ব্রেড অ্যান্ড রোজেস

অয়নেশ দাস

 



গদ্যকার, প্রাবন্ধিক

 

 

 

 

As we go marching, marching
In the beauty of the day
A million darkened kitchens
A thousand mill lofts gray

Are touched with all the radiance
That a sudden sun discloses
For the people hear us singing

Bread and roses, bread and roses

আমরা কি রূপকথার পিছনে ধাওয়া করি, না কি রূপকথারা এসে অজ্ঞাতে জড়িয়ে পড়ে আমাদের জীবনে! কিন্তু যদিও বা আমরা রূপকথায় ভেসে যাই বা রূপকথা আমাদের ভাসায়— তখন কি শুধু এটুকুই যথেষ্ট; সেই রূপকথা যখন ইতিহাসে বদলি হয়? হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থেকে খানিক দূরের এক অখ্যাত গাঁয়ের শেষ রাতের আকাশ সাক্ষী থাকে এক অন্যতর বাস্তবের। সে আকাশ সিন্ডারেলার নরম-নরম হঠাৎ সবপেয়েছির আকাশ নয়, সে আকাশ রূপকথার ইতিহাস হয়ে ওঠার আগুনে কামারশাল। সে আকাশের কোনায় বিষাদে-হরষে অশ্রু-ঘামের জলে মিশে থাকে ছিনিয়ে নেওয়া গরম রুটির গন্ধ, একইসঙ্গে মিশে থাকে অবিশ্রান্ত তাড়া করে ছুঁয়ে ফেলা গোলাপের ঘ্রাণ। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস।

ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। রুটির গন্ধ-গোলাপের ঘ্রাণ কি আলো হয়ে ফুটে থাকে আকাশের গায়ে? থাকে। আর শেষ রাতের আকাশের সেই কোণায় ফুটে ওঠা সেই গন্ধ চিনে সারা রাত বিনিদ্র  অপেক্ষায় বসে থাকে কুরুক্ষেত্রের প্রত্যন্ত গাঁ, শাহবাদ মারকান্দার এক হতদরিদ্র দুঃখিনী মা। ঘরে যাদের ছাদ নেই, একবেলা পেটে গামছা বেঁধে থাকাই যাদের নিয়তি-নির্দেশ, ঠেলাচালক ও ঠিক ঝির সে সংসারে ঘড়ি জিনিসটা স্বাভাবিকভাবেই অনাবিষ্কৃত দুষ্প্রাপ্যের মত। কিন্তু ঘড়ি আবিষ্কারের বহু-বহু আগে থেকেই যে পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘোরে। আর সেই ঘূর্ণনে প্রতি সেকেন্ডে পাল্টে যায় রাত আকাশের তারাময় মানচিত্র। প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যাওয়া রাতের আকাশ আর এক দুঃখিনী মায়ের অনবদ্য পরিচয়ে সূর্যের প্রথম আলোর বহু আগেই সেই গন্ধের বন্দিশ চিহ্নিত করে দেয় এক বিশেষ প্রহর। যে প্রহরে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠে সেই গন্ধের খোঁজে দৌড় দেয় এক অপুষ্ট কিশোরী। হাতে তার এক পরিত্যক্ত ভাঙা হকিস্টিক। দারিদ্রে পঙ্গু কিশোরীর অন্ধের যষ্ঠি। মাইলের পর মাইল পেরিয়ে কিশোরী দৌড়োতে থাকে অ্যাকাডেমির মাঠে। হাঁপ ধরলেই বুক ভরে নেয় রুটি আর গোলাপের গন্ধে। অপুষ্ট শরীরের শেষ শক্তিটুকু চালান করে দেয় মুঠোয়-মুঠোয়। দুর্বল হাতের ইচ্ছাশক্তিতে জুড়ে যায় ভাঙা হকিস্টিক। রানি রামপাল দৌড়োতে থাকে। পুরুষতন্ত্রের খাঁচার থেকে দূরে। হাতের হকিস্টিক ড্রিবল করতে থাকে অবিরাম। অবিরাম দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কখনও সমাজ, কখনও দারিদ্র, কখনও পুরুষতন্ত্র, আবার কখনও নিজেরই অভুক্ত পেট। তবুও অলিম্পিকের মাঠ ভরে যায় অখ্যাত শাহবাদ মারকান্দার একদা অপুষ্ট হতদরিদ্র মেয়ের পায়ের ছাপে। রূপকথা নয়, বাস্তবের ইতিহাস দৌড়োতে থাকে এক পার্থিব গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। এক রানি রামপাল নয়, আসলে রানি রামপালরা দৌড়োতে থাকে; কারণ এ গল্প শুধু রানির নয়; ভারতবর্ষ নামের একটি দেশের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র গ্রামীণ চাষি, কনস্ট্রাকশন শ্রমিক অথবা কর্মচ্যুত ভাগ্যহীনের সন্তানেরা আসলে অবিরাম দৌড়োতে থাকে। এক আশ্চৰ্য গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস।

 

Our lives shall not be sweetened
From birth until life closes
Hearts starve as well as bodies
Give us bread, but give us roses

As we go marching, marching
Unnumbered women dead
Go crying through our singing
Their ancient call for bread

আপনার আমার বাড়ির ছেলেমেয়েরা বড় হয় ইঞ্জিনিয়ারিং-মেডিক্যাল-এমবিএর হিসেব কষতে কষতে। তারা যখন বেছে বেছে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ফর্ম ভরতে ব্যস্ত, তখন এই ভূখণ্ডেরই দারিদ্র্যসীমার নিচে কোনওরকমে যুঝতে থাকা অগণিত পরিবারের ছেলেমেয়েরা, বিশেষত মেয়েরা প্রায়শই বেছে নেয় স্পোর্টস। কেন? তারা কি আপনার আমার থেকে স্পোর্টসকে বেশি ভালবাসে না কি তাদের স্পোর্টসে যাওয়ার সুযোগ আমাদের থেকে অনেক বেশি? আমরা হয়তো জানি সত্যটা। হয়তো জানি না। ইন্ডিয়ান পপুলেশনের যে বিশাল অংশটা গরিব ভারত নামে পরিচিত, তার সন্তানেরা স্পোর্টস বেছে নেয় সেই এক আশ্চর্য গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। এই হচ্ছে আসল সত্য। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। ভারতের মেয়ে ক্রীড়াবিদদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ভারতবর্ষের দরিদ্রতম অংশই ভারতীয় স্পোর্টসকে ধারণ করে রেখেছে। টিভির পর্দায় আমরা যখন এদের সফল হতে দেখি, আমরা উল্লসিত হয়ে উঠি। জাতীয়তাবাদের আবেগে থরো-থরো কাঁপতে থাকি। আমাদের নির্লজ্জ আবেগে এদের সফলতাকে জুড়ে নিই। আবার মুহূর্তপরে আমাদের শ্রেণিচরিত্রবলে অতি স্বাভাবিকভাবেই ভুলে যাই। খবরের কাগজে বা টিভির পর্দায় নিছক কিছু পরিসংখ্যান হয়ে হয়তো কিছুদিন থেকে যায় এই অদম্য দৌড়গুলি। কিন্তু অলিম্পিক-এশিয়াড-কমনওয়েলথের রোশনাইতে চাপা পড়ে যায় সেই গান, সেই লড়াই, সেই দৌড় যা শুরু হয় এক আশ্চর্য গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। অলিম্পিকের গর্বিত পোডিয়ামে হাজারো ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে ছবি ওঠে মেডেল গলায় এক হাসিমুখের, কিন্তু সে ছবির ফ্রেমে কিছুতেই আসে না শাহবাদ মারকান্দার শেষ রাতের আকাশ আর তার নিচে সময় গোনা এক বিনিদ্র মায়ের কথা। আসে না সেই গন্ধ। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস।

এরা ছুটে যায় অ্যাকাডেমি থেকে অ্যাকাডেমিতে। যত না খেলার আনন্দে, তার চেয়ে বেশি দুবেলা ভরপেট ডাল-রুটির গন্ধে। শিশুশ্রমের আতঙ্ক থেকে পালাতে পালাতে এরা পৌঁছে যায় অ্যাকাডেমির দরজায়। ঝাড়খণ্ডের ভাগচাষির মেয়ে সালিমা টেটে অল্পবয়সেই হকি খেলতে শুরু করেছিল; তার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল ওই অঞ্চলে জিততে পারলে গোটা মুরগি বা খাসির মাংস পুরস্কার হিসেবে পাওয়া যেত। নিশা ওয়ার্সির বাবার প্যারালিটিক স্ট্রোকের ফলে কাজ হারানোয় নিশার মা একটি ফোম কারখানায় কাজ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা অসুস্থ স্বামী ও সন্তানদের মুখে দুবেলা দুমুঠো যোগানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। নিশাকে হকিস্টিক ধরতেই হত। পেটের জন্যে। সেই গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। সোনিপতের শ্রমিক পরিবারের মিডফিল্ডার নেহা গয়ালের জন্য বাড়িতে খাবার বলতে কিছুই থাকত না। অগত্যা অ্যাকাডেমিতে পৌঁছেছিল সে। প্রাক্তন হকি অধিনায়ক প্রীতম রানি সিওয়াচের অ্যাকাডেমি। যেখানে সে পেয়েছিল সেই আশ্চর্য গন্ধ। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। শুধু হকি নয়। কেরলের ম্যারাথনার ওপি জৈশা দুবারের এশিয়ান গেমস মেডেলিস্ট। কৈশোরেই বাবা মারা যায় জৈশার, তার পরপরই মারা পড়ে পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস তিনটি গরু। খাবার না পেয়ে পেয়ে জৈশা কাদা-কাদা মাটির মণ্ড দিয়ে পেট ভরাতে চেষ্টা করত। কিন্তু কাদার মণ্ডে আর যাই হোক রুটির গন্ধ থাকে না। নিরুপায় জৈশা দৌড়োতে শুরু করল। আশ্চর্য সব ম্যারাথন। সেই আশ্চর্য গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস।

আর অ্যাকাডেমির দরোজায় পৌঁছলেই কি সমাধান? রানি রামপালকে প্রথমে অ্যাকাডেমি নিতেই চায়নি তার অপুষ্ট শরীরের জন্য। অনেক কষ্টে কোচকে রাজি করেও নিশ্চিন্ত হওয়া যায়নি। অ্যাকাডেমির বিধান ছিল ট্রেনিং-এর পর খেলোয়াড়কে মেপে ৫০০ মিলি দুধ খেতেই হবে। এবং সে ব্যবস্থাও করতে হবে খেলোয়াড়কে নিজেকেই। স্মৃতি এখনও মলিন নয়, প্যাকেট দুধের আগের যুগে সম্পন্ন বাড়ির কর্তাদের সঙ্গে দুধে জল মেশানো নিয়ে দুধওয়ালার ঝগড়া ছিল প্রাত্যহিক ঘটনা। হরিয়ানার কিশোরীর পক্ষে কোনওদিনই ১০০-১৫০ মিলি দুধের বেশি জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। নিজের খাওয়ার দুধে নিজেই বেশিরভাগটাই জল মিশিয়ে কোচের সতর্ক চোখকে ফাঁকি দিতে শিখে নিয়েছিল রানি। এক আশ্চর্য গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। রোজ রাত্তিরে নেহা গয়ালের স্বপ্নে ভাসত একজোড়া নতুন জুতো। আর ঘুম থেকে উঠে রোজ কাকভোরে সেলাই করা শতচ্ছিন্ন জুতোজোড়া পায়ে গলিয়ে নেহা দশ কিলোমিটার দৌড় দিত অ্যাকাডেমির ঠিকানায়। এক আশ্চর্য গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস।

 

As we go marching, marching
Unnumbered women dead
Go crying through our singing
Their ancient call for bread

Small art and love and beauty
Their drudging spirits knew
Yes, it is bread we fight for
But we fight for roses too

শুধু পেটে কিল মেরে মানুষকে হারিয়ে দেওয়া হয়, তাই নয়, হারিয়ে দেওয়া হয় আধিপত্য দিয়ে। হারিয়ে দেওয়া হয় অপমান দিয়ে। হারিয়ে দেওয়া হয় অভালবাসায়, ঘৃণা দিয়ে। হারতে হারতে গোষ্ঠীবদ্ধভাবে না হোক, তবুও ব্যক্তিমানুষ কখনও কখনও জিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। নাকে ভেসে আসে গোলাপের ঘ্রাণ। বুক ভরে যায় সেই আশ্চর্য গন্ধে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। গরম রুটির ঘ্রাণ শাহবাদ মারকান্দার শেষ রাতের আকাশে তারা হয়ে জাগিয়ে রাখত এক দুঃখিনী মাকে, আর রাজস্থানের অখ্যাত গ্রাম কাবরা-র মাঝরাতের আকাশে আলো হয়ে জ্বলত গোলাপের ঘ্রাণ। আর সেই আলোর তলায় একটু একটু করে বুক বাঁধছিল এক জেদি রেস্ ওয়াকার। ভাবনা জাট। শর্টস পরে হাঁটার অপরাধে খাপের হুকুমে গ্রামের মাঠে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভাবনার রোজকার প্রাকটিস। দমে যায়নি গ্রামের মেয়ে। বাবার ছোট্ট চাষের জমিতে মেকশিফট ব্যবস্থা করে, সবার নজর এড়িয়ে মাঝরাতে প্রাকটিস করতে শুরু করল জেদি মেয়েটি। কারও নজরে যাতে না আসে তাই সারারাত পাহারায় থাকল ভাই। আর অবিশ্রান্ত হেঁটে চলল ভাবনা। মাঝরাতের আকাশ সাক্ষী থেকে গেল প্রত্যন্ত কাবরা থেকে টোকিও অলিম্পিক পর্যন্ত এক আশ্চর্য রেস্ ওয়াকিংয়ের। সে এক আশ্চর্য গন্ধের খোঁজে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। ফেডারেশনের প্রবল সেক্সিস্ট নিয়মাবলির কাছে বারবার ধ্বস্ত হতে হয়েছে ভারতের দ্রুততম দ্যুতি চাঁদকে। চরম অপমান মাথায় নিয়ে বারবার তাকে নারীত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় বসতে হয়েছে। সব অপমান তুচ্ছ করে তবুও বিদ্যুতের গতিতে ছুটে চলেছে দ্যুতি। এক আশ্চর্য গন্ধের সন্ধানে। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস।

কিন্তু এতদূর এসেও এ পোড়াদেশে নড়বড় করে সাঁকো। একসময় দারিদ্র্যের অন্ধকারে ডুবতে ডুবতে আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়েছিল উত্তরাখণ্ডের দলিত মেয়েটি। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই আশ্চর্য গন্ধ খুঁজে মেয়েটি আজ আজকের ভারতীয় হকি দলের সম্পদ বন্দনা কাটারিয়া। কিন্তু তাতেই বা কী? টোকিও অলিম্পিকে হ্যাটট্রিক করার পর আর্জেন্টিনার কাছে যখন সেমিফাইনালে লড়েও হেরে গেল ভারত, সেই মুহূর্তে আক্রান্ত হয়েছিল বন্দনার বাড়ি। উন্মত্ত জনতার সেই আক্রমণের একমাত্র কারণ— বন্দনার সামাজিক পরিচয় হল দলিত। একশোর বেশি মেডেল জেতা তিরন্দাজ দীপ্তি কুমারীর হাত থেকে ধনুক কেড়ে নিয়েছে ঋণের জাল। রাঁচির রাস্তায় চায়ের দোকান করে আপাতত পেট চালাচ্ছে দীপ্তি। জানি না সেই সেই ছোট্ট দোকানের মাথার ওপরে বিশাল আকাশের কোনও অজানা কোণে এখনও আলো হয়ে জ্বলে থাকে কিনা সেই আশ্চর্য গন্ধ, সেই স্বপ্নের ঘ্রাণ। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস। আমরা যারা টিভির পর্দায় চোখ রেখে হাততালি দিই অথবা মুণ্ডপাত করি, ক্ষমতার সামনে অথবা পিছনে আগুপিছু করি, শেয়ারের ওঠানামায় যাদের সবটুকু দিনগত অ্যাড্রিনালিন চর্চা; আমরা কীভাবে চিনব এদের! আমরা যারা অলিম্পিকে ভারতের ফল ভাল হলে বাড়িতে বিয়ারের পার্টি দিই আর হারলে ওই দুঃখী মুখগুলিকে অভিসম্পাত করি; আমরা কীভাবে চিনব এদের! রানি রামপাল, নেহা গয়াল, বন্দনা কাটারিয়া, দ্যুতি চাঁদ— এই নামগুলি আমাদের কাছে পোডিয়ামে দাঁড়ানো এক একটি নাম মাত্র। তার বেশি কিছু নয়। আমরা কি চিনি সেই ভারতবর্ষ!  না, আমরা না চিনি সেই জল-মেশানো দুধের জেদ, আমরা না চিনি পরিত্যক্ত ভাঙা হকিস্টিকের জোশ। আমরা না চিনি সেই শেষ রাতের আকাশ, আমরা না চিনি সেই ছেঁড়া জুতোর দৌড়। অথচ আমাদের দেখার পরিধির আলোকবর্ষ দূরে আরেকটা ভারতবর্ষের কোণায় কোণায় প্রতিদিন হাজার জীবনের আশ্চর্য ম্যারাথন ছুটে চলে এক আশ্চর্য অবিনশ্বর গন্ধের খোঁজে। যে ঘ্রাণের সন্ধান অবিরত এক হেরে যাওয়া সমষ্টির শিকড় থেকে রূপকথা নয়, ইতিহাস হয়ে উঠে আসা হাজারো ব্যক্তি মেয়েটির কাছে কখন হয়ে ওঠে তার একান্ত এন্থেম। ব্রেড অ্যান্ড রোজেস।  

As we come marching, marching, in the beauty of the day,
A million darkened kitchens, a thousand mill-lofts gray
Are touched with all the radiance that a sudden sun discloses,
For the people hear us singing, “Bread and Roses, Bread and Roses.”

As we come marching, marching, we battle, too, for men—
For they are women’s children and we mother them again.
Our days shall not be sweated from birth until life closes—
Hearts starve as well as bodies: Give us Bread, but give us Roses.

As we come marching, marching, unnumbered women dead
Go crying through our singing their ancient song of Bread;
Small art and love and beauty their trudging spirits knew—
Yes, it is Bread we fight for—but we fight for Roses, too.

As we come marching, marching, we bring the Greater Days—
The rising of the women means the rising of the race.
No more the drudge and idler—ten that toil where one reposes—

But a sharing of life’s glories: Bread and Roses, Bread and Roses.

 


*’ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’ জেমস ওপেনহেইমের ১৯১১ সালে লেখা বিখ্যাত একটি কবিতা যা পরে গান হিসেবে আরো খ্যাতি পায়।

 

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4655 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

  1. When I open your pages — not very often ,rather casually not in intent but for some personal inability — I resent for days past by strolling in other platforms — full of hollowness even amongst jostling crowds. At the doorstep of ninety , while I haer tolling of church bells getting louder — for moments my heart springs back with utter joy to know — my Bengal still lives with candour and colour — not in LONDON of KOLKATA — but in a deserted platform ; perhaps in Sealdah or in a nearby station — where in NUMBER. FOUR PLATFORM — A TRAIN IS WAITING to TAKE me back to Methuselah.of brain stormig readings,

Leave a Reply to nirmalya kumar majumder Cancel reply