চক্ষুদান

কুন্তলা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

Kate Mosse –এর Sainte-Thérèse ছোটগল্পের ছায়া অবলম্বনে

 

স্টিয়ারিং-এর ওপর ঘুঁষি মেরে পল্লব বলল, “সিরিয়াসলি, সামবডি শুড গিভ মি আ মেডেল।”

হিন্দোলা পল্লবের সঙ্গে একমত। ওর মতো অগোছালো, অপটু, অবিন্যস্ত স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করা সত্যিই শক্ত। হাতে গুগল ম্যাপ খোলা থাকা সত্ত্বেও ভুল রাস্তায় বাঁক নিতে বলল কী করে পল্লবকে? এখন একটা ধু ধু মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে ওদের ঝকঝকে নতুন এস ইউ ভি। ওদের মানে পল্লবের। ঠেসেঠুসে চার জন থেকে সিক্স সিটারে আপগ্রেড করার সময়েই পল্লব পরিষ্কার করে দিয়েছিল গাড়িটা “ওর” বেবি। হিন্দোলা যেন ওতে হাত না দেয়। বেবির মতোই যত্ন করে পল্লব গাড়িটার। সকালবিকেল মোছে, গায়ে হাত বোলায়, ফুঁ দিয়ে অদৃশ্য ধুলো ওড়ায়। খুঁজে খুঁজে কোথা থেকে তোয়ালে কিনে এনে ড্রাইভারের সিটে পেতেছে, তাতে বড় বড় করে ছাপা ‘ওয়াইফ ফ্রি জোন’। ফেসবুকে সে ছবির নিচে তিপ্পান্নটা লাইক, তিরাশিটা হা হা। কেউ কেউ এসে লিখেছে, “তোর গাটস আছে ভাই।” পল্লব রিপ্লাই দিয়েছে, “জীবনের স্টিয়ারিং তো বউয়ের হাতে ছেড়েই দিয়েছি, অন্তত গাড়িরটা থাক।” গাড়ির ই এম আই পেমেন্টটা অবশ্য ওয়াইফ ফ্রি জোন নয়, কিন্তু সে কথা পাগল ছাড়া কেউ তোলে না, হিন্দোলাও তোলেনি। তাছাড়া গাড়িতে হিন্দোলার বিন্দুমাত্র উৎসাহ নেই। গাড়ি চালানোটালানো ভয়ানক জটিল ব্যাপার। ওর দ্বারা হবে না। তার থেকে বরং পল্লবের পাশে বসে ম্যাপ দেখে দেখে রাস্তা বলবে, সেই ভালো।

যদিও দেখাই যাচ্ছে, সেই কাজটাও হিন্দোলার দ্বারা হয়নি।

মুখ লাল করে হিন্দোলা চুপ করে রইল খানিকক্ষণ। আজ সকাল থেকে ওর খালি ভুল হচ্ছে। কী কী ভুল হয়েছিল সেটা মনে করার চেষ্টা করল হিন্দোলা। ট্যাংক থেকে জল পড়ে যাচ্ছিল? বারান্দা থেকে কাগজ আনতে দেরি হয়ে যাচ্ছিল? মনে পড়ল না। কিন্তু ভুল যে করেছিল সেটা ঠিক। কারণ পল্লব খুব চেঁচাচ্ছিল আর “ইডিয়েট” “ইডিয়েট” বলছিল।

রাস্তায় কেউ পল্লবকে ওভারটেক করলে পল্লব তাকে ইডিয়েট বলে, কাজের মহিলা ঘর মোছার পর পাপোশ ঠিক জায়গায় না রাখলে পল্লব ইডিয়েট বলে, অফিসের বস এবং সহকর্মীদের পল্লব সর্বক্ষণ ইডিয়েট বলে। অফ কোর্স, আড়ালে। খালি হিন্দোলাকে বলে মুখের ওপর। হিন্দোলা জানে, পল্লবের ওটা মুদ্রাদোষ, তাই মাইন্ড করে না, কিন্তু বাইরের লোকেরা তো সেটা জানে না। পল্লব মাঝে মাঝে বন্ধুবান্ধবের সামনেও ওকে ইডিয়েট বলে ফেলে, আর তখন একটা বিশ্রী ব্যাপার হয়। পুরুষ বন্ধুরা এমব্যারাসড হয়, বান্ধবীরা কুপিত। অবিশ্বাস আর রাগ নিয়ে তারা হিন্দোলার দিকে তাকায়। শিক্ষিত, স্বনির্ভর একটা মেয়ে, এ সব সহ্য করে কী করে। এ কি মেয়ে না পাপোশ?

মুশকিল হচ্ছে, পল্লবেরও একই অভিযোগ। পল্লব নিজের অফিস নিয়ে সর্বক্ষণ স্ট্রেসড থাকে, কাজেই নিজের অফিসের খুচরো ঝামেলার কথা বলে হিন্দোলা পল্লবকে বিরক্ত করতে চায় না, কিন্তু মাঝে মাঝে সহ্যের অতীত হলে বেরিয়েই যায়। তখন পল্লব চেঁচায়।“আমার কাছে এই সব কাঁদুনি গাওয়ার মানে কী? যদি অন দ্য স্পট প্রতিবাদ না করতে পারো? তুমি কি মানুষ না পাপোশ?”

ভয়ে ভয়ে পল্লবের দিকে তাকাল হিন্দোলা। কালো চশমা পরে, চোয়াল শক্ত করে পল্লব সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। ফর্সা গালে রেজারের ছড়ার দাগ। যত্ন করে ছাঁটা গোটি। হিন্দোলার জন্মদিনে উপহার দেওয়া পারফিউমটা মেখেছে আজ পল্লব।

হাত বাড়িয়ে পল্লবের কাঁধে হাত রাখল হিন্দোলা। পল্লব ঘাড় ঘোরাল।

“জানালাটা বন্ধ করো না, দেখছ না ধুলো ঢুকছে? ইডিয়েট।”

মাঠের ভেতর দিয়ে ধুলো উড়িয়ে খানিকক্ষণ চলার পর অবশেষে সামনে পিচরাস্তা এল। মেঠোরাস্তা যেখানে পিচরাস্তায় মিশেছে সেখানে বাজখাঁই এক শিমুল গাছের তলায় প্যাকিং বাক্সের ওপর চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে বসেছে একটা বুড়ো, পিঠ ধনুকের মতো বেঁকা। গাছের গায়ে বাঁধা দড়িতে ঝুলন্ত গুটখার প্যাকেট। আশেপাশে বেঞ্চে দু’চারজন ঝড়তিপড়তি খদ্দের। মাঠ পেরিয়ে পল্লবের মেজাজ সামান্য শুধরেছে, গাড়ি থেকে ডি এস এল আর টা বার করে এনে খচাখচ ছবি তুলতে লাগল। সসপ্যান থেকে ওঠা ধোঁয়ার ভেতর দিয়ে বুড়োটার পোরট্রেটও নিল খানদশেক।

চা নিয়ে একটা ইটের পাঁজার ওপর বসে ওর ভয়ানক হিন্দিতে বলল, “ইহাঁ দেখনে কা কেয়া কেয়া হ্যায়?”

“কুছ নহি।” বুড়ো মাথা নাড়ল।

“ঝর্ণাটর্না? শের, হাথি, ভালু?”

“কুছ নহি।”

“ভূথ?”

নিজের রসিকতায় নিজেই দাঁত বার করে হাসছে পল্লব।

“ভূথ নহি, পর চুঢ়ৈল হ্যায়।”

কথাটা বলেছে পাশে বসা একটা লোক। নারকেল দড়ির মতো চেহারা, সিঁথির দুপাশ থেকে তেলচিটে কুচকুচে কালো চুল লতিয়ে ভাঙা গালের ওপর এসে পড়েছে। গলায় কণ্ঠি। এদিকের জঙ্গলে চুঢ়ৈলদেবীর লোকগাথা প্রচলিত আছে। চুঢ়ৈল নাকি ভয়ানক জাগ্রত। সবাইকে দেখা দেন না। কিন্তু যাদের দেন তাদের জীবনে অদ্ভুত, অলৌকিক সব পরিবর্তন দেখা যায়।

*****

দোতলা বাড়ি, প্যাগোডার মতো তিনকোণা ছাদ। দুপাশ থেকে ডানার মতো দুটো বারান্দা বেরিয়ে আছে, বারান্দার লাগোয়া সারি সারি ঘর। সামনে গোল ছাদের গাড়ি বারান্দা। বাড়ির রং একসময় কী ছিল বোঝার উপায় নেই, ঘন কালো ছাইয়ের মতো দাগ বাড়ির শরীর জুড়ে।

“হোয়াট দ্য ফাক ইজ দিস? বুক করার আগে ছবি দেখোনি?” ভুরু কুঁচকে হিসহিস করে উঠল পল্লব।

কেয়ারটেকার এসে ওদের ব্যাগ নিয়ে দোতলায় পৌঁছে দিল। ঘরে একটা ডাবল খাট, একটা আলমারি। অ্যাটাচড বাথরুম।মাঝারি পরিষ্কার। পল্লব বলল, “এক্সেলেন্ট। তোমার দ্বারা কি একটা কাজও ঠিক করে হয় না? এটা একটা থাকার জায়গা?”

হিন্দোলা ব্যাগ থেকে চটি বার করে নিজে পরল, পল্লবকে দিল। ছোটখাটো প্রসাধনীর জিনিস বার করে রাখল আধো অন্ধকার বাথরুমের দাগওয়ালা আয়নার সামনের প্লাস্টিকের শেলফে।

ব্যাগ গোছানো শেষ করে বারান্দায় এসে দাঁড়াল হিন্দোলা। এদিকটা বাড়ির পেছন দিক। উঁচু উঁচু শালশিমুলের ঘন জঙ্গল। বড় বড় চ্যাপ্টা পাতার মধ্য দিয়ে সরসর আওয়াজ তুলে অল্প অল্প হাওয়া বইছে। জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটল হিন্দোলা। এখানকার হাওয়া শুকনো ভীষণ। ঝকঝকে রোদ। চোখ মেলে তাকানো যায় না। টেম্পারেচার প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি। কলকাতায় এই গরমে এসি ছাড়া থাকা যায় না, অথচ এখানে বারান্দার ছায়ায় কোনও কষ্ট নেই।

ঘরদোর দেখে পল্লব রাগ করে বেরিয়ে গেছে। পল্লবের রাগ ভাঙানোর কথা মনে করে ক্লান্ত লাগছিল হিন্দোলার। এখন পল্লবকে রাগ দেখানোর সুযোগ দিতে হবে, তারপর যখন পল্লব হিন্ট দেবে যে এখন ও হিন্দোলাকে ক্ষমা করে দিতে তৈরি, তখন ক্ষমা ভিক্ষা করতে হবে। এতদিন কোনও অসুবিধে হয়নি এ কাজটা করতে হিন্দোলার। বরং পল্লব যে ফাইন্যালি ওকে প্রত্যেকবার ক্ষমা করে দেয় সেটা ওর একটা মস্ত বড় সান্ত্বনা ছিল, কিন্তু আজ সেই সান্ত্বনাটা কাজে দিচ্ছিল না।

রোদে পোড়া জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন মাথায় এল হিন্দোলার। কীসের জন্য ক্ষমা? এত অদ্ভুত প্রশ্ন যে অনেক ভেবেও কোনও উত্তর পেল না ও। ভাবতে ভাবতে এমন আনমনা হয়ে গেল যে হাওয়াই চটি পরেই সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে হেঁটে চলল জঙ্গলের দিকে।

বন ক্রমে ঘন হয়ে এল। গাছের পাঁচিল ক্রমশ উঁচু হয়ে এল।এখন গাছেদের মাথা ক্রমশ চওড়া হতে হতে একে অপরের সঙ্গে মিশে গিয়ে একটা ছাউনি তৈরি করেছে। তার ফাঁক দিয়ে রোদ এসে মাটিতে ঝিলিমিলি কাটছে। খসখস করে কী যেন দৌড়ে গেল। একটা পাখি ডাকল। একটা গুনগুনানি। হিন্দোলা প্রথমে ভেবেছিল ঝিঁঝিঁ, তারপর বুঝল শব্দটা আসছে ওর কানের ভেতর থেকে।

আর কয়েক পা এগোতেই একটা ঝুরিওয়ালা বটগাছের পেছনে ভাঙাচোরা মন্দিরটা দেখতে পেল। চুড়ো ভাঙা। গা বেয়ে অশ্বত্থের কচি সবুজ চারা লকলকিয়ে উঠেছে। মন্দিরের সামনেটায় ভাঙা ইটপাথরের টুকরোর ঢিবি।

হিন্দোলা এগিয়ে গেল। বাতাসের তাপমাত্রা ঝপ করে অনেকটা কমেছে। দু’হাত দিয়ে নিজেকে জাপটে ধরে ভাঙা মন্দিরের ভেতর উঁকি মারল ও।

মন্দিরের ভাঙা ছাদ গলে এসে পড়া আলোর নিচে একটা পোড়ামাটির মূর্তি। এত কদাকার কোনও মূর্তি কখনও দেখেনি হিন্দোলা। হাতদুয়েক লম্বা মূর্তির ধড়ের তুলনায় দেড়গুণ মুণ্ডু। মুণ্ডুর ওপর প্রকাণ্ড আরেক পিণ্ড। সম্ভবত খোঁপা। দেবীর হাত পা, মুণ্ড এবং ধড়ের তুলনায় ছোটছোট। কিন্তু সবথেকে বেশি লক্ষণীয় দেবীর দুখানা ছুঁচোলো স্তন, একটি নেয়াপাতি ভুঁড়ি, এবং দুই পায়ের মাঝে একটি সুস্পষ্ট, উন্মুখ যোনি।

শিউরে উঠল হিন্দোলা। গোটা দৃশ্যটার কদর্যতায়, নির্লজ্জতায়। পরমুহূর্তে নিজের প্রতিক্রিয়ায় লজ্জা হল ওর। হাজার হোক দেবী। অভিশাপের ভয়ে হিন্দোলা দু’হাত হাত বুকের কাছে জড়ো করে চোখ বুজল।

আর অমনিএকটা তীক্ষ্ণ, তীব্র হাসির আওয়াজ ওর কানের পর্দা ফাটিয়ে দিল। ভয়ে চেঁচিয়ে উঠে চোখ খুলল হিন্দোলা, আর দেখল দেবীমূর্তির কুৎসিত মুখে জ্বলজ্বল করছে দুখানা আগুনের মতো চোখ, হাঁ মুখের ভেতর লকলক করছে রক্তবর্ণ জিভ।

ও আর চোখ বন্ধ করার সময় পেল না, মূর্তির দুই চোখ থেকে দুটো আগুনের তীর এসে বিঁধে গেল ওর দু’চোখে।

বাংলোয় যখন ফিরে এল হিন্দোলা, তখন আকাশ কালো। শুকনো পাতা হাওয়ায় ঘুরতে শুরু করেছে, ঝড় শুরু হবে হবে। ধুলো এসে বিঁধে যাচ্ছে হিন্দোলার চোখেমুখে। দরজা দিয়ে ঢুকতেই পল্লবের গলা ভেসে এল।

“এই ঝড়বাদলায় ইডিয়েটের মতো কোথায় বনেবাদাড়ে ঘুরছিলে?”

বিছানার ওপর বিয়ারের বোতল হাতে এলিয়ে পড়ে আছে পল্লব। হিন্দোলা দেখল পল্লবের বনমানুষের মতো লোমশ বুক, ন্যাতানো ভুঁড়ির দুপাশে এলিয়ে পড়া লিকলিকে হাত, সরুসরু পায়ের গোছ। পল্লবের ফোলা গাল দেখল হিন্দোলা, ব্যক্তিত্বহীন চিবুক, ঘোলাটে চোখ, ছ্যাতরানো ঠোঁটের কোলে জমা থুতু দেখল। মুখ তো নয়, একতাল ময়দা। সব পেরিয়ে হিন্দোলার চোখ গিয়ে থামল ঠোঁটের নিচে অতি সযত্নে লালিত ছোট্ট দাড়িটিতে। রোজ সকালে যেটাকে পল্লব ছাঁটে, আঁচড়ায়, পোষা ছাগলের মতো আদর করে।

হিন্দোলার সারা শরীর ফাটিয়ে হাসি বেরিয়ে এল। পল্লব যত বলতে লাগল,“কী হল ইডিয়েটের মতো হাসছ কেন?” ততই হা হা করে হেসে চলল ও। বাইরের মেঘের গর্জনের সঙ্গে ওর হাসি মিশে গেল। দরজা দিয়ে আসা আলো আড়াল করে দাঁড়িয়ে ছিল হিন্দোলা তাই পল্লব দেখতে পেল না, ওর মুখের ভেতর লাল জিভ লকলক করে উঠছে।আর অত দমকে দমকে হাসি সত্ত্বেও হিন্দোলার চোখদুটো বন্ধ হয়নি, সোজা তাকিয়ে আছে পল্লবের দিকে।

বাড়ি ফিরে ডিভোর্স চাইল হিন্দোলা। পল্লব প্রথমে হাসল, তারপর কাঁদল। হিন্দোলার পায়ে ধরে বলল, “কী অন্যায় করেছি, কেন আমাকে ছেড়ে যাচ্ছ।” হিন্দোলা স্পষ্ট দেখল, কান্নার আড়ালে পল্লব আসলে বলছে, “যাবে কোথায় আমাকে ছেড়ে?”

চলে গেল হিন্দোলা।

*****

আমাদের ইনস্টিটিউটে ডক্টর হিন্দোলা সেনগুপ্ত সিনিয়র ফেলো হিসেবে জয়েন করেছেন সম্প্রতি। ছোটখাটো চেহারা, চোখে সর্বক্ষণ কালো চশমা, কারও সঙ্গে দরকার ছাড়া কথা বলেন না। গত ছ’মাসে মহিলাকে কেউ হাসতে দেখেনি।

কনজাংটিভাইটিস আর পোকাদাঁতের থিওরি বাজারে উড়ছিল, এমন সময় আসল খবরটা নিয়ে এল আমাদের এক কোলিগ। মালটা ডিভোর্সি। বর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে ছিটেল হয়ে গেছে।

আমাদের সবার সব সংশয় ঘুচল।

 

 

(ছবি: ইন্টারনেট)

 

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4596 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

5 Comments

  1. আমার কিন্তু শেষটি বাহুল্য মনে হচ্ছে না! বরং এই সারকাসটিক অ্যাটমস্ফিয়ারটা গল্পটাকে একটা অন্য মাত্রা দিয়েছে। তবে এই যে একেকজন পাঠক একেকরকমভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে লেখাটির সাথে, এখানেই সম্ভবত লেখকের সাফল্য। ধন্যবাদ কুন্তলা। চমৎকার অনুসৃজন…

Leave a Reply to ক.ব. Cancel reply