন বিষয় নয়
লাফিয়ে পড়বার জন্য বেছে নেওয়া দুর্বল
সেতু
আমাদের দৌড় থেমে যাচ্ছে
চাঁদ ও চাদরে ডাকনামগুলি লুকিয়ে
রাখছি
পেতে রাখা ফাঁদে পাখিরা আসে না
সীমান্তগ্রামের হলুদ খেত
বিবাহ জড়ানো ওড়না
তোমার ক্যামেরায় দেখি জলে নেমে পড়া
বাঘ
চিরুনি
হরিপদ বলে চলেছেন পদ্মবিলের কথা
তার বন্ধ চোখের ভেতর বাইচের নাও
হরিপদ শোনাচ্ছেন জোতজমির কথা
রতিকান্ত দেউনিয়ার কবেকার সেই মাকনা
হাতি
গোপন সিন্দুকে রাখা চিরুনি
‘অথচ আমি তোমার দিকে আর তাকাতে
পারি না’
জার্নাল
সেই যে গিটার বাজাতে বাজাতে চলে
গেলে!
অনন্ত মহিষ দিয়ে ভরে ওঠা এই
মাঠনদীপরিধি
নলেন গুড়ের দেশে আমাদের হাসি উড়ে
যায়
তোমাকে খুব খুঁজতে থাকি
তোমাকে গোপন চোখে দেখি
তান্ত্রিকের তাঁবুর ভেতর হারমোনিয়াম
বড় বন্যার পাশে বসে পড়ি
তোমার জন্য রেখে দিই মেঘলা রঙের
টুপি