চারটি কবিতা

ঈশিতা ভাদুড়ী

 

রাত্রি গাঢ়

রাত্রি গাঢ় হচ্ছে সুস্পষ্ট অন্ধকারে। বেড়ালটা কাঁদছে উঠোনে ক্রমাগত, আর, সিগনালে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুলেন্সের হুটার তীব্র ভয়ানক। দুটো কুকুর ভীষণ ভাঙছে তোমায়, রাত্রি। স্তব্ধতা নয়, সহস্র চিৎকারে রাত্রি, তুমি উঠছো ক্ষতচিহ্ন বেয়ে বেয়ে?

করিডোরে
ছিল বজ্রপাত
আর কান্না

 

অন্ধকারে হামাগুড়ি

লোভের পর আসে সিঁড়ি। তারপর অন্ধকারে হামাগুড়ি। এই অবধি লিখে দেখি তোমাদের মুখগুলি কেমন ক্ষতবিক্ষত। এমন কালো আঁচড় দেখিনি এর আগে। মুখচিত্রে এমন উলঙ্গপনা আর পাপের ছবিও দেখিনি ইতিপূর্বে।

ডুব সাঁতারে
যাওয়া যায় নিচে
কত আরও?

 

অন্তরাল

গোপন গহ্বরে নিষ্পাপ সরলতা দেখেছে কে? এত জুঁই-গন্ধ শ্বেতপদ্ম এত, জানে না কেউই। প্রকাশ্যে দেওয়াল রুক্ষ ও কালো, দাঁড়িয়ে থাকে আশ্রয়হীন।

নদীও কাঁদে
যখন ভেসে যায়
ডিঙি নৌকা

 

ব্যক্তিগত দুঃখ শোকের পর

ভাবছি এবার উঠে দাঁড়াবো অসহায় ফিতেগুলো ছিঁড়ে। যে পাথর আঁকড়ে বসে আছি এতদিন, সে পাথরে ফুটবে না গুল্ম আর। যে বালিতে মুখ গুঁজে বসে আছি এতদিন, সে বালিতেও আসবে না জল। শ্যাওলা-পড়া সম্পর্ক আর হিমেল নৈঃশব্দ্য ফালা ফালা করে ভাবছি এবার উঠে দাঁড়ানোই ভালো।

ব্যক্তিগত
দুঃখ শোকের পর
নীল আকাশ

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4666 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

Leave a Reply to কল্পেশ দস্তিদার Cancel reply