সুখ

সুখ | স্বকৃত নোমান

স্বকৃত নোমান

 

শাপলা হোমসের ছাদে বসে ড্রিঙ্ক করছিল মোর্শেদ, কামরুল ও বিপ্লব। তিনজন প্রায় সমবয়সী, বিয়াল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশের মধ্যে, এবং শাপলা হোমসের তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক। মোর্শেদ প্রাণখোলা মানুষ। রসিক। বসুন্ধরা সিটিতে দুটি দোকান আছে। জয়িতা বস্ত্রালয় ও জয়িতা ফ্যাশন অ্যান্ড কসমেটিকস। নিজে খুব একটা বসে না, লোক রেখে চালায়। কামরুল পুলিশের বড় অফিসার। গুলশান জোনে পোস্টিং। আর বিপ্লব একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। একটু ইন্ট্রোভার্ট। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলে না। তবে ফেসবুকে সবসময় সরব থাকে। নানা বিষয়ে দিনে কম করে হলেও চার-পাঁচটা পোস্ট দেয়। টুকটাক গান করে। প্রফেশনাল নয়, শখের গায়ক। স্বরচিত গান কী-বোর্ড বাজিয়ে গায়, পরে এক ছাত্রকে দিয়ে মিউজিক ফিউশন করে ইউটিউবে আপলোড করে। আর ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশ। কখনও একা, কখনও সপরিবারে আর কখনও সবান্ধবে। মাসে একবার, কখনও দু-মাসে একবার তিনজনে মিলে ছাদে বসে ড্রিঙ্ক করে। ড্রিঙ্ক কখনও আনে মোর্শেদ, কখনও কামরুল আর কখনও বিপ্লব। আজ এনেছে মোর্শেদ। এক বোতল ভ্যাট ৬৯।

ছাদটা বড় আর বেশ নিরিবিলি। চারপাশের ভবনগুলো নিচু। বাইরের কোনও শব্দ আসে না। ছাদের উত্তর পাশটায় বাগান। দক্ষিণ পাশটা ফাঁকা, কাপড় শুকানোর জায়গা। রাতে কেউ ছাদে ওঠে না। খোলা থাকলে অবশ্য উঠত। দশটার পরেই তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। চাবি থাকে দারোয়ানের কাছে। বাড়তি একটা থাকে মোর্শেদের ফ্ল্যাটে।

মোর্শেদ ও কামরুলের আবার গলায় গলায় খাতির। খাতিরটা জামিয়ে রাখে মোর্শেদ। জমিয়ে রাখার কারণ অবশ্য কামরুল নয়, তার স্ত্রী ন্যান্সি। অসহায় রকমের সুন্দরী। অসহায় রকমের, কারণ, তাকে দেখলে মোর্শেদের নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। একটা হাহাকার জাগে। কেবলই মনে হয়, হায়, এমন সুন্দরী কিনা এই জীবনে আমার হবে না! এমন রূপসাগরে ডুব না দিয়েই কিনা মরে যেতে হবে! কামরুলের পাশে বসলে ন্যান্সির ঘ্রাণ পায় সে, ন্যান্সির পরশ অনুভব করে। মনে হয় কামরুল নয়, পাশে বসে আছে ন্যান্সি।

হেমন্তের রাত। মৃদু বাতাস বইছে। আকাশে দ্বাদশীর চাঁদ। আলো নেই। না, আলো নেই বলা যাবে না। দ্বাদশীর চাঁদ কি আলো ছাড়া হয়? আছে। কিন্তু শহরের ইলেকট্রিসিটির দাপটে বড় বিপন্ন, বড় কোণঠাসা। একটা শীতলপাটিতে তিনজন বসা। মাঝখানে মদের বোতল, চানাচুর, কাজুবাদাম ও চিপসের বাটি। পানি, সোডার বোতল আর বেনসন প্লাটিনামের প্যাকেট এক পাশে রাখা।

এক পেগ শেষ করার পর বিপ্লবের চোখ যায় বোতলটার দিকে। অর্ডিনারি বোতল। গায়ে কাগজের লেভেল সাঁটা। দেখেই বুঝতে পারে মালটা যে নকল। নকল মানে চাইনিজ। শহরের দ্বিতীয় শ্রেণির বারগুলোতে আজকাল বিদেশি মদের নামে এসব চাইনিজ মদ বিক্রি হয়। তিন হাজার টাকা বোতল। দুই পেগ খেলেই মাথা ঝিঁঝি করতে শুরু করে। পুরোপুরি টাল। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকে না, ঘণ্টা দুয়েক পরেই কেটে যায়। বিদেশি অর্জিনাল বোতলের গায়ে কোম্পানির নাম খোদাই করা থাকে। হুট করে নয়, নেশা হয় ধীরে ধীরে। দারুণ একটা ভালোলাগা তৈরি হয়। নিজেকে মনে হয় শূন্যে ভাসন্ত পেঁজাতুলো মেঘ।

ব্যাপারটা এড়িয়ে গেল বিপ্লব। চায়নিজ মদের কথা বলে সুন্দর সময়টা সে নষ্ট করতে চায় না। সে এমনই, পজেটিভ মানুষ। তার মধ্যে নেগেটিভিটি নাই-ই বলতে গেলে। কারও বাসায় দাওয়াত খেতে গেলে রান্না খারাপ হলেও খেতে খেতে জিভে টা মেরে মেরে বলবে, অসাধারণ! অসাধারণ রান্না! বাসাটা ভাঙাচোরা নোংরা হলেও সে বলবে, বাহ! খুব সুন্দর বাসা তো! এই গুণ তার জীবনের বড় অর্জন। মহৎ সাহিত্য পাঠ ও সঙ্গীতচর্চার মধ্য দিয়ে গুণটা সে অর্জন করেছে। এই একটি কারণে বন্ধুমহলে সে অনন্য।

প্রতিবারই ড্রিঙ্কের আসরে বসে তারা নানা গল্প-গুজব করে। মজার মজার সব গল্প। বেশিরভাগই নারী, ভ্রমণ আর জীবনস্মৃতি বিষয়ক। সমাজ-রাজনীতি বা ধর্ম নিয়ে খুব কমই আলাপ করে। বিপ্লব কখনও বলতে চাইলেও মোর্শেদ বা কামরুল থামিয়ে দেয়। বাদ দিন তো ভাই। দেশ-দশের কথা ভেবে লাভ নেই। সব নষ্ট হয়ে গেছে, এদেশের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। বেশি টাকা নেই। থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়ে কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ায় সেটেল্ড হয়ে যেতাম। মাঝেমধ্যে তারা এমন সব গোপন সত্য বলে ফেলে, অন্য সময়ে যা বলে না। এটা হচ্ছে মদের বৈশিষ্ট্য। মানুষ সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে, আর সবচেয়ে বেশি সত্য বলে মদ খেয়ে।

আজ শুরু করল মোর্শেদ। সরকারি ভ্যাট বিষয়ক গল্প। তার দুই দোকানে প্রতিটা পোশাকের মূল্যের সঙ্গে পনেরো পার্সেন্ট ভ্যাট যুক্ত হয়। শুধু তার দোকানে নয়, ঢাকা শহরের প্রায় সব অভিজাত শপিং মল ও রেস্টুরেন্টে কাস্টমারদের কাছ থেকে এই বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।

সেদিন জয়িতা বস্ত্রালয়ে এক কাস্টমার এল। দেখে মনে হচ্ছিল সরকারের পদস্থ কোনও অফিসার। অনেকক্ষণ দেখেটেখে একটা ইন্ডিয়ান জিন্সের প্যান্ট পছন্দ করল। পেমেন্ট করার সময় পনেরো পার্সেন্ট ভ্যাট দেখে সেলসম্যানকে বলল, এই ভ্যাট কিসের?

সরকারকে দিতে হয়। সেলসম্যান বলল।

আপনাদের ভ্যাট নম্বর কত?

একটা নম্বর দেখাল সেলসম্যান।

লোকটি এবার বলল, মুসক ১১ ফর্ম, আই মিন ভ্যাট চালান দেন।

সেলসম্যান তো অবাক। কীসের ভ্যাট চালান?

কীসের চালান বোঝেন না? আমি সরকারকে ভ্যাট দেব, সরকার আমাকে রিসিপ্ট দেবে না?

উচ্চবাচ্য শুনে এগিয়ে গেল মোর্শেদ। লোকটির কথাবার্তার ধরণ আর চোখ দেখে ভ্যাট ছাড়াই দিয়ে দিল প্যান্টটি। এ ছাড়া উপায় ছিল না। লোকটি বারবারই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। ঘাবড়ে গিয়েছিল মোর্শেদ। ঘাবড়াবে না? ভ্যাটের নামে কাস্টমারদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া পনেরো পার্সেন্টের এক পার্সেন্টও তো সরকারকে দেয় না। বাড়াবাড়ি করলে লোকটি সত্যিই যদি ঝামেলা পাকায়!

একটা সিগারেট ধরিয়ে মোর্শেদ বলল, বুঝলেন ভাই, ইনফরমেশন টেকনোলজির এই যুগে মানুষ অনেক অ্যাডভান্স। ইজিলি ঠকানো যায় না। ভাবছি ভূয়া ভ্যাট আদায়ের কারবারটা ছেড়ে দেব। পাবলিকের সঙ্গে ধোঁকাবাজি আর কত।

বিপ্লব বলল, তাই করুন। বিজনেস মানে ফেয়ারনেস। আই মিন সততা। সততা থাকলে পত্রিকা-টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের দরকার হয় না, কাস্টমার এমনিতেই আসে। আমাদের গলির মাথায় মুদিদোকানটার কথাই ভাবুন। সারাক্ষণ কাস্টমারের ভিড়। কেন জানেন? দোকানদার হান্ড্রেড পার্সেন্ট সৎ। কাউকে ঠাকানোর চিন্তাও করে না।

এবার শুরু করল বিপ্লব। থাইল্যান্ডের গল্প। তার স্ত্রী জেসমিন শীলা একটি পপুলার দৈনিকের নিউজ এডিটর। মাস্টার্সের রেজাল্টের পর বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়ে বিপ্লব যখন সুইসাইডের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল শীলা। শীলার প্রেম তাকে জানান দেয়, জীবন মানে যুদ্ধ। বীরের মতো লড়ে যেতে হয়। সুইসাইড মানে পৃষ্ঠপ্রদর্শন, পরাজয়। কাপুরুষের কাজ। স্ত্রী যে ঘরের লক্ষ্মী, বিয়ের পর সেই প্রমাণ রাখে শীলা। সংসারে শুরু হয় উন্নতি। বিপ্লবের চাকরি হয়, কয়েক বছর পর শীলারও। ব্যাঙ্ক-ব্যালেন্স হয়, সাভারের হেমায়েতপুরে একটা বাড়িও হয়, ধানমন্ডির এই শাপলা হোমসে হয় একটা ফ্ল্যাটের মালিক।

তাদের দুই মেয়ে। বড়টা ইন্টারে, ছোটটা নাইনে। বছর তিন আগে সপরিবারে একবার থাইল্যান্ড ভ্রমণে গিয়েছিল বিপ্লব। থাইল্যান্ডের পাতায়া তো যৌনতার শহর। উদ্দামতার লীলাভূমি পাতায়ার ওয়াকিং স্ট্রিট। এক সন্ধ্যায় স্ত্রী আর দুই মেয়েকে নিয়ে পাতায়ার এক রাস্তায় হাঁটছিল। তারা আগে, সে পেছনে। পাশ থেকে আচমকা এক রাশান তরুণী ধরে বসল তার একটা হাত। দেখেই বুঝে ফেলল তরুণী যে প্রস্টিটিউট। কী করে বিপ্লব? এক ঝাটকায় হাতটা ছাড়িয়ে বলল, আরে ধুর, দেখতে পাইতে আছ না মোর বউ সামনে!

হা হা হা। অট্টহাসি দিল মোর্শেদ ও কামরুল।

মোর্শেদ বলল, একেবারে বরিশালের বাংলায়!

এছাড়া আমার মুখে আর কিছু আসেনি। সঙ্কটে মানুষ তার নাড়ির ভাষাটা বের করে দেয়।
মেয়েটা কিছু বুঝল?
বাংলা কি আর বোঝে! তাও আবার বরিশালের বাংলা। তবে আমার চোখমুখ দেখে বুঝেছে আমি যে বিরক্ত। বেচারির মুখটা একেবারে শুকিয়ে গেল।

কামরুল বলল, ভাবী সঙ্গে না থাকলে নিশ্চয়ই বিরক্ত হতেন না?

না রে ভাই, ওসবে আমার আগ্রহ নাই। আমার যৌবন ওয়াইফের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। লাম্পট্য আমাকে দিয়ে হয় না। ভ্রমণ হচ্ছে আমার কাছে লাম্পট্যের বিকল্প। চরিত্র ঠিক রাখতে আমি দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করি। হা হা হা।

কামরুল বলল, কী যে বলেন বিপ্লব ভাই! সেক্স ছাড়া জগতে আর আছেটা কী? পেট আর চেট নিয়েই তো জীবন।

বিপ্লব হাসে।

মোর্শেদ বলে, মানুষের মৌলিক অধিকার আসলে ছয়টা। সেক্সকেও যুক্ত করা উচিত। আর মজা তো বেশি পরকীয়ায়। নাকি বলেন কামরুল ভাই? হা হা হা। এক তরকারি কি প্রতিদিন ভালো লাগে? বৈচিত্র্য থাকতে হয়।

এবার শুরু করল কামরুল। তার নুনুর গল্প। শিশ্নকে সে বলে নুনু। তার নুনুটা অস্বাভাবিক লম্বা। এমন লম্বা নুনু হাজারে হয়ত একজনের থাকে। মিয়া খলিফার সঙ্গে যেসব নিগ্রো পুরুষ সেক্স করে, ঠিক তাদের শিশ্নের মতো। ছোটবেলায় যখন নেংটা ঘুরে বেড়াত, পাড়ার দাদী আর ভাবী সম্পর্কীয় মহিলারা খুব হাসাহাসি করত। কেউ কেউ আগাটা ধরে দিত টান। কী যে শরম লাগত তার! একেবারে কুঁকড়ে যেত। বুঝ হওয়ার পর কেবলই মনে হত, কীভাবে সে বিয়ে করবে! এত বড় জিনিস দেখলে তো বাসর রাতেই বউ পালাবে। কোনও মেয়ে তো তার ঘর করবে না।

মোর্শেদ বলল, এখনও কি তাই মনে হয়?

আরে নাহ!
ভাবী নিশ্চয়ই আপনাকে নিয়ে সুখী?
অফকোর্স! ন্যান্সির চেয়ে সুখী আর কে আছে? বুঝলেন, মেয়েদের কাছে সেক্সই আসল সুখ। ওসব প্রেম-ভালোবাসা ভূয়া জিনিস। দেহ ছাড়া বাকি সব মিথ্যা, সব অসার। ন্যান্সি যে আগুনসুন্দরী, আমার জিনিসটা লম্বা না হলে তো কবেই আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যেত! হা হা হা।

বোতল খালি হতে হতে সাড়ে এগারোটা বেজে গেল। আরো ঘণ্টাখানেক তারা আড্ডা দিল। ততক্ষণে সবকটি ফ্ল্যাটের সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও কমে গেছে। কামরুল একটু বেশি খেয়ে ফেলেছে। উঠে সে রেলিংয়ের পাশে দাঁড়ালে বিপ্লব দ্রুত সরিয়ে আনল। মদ খেলে কারও কারও নিচে ঝাঁপ দেওয়ার সাধ জাগে, জীবনকে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে। অনেকে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়। কদিন আগে নারায়ণগঞ্জের এক বাড়ির ছাদ থেকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে মারা গেছে এক মার্কিন নাগরিক।

মোবাইলে গান ছেড়ে দিল বিপ্লব। রবীন্দ্রনাথের গান। গানের তালে তালে সবাই নাচল। তারপর বিপ্লব গাইল দুটি গান। রাত দেড়টার দিকে ফিরে গেল নিজ নিজ বাসায়।

প্রায় তিন মাস পর এক বিকেলে অফিস থেকে ফিরছিল শীলা। পরনে শাড়ি, চেহারায় প্রশান্তি। লিফটের সামনে দেখা হয়ে গেল ন্যান্সির সঙ্গে। মার্কেট থেকে ফিরছে ন্যান্সি। দু-হাতে ব্যাগ। প্রতি সপ্তাহেই সে মার্কেটে যায়। কখনও বসুন্ধরা সিটি, কখনও যমুনা ফিউচার পার্ক, কখনও বা নিউ মার্কেট। যা মন চায় কেনে। কামরুল কখনও আপত্তি করে না। আলমিরা-ওয়ারড্রবে শাড়ি, থ্রি পিসসহ কত কাপড়-চোপড় আছে, জুতার র‌্যাকে কত জোড়া জুতা আছে, তার কোনও হিসাব রাখে না ন্যান্সি। ব্যাঙ্কে যে তার নামে তিন কোটি টাকা রাখা আছে, রাখে না সেই হিসাবও। রাখে শুধু গয়নার। সব মিলিয়ে অন্তত সাড়ে চার কোটি টাকার গয়নার মালিক সে। তাকে দেখলে শীলার কেবলই মনে হয়, আহা, ন্যান্সি কতই না সুখী!

দুজন এটা-সেটা নিয়ে আলাপ করতে করতে লিফটে উঠল। চারতলায় থামল লিফট। শীলাদের ফ্ল্যাট চারতলায়, ন্যান্সিদের সাত তলায়। শীলা নামার সময় চোখে বিষণ্ণœতা আর মুখে মলিন হাসি নিয়ে ন্যান্সি হঠাৎ বলে উঠল, আচ্ছা শীলা আপা, আপনি খুব সুখী, না? বিপ্লব ভাই খুব রোমান্টিক, না?

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4650 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...