লাল খোলসের গোলাপী রাক্ষস

দেবজিৎ ভট্টাচার্য

 


লালপতাকার ইতিহাস শ্রমিকশ্রেণির রক্তের, গৌরবের ও ঐতিহ্যের। ইতিহাস বলে, একটি কারখানায় বহু সংগ্রামের পরেও শ্রমিকেরা নিজেদের হকের অধিকার, ন্যূনতম মর্যাদা পান না। যতক্ষণ পর্যন্ত উৎপাদনের হাতিয়ারের রাজনৈতিক অধিকার তাঁরা না পাচ্ছেন, ভূমিহীন কৃষকেরা যতক্ষণ পর্যন্ত জমির রাজনৈতিক অধিকার বা মালিকানা অর্জন করতে পারেন না, ততক্ষণ তিনি বা তাঁরা অর্থনৈতিক অধিকারগুলিও ন্যূনতম অর্জন করতে সক্ষম হন না। তাহলে কী করে শ্রমিকশ্রেণির ঐতিহ্যবাহী লালপতাকা বহনকারী পার্টি, বুর্জোয়া সংসদে 'শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনে'র দ্বারা অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে উৎপাদন সম্পর্কের তথা সমাজের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে?

 

আমাদের জন্ম নব্বইয়ের দশকে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম উপভোগ করবার ফুরসৎ হয়নি, মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁঝে বিদ্রোহী হয়ে উঠবার সৌভাগ্য হয়নি, বিপ্লবী শ্রেণিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা কিংবা তার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে ওঠা হয়নি। আমরা দেখছি একের পর এক দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট, তলিয়ে যাওয়া। এর মোকাবিলায় জনগণের বিদ্রোহ। সেই বিদ্রোহগুলি দমনে সাম্রাজ্যবাদের নানা রাজনৈতিক অঙ্ক; অথবা দেখছি কোথাও কোথাও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে পুরনো উৎপাদন সম্পর্কের সামন্তবাদীদের এক হাতের সংগ্রাম। তাদের আরেক হাতে অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর অবৈরীমূলক সম্পর্ক। ফলে আমরা কতদূরই-বা জানতে, শিখতে পেরেছি, নিজেদের মধ্যে নতুন দ্বন্দ্বের সংঘর্ষের উৎপত্তি ঘটাতে আগ্রহী হয়েছি? হইনি। বরং আমরা আটকা পড়েছি সামন্তবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতির চক্করে। শিকার হয়েছি রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার। আত্মস্থ করেছি ভোগবাদী হতাশাগ্রস্ত সাম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতি ও সামন্ততান্ত্রিক মূল্যবোধে ঘেরা আমলাতান্ত্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতির। কারণ, আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণিসত্তায় রাজনৈতিক সঙ্কট ও প্রয়োজনীয়তা এবং অনুশীলন ও শ্রমের অভিজ্ঞতা, এই দুইয়ের মধ্যেকার সামঞ্জস্যতা, তার চাহিদা সঠিক মাত্রায় গড়ে উঠেনি, যা মননে প্রশ্ন জাগায়, নতুন রাজনৈতিক দিশা সন্ধানের খোঁজে ডাক পাঠায়।

এখন আমাদের চোখের সামনে লাল পতাকায় মুড়ছে এশিয়া মহাদেশ। বাকি আরও কয়েকটি দেশ। এ কি আদৌ সত্য নাকি ভ্রান্ত, কাল্পনিক চরিত্রের চিত্রনাট্য? সাম্প্রতিককালে নির্বাচনের মাধ্যমে লাল পতাকার জয় সুনিশ্চিত হল শ্রীলঙ্কায়। দুবার অভ্যুত্থানে ব্যর্থতার পর ক্ষমতায় এল লাল পতাকাধারী জেভিপির এক অংশ। পাশেই রয়েছে চিন, সেটিও লাল। আর রয়েছে নেপাল।

এই তিনটি দেশের ক্ষমতাবাহী লাল পতাকাধারী পার্টিগুলির মধ্যে মিল রয়েছে অনেক। তবে সেগুলির মধ্যে প্রধান হল তিনটি— এক, পতাকার রঙে; দুই, রাজনৈতিক অর্থনীতিতে; তিন, আন্তর্জাতিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রসঙ্গে। ঐতিহাসিকভাবে এদের পতাকার রং শ্রমিকশ্রেণির। কিন্তু মার্কসবাদী পদ্ধতিতে শ্রমিকশ্রেণির ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের প্রশ্নে এরা প্রত্যেকেই বিরোধী। যার প্রমাণ পাওয়া যায় এদের পরবর্তী মিলের দুটি অবস্থানে— রাজনৈতিক অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রসঙ্গে। অর্থাৎ, এরা প্রত্যেকেই সংশোধনবাদের সবচেয়ে আধুনিক তত্ত্ব অনুযায়ী, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবর্তন’, ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতা’য় বিশ্বাসী। এই তিনটি বিষয়ই মূলত আজকের সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের শ্রেণিবিভক্ত সমাজে শোষণ টিকিয়ে রাখতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সমাজে শ্রেণি-শোষণকে টিকিয়ে রাখতে ও এটি তীব্র করতে নানা অশান্তিমূলক যুদ্ধেরও সৃষ্টি করছে।

আধুনিক সংশোধনবাদী তত্ত্ব অনুযায়ী, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনে’র মূল কথা হল, মার্কসবাদী দর্শনে আঘাত করা। বিপ্লবী শ্রেণিযুদ্ধের মাধ্যমে শোষণকারী শাসকশ্রেণিকে হটিয়ে শোষিতশ্রেণির রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের তত্ত্বকে খারিজ করা। তার বদলে শোষক-শাসকশ্রেণির শোষণের নিয়মাবলি মোতাবেক ‘শান্তিপূর্ণ’ সংসদীয় পথে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল যা এ-সময়ে দেখা গেল শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে। আগে দেখা গেছে নেপালে।

এরপর ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’-এর প্রধান বিষয় হল, লাল পতাকাধারী পার্টি ও রাষ্ট্রের সঙ্গে যে-কোনও সমাজব্যবস্থার রাষ্ট্রের বিদেশনীতি শান্তিপূর্ণ, অতিসাধারণ পদ্ধতিতে গড়ে তোলা। এমনটা লক্ষ করা যায়, আজকের চিন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার তথাকথিত লাল পতাকাধারী এ-সমস্ত কমিউনিস্ট পার্টির তত্ত্বে এবং তা প্রয়োগে ও রাষ্ট্রীয় বিদেশনীতিতে। উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরা যেতে পারে, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের স্বার্থে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের উদারিকরণ-বেসরকারিকরণ-বিশ্বায়ন নীতি, যা এরা প্রতেক্যেই মান্যতা দেয় অথবা দিয়েছে বহু সময় আগে। অবশ্য এদের এই কাল্পনিক তত্ত্ব-ই অন্যান্য দেশের বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে সাহায্য করা, সেই দেশের শোষিতশ্রেণি, নিপীড়িত জাতিগুলিকে সাহায্য করার বদলে সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথাও বলে। ফলে এরা প্রতেক্যেই ধর্মীয় সংখ্যাগুরুর রাজনীতি ও সমাজে শোষণকারী লগ্নিপুঁজির অর্থনৈতিক স্বার্থবহনে কাজ করে। এমনটা লক্ষ করা যায়, ঐতিহাসিকভাবে এদের প্রত্যেকের রাজনৈতিক পদক্ষেপ, কার্যক্রমে।

এরা প্রত্যেকেই ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতা’য় বিশ্বাসী। ফলে নীতিহীন ব্যবসায়িক স্বার্থে হেঁটে চলবার শপথ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে থেকে এরা সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ীভাবে নীতিগত সমঝোতা গড়ে তুলেছে এবং সাম্রাজ্যবাদ ও লাল পতাকাধারী পার্টির কিংবা রাষ্ট্রের মধ্যেকার বৈরীমূলক দ্বন্দ্বগুলিকে অবৈরীমূলক দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখাবার চেষ্টা করে চলেছে। আপ্রাণ প্রমাণ করবার চেষ্টা করে চলেছে, যে, শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে বাজার দখল কিংবা সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে, অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পুঁজিবাদী উৎপাদন সম্পর্ক থেকে লাল পতাকার রাজনৈতিক অর্থনীতিতে (সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন সম্পর্কে) অবতীর্ণ হওয়া সম্ভব। বর্তমানে এ-বিষয় মূলত, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও চিনের সামাজিক সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যে কখনও কখনও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে, বাজার দখলের ক্ষেত্রে। তবে তারা এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যেকার সমঝোতার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া উৎপাদন সম্পর্কের দেশগুলির বাজারে থাবা বসিয়েছে।

এই পিছিয়ে থাকা উৎপাদন সম্পর্কের দেশগুলির তালিকায় রয়েছে এশিয়া, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা মহাদেশের প্রতিটি দেশ। এখানের বেশিরভাগ দেশগুলির উপরে বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও গোষ্ঠীগুলি নিজেদের মধ্যেকার সমঝোতার দ্বারা বাজার দখল করেছে। আধা-ঔপনিবেশিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে সেই দেশগুলির উৎপাদিকা শক্তির ক্ষয় করছে, জল-জমি-জঙ্গল-শ্রমশক্তি লুঠ করবার মধ্যে দিয়ে। দেশগুলির স্বাধীন (পুঁজির) বিকাশ অবরুদ্ধ, ধ্বংস হয়ে চলেছে বা চলছে প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন। তাই জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, জিনিসপত্রের অত্যধিক পরিমাণে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে, শ্রমের বাজার ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। এরই মধ্যে পড়ে আমাদের দেশ, ভারত। পড়ে লাল পতাকাধারী নেপাল, শ্রীলঙ্কাও। আবার লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার কিছু দেশে এখনও পুরনো ঔপনিবেশিক ঢঙের নয়া-ঔপনিবেশিক সম্পর্ক স্থাপনের দ্বারা সাম্রাজ্যবাদীরা শাসন-শোষণ চালাচ্ছে। ফলে এ-সমস্ত দেশগুলি এখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক শূন্যতা ও সামাজিক অস্থিরতায় ভুগছে। এদের প্রধানত ইঙ্গ-মার্কিন ও চিন-রুশ সাম্রাজ্যবাদ নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলি[1] চড়া সুদের হারের ঋণের জালে ফাঁসিয়েছে। সে-সবের তথ্য এখন মোটা দাগের বহুমেরু (যাকে আসলে দ্বিমেরু দিকে যেতে পারে) বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদের অন্তর্দ্বন্দ্বেই প্রকাশ্যে।

এসবের বিরোধিতা করতে গিয়ে চিনের কমিউনিস্ট বিপ্লবী মাও সেতুং (আন্তর্জাতিক মহাবিতর্ক চলাকালীন) আধুনিক সংশোধনবাদী তত্ত্বের বিরোধিতায় জোর দেন, প্রধানত, শ্রেণিসংগ্রামের রাজনৈতিক লাইনে। বলেন, শ্রেণিযুদ্ধ ততদিন চালিয়ে যেতে হবে যতদিন পর্যন্ত সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা না হয়, এই প্রয়োজনীয়তাকে সকলের অনুভব করতে হবে। এরই সঙ্গে তিনি সাম্রাজ্যবাদের যুগে বিশ্বের শোষিতশ্রেণি ও নিপীড়িত জাতি, বিপ্লবী জনগণের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেন এই লাল খোলসের গোলাপী রাক্ষসদের। অতএব, যারা এ-ধরনের কাল্পনিক সমাজতন্ত্রের তত্ত্ব হাজির করে, জনগণের লালপতাকার আবেগকে ভুল কাজে লাগায়। সমাজে শ্রেণিশোষণ বজায় রাখতে সাম্রাজ্যবাদকে নানা কায়দায় সাহায্য করে এই শ্রেণিশোষণ তীব্র করার মধ্যে দিয়ে সামাজিক ফ্যাসিবাদী পন্থায় (শাসকশ্রেণির মধ্যেকার সবচেয়ে হিংসাত্মক গোষ্ঠীর) একনায়কত্ব কায়েম করে তারাই ঐতিহ্যবাহী শ্রমিকশ্রেণির লালপতাকার বিপ্লবী দর্শন ও ইতিহাসকে বিকৃত করছে। সে-ই সব সংশোধনবাদীদের, এখনও পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ও ধূর্ত রূপ বলা যেতে পারে।

লালপতাকার ইতিহাস শ্রমিকশ্রেণির রক্তের, গৌরবের ও ঐতিহ্যের। ইতিহাস বলে, একটি কারখানায় বহু সংগ্রামের পরেও শ্রমিকেরা নিজেদের হকের অধিকার, ন্যূনতম মর্যাদা পান না। যতক্ষণ পর্যন্ত উৎপাদনের হাতিয়ারের রাজনৈতিক অধিকার তাঁরা না পাচ্ছেন, ভূমিহীন কৃষকেরা যতক্ষণ পর্যন্ত জমির রাজনৈতিক অধিকার বা মালিকানা অর্জন করতে পারেন না, ততক্ষণ তিনি বা তাঁরা অর্থনৈতিক অধিকারগুলিও ন্যূনতম অর্জন করতে সক্ষম হন না। তাহলে কী করে শ্রমিকশ্রেণির ঐতিহ্যবাহী লালপতাকা বহনকারী পার্টি, বুর্জোয়া সংসদে ‘শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনে’র দ্বারা অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে উৎপাদন সম্পর্কের তথা সমাজের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে? যদিও-বা ঐতিহাসিকভাবে যে-সব লালপতাকাধারীরা এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে হেঁটেছেন, যেখানেই সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কোনও না কোনও কঠিন পরিবর্তনের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। সেখানে সাম্রাজ্যবাদীদের সরাসরি হস্তক্ষেপে, সশস্ত্র সেনা অভ্যুত্থানের (ক্যু) মাধ্যমে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরবর্তীকালে তারা অকথ্য অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছে, যেমন— ব্রাজিল (১৯৬৪), ইন্দোনেশিয়া (১৯৬৫) এবং চিলি (১৯৭৩)।

অর্থাৎ, এই পদ্ধতিগুলির মধ্যে দিয়ে শোষক-শাসকশ্রেণির ‘ক্ষমতার হাতবদল’ অবধি হওয়া সম্ভব। শোষণযন্ত্রের পরিমাণগত পদ্ধতি অথবা কোনও কোনও ক্ষেত্রে গুণগত মানেরও পরিবর্তন হতে পারে, এর বেশি কিছুই নয়। তাই আমাদের সর্বদা অনুভব করবার প্রয়োজন যে, শ্রেণিসংগ্রামী যুদ্ধ একটি দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতে চলে। জয়-পরাজয় ও জয়, এই চক্রে ঘুরপাক খায়। এতে প্রত্যাশা ও হতাশার জায়গা নেই। কেবল আশার জায়গা রয়েছে। এটি পূরণে সমাজ পরিবর্তনের বিষয়ে জোর দিতে হবে, বস্তুনিষ্ঠতায়; শ্রমিকশ্রেণির বস্তুগত ভিত্তিতে, ঐতিহ্যবাহী লালপতাকার ঐতিহাসিক দর্শনে। শ্রমিকশ্রেণির অনুশীলন ও শ্রমের অভিজ্ঞতার উপরে। শ্রমিকশ্রেণির বিকল্প অর্থনীতিতে, বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতিতে। লালপতাকার আবেগঘনিষ্ঠতায় নয়। তবেই একমাত্র লালপতাকাধারী গোলাপী রাক্ষসদের সঠিক রূপ বুঝতে সুবিধে হবে।


[1] আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, এক্সিম ব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, ব্রিকস প্রভৃতি।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4953 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...