
ঈষীকা নন্দী
গ্লোবাল ওয়ার্মিং সর্বত্র নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে জনগণের স্বাস্থ্যের উপর। বিশ্ব-উষ্ণায়নের ফলে বৃষ্টিপাতের অনিয়ম, ঘূর্ণিঝড় এবং তাপপ্রবাহের মতো বিষয়গুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাপমাত্রার ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখা গেছে। গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং ইতিমধ্যেই যাঁরা কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত তাঁরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের ধরনের পরিবর্তন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়িয়েছে। এছাড়াও, দূষিত জলের কারণে ডায়েরিয়া এবং অন্যান্য জলবাহিত রোগের হার বাড়ছে
জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বের অন্যতম সমস্যা। যা পরিবেশবিদ থেকে রাষ্ট্রনায়ক সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে বিশ্বজুড়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। সময়ে-সময়ে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। কিন্তু আশু সমাধান এখনও বেরিয়ে আসেনি। এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কুফল গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব-উষ্ণায়ন। সহজ কথায় পৃথিবীরই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং সর্বত্র নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে জনগণের স্বাস্থ্যের উপর। বিশ্ব-উষ্ণায়নের ফলে বৃষ্টিপাতের অনিয়ম, ঘূর্ণিঝড় এবং তাপপ্রবাহের মতো বিষয়গুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাপমাত্রার ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখা গেছে। গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং ইতিমধ্যেই যাঁরা কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত তাঁরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের ধরনের পরিবর্তন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়িয়েছে। এছাড়াও, দূষিত জলের কারণে ডায়েরিয়া এবং অন্যান্য জলবাহিত রোগের হার বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় আমফান, সিত্রাং-এর মতো দুর্যোগ প্রায়শই আঘাত হানছে। এই ধরনের দুর্যোগের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ তৈরি করছে। বাড়িঘর হারানো, রোজগারের ক্ষতি এবং পুনর্বাসনের অভাব মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাচ্ছে। শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণ বাড়ছে যা অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের ক্যানসারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে। নদীদূষণের কারণে দূষণমুক্ত জলের অভাব দেখা দিচ্ছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা কমছে। ধান ও গমের মতো প্রধান শস্যের ক্ষতির কারণে খাদ্যসঙ্কট এবং অপুষ্টি সমস্যা বেড়েছে। খাদ্য-নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
এখন দেখা যাক জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে।
সরাসরি স্বাস্থ্যে প্রভাব
হিট স্ট্রোক: গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ফলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় অত্যধিক চাপ পড়ে। ফলে জীবনহানির সম্ভবনা তৈরি হয়। তাই তাপ-সম্পর্কিত ছোটখাট অসুস্থতার চিকিৎসা না করালে হিট স্ট্রোকের সম্ভবনা থেকে যায়।
পেশি ক্র্যাম্প: অত্যধিক তাপমাত্রায় ডিহাইড্রেশন এবং শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে পেশি ক্র্যাম্প হতে পারে।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা:
- অ্যাজমা: উচ্চ তাপমাত্রা এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন হাঁপানির উপসর্গকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
- ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি: জলবায়ু পরিবর্তন বায়ুদূষণ এবং বাতাসের ধুলোকণা বাড়িয়েছে। সিওপিডি-র রোগীকে আরও বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে।
- ফুসফুসের ক্যান্সার: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বায়ুদূষণের বৃদ্ধি ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।
জলবাহিত রোগ:
- কলেরা: জলবায়ু পরিবর্তন জলের উত্সকে দূষিত করে যা কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়ায়।
- টাইফয়েড: উষ্ণ তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তন টাইফয়েডের আধিক্য বাড়াচ্ছে।
- ডায়েরিয়া: জলবায়ু পরিবর্তন ডায়েরিয়াজনিত রোগের প্রকোপ বাড়াতে পারে, বিশেষ করে দুর্বল স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি এলাকায়।
ভেক্টর-বাহিত রোগ:
- ম্যালেরিয়া: জলবায়ু পরিবর্তন ম্যালেরিয়া সংক্রমণকারী মশার আবাসস্থল এবং জীবনচক্রে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এতে ম্যালেরিয়া প্রকোপ বাড়ছে।
- ডেঙ্গু জ্বর: উষ্ণ তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়েছে।
- জিকা ভাইরাস: জলবায়ু পরিবর্তন জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে দুর্বল জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো এলাকায়।
জনস্বাস্থ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও পশ্চিমবঙ্গ
১৯০১-২০০০ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের গড় তাপমাত্রা প্রতি দশ বছরে প্রায় ০.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু ২০০১-২০২০, এই দশ বছরে তা বেড়েছে ০.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলছে। এ-ঘটনা এখন নিয়মিত ঘটছে। কলকাতায় ২০২৩ সালের জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর-এর তথ্য অনুসারে, ১৯৭০-এর দশকের তুলনায় ২০০০-এর পরবর্তী দশকে তাপপ্রবাহের ঘটনা দ্বিগুণ বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ সালে মোট ১৫ দিন তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে যেখানে ১৯৯০-এর দশকে এ-সংখ্যা ছিল মাত্র ৫-৭ দিন। সুন্দরবন অঞ্চলে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। উষ্ণতা এবং আর্দ্রতার যৌথপ্রভাব হিট ইনডেক্সকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের কারণে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই শ্রমিক এবং নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা খোলা জায়গায় কাজ করছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঘটনা ২০১০-২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তীব্র গরমের কারণে ডিহাইড্রেশন এবং রেনাল ফেলিওরের ঘটনা বাড়ছে। ২০২৩ সালে এই ধরনের সমস্যার কারণে হাসপাতালগুলিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ এবং আরামহীনতা বাড়িয়ে তোলে, বিশেষত শহুরে অঞ্চলে, যেখানে তাপপ্রভাব আরও গুরুতর। গ্রীষ্মকালে স্কুল বন্ধ রাখা এবং অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত করার নির্দেশ জারি হয়েছিল, যা শিক্ষা ও সামগ্রিক সামাজিক গতিশীলতাকে প্রভাবিত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার উপর গভীরভাবে পড়ছে। এই প্রভাব সরাসরি খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে এবং অপুষ্টির ঝুঁকি বাড়িয়েছে। বৃষ্টিপাতের অনিয়ম, ঘূর্ণিঝড় এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা খাদ্য চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শস্য ধান। তবে, ২০২৩ সালের বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের উৎপাদন প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বৃষ্টিপাতের অনিয়ম এবং জলের সঙ্কটের কারণে বোরো ধানের উৎপাদনেও বিঘ্ন ঘটছে। ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, যদি জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে ধান উৎপাদন প্রায় ১০-১৫ শতাংশ কমে যাবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সব্জি, আলু, টমেটো, এবং পেঁয়াজের ফলন হ্রাস পেয়েছে যা কৃষকদের আয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে স্থানীয় বাজারে খাদ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং মালদার মতো জেলাগুলোতে এই সমস্যা তীব্র। ২০২৩ সালে আলু ও পেঁয়াজের দাম গড়ে ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের পরিবারের খাদ্য ক্রয়ের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। ২০২২ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ৩২ শতাংশ শিশু কম ওজনযুক্ত এবং ২৬ শতাংশ শিশু স্থূলতাজনিত সমস্যায় ভুগছে। গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে রক্তস্বল্পতার হার প্রায় ৫০ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শস্যের পুষ্টিগুণও হ্রাস পাচ্ছে। ধান ও গমে প্রোটিন ও আয়রনের পরিমাণ কমে যাওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সুন্দরবন এবং উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বহু কৃষিজমি আজ লবণাক্ত, চাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। এবং খাদ্য উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং অসময়ের বৃষ্টিও কৃষিজমির উর্বরতা হ্রাস করছে।
স্বাস্থ্য বাঁচাতে যা করণীয়
জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে স্বাস্থ্যকে বাঁচাতে বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। ব্যক্তির নিজের জীবনযাপনে পরিবর্তন ঘটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ এবং সরকারি নীতি পরিবর্তন ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন থেকে স্বাস্থ্যকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।
ব্যক্তিগত উদ্যোগ
- সচেতন থাকা: জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতন হতে হবে, জানতে হবে বাতাসে কার্বনের পরিমাণ কীভাবে কমানো যায়।
- ঠান্ডা পরিবেশে থাকা: তাপপ্রবাহের সময় বাড়ির ভিতরে থাকা, অত্যধিক গরমে পাখা বা এয়ার কন্ডিশনারগুলির মতো শীতল যন্ত্র ব্যবহার করা জরুরি।
- প্রতিরক্ষামূলক গিয়ার ব্যবহার: তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সুরক্ষামূলক পোশাক, টুপি এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা: জলবাহিত এবং ভেক্টর-বাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।
- জলবায়ু-বান্ধব নীতিগুলিকে সমর্থন করা: গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে উন্নত করার নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
কমিউনিটি এনগেজমেন্ট
- সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতা তৈরি: জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক পরিকল্পনা এবং কৌশলগুলি বিকাশ করতে সম্প্রদায়গত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায় সহায়তা: জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনাকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে হবে।
- জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শিক্ষার প্রচার: জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যে তার প্রভাব সম্পর্কে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষিত করা অত্যন্ত জরুরি।
- জরুরি পরিস্থিতির পরিকল্পনা তৈরি: তাপপ্রবাহ, বন্যা বা দাবানলের মোকাবিলায় পরিকল্পনা তৈরি জরুরি।
- জলবায়ু-বান্ধব পরিকাঠামো: সবুজ ছাদ, সবুজ স্থান, এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ভবনগুলির মতো জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো গঠনে জোর দিতে হবে।
পরিশেষে, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্থায়ী ভবিষ্যৎ তৈরি করতে দরকার দূষণমুক্ত পৃথিবী। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের মূলে দূষণ। আর এই দূষণের গতি বাড়াচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি। তাই দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের শপথ নিতে হবে। তবেই জলবায়ু পরিবর্তন রুখে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব। নচেৎ জলবায়ু সংক্রান্ত কনফারেন্স, চুক্তি সবই বৃথা।