
দু’টি কবিতা
নাকবিতা
ফটোগুলো পথে ঘাটে ফেলে দেয়াল সরে পড়েছে
সেখানে আর দেয়াল আঁকা নেই
সবাই কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে অচেনা লোকাল পাখির ছবি
স্বপ্নচোর হুরপরী
কঙ্কালের মেয়েও চলে গেল
সূর্যপাপাত রূপক হয়ে ঝরেছিল সেদিনের লিঙ্গল্পে
না রে না না দু’টি কলি দুই কলি
সেটি গাও দুই মাত্রা
সাজানো
সেই গানানের ইকুয়াল মিউজিকে গাইতে রহো দিন দাহারের টপ্পা
রুকস্যাকে রাত্রি ভরে হাঁটতে গেল তাই আমাদের নৈশ ট্রেন
ট্রেন ভরা বাড়ির কথা কারা কয়
নিশাচর কথামালার সার্কাস পেরিয়ে
হিম ঝিম পার হয়ে দুটি রমিত লাইন চুপ করে শুনি
পাহাড়ে একায়েক পায়ের শব্দ ফিরে আসছে কী করে
অনেকের একা
একায় অনেকে
পিঠের পিছনে তা’লে নাকবিতা কি নাই
পরিবর্তন
বারিপাতে স্বপ্ন আর স্বপ্নে বারিপাত
নেট আর নোডের ফারাক বরাবর
যেমন প্রথমবার যাঃ ইউরেকা
আমার আমার আমার
ফুটে উঠেছে জেটের ধোঁয়া মৃদু
সুদূর
নীলদূরগুলি শোকমান লাগে কেন
শহীদ শোকেরা আলো হয়ে গেছে মন্তরে
মেয়েধরা ফ্যালিক ছেলেদের লাজুক আলো এখনো টিপটিপ করছে
সেই টিপের স্বাদ লেগেছে
কপালে কেমন লাগে গো
কোথায় এক অমেঘ পরিবর্তন
আমাদের বর্তনে
মেঘরাগে
ফুটপাতে বসে বাজায় কাহারা