দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জনগণকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে বাংলার রেল-হকারদের আন্দোলন

বহ্নিহোত্রী হাজরা

 


হাজার হাজার রেল-হকার এক লহমায় রোজগার হারান লকডাউনের সময়। অনেকে দেনার দায়ে ডুবে যান। অনেকে আত্মহত্যাও করেন। লকডাউন পেরিয়ে যখন আবার রেল চালু হল তখন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল রেলে হকারি করা যাবে না এবং একটি বেসরকারি সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয় যে তারা ট্রেনে পণ্য বেচবে। তারপর 'উন্নয়ন'-এর নতুন ফরমান এল। স্টেশনগুলোকে বিমানবন্দরের মতো বানাতে 'অন্ধকারের জগৎ' ওই রেলবস্তিগুলোকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। তাই কালনা, শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের ৩৭টি স্টেশন-সংলগ্ন বস্তিতে এসেছে উচ্ছেদের নোটিস। সঙ্গে এসেছে গালভরা নাম "অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প"

 

আমার-আপনার ব্যবহারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, খাদ্য, পানীয়, সাবান, প্রসাধনী এবং ঘরের টুকিটাকি জিনিসপত্রের ছোট ছোট উৎপাদন এবং বিপণন ব্যবস্থা এ-দেশে গড়ে উঠেছে বহু বহু বছর ধরে। জয়নগরের মোয়া, মাদুপুরের মাদুর, ফুলিয়ার তাঁত, গামছা বা কাশ্মিরের শাল ফেরিওয়ালার কাঁধে চেপে পৌঁছে যায় গ্রামের হাটে, শহরতলির বাজারে, হকারদের হাত ধরে রেল-স্টেশনে বা ফুটপাথে ক্রেতাদের হাতে গিয়ে ওঠে। বাংলা প্রবাদের ভাষায় বললে, আলপিন থেকে শুরু করে হাতি পর্যন্ত সবকিছুই পাওয়া যায় তাঁদের কাছে। বিশ্বায়নের যুগে আমরা মধ্যবিত্তরা এই ব্যবস্থার কথা প্রায় ভুলতে বসেছি। শপিং মল থেকে বা ঘরে বসে অর্ডার করে যারা কর্পোরেটের পণ্য কিনি তাদের কাছে এ আরেক ভারতবর্ষ। বিশ্বায়নের সর্বগ্রাসী অক্টোপাস যেন গিলে নিতে চাইছে সব কিছুকেই। রেলস্টেশনগুলো আজ ছেয়ে গেছে ম্যাকডোনাল্ডস্‌, কেএফসি বা ওয়াও মোমোর স্টলে। আর আজ অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প এসে বুলডোজারের তলায় গুঁড়িয়ে দিতে চাইছে হকারদের স্বাধীন অস্তিত্ব। তাদের বস্তি থেকে উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছে। রাষ্ট্র বলছে তারা জবরদখলকারী। হকাররা প্রশ্ন তুলেছেন মোদি সরকার তো তিন বছরের মধ্যে দেশের সকল নাগরিককে পাকা ঘর দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। প্রতিশ্রুতি পালন দূরে থাক, আজ তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিতে উদ্যত সরকার। বারেবারেই দেখা গেছে প্রতিশ্রুতিগুলো আসলে ভাঁওতা। আর ঝাঁ চকচকে পরিষেবা আর আধুনিকীকরণের খোয়াব দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ খেটে খাওয়া মানুষকে উচ্ছেদ করাকেই ওরা উন্নয়ন বলে। হাজার হাজার মানুষ যাঁরা রেলে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা এক লহমায় রোজগার হারান লকডাউনের সময়। এঁদের মধ্যে অনেকে দেনার দায়ে ডুবে যান। আর কোনও পথ না দেখতে পেয়ে অনেকে আত্মহত্যাও করেন। লকডাউন পেরিয়ে যখন আবার রেল চালু হল তখন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল রেলে হকারি করা যাবে না এবং একটি বেসরকারি সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয় যে তারা ট্রেনে পণ্য বেচবে। তাহলে কার পেটে লাথি মেরে সরকার কাদের স্বার্থ দেখছে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন? এবার ‘উন্নয়ন’-এর নতুন ফরমান এল। স্টেশনগুলোকে নাকি বিমানবন্দরের মতো সাজানো-গোছানো ‘ভদ্রলোকের’ উপযুক্ত বানাতে ‘অন্ধকারের জগৎ’ ওই রেলবস্তিগুলোকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। তাই কালনা, শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের ৩৭টি স্টেশন-সংলগ্ন বস্তিতে এসেছে উচ্ছেদের নোটিস। সঙ্গে এসেছে গালভরা নাম “অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প”। বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী মোট ১৩০৯টি স্টেশনে এই প্রকল্প চালু হবে। এতে নাকি আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা পাওয়া যাবে। তৈরি করবে কারা? এখনও কোনও বড় কোম্পানির নাম সামনে আনছে না ওরা কিন্তু ধাপে ধাপে যেভাবে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে রেলওয়েকে, যেভাবে হকারদের বাজারকে গিলে নিতে ডেকে আনা হচ্ছে কাফে কফি ডে, কেএফসি, ডমিনোজ পিজা, ম্যাকডোনাল্ডসের মতো বহুজাতিককে তাতে আশ্চর্যের ঠেকে না যখন অনেকেই আশঙ্কা করেন আম্বানি-আদানির মতো কোনও বড় কর্পোরেটের কাছেই বেচে দেওয়া হবে রেলের জমি। মনে পড়ে যাচ্ছে ১ জুলাই, ২০২০তে রেলপথ মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে ১০৯ জোড়া রুটে ১৫১টি ট্রেন বেসরকারি সেক্টর দ্বারা পরিচালিত হবে। এ হল সামগ্রিক ভারতীয় রেল পরিষেবার ৫ শতাংশ। এভাবেই ধাপে ধাপে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া কিন্তু চালু হয়ে গেছে।

উলুবেড়িয়া শাখায় হকারদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। জলবিক্রেতা মোরসালেম মোল্লা, মোয়া এবং জুসবিক্রেতা শেখ আতিবুল সকলেই একবাক্যে জানালেন— ‘আমরা চোরের মতো হকারি করব কেন? এটা আমাদের পেশা আমরা স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে করব।’ বেঁচে থাকার ন্যূনতম দাবি। অথচ কোনও প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক বা রাজনৈতিক শক্তি এর আগে এটুকু জোরের সঙ্গে বলার কথাও ভাবেননি। আমি প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিয়নগুলোর কথাও এক্ষেত্রে বলব। শুনলাম সিটু, আইএনটিইউসি বা আইএনটিটিইউসি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃত্ব রেল-হকারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, মিছিল মিটিং-এ ডাকত বটে, তবে তাঁদের মাথা তুলে নিজেদের রোজগার করার স্বাধীনতা নিয়ে কেউ ভাবেনি এর আগে। ‘বঙ্গীয় হকার সম্মেলন’ হাওড়া-মেচেদা শাখায় সংগঠিত চেহারায় হাজির থাকার পর থেকে এই লাইনে হপ্তা নেওয়া প্রায় বন্ধ। রেলপুলিশের অত্যাচার বন্ধ হোক, রেলে হকারিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক এটাই তাঁদের সকলের দাবি। কারণ, রেলওয়ে অ্যাক্ট অনুসারে আজও রেলের ভিতরে হকারি বেআইনি। যে পেশার সামাজিক স্বীকৃতি এত প্রবল, তার আইনি স্বীকৃতি নেই আজও। সম্প্রতি রেলবস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালায় ‘জাতীয় বাংলা সম্মেলন’। বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে কোন্নগর স্টেশন অঞ্চলের ১০টি স্টল আরপিএফ ভেঙে দেয়। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের হকার সংগঠন পাল্টা IRCTC-র স্টল বন্ধ করিয়ে দেয়। শেষে আরপিএফ বলে মুচলেকা দাও, স্টল আর লাগাবে না, তাহলে মাল দোকান ফেরত পাবে। প্রতিবাদে হকাররা হাওড়া স্টেশন চত্বর দখল নিয়ে বাজার বসিয়েছেন। এর পরে আরপিএফ বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছিল হকারদের এবং তাদের নেতৃত্বকে। লড়াকু এক সাথী বলছিলেন ২৫ জনকে মার খেয়ে জেলে যেতে হয়েছে, জামিনে খরচ হয়েছে ৫৮,০০০ টাকা, তবু এ-লড়াই থেকে তারা এক পা-ও পিছু হটবেন না। তাদের লড়াইয়ের এই স্পিরিট দুই দশকের কিছু আগের উচ্ছেদ বিরোধী লড়াইয়ের কিছু স্মৃতি ফিরিয়ে দেয় নতুন করে।

আমাদের দেশে কৃষির পরেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ যুক্ত হকারি পেশার সঙ্গে। আনুমানিক ৪ কোটি হকার আছেন গোটা দেশে। তথাকথিত আধুনিক ঝাঁ চকচকে ‘বিশ্বায়নী’ ভদ্রলোকেদের চোখে রাস্তার ধারের হকারদের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম একেবারে এক অন্ধকারময় দৃশ্য। তাই তারা শহর সাজাতে প্রকল্প আনে ‘অপারেশন সানশাইন’। সেই ১৯৯৬ সালের কথা। হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিল বামফ্রন্ট সরকার। বেশ কিছু জায়গায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল হকারদের স্টল। তবে অতটা সহজ হল না বিষয়টা। একজোট হলেন হকাররা। সংহতি জানালেন, পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রছাত্রী বুদ্ধিজীবীদের একাংশ, নাগরিক উদ্যোগ এবং অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলোও। জোরদার আন্দোলন করে উচ্ছেদকে রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল সেদিন। হকার আন্দোলনের সাফল্যে গড়ে উঠেছিল ‘উচ্ছেদ বিরোধী যুক্ত মঞ্চ’। এই উচ্ছেদের রূপরেখা কেবল ‘৯৬-এই আসে তা কিন্তু নয়। ১৯৫২ সালে বিধান রায়ের আমলেও মিউনিসিপালিটি বলেছিল, রাস্তা কেবল পথচারীদের। ফলে হকার উচ্ছেদের নোটিস ঝুলেছিল সেইদিনও। এরপরে ১৯৭৫ সালে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলেও কিন্তু হকার উচ্ছেদের এই ধারাবাহিকতাই বজায় থাকে। এর উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে বাংলার মাটিতে উচ্ছেদ বিরোধী লড়াই বারেবারেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এই উন্নয়নের মিথকে। হকারদের সংগঠিত আইনি লড়াইয়ের একটি বড় সাফল্য ২০১৪ সালে পাশ হওয়া “Street Vendors (Protection of livelihood and regulation of street vending) Act of 2004”। এই আইন হকারদের লাইসেন্স দিয়ে তাদের এক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ছাঁচে নিয়ে এল।

তবে কর্পোরেট আগ্রাসনের অক্টোপাসকে এভাবে আদৌ রোখা গেল কি? প্রশ্নটা রয়েছে কারণ নানা কায়দায় এই বিকেন্দ্রীভূত ব্যবস্থাটিকে ভেঙে ফেলবার এবং হকার ও অন্যান্য ছোট ছোট উৎপাদকদের কোণায় ঠেলে একচেটিয়া কর্পোরেটরাজ প্রতিষ্ঠার চক্র ভীষণরকম ক্রিয়াশীল। ২০০০ সালের পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সরকারই ক্রমাগত সওয়াল করেছে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগকে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়ার জন্য। প্রায় ৪ কোটি মানুষকে খাদের কিনারে ঠেলে দিতে পারে এই পলিসি। ধারাবাহিক প্রতিরোধের মুখে আইন করে আনতে না পারলেও ইতিমধ্যে বহু কর্পোরেট রাঘব বোয়ালরা ঢুকে পড়েছে খুচরো বাজারে। আইটিসি বা রিলায়েন্স রিটেল খুচরো ব্যবসায় ঢুকে পড়ায় ৩০ শতাংশ মতো লোকসান হয়েছে হকারদের। দেশকে লুঠ করার অস্ত্র এই প্রত্যক্ষ দেশি-বিদেশি বড় কর্পোরেট-দের বিনিয়োগ। আর লুঠের পথ মসৃণ করতে বিগত কয়েক বছরে এসেছে কিছু বড়সড় আঘাত। প্রথমে এল ডিমনিটাইজেশন, তারপর জিএসটি এবং শেষ পেরেক ঠুকে দিল লকডাউন। এই তিনটি পদক্ষেপই ছোট ছোট উৎপাদক, হকার এবং ছোট বিক্রেতাদের কাছে চরম আঘাত। বহু ছোট ব্যবসায়ীর ব্যবসা লাটে উঠে গেল। ডিজিটালাইজেশনের জোয়ার প্রতিযোগিতা থেকে ক্রমাগত দূরে ঠেলছে হকারদের। রাস্তার ফুড-হকারদের থেকে খাবার না নিয়ে ‘করোনা’র ভয়ে জবুথবু হয়ে ঘরে বসে থাকা ভদ্রলোকেরা সুইগি/জোমাটো থেকে খাবার অর্ডার করেছেন। অথচ প্রবল অপপ্রচার চালানো হলেও বাস্তবে রাস্তার খাবার কিন্তু যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর। এ প্রসঙ্গে একটা সার্ভে রিপোর্টের কথা বরং উল্লেখ করি। ১৯৯৩-৯৪ সালে ইন্দিরা চক্রবর্তী ইউএনডিপি-র পক্ষ থেকে একটা সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন যেখানে তথ্যপ্রমাণ-সহ দেখিয়েছিলেন স্ট্রিট ফুড অনেক বড় বড় পাঁচতারা রেস্তরাঁর চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।

সার্বিকভাবে হকারদের বাজার কর্পোরেটরা দখল করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বহুদিন ধরেই। সেই সঙ্গে নাগরিক পরিষেবা, আন্তর্জাতিক পরিষেবা, যাত্রী পরিষেবা ইত্যাদি গালভরা নামের আড়ালে উচ্ছেদকে মান্যতা দেওয়ার, আইনি সিলমোহর দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার প্রতিনিয়ত। আজ কেন্দ্রীয় সরকার রেলওয়েকে ছলে-বলে কৌশলে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার খেলায় মেতেছে। রেলকে আজও দেশের প্রাণ বলা হয় কারণ এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে। কিন্তু সেখানেও ভাল পরিষেবা, উন্নয়ন, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ইত্যাদি ভদ্রলোকীয় মিথকে হাতিয়ার করেই সবার আগে পেটে লাথি মারা হচ্ছে খেটে খাওয়া হকার এবং রেলবস্তির মানুষদের। প্রশ্ন করতে হবে উন্নয়ন কার জন্য? স্টেশনটা যতটা যাত্রীদের ততটাই হকারদেরও। হকারদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে রেল এবং স্টেশনের ওপর।

আরও একটা প্রশ্ন ইদানিং সত্যিই চিন্তার উদ্রেক করছে। রেলের সমস্ত ক্ষেত্রে যেভাবে হিন্দির আগ্রাসন বাড়ছে, রেল রুটের ব্যবসাক্ষেত্রে অবাঙালি, গুজরাতি, মাড়োয়ারি কোটিপতি ব্যবসায়ীর আধিপত্য যেভাবে বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে কেন্দ্রের চরম দমনমূলক প্রকল্পের মুখে বাংলার খেটে খাওয়া হকার এবং বস্তিবাসীরা সবদিক থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। কিন্তু তাঁদের দাঁতে দাঁত চিপে লড়ে যাওয়ার স্পিরিটটাই উৎসাহ জোগাবে বাংলার মানুষকে। আশা রাখব অপারেশন সানশাইন থেকে শুরু করে উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলনের ট্র্যাডিশনের ধারাবাহিকতায় এবারেও আরও বিভিন্ন শক্তি এগিয়ে আসবে এই আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়াতে, কর্পোরেট আগ্রাসন, হিন্দি-আগ্রাসন, তাদের দালাল সরকার আর কেন্দ্রের যেকোনও খবরদারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।


*মতামত ব্যক্তিগত

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4664 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...