বেকার হস্টেলের রুম টুয়েন্টিফোর

বেকার হস্টেলের রুম টুয়েন্টিফোর -- স্বপন ভট্টাচার্য

স্বপন ভট্টাচার্য

 

উনিশশো একাত্তরে আমি এক আবাসিক বিদ্যালয়ের শেষ ক্লাসের ছাত্র। রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত স্কুল, তাই বিধিনিষেধ অনেক। রেডিও তখন গড়পড়তা মানুষের একমাত্র বিনোদন। রেডিও সিলোন থেকে মাদকতা মাখা গলায় আমিন সাহানী যখন ডাক দিতেন ‘ইয়ে হ্যায় বিনাকা গীতমালা’ তখন আমাদের ধরে রাখা দায় হত। আমরা লুকিয়ে চলে আসতাম ব্যাচেলর টিচারদের ঘরের আশেপাশে যেখান থেকে রফি-কিশোর-লতা-মুকেশের কণ্ঠ শোনা যায়।  একদিন সেখানে শুনতে পাই বজ্রদীপ্ত গলায় ডাক দিচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান— ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো…. রক্ত যখন দিয়েছি, তখন রক্ত আরও দেব…. বাংলাকে স্বাধীন করে ছাড়ব ইনশাআল্লা….। ৭ই মার্চের সেই ভাষণ উনিশশো একাত্তরে আমাদের সেদিনের পাঁচিলঘেরা জীবনে আলোড়ন তুলে দিল। আমরা গলায় তুলে নিলাম অংশুমান রায়ের গান— শোনো, একটি মুজিবুরের থেকে লক্ষ মুজিবুরের কণ্ঠ, আকাশে বাতাসে ওঠে রণি, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। আমাদের হস্টেলের ঘরে ঘরে ধ্বনিত হতে থাকল— বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ। আমাদের সন্ধ্যাবেলাগুলি অবলীলায় অধিকার করে নিলেন দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতি দাস‌, প্রণবেশ সেনরা।  অধীর প্রতীক্ষা থাকত কলকাতা-ক কেন্দ্র থেকে প্রচারিত স্থানীয় সংবাদ ও সংবাদ পরিক্রমার জন্য। আমরা জেনে নিলাম ২১শে ফেব্রুয়ারির গান, আমাদের জানলাম রফিক, শফিউল, সালাম, বরকত, জব্বারের আত্মবলিদানের কথা। চলচ্চিত্রকার জাহির রায়হানের মৃত্যু, রাজাকারদের অত্যাচার, হাজার হাজার নারীর সম্ব্রম লুণ্ঠন— এসব যেন আমাদের উঠানে ঘটে যাচ্ছে। আমরা তখন পনের-ষোল, ওপারে এই বয়সের ছেলেমেয়েরা হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়েছে এপারেরও প্রচুর মানুষ। ওই এক হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা, যেভাবে তিনি দু দেশে ভাগ হয়ে পড়া একটা জাতিকে আলোড়িত করে তুলেছিলেন তার তুলনীয় নজির সারা বিশ্বেই অতিবিরল। ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিলেন। গোটা দেশের বুকে এই বিশ্বাস তিনি বুনে দিতে পেরেছিলেন যে স্বাধীনতাকামী মানুষ মরতে জানে, হারতে জানে না।  আমাদের কড়া নিয়মের স্কুলে নিয়মের নিগড় আলগা হয়ে গেল। আমাদের মাস্টারমশাইরা হস্টেলের ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আসতেন খবর শুনতে। অ্যাসেম্বলি হলের প্রধান মাইকে গমগম করে বাজত বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ, দেবদুলালের হৃদয় নিংড়ে নেওয়া বিবরণ। স্বামী লোকেশ্বরানন্দ ছিলেন আমাদের প্রতিষ্ঠানপ্রধান। আমরা তাঁর কাছে আবদার করলাম এদেশে নির্বাসনে থাকা বাংলাদেশ ফুটবল দলকে নিয়ে আসতে হবে মিশনে। তিনি বললেন, আসবেই তারা, সেটাই হবে আমাদের উদযাপন। মিশন স্টেডিয়ামে ভেঙে পড়ল সারা জেলার মানুষ, মনে মনে তারা সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। পাঁচিলের বাইরে জীবন তখন ‘বিপুল তরঙ্গ রে’। পূর্ববঙ্গের সীমান্তে আসছে হাজারে হাজারে গৃহহীন মানুষ। এ পারের কবি, সাহিত্যিক, গায়ক, চলচ্চিত্রকার, শিল্পী সকলেই ওই একটা মানুষের ডাকে প্লাবিত হয়ে গেল। একটা জাতিকে এভাবে আলোড়িত হতে তার আগে কখনও দেখিনি। তার পরে অবশ্য একবার দেখেছিলাম সেই সে জাতিকে সম্পূর্ণ বিহ্বল হয়ে যেতে। সেটা ছিল উনিশশো পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট, আমরা যখন স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য তৈরি হচ্ছিলাম।

প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ি তখন। কলেজের ফুটবল টিমে ছিলাম। বিশ্বভারতীর আমন্ত্রণে ফ্রেন্ডলি খেলতে ১৪ই আগস্ট শান্তিনিকেতনে পৌঁছাই। আমাদের বন্ধু, ইতিহাস বিভাগের অংশু, যে কিনা শান্তিনিকেতনেরই ছেলে, অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরে গেলে আমরাও ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন ভোরবেলা অংশুর ডাকেই ঘুম ভেঙে গেল আমাদের।

–ওঠ, তোরা ওঠ! সর্বনাশ হয়ে গেছে!
–কী হয়েছে অংশু?
–শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাসাসিনেটেড হয়েছেন আজ সকালবেলায়।

শুনে সম্পূর্ণ হতচকিত হয়ে গেলাম আমরা। কর্নেল ফারুক মুক্তিযুদ্ধের সময়েই এপার বাংলায় যথেষ্ট পরিচিতি অর্জন করেছিল। সম্ভবত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সেই ছিল এপার বাংলায় সব চেয়ে জনপ্রিয় সেনানী। সে যে ধানমন্ডিতে তার জাতির জনকের দেহে আঠারোটা বুলেট ভরে দেবে এ ছিল ভাবনার অতীত। উনিশশো আটচল্লিশে দিল্লিতে অনুরাগীদের মধ্যে ঢুকে এক জাতিপুরুষের চলা একটিমাত্র হৃদয় ভেদ করা গুলির আঘাতে থেমে গিয়েছিল। গান্ধিজির মৃত্যুর সময় আমার জন্মও হয়নি, সে ঘটনার প্রত্যক্ষ অভিঘাত আমার উপর নেই। কিন্তু শেখ মুজিবুরের হত্যাকাণ্ড সব অর্থেই বিহ্বল করে দিয়েছিল সেদিন। একটা জাতিকে অভিবাবকহীন করে দেওয়ার দায় কার ছিল, সিআইএ-র ভূমিকা কী ছিল এই আলোচনায়  তার পর বহু নিউজপ্রিন্ট ব্যয়িত হয়ে গেছে। কিছুদিন পরেই তাঁর শ্রেষ্ঠ বান্ধব ইন্দিরা গান্ধিকেও থামিয়ে দিয়েছে রক্ষীর বুলেট। রাজীব গান্ধির দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে আরডিএক্স বিস্ফোরণের অভিঘাতে। কিন্তু আর কোনও মৃত্যুকে মনে হয়নি নেশনের ধারণার মূলে আঘাত। একটা জাতির চরিত্রলক্ষণগুলো ফুটে ওঠার মুখে তার অভিমুখ বদলে দেওয়ার চক্রান্ত বলে মনে হয়েছিল সেটা। তার পরেও যে বাংলাদেশ বাঙালি জাতিসত্তার স্রোতটিকে সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির খাতে বয়ে যেতে দেয়নি এখনও, তার মূলে আছে তার ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস যা বঙ্গবন্ধুর মধ্য দিয়ে এই দেশ পেতে শিখেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালি জাতির সেই অশেষ অর্জন।

এর পর চাকরিজীবনে দু-তিনবার এই কলেজ ওই কলেজ ঘুরে বদলি হলাম মৌলানা আজাদ কলেজে। সেটা উনিশশো আটানব্বই সাল। কলেজের দোতলায় উঠতে ল্যান্ডিং-এর মুখেই রয়েছে শুরু থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদকদের বছরওয়াড়ি তালিকা। সেখানে ১৯৪৫-৪৬ সালের সম্পাদকের নাম লেখা আছে— এম রহমান। কলেজের নাম তখন ছিল ইসলামিয়া কলেজ। স্মিথ লেনে বেকারের প্রায় উল্টোদিকেই রয়েছে প্রায় দ্বিশতাধিক বৎসরের বেশি পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যালকাটা মাদ্রাসা। এই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধানত ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের জন্য হস্টেল দুখানা কিন্তু আজকেও দুই রাজ আমলের শিক্ষা প্রশাসকের নামে। ইসলামিয়ার ছাত্ররা থাকতেন বেকার হস্টেলে আর ক্যালকাটা মাদ্রাসার ছাত্ররা থাকতেন ইলিয়ট হস্টেলে। দুটি হস্টেলই একই চত্বরে এবং এখানে আছে একটি মসজিদ, দু দল ছাত্রেরই প্রার্থনার জন্য।  বঙ্গবন্ধু থাকতেন বেকারের ২৪ নম্বর ঘরে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখছেন— “কলেজে যখন ক্লাস করতে যেতাম প্রফেসর সাহেবরা জানতেন, আর দু’একজন বলতেনও, ‘কি! সময় পেয়েছো কলেজে আসতে?’ আমি কোনো উত্তর না দিয়ে নিজেই হাসতাম, সহপাঠীরাও হাসতো। পড়তে চাইলেই কি আর লেখাপড়া করা যায়! ক্যাবিনেট মিশন তখন ভারতবর্ষে। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করছে ক্যাবিনেট মিশনের সাথে। আমরাও পাকিস্তান না মানলে, কোনোকিছু মানব না। মুসলিম লীগ ও মিল্লাত অফিসে রোজ চায়ের কাপে ঝড় উঠত।”

মুজিবুর রহমান ছিলেন শহীদ সুরাবর্দির ভাবশিষ্য। কাছেই ২ আর ৩ নম্বর ওয়েলেসলি ফার্স্ট লেনে ছিল মুসলিম লিগের অফিস। পাকিস্তানের দাবি তখন জোর পাচ্ছে, তবু বেকার হোস্টেলে  মুক্তচিন্তার অভাব ছিল না। ওই হোস্টেলেই মাঝে মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন সহপাঠী নীহাররঞ্জন চক্রবর্তী। বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নীহারবাবু বলছেন “হোস্টেলে কার অসুখ, কার কী সমস্যা, সব ওর জানা থাকত। ওর ব্যবহারটা খুবই ভালো ছিল বলে সকলের সঙ্গেই ভাব জমিয়ে ফেলতে পারত। মুসলিম লিগ করত ঠিকই, কিন্তু খুব লিবারেল ছিল। সোহরাওয়ার্দিকে খুব মান্য করত ও।” ১৯৪৬-এর কলকাতার ভয়াবহ দাঙ্গা, যা ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ নামে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে আছে, সেই সময়ে মুজিবুরের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। জিন্নার ডাকে ১৬ আগস্ট দিনটিকে ‘ডাইরেক্ট এ্যাকশন ডে’ ঘোষণা করল মুসলিম লিগ। কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভার নেতারা এটাকে তাদের বিরুদ্ধে প্ররোচনা মনে করে বিবৃতি দিলেন। শহীদ সুরাবর্দি তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী। মুজিব তাঁর মন্ত্রশিষ্য। জানাচ্ছেন সোহরাওয়ার্দি বলেছিলেন ‘শান্তিপূর্ণভাবে যেন এই দিনটা পালন করা হয়।’ ১৬ই আগস্টের ইতিহাস পড়েছি আমরা। বঙ্গবন্ধুর জবানীতেও সেই দিনের কথা শোনা যেতে পারে। “আমার উপর ভার দেওয়া হল ইসলামিয়া কলেজে থাকতে। শুধু সকাল সাতটায় আমরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব মুসলিম লীগের পতাকা উত্তোলন করতে। আমি ও নূরুদ্দিন সাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হলাম। পতাকা উত্তোলন করলাম। কেউই আমাদের বাধা দিল না। আমরা চলে আসার পরে পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিল শুনেছিলাম। আমরা কলেজ স্ট্রিট থেকে বউবাজার হয়ে আবার ইসলামিয়া কলেজে ফিরে এলাম।… আর যদি আধা ঘণ্টা দেরি করে আমরা বউবাজার হয়ে আসতাম তবে আমার ও নূরুদ্দিনের লাশও আর কেউ খুঁজে পেত না” ছেচল্লিশের সেই দাঙ্গা সম্ভবত ভারতে প্রথম সংগঠিত দাঙ্গা। তিনি লিখলেন “কলকাতা শহরে শুধু মরা মানুষের লাশ বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে আছে। মহল্লার পর মহল্লা আগুনে পুড়ে গিয়েছে। এক ভয়াবহ দৃশ্য। মানুষ মানুষকে এইভাবে হত্যা করতে পারে, চিন্তা করতেও ভয় হয়!” দাঙ্গা চাননি, পাকিস্তান চেয়েছিলেন। দেশভাগের মধ্য দিয়ে সেই পাকিস্তানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান আর এপারে থাকেননি। পড়াশুনো অসমাপ্ত রেখেই তিনি কলকাতা ছেড়ে গেলেন।

কলেজে আমি ছিলাম একই সঙ্গে শিক্ষক সংসদের সম্পাদক ও প্রশাসনিক পর্ষদের সদস্য। হস্টেলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক দবীর আহমেদ বিশেষ বন্ধু। প্রায়ই হস্টেলে যেতাম। হস্টেল কমিটিতে ছিলাম। প্রায়ই যেতে হত। কেজো যাওয়া সেসব। অ্যানেক্স বিল্ডিং, নতুন ডাইনিং হল, সিসিটিভি কভারেজ সহ বাইরের দখলদার হটানোর মত অনেক প্রিয় ও অপ্রিয় কাজে নিয়মিত বেকার হস্টেলে যেতেই হত। ইফতারে অংশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতাম প্রতি বছর। শেখ মুজিবুর রহমান থাকতেন বেকারের ২৪ নবর ঘরে। এখন সে ঘর সংরক্ষিত। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার উদ্যোগ নেন কক্ষটিকে স্মৃতিকক্ষে রূপান্তরিত করার। এককভাবে ২৪ নম্বর ঘরটি নিতান্তই ছোট। তাই তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে অনুরোধ রাখে পাশের ২৩ নম্বরকেও এই স্মৃতিকক্ষে জুড়ে নেবার। সেভাবেই বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। স্মৃতিকক্ষে একটা ছোট আবক্ষ মূর্তি আছে তাঁর। তাঁর নিজের দেশেই তাঁর মূর্তি অক্ষত রাখতে পারা যাচ্ছে না, এখানেও মূর্তি বসানো নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। প্রথমবারের আবক্ষ মূর্তিটি সরিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন ২০১৯-এ নতুন একটি মূর্তি বসাতে চান। শেষ পর্যন্ত তা পারা গেলেও খুব সহজে হয়নি। এছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের একটি সংগ্রহ এবং তাঁর আত্মজীবনী। আছে তাঁর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের ছবি। কিন্তু  মোটের উপর আড়ম্বরহীন একখানি স্মৃতিকক্ষ সেটা। গড়পড়তা দিনে, সে কক্ষ বন্ধই থাকে স্বাভাবিক কারণে। কোনও কোনও অলস দিনে বন্ধু দবীরের কাছ থেকে রুম টুয়েন্টিফোরের চাবি চেয়ে নিতাম আমি। দরজা খুলে একাকী দাঁড়ালে সেই ঘরে, একটা অদ্ভুত গন্ধ পাওয়া যায়। সে গন্ধ রহস্যময় মনে হতে থাকে, মনে হয় আমি সেটা চিনি। হয়ত সে গন্ধ বাংলাভাষার।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4645 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

2 Comments

  1. একজন বাংলাদেশি এবং বাংলাভাষীর পক্ষ থেকে লেখকের প্রতি সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ ভালোবাসা।

  2. মুজিবর রহমান যে মৌলনা আজাদের ছাত্র ছিলেন এটা আমি নতুন জানলাম।তার সঙ্গে বাংলার যে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানলাম……. ও সেই সময়ে তোর যে ভূমিকা টা জানলাম, সেটাও খুবই উৎসাহ দ্দীপক……বরং বলা ভালো গর্বিত বোধ করলাম।

Leave a Reply to Sandhya Ray Cancel reply